নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮
আজ নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭০ তম জন্মদিন। সাহিত্যের পাশাপাশি হুমায়ূন আহমেদ নাটক, চলচ্চিত্র ও গানের জগতেও রেখেছেন বিশেষ অবদান। তাঁর জন্মদিনে কিছু তথ্য জানা যাক হুমায়ূন আহমেদের নুহাশ পল্লীকে নিয়ে।
একবার হুমায়ূন আহমেদের আমন্ত্রনে বাংলাদেশে এসেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। নুহাশপল্লীতে সময় কাটাচ্ছিলেন তাঁরা। হুমায়ূন আহমেদ জানতেন একদিন পরই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিন। কিন্তু ভাবনা এমন করছিলেন এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
রাতে খাবার পরে বিশ্রামের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সাড়ে এগারোটার দিকে সুনীলকে বললেন চলুন বাইরে থেকে ঘুরে আসি। বাইরে বের হয়েই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ‘ওয়াও’ বলে একটা চিৎকার দিলেন। নুহাশপল্লীর চারিদিকে মোমবাতির আলোয় এক অন্য ভুবনের আবেশ। প্রবেশপথ থেকে শুরু করে রাস্তাগুলো হয়ে দীঘি পর্যন্ত আলোর এক অন্যরকম খেলা। এভাবেই প্রিয় মানুষদের সারপ্রাইজ দিতেন তিনি।
জীবদ্দশায় হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনগুলোতে কেমন আয়োজন হতো? নিজে খুব একটা পছন্দ না করলেও ঠিকই জন্মদিনে কেক কাটতে বাধ্য হতেন। স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, আসাদুজ্জামান নূর, চ্যালেঞ্জার, রিয়াজ, ডা. এজাজুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ, স্বাধীন খসরুসহ আরও অনেকেই সেদিন উপস্থিত থাকতেন। তাদের জোরাজুরিতে সেদিন আর কিছু বলার থাকতো না।
একটা স্টেজ বানানো হতো। ফায়ার ক্যাম্প হতো। সবাই হুমায়ূন আহমেদের প্রিয় সব গান গাইতেন। সেলিম চৌধুরী, এসআই টুটুল, কুদ্দুছ বয়াতিসহ আরও অনেকে গাইতেন। এভাবে চলত অনেক রাত পর্যন্ত।
হুমায়ূন আহমেদে নিজেই নুহাশ পল্লীর পুকুরে রুই, কাতলা, কাল বাউশ, চিতলের পোনা ছেড়েছেন। এখনও এখানে কয়েকশ’ চিতল আছে। নিজেই সেখানে জাল ফেলতেন। বড় বড় মাছ রেখে দিয়ে বলতেন সবাইকে খেতে দিবা। ছোট কোনো মাছ রাখতেন না, সব দীঘিতে ছেড়ে দিতেন।
হোয়াইট হাউসে (নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের বাসস্থানের নাম) উনার ঘরের কার্পেট বিছানো মেঝেতে খুব ছোট্ট একটা টেবিলে তিনি লিখতেন। এত কাজের মধ্যে তিনি কখন এত উপন্যাস-গল্প লিখেছেন।
সহজে রাগ করতেন না। তবে কেউ গুরুতর কোনো অপরাধ করলে এমন একটা ধমক দিতেন যে নুহাশপল্লীর মাটি পর্যন্ত কাঁপত। তারপর বলতেন কানে ধরে ওকে সারা নুহাশপল্লী ঘোরাও। তার পেছনে পাঠানো হতো একজনকে। তার পেছনে আবার পাঠানো হতো আরেকজনকে। আসলেই করছে কিনা সেটা দেখার জন্য। তারপর ডেকে এনে বলতেন, যাও তোমাকে মাফ করে দিলাম।
হুমায়ূন আহমেদের পোশা প্রাণীগুলোর দেখাশোনা করতেন ফজলুল হক সরকার। নুহাশপল্লীতে আছেন ১৯৯৭ সাল থেকে। এখনও নানা ধরনের কাজ করেন। হুমায়ূন যখনই আসতেন তার পোষা প্রাণীগুলোর খবর নিতেন। এমনকি শেষবার যখন আমেরিকা থেকে এসেছিলেন তখনও কবুতর, হাঁস, গরুগুলো দেখে রাখতে বলেছিলেন। সেগুলোর পরিচর্যা এখনও খুব ভালোভাবেই চলছে।
লীলাবতী দীঘির সীমানার পরে একটা খাল ছিল। হুমায়ূন আহমেদ তখন একটা বজরা নৌকা ব্যবহার করতেন। নানা জায়গায় নৌকায় আসা-যাওয়াও করতেন।
নুহাশ, শীলা, নোভা, বিপাশা ওদের নিয়েও ঘুরতেন। আবার তিনি নিনিত, নিষাদকেও কোলে নিতেন, ঘুরতেন। সন্তানদের বিষয়ে তার ভালোবাসা অকৃত্রিম। এমনকি তার দুই সন্তানের মৃত্যুর পরেও।
নুহাশপল্লীতে প্রায় তিনশ’ প্রজাতির ফলদ, বনজ গাছ আছে। আছে বিরল ঔষধি বাগান। এ বাগানটি উৎসর্গ করেছেন মৃত ছেলে রাশেদ হুমায়ূন স্মরণে। সেখানে লেখা আছে, ‘আমরা ছোট বাবাকে মনে করছি।’ তার মৃত্যুর পর নতুন করে আর কিছু করা হয়নি সেখানে।
লীলাবতীর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দীঘিটির অন্য নাম ছিল। কিন্তু পরে তিনি এটির নাম রাখেন দীঘি লীলাবতী। ফলকটিতে স্পষ্ট করে আরও লেখা রয়েছে ‘নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে’। এখানেই শেষ নয়, হুমায়ূন আহমেদের কারণেই গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামের রাস্তার উন্নয়ন, বিদ্যুৎ এসেছে বলেও জানান সেখানকার স্থানীয়রা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি চিত্রনায়িকা বুবলী ও শাকিব
খানের ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনে সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যমে বুবলীর একটি স্ট্যাটাসকে
কেন্দ্র করে পরী
ও বুবলীর মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা যায় সোস্যাল মিডিয়ায়। দুজনের একের পর এক স্ট্যাটাস ও পাল্টা
স্ট্যাটাস তর্কযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ফেসবুক।
এদিকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ছেলে শামসুদ্দিন ফারিশের প্রথম জন্মদিন আজ। তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরী মনি। লিখেছেন, ‘হ্যাপি বার্থডে মানিক চাঁদ আমাদের। তুমি মায়ের চোখের মণি হয়ে থাকো ফারিশ বাবা। আমরা সবাই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’
গত মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন মাহি। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে আলাদাই থাকছেন এই
নায়িকা। ছেলেকে নিয়েও ফেসবুকে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। এখন নিজের লুক
বদলাচ্ছেন অভিনেত্রী। ব্যস্ত হয়েছেন ক্যারিয়ার নিয়ে। এরই মধ্যে পর্দায় ফেরার প্রস্তুতি
নিয়েছেন তিনি।
পর্দায় ফেরা প্রসঙ্গে মাহি বলেন,
ভালো প্রস্তাব পেলে আর ফিরিয়ে দেবেন না। এর কারণও অবশ্য রয়েছে। বিয়ের পর বেশ কিছু সিনেমার
প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে এখন ক্যারিয়ারে মন দিতে
চান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর
গাজীপুরের রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন তিনি। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের ফারিশ নামে
এক বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে স্বামী রাকিব
সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের
ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাহি। পাঁচ বছর সংসারের পর বিচ্ছেদ
হয় তাদের।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি বেশ ঢাকঢোল বাজিয়ে বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা
ফারহান আহমেদ জোভান। সেই বিয়েতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী সাফা কবির।
অথচ এখন শোনা যাচ্ছে তাদের ‘অনন্ত প্রেম’র গুঞ্জন!
সদ্য দুজনেই জুটি বেঁধে শেষ করেছেন ‘অনন্ত প্রেম’-এর শুটিং। আসছে
ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে বিশেষ এই নাটকটি লিখেছেন ও বানিয়েছেন মহিদুল মহিম।
নাটকটির নিয়ে নির্মাতা জানান, ‘এই গল্পের নায়ক জিসান। কক্সবাজারে
নিজের দোকানে বসে কেক তৈরি করে এবং বিক্রি করে। ছোটবেলায় জিসানের মা মারা যায়। তার
মা-ও খুব ভালো কেক তৈরি করতো। তাই মায়ের স্মৃতি ধরে রাখতেই জিসান কেকের বিজনেস করার
সিদ্ধান্ত নেয়।
গল্পের নায়িকা স্নেহা। জিসানের কেক রেস্টুরেন্টে আসে। স্নেহার শখ
ছবি তোলা। খুব সুন্দর পোশাক পরে সাজানো রেস্টুরেন্টে জিসানকে কেক বানাতে দেখে মুগ্ধ
হয়ে ছবি তোলে স্নেহা। আর সুন্দরী স্নেহার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় জিসান।’
নির্মাতা আরও বলেন, ‘বুঝতেই পারছেন, গল্পের এই পর্যায়ে জিসান-স্নেহা
প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করে। গল্পটা মূলত শুরু হয় এখান থেকে। ক্রমশ জড়ায় পারিবারিক
জটিলতায়। শেষটা জানতে দেখতে হবে ঈদ উৎসবে পুরোটা।’
‘অনন্ত প্রেম’ নাটকটি সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে আসছে ঈদ উৎসবে মুক্তি
পাবে।
অনন্ত প্রেম জোভান আহমেদ সাফা কবির
মন্তব্য করুন
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সদ্যই টিকিট পেয়েছেন বলিউডের আলোচিত
অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির হয়ে আসন্ন নির্বাচনে লড়বেন অভিনেত্রী।
এরই মধ্যে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়ে গেছেন তিনি। যদিও বলিউডে অনেকটাই নড়বড়ে অবস্থায়
রয়েছেন কঙ্গনা।
একের পর এক ফ্লপ সিনেমার পর অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার নিয়েই সংশয় দেখা
দিয়েছে। তবে কঙ্গনার মতে, খারাপ সময় যতই যাক, আবারও সাফল্যের ধারায় ফিরবেন
তিনি। সেই সঙ্গে নিজেকে শাহরুখ খানের সঙ্গে তুলনা করে তারকাদের জেনারেশনের
‘শেষ তারকা’ হিসেবেও দাবি করলেন কঙ্গনা।
সম্প্রতি ‘টাইমস নাও সামিট’-এ উপস্থিত ছিলেন কঙ্গনা। সেখানেই বিভিন্ন
কথোপকথনে নিজেকে এবং শাহরুখ খানকে তারকাদের শেষ প্রজন্ম বলে মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম
দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
কঙ্গনা বলেন, ‘আমি এবং শাহরুখ খান তারকাদের শেষ প্রজন্ম। ওটিটি
কখনো তারকা তৈরি করতে পারে না। আমরা পরিচিত মুখ। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমাদের অনেক চাহিদা
রয়েছে। শুধু টিকে থাকার জন্য ওটিটিতে আসতে পারব না।’
গত কয়েক বছরে একের পর এক সিনেমা বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছে কঙ্গনার।
নিজের ব্যর্থ সিনেমা প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, “পৃথিবীতে এমন কোনো অভিনেতা নেই, যার ফ্লপ
সিনেমা নেই। শাহরুখ খানের ১০ বছর কোনো হিট সিনেমা ছিল না।
কিন্তু ‘পাঠান’ বক্স অফিসে হিট হয়। ৭-৮ বছর আমার কোনো হিট সিনেমা
ছিল না। কিন্তু ‘মণিকর্ণিকা’ বক্স অফিসে হিট হয়। এরপর তিন-চার বছর কোনো হিট সিনেমা
উপহার দিতে পারিনি। এবার ‘ইমার্জেন্সি’ আসছে, আশা করছি এটি ভালো সাড়া ফেলবে।”
সর্বশেষ কঙ্গনাকে দেখা গেছে ‘তেজাস’-এ। গত বছরের ২৭ অক্টোবর মুক্তি
পায় সিনেমাটি। ৭০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে। আয় করে মাত্র
সাড়ে ৫ কোটি রুপি। সামনে অভিনেত্রীকে দেখা যাবে ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমায় ইন্দিরা গান্ধীর
চরিত্রে। এটি পরিচালনাও করছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভোটের মাঠেও সরব হচ্ছেন অভিনেত্রী।
শাহরুখ খান কঙ্গনা রানাওয়াত বলিউড
মন্তব্য করুন
সৌদি ইউনিভার্স মঞ্চ পতাকা রুমি আলকাহতানি
মন্তব্য করুন
এবার সৌদি আরবের পতাকা হাতে মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে দেখা যাবে এক
২৭ বছর বয়সী মডেলকে। ইতিহাসে তিনিই প্রথমবার সৌদির পতাকা হাতে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার
এই মঞ্চে উঠতে যাচ্ছেন।
রুমি আলকাহতানি নামের ওই মডেলের ইন্সটাগ্রামে অনুসারীর সংখ্যা ১০
লাখ। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, তিনি বিশ্ব সুন্দরীদের মঞ্চে তার দেশকে উপস্থাপন করতে
যাচ্ছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘আমি মিস ইউনিভার্স ২০২৪ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে
সম্মানিত বোধ করছি। এই প্রতিযোগিতায় এটাই সৌদি আরবের অভিষেক।’
এই ছবির সাথেই তিনি সৌদি আরবের পতাকাসহ নিজের ছবি প্রকাশ করেছেন।
আলকাহতানি রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি এর আগেও বেশ কয়েকটি সুন্দরী
প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন