‘তিরিশে ডিসেম্বর সারাদিন; নৌকা মার্কায় ভোট দিন’- এই স্লোগানকে সঙ্গী করে সাধারণ মানুষের পাশপাশি এগিয়ে চলেছেন বিনোদন ভূবনের তারকারাও। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে নৌকায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় কয়েকজন তারকা। সেই সঙ্গে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সবাইকে দেশনেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সম্প্রতি ভিডিও বার্তায়, দেশ গড়ার ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান উল্লেখ করে নিজেদের সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন অভিনয়শিল্পী রিয়াজ, অপু বিশ্বাস, সুবর্ণা মুস্তাফা, মাহফুজ আহমেদ, বাঁধন, ও ডঃ ইনামুল হকসহ অনেকে।

চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন অনেকটাই বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিগত দশ বছরে দেশ অনেক এগিয়েছে। আজ পদ্মা সেতু ও মেট্রো রেল দৃশ্যমান। শিক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনসহ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের বিপ্লব আমরা লক্ষ্য করেছি। এর সবই হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমি রিয়াজ নৌকায় ভোট দেবো। আপনরা যাঁরা উন্নয়ন ও অগ্রগতি চান, আশা করি তাঁরা নৌকায় ভোট দেবেন।’

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস বলেন,‘মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে, তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে বিজয়ের এই মাসে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হয়ে আমি নৌকা মার্কায় ভোট দেবো। আপনি দেবেন তো?’

অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘একটি দেশ কত উন্নত, একটি দেশের জনপদ কত সমৃদ্ধ, সেটি নির্ভর করে সে দেশের সংস্কৃতির উপর। সংস্কৃতি যত ঋদ্ধ, যত উন্নত, সেই জাতি ততো সমৃদ্ধ হয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়টি অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করেন। শেখ হাসিনা বারবারই প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের জনগণ উনার সন্তানের মতো। পুরো পরিবার তিনি হারিয়েছেন। তিনি নিজে কতবার যে জীবনে হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজনৈতিকভাবে দীক্ষিত বিশ্বের অন্যতম একজন নেত্রী তিনি। পারিবারিকভাবেই তিনি এই দীক্ষা লাভ করেছেন। সুতরাং সামনের দিনগুলোতে আমি অবশ্যই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। উন্নয়ন আর অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে; আমরা সবাই শেখ হাসিনার পক্ষে।’

অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ বলেন, ‘সবকিছুর ঊর্ধ্বে সবার প্রিয় বঙ্গবন্ধু। তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকলের কাছে মমতা, মানবিকতা এবং আশ্রয়ের এক মূর্ত প্রতীক। আমি বাংলাদেশের পক্ষে, বাঙালির পক্ষে, আমি নতুন প্রজন্মের স্বপ্নের পক্ষে। উন্নয়ন আর অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সবাই বাংলাদেশের পক্ষে।’

ডঃ ইনামুল হক বলেন, আমাদের বর্তমান সরকার সংস্কৃতি বান্ধব সরকার। এই সরকারের মাধ্যমে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা পরম শত্রুকেও স্বীকার করতে হবে। আমরা চাইছি এমন সংস্কৃতি বান্ধব সরকার আবার আসুক। কারণ সংস্কৃতির মাধ্যমেই দেশের উন্নতি করা সম্ভব। বর্তমানে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন এবং বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছেন। সুতরাং উনার মতো একজন নেতা আমাদের ভীষণ প্রয়োজন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তাঁরই তত্ত্বাবধানে আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। উন্নয়ন ও সাফল্যের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আসুন আমরা নৌকায় ভোট দিই।

বাংলা ইনসাইডার/এইচপি/এমআর

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াই করছেন অভিনেত্রী নিপুন আক্তার। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই নিজ প্যানেল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আছেন তিনি।

এবার তার বিপরীতে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন শক্তিশালী প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তবে নিজের জয়ে শতভাগ আশাবাদী এই অভিনেত্রী। যদিও গতবার নির্বাচনে জায়েদ খানের বিপক্ষে ১৩ ভোটে হেরেছিলেন নিপুন।

নিপুন বলেন, ‘ডিপজলকে নিয়ে ভয় কাজ করছে না। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আমার কোনো ভয় নেই। তিনি একজন ভালো মনের মানুষ। তাই তাকে নিয়ে আমার আলাদা কোনো ভয় নেই।’

নির্বাচনের নিরাপত্তা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিপুন বলেন, ‘এবার ভোটার উপস্থিতি আগেরবারের তুলনায় অনেক কম। শিল্পীরা সবাই আসছে আস্তে আস্তে আসছেন। তবে আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। আর নিরাপত্তার কথা যদি বলি, তাহলে বলবো ঠিক আছে। কারণ এখানে সবাই শিল্পী, জাতীয় তারকা। তাদের নিরাপত্তায় এমনটা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি কম। ভোট শুরুর আগে থেকে প্রার্থীরা উপস্থিত হলেও, ভোটারদের উপস্থিতি তেমন একটি দেখা যায়নি।

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান। শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।

এবারের নির্বাচনে দুই প্যানেলের একটিতে আছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আর অন্যটিতে একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তার।

এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা। ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।

এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।

রাশ্মিকা মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান।

সম্প্রতি আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়েছেন।

২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আমির খানকে ‘জুমলা’র থেকে সতর্ক থাকতে বলতে দেখা গেছে। আমিরের অফিসের দাবি, অভিনেতার মুখ মর্ফ করে ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি এমন কোনও প্রচার ভিডিও শুট করেননি।

আমির খানের অফিসের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩৫ বছরের বলিউড ক্যারিয়ারে আমির খান কখনও কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার করেননি। আমিরের অফিস থেকে অভিযোগ পেতেই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ (অন্যকে নকল করা), ৪২০ (প্রতারণা) সহ একাধিক ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

ভোটগ্রহণ চলাকালীন দুপুরে বিরতি দিয়ে ফের ভোট শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এবারের নির্বাচনে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১। মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল প্যানেল ও মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল

এরই মধ্যে নির্বাচনের সব আয়োজন শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও প্রস্তুত। সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা ও ফলাফল ঘোষণার স্বার্থে সকাল থেকে ভোটের ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত মূল ফটক থেকে এফডিসির বিভিন্ন জায়গায় প্রায় আড়াইশ পুলিশ সদস্যসহ সাদা পোশাকে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিতি রয়েছেন।

এ ছাড়াও ভোটকে আরও নিরবচ্ছিন্ন করতে এফডিসির বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি আরও ৩১টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা। ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।

এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।