নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১০ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
শাবনূর তো দীর্ঘদিন ধরে সিনেমাই করছেন না। মৌসুমী, পূর্ণিমা, পপি পড়েছে মহা যন্ত্রনায়। কে হবেন তাদের নায়ক? এক ফেরদৌসই তাদের ভরসা। টুকটাক সিনেমা করলে তারা ফেরদৌসকেই বেছে নেন।
একটি ছবির গল্পে কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রকে যদি ‘নায়িকা’ বলা হয়, তবে সেই নায়িকার চরিত্রে বাংলা ছবির ইতিহাসে কোনো অদল-বদল হয়েছে?
সিনেমায় নায়িকা কেন দরকার? ৯০ শতাংশ দর্শকের উত্তর, নায়কের জন্য। মানে নায়কের নায়িকা হতে হবে। নায়কবিহীন নায়িকা আবার সিনেমায় কি করবে! অনেককিছু করার থাকে। বহি:বিশ্বের সিনেমার দিকে তাকালে অহরহ সেই চিত্র দেখতে পাই। কিন্তু আমাদের দেশে নেই বদলের গল্প। একটা চেনা ছকের গল্প, নায়ক-নায়িকার পাঁচটা গান আর কিছু অ্যাকশন দৃশ্য এই ফর্মুলা থেকে কতটুকু বেরিয়ে এসেছে সিনেমা? অনেক পরিবর্তনের আওয়াজ শোনা গেলেও বাণিজ্যিক সিনেমায় এখনো সেই একই ফর্মুলা মেনেই ছবি নির্মাণ চলছে।
পেছনের নায়িকা তো বটেই, শীর্ষস্থানীয় নায়িকারাও নায়ক ছাড়া ছবির কথা ভাবতে পারেন না। কি মূল ধারা, কি বাণিজ্যিক। নায়ক অবশ্যাম্ভাবী দরকার। নায়কের চরিত্র যত অনুলেখ্যই হোক না কেন, নায়ক একজন থাকতেই হবে। অন্যথায় কোনো নায়িকাই ছবি করতে রাজি হোন না। এ কথা জানায় নির্মাতারাও। ব্যতিক্রমী গল্পের অনেক প্রস্তাব নায়িকাদের কাছে গেলেও নায়িকারা সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন শুধুমাত্র গল্পে একজন পুরুষ চরিত্র নেই বলে। অথবা সেই পুরুষ চরিত্রটি সুপারস্টার নয় বলে।
নায়িকাদের কখনোই নায়কবিহীন ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় না। গল্পের চেয়ে তারা প্রাধান্য দেন নায়কের উপস্থিতিকে। সম্প্রতি এক সিনেমার মাধ্যমে এমন চিত্র আবারো সামলে চলে আসলো। রায়হান রাফি ‘দহন’ সিনেমা করতে গিয়ে এমন জটিলতায় পরেন। একের পর এক নায়িকার না করে দেয়া চলতে থাকে। ছবির একটি গুরুত্বপূর্ন চরিত্র সাংবাদিক মায়া। প্রথমে বাঁধন, পরে পূর্ণিমা না করে দেন। শেষ পর্যন্ত আসে মম।
কেন ‘দহন’র একটি চরিত্রের জন্য এতজনের আগমন-প্রস্তান? কারণ কি এটাই যে, আলোচিত চরিত্রটি নায়কবিহীন? তাই সবাই বিচার- বিশ্লেষণ করে সরে গেছেন। মুখে স্বীকার না করলেও ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্টদের বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না যে, নায়কবিহীন ছবির প্রতি নায়িকাদের এলার্জি আজও কমেনি। মম’র করা চরিত্রটি বেশ প্রশংসাও পাচ্ছে।
ইতিহাস বলছে, নায়কবিহীন ছবিতেও নায়িকারা ঝলসে উঠতে পারেন। আর ছবি সাফল্য না পেলেও অভিনেত্রী তার সাহসিকতার জন্য ঠিকই প্রশংসা কুড়িয়ে নেন। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ইতিহাস’ এমনই একটি ছবি। এ ছবির নায়ক কাজী মারুফ আর নায়িকা রত্না। কিন্তু প্রথাগত নায়িকার চরিত্রে অভিনয় না করেও ছবির প্রাণ ছিলেন মৌসুমী। ছবির মূল নারী চরিত্রটি অর্থাৎ মারুফের বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন মৌসুমী। ব্যাপক প্রশংসিত হয় মৌসুমী।
মৌসুমীর মতো তুমুল প্রশংসা না পেলেও শাবনূর নায়কবিহীন চরিত্রে অভিনয় করতে দ্বিধা করেননি। পি এ কাজল পরিচালিত ‘পিরিতির আগুন জ্বলে দ্বিগুণ’ ছবিতে নায়ক ছিলেন ইমন আর নায়িকা ছিলেন বিন্দু। মৌসুমীর মতো শাবনূরও নায়কের বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি সাফল্য পায়নি। তবে হয়েছিল আলোচিত। নিরন্তর সিনেমাতেও শাবনুর বলতে গেলে নায়ক ছাড়াই অভিনয় করেছেন।
মৌসুমী-শাবনূরের মতো এমন ব্যতিক্রমী চরিত্রের প্রতি আগ্রহ অনেক নায়িকার মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায় না। নির্মাতারা ইচ্ছে থাকা সত্বেও কাঙ্খিত গল্প নিয়ে কাজ করতে ব্যর্থ হোন। এক সময়ে দাপিয়ে বেড়ানো মধ্যবয়সী নায়িকাদের হাতে আজ কাজ নেই। তারা ছোট পর্দায় অভিনয় করছেন। তারা না পাড়ছেন জুনিয়র নায়কদের সঙ্গে নাচে গানে ভরপুর সিনেমায় অভিনয় করতে। না পারছেন একক নৈপুন্য দেখাতে। ফলশ্রুতিতে ওই যে বলে,‘ এই চরিত্রটা ভিন্ন’। তার আর কোন মাজেজা থাকে না।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
এদিকে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানায়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অধ্যাপক (ড.) রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শিল্পকলায় পদ্মশ্রী পদক প্রদান করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন দক্ষ পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী, রবীন্দ্রসঙ্গীতের একজন নিবেদিতপ্রাণ অনুশীলনকারী।
ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা হচ্ছে ভারতরত্ন। তারপরই রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। নানা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে পুরস্কারগুলো।
এ বছর দেশটির সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ আর ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মাননা পেয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এবারের পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে।
প্রসঙ্গত, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপর শিক্ষা লাভ করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় রেজওয়ানা বন্যা ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতেও পড়াশোনা করেছেন। তিনি ‘সুরের ধারা’ নামের একটি সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে এ পর্যন্ত বহু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’ ও ‘ছিন্নপত্র’ ইত্যাদি।
সঙ্গীতে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১৬ সালে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক লাভ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সঙ্গীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে ভারতে বঙ্গভূষণ সহ বেশ কিছু পদক পেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্র করে
বলিউড তারকাদের কিছু ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়েই
শুরু হয়েছে হইচই।
ডিপফেক ভিডিও দেখা গেছে, গুলোতে দুই বলিউড
সুপারস্টারকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। একই সঙ্গে তারা
চলমান লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
ভাইরাল দুই ভিডিওর মধ্যে ৩০ সেকেন্ডের
একটি ভিডিও আমির খানের এবং ৪১ সেকেন্ডের আর একটি ভিডিও রণবীর সিংয়ের। ওই ভিডিওতে এই
দুই সুপারস্টারকে বলতে শোনা গেছে, মোদি যে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়নে
তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
এছাড়া গত দুই মেয়াদের ক্ষমতায় তিনি
অর্থনৈতিক সংকটে রোধেও তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেন নাই।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরিকৃত
এই ভিডিও’র শেষে কংগ্রেসের প্রতীক এবং শ্লোগান তুলে ধরা হয়। বলা হয়েছে ‘ভোট হলো অধিকার,
কংগ্রেসকে ভোট দিন’।
আমিরের ভাইরাল ডিপফেক ভিডিও নিয়ে মুম্বাইর
থানায় একটি মামলাও করেছে পুলিশ। জানিয়েছে এই ঘটনার সাথে যুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু
হয়েছে।
ডিপফেক লোকসভা নির্বাচন আমির খান
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ দ্বিবার্ষিক মেয়াদের নির্বাচনে
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে সমিতির এক সদস্য
টাকা দেয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন বরাবর। তবে গত ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণের
পর এতে ডিপজল জয়লাভ করলে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করেন অভিযোগকারী অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা।
গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিজয়ী
সভাপতি খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। পর্দার দাপুটে এ অভিনেতা বলেন, ডিপজলের বিরুদ্ধে নির্বাচন
আচরণবিধি দুই ও তিন ভঙ্গের যে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সাদিয়া মির্জা, সেটি প্রত্যাহার করে
নিয়েছেন তিনি। বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচন ২৭ এপ্রিল সম্পন্ন করার কথা থাকলেও একটি
প্যানেল আপত্তি জানালে পরে ১৯ এপ্রিল তারিখই চূড়ান্ত রাখা হয়। ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির
এ নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দিদ্বতা করেন ৪৮ প্রার্থী।
প্যানেল দুটি হচ্ছে―মাহমুদ
কলি ও নিপুণ আক্তার এবং অন্যটি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন খোরশেদ
আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।
ডিপজল অভিযোগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
মন্তব্য করুন
এবার ঈদের আগে থেকে ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলে বারবার শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে দাম্পত্যজীবন এবং নায়কের প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে নিয়ে মন্তব্য করেই আলোচনার সূত্রপাত। এবার সেই বুবলীকে নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ দ্বিবার্ষিক মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে সমিতির এক সদস্য টাকা দেয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন বরাবর। তবে গত ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণের পর এতে ডিপজল জয়লাভ করলে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করেন অভিযোগকারী অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা।