কালার ইনসাইড

নাট্যগুরু সেলিম আল দীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

বাংলা নাটকের গতানুগতিক ধারা বদলে দেওয়ার কারিগর সেলিম আল দীন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি নাট্যগুরু হিসেবে পরিচিত। চিত্রকলা, নৃত্যকলা, অভিনয়কলা ও সংগীতের সমন্বয়ে তিনি বাংলা নাটকে এক নতুন ধারার সূচনা করেন। আজ থেকে ১১ বছর আগে ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন এই নাট্যগুরু।

সেলিম আল দীনের জন্ম ১৯৪৯ সালে ১৮ আগস্ট ফেনী জেলায়। ফেনী থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করে ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন সেলিম আল দীন। দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে গিয়ে ভর্তি হন টাঙ্গাইলের করোটিয়ায় সাদত কলেজে। সেখান থেকে স্নাতক পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে নাটক’ বিষয়ের ওপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন লেখক হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁর প্রথম বাংলা সাহিত্য ‘নিগ্রো সাহিত্য’ যা আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের নিয়ে লেখা হয়। প্রবন্ধটি ১৯৬৮ সালে কবি আহসান হাবিব সম্পাদিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯৮৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর উদ্যোগেই খোলা হয় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ। শিক্ষকতার পাশাপাশি এ দেশের নাট্যশিল্পকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার লক্ষ্যে ১৯৮১-৮২ সালে দেশব্যাপী গড়ে তোলেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার। এর মধ্যেই তাঁর আজীবন শিল্পসঙ্গী নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঢাকা থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন। বাঙালির আচার-আচরণ, দৈনন্দিন জীবনযাত্রা তার ঐতিহাসিক সংগ্রাম, অর্থনীতিক উপায়-উপকরণ, উৎপাদন ও বণ্টন ব্যবস্থা, পুরান রূপকথা, সংস্কার বিশ্বাস-অবিশ্বাস, প্রথা-উৎসব, খাদ্যাভ্যাস, সামাজিক রীতি, নৈতিকতা, উৎসব-ক্রীড়াদি ইত্যাদি বিষয় অর্থাৎ বাংলার প্রান্তিক মানুষের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠত সেলিম আল দীনের নাটকে।

অসংখ্য মঞ্চ নাটকের রচয়িতা ও নির্দেশক সেলিম আল দীন। তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে- শকুন্তলা, কীর্তনখোলা, চাকা, যৈবতি কন্যার মন, মহুয়া, কাঁদো নদী কাঁদো। এছাড়া রেডিও এবং টেলিভিশনের জন্যও অসংখ্য নাটক রচনা করেছেন। রক্তের আঙুরলতা, অশ্রুত গান্ধার, গ্রন্থিকগণ কহে, ভাঙনের শব্দ শুনি, অনৃত রাত্রি, ছায়াশিকারী, রঙের মানুষ, নকশীপাড়ের মানুষেরা, রঙের মানুষ, হীরাফুল প্রভৃতি অসংখ্য জনপ্রিয় টিভি নাটক রচনা করেছেন তিনি।

অসামান্য সৃষ্টিশীল কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সেলিম আল দীন বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একুশে পদকসহ বহু সম্মাননা অর্জন করেন।

বাংলা ইনসাইডার/এইচপি/এমআর



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কে এই সৌদি মডেল রুমি?

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ইউনিভার্সের মঞ্চে ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম বার, সৌদি আরবের পতাকা হাতে লড়বেন এক নারী। ২৭ বছর বয়সী রুমি আলকাহতানি নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টেই এই ঘোষণা দিয়েছেন। জানিয়েছেন ইতিহাসের অংশ হতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।

তবে এবার প্রশ্ন উঠতে পারে কে এই রুমি, হুট করেই কী তিনি মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে উঠতে যাচ্ছেন? না। এতো বড় মঞ্চে এই প্রথম হলেও রুমি এর আগেও বহু সুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চে উঠেছেন।
এবার মিস ইউনিভার্সের ৭৩ বছরের ইতিহাসে তিনিই প্রথমবার যোগ দিচ্ছে সৌদি আরবের হয়ে। এমন খবরে একরকম চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আসছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ তাকে স্বাগত জানালেও অনেকেই করছেন সমালোচনা।

সৌদির রাজধানী রিয়াদে জন্ম রুমির। এর আগেও তিনি মিস সৌদি আরব, মিস মিডল ইস্ট, মিস উইমেনসহ (সৌদি আরব) বিভিন্ন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন এবং বিজয়ীর মুকুট মাথায় পরেছেন।

রুমি ফ্যাশন মডেলিংয়ের সাথে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেও পরিচিত। তার ইনস্টাগ্রাম অনুসারীর সংখ্যা ১০ লাখ। এক্স ও ফেসবুকেও তাকে লাখ লাখ মানুষ অনুসরণ করে।

ঘুরতে পছন্দ করেন রুমি। বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরেছেন তিনি। রুমির দুই বোনের নাম রাজান ও জেদাই। তাদের মধ্যে রাজানও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ পরিচিত মুখ।

সৌদি   ইউনিভার্স   মঞ্চ   পতাকা   রুমি আলকাহতানি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে সৌদি মডেল!

প্রকাশ: ০২:৫৮ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

এবার সৌদি আরবের পতাকা হাতে মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে দেখা যাবে এক ২৭ বছর বয়সী মডেলকে। ইতিহাসে তিনিই প্রথমবার সৌদির পতাকা হাতে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার এই মঞ্চে উঠতে যাচ্ছেন। 

রুমি আলকাহতানি নামের ওই মডেলের ইন্সটাগ্রামে অনুসারীর সংখ্যা ১০ লাখ। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, তিনি বিশ্ব সুন্দরীদের মঞ্চে তার দেশকে উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। 

তিনি লিখেছেন, ‘আমি মিস ইউনিভার্স ২০২৪ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। এই প্রতিযোগিতায় এটাই সৌদি আরবের অভিষেক।’

এই ছবির সাথেই তিনি সৌদি আরবের পতাকাসহ নিজের ছবি প্রকাশ করেছেন। 

আলকাহতানি রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি এর আগেও বেশ কয়েকটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। 


মিস ইউনিভার্স   সৌদি মডেল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ভেঙে গেল ভারত-পাকিস্তানের সমকামী জুটির সম্পর্ক

প্রকাশ: ০৮:৪১ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভেঙে গেল বহুল আলোচিত সমকামী জুটি অঞ্জলি-সুফির সম্পর্ক। অঞ্জলি চক্র ভারতের মেয়ে, অন্যদিকে সুফি মালিক পাকিস্তানের মেয়ে।  বিয়ে করে সারাজীবন একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

৫ বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী এই ভারত- পাকিস্তান জুটির অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হয়েছিল। 

রোববার (২৪ মার্চ) তারা আলাদাভাবে সামাজিক মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। 

অঞ্জলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, বিয়ের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে প্রেমিকা অঞ্জলিকে ধোঁকা দিয়েছেন পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত সুফি মালিক।

তিনি আরও লিখেন, এটা শুনে অবাক লাগতে পারে। কিন্তু আমাদের পথ আলাদা হচ্ছে। আমরা আমাদের বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ সুফি সবটা জেনে-বুঝে পরকীয়ায় জড়িয়েছে। 

তিনি লেখেন, আমি জীবনের এই অধ্যায় শেষ করছি, তাই বলে আমি চাই না সুফির প্রতি কোনোরকম নেতিবাচক আচরণ। আমি চাই এই সিদ্ধান্তকে সকলে সম্মান জানাক। আমাদের পাঁচ বছরের এই সম্পর্ক প্রেমে ভরপুর ছিল। সেইভাবেই আমি অতীতটা মনে রাখতে চাই।

পরকীয়া বিষয়টি স্বীকার করে সুফি লিখেছেন, বিয়ের আগেই না বুঝে আমি তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। আমি আমার ভুল স্বীকার করছি এবং তা করতেই থাকব। আমি জানি আমি ওকে কষ্ট দিয়েছি, আমি বুঝতে পারিনি। আমি এই ভুলটা কত বড় সেটা জানি, তাই শুধু অঞ্জলি আর সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাইতে পারি। 


ভারত   পাকিস্তান   সমকামী জুটি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আম্বানি পুত্রবধূ রাধিকার প্রাক্তন কে?

প্রকাশ: ১১:২৫ এএম, ২৬ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ছেলের প্রাক বিয়ে অনুষ্ঠান করেছেন মুকেশ আম্বানী। বিল গেটস থেকে শুরু করে মার্ক জাকারবার্গ, বলিউড থেকে হলিউড তারকা কেউই বাদ যাননি এই জমকালো আয়োজনে। তবে এত সব তারকার ভিড়েও এই আয়োজনে সবার নজর ছিল আম্বানি পুত্রবধূ রাধিকা মার্চেন্টের দিকে। তবে এর আগেও একটি সম্পর্কে ছিলেন রাধিকা।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, অনন্ত আম্বানির হবু স্ত্রী রাধিকার প্রাক্তন প্রেমিক হাজির হয়েছিলেন তার প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠানে! বিভিন্ন ছবি ইঙ্গিত দিচ্ছে তেমনটাই। রাধিকার প্রাক্তনের নাম রোহান আগারওয়াল। ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান তিনি। শোনা যায়, ২০১৩ পর্যন্ত রোহানের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন রাধিকা। পরে যদিও তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

রাধিকা, রোহান ও আনমোল এই তিন বন্ধুর জুটি তাদের স্কুলেও ছিল বেশ জনপ্রিয়। বিচ্ছেদ হলেও এখনও প্রাক্তনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন রোহান। বিয়ের প্রাক অনুষ্ঠানে নাচের অনুষ্ঠান করতেও দেখা গেছে তাকে।
 
আগামী ১২ জুলাই বিয়ে করতে চলেছেন রাধিকা ও অনন্ত। তাদের প্রাক বিবাহে শুধু যে বিনোদন জগতের মানুষ হাজির ছিলেন এমনটা কিন্তু নয়। হাজির ছিলেন বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ‌ থেকে শুরু করে হলিউড গায়িকা রিহানা, আন্তর্জাতিক ডিজে একনসহ অনেকেই। 


মুকেশ আম্বানি   রাধিকা মার্চেন্ট  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বিজেপির হয়ে নির্বাচন করবেন অভিনেত্রী কঙ্গনা

প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন লোকসভা নির্বাাচনকে সামনে রেখে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পড়তে শুরু করেছে নির্বাচনী প্রভাব। নিজেদের পছন্দমতো প্রার্থী নির্বাচন করছেন রাজনৈতিক দলগুলো। নির্বাচনের প্রার্থিতার জন্য ইতোমধ্যেই বিনোদন জগতের তারকাদের নাম এসেছে গণমাধ্যমে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে বিজেপির টিকিট পেয়েছেন বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।

গণমাধ্যমটির তথ্যমতে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রতিনিধিদের পঞ্চম তালিকা প্রকাশ করেছে। এর আগে তার আরও চারটি তালিকা প্রকাশ করে। এবারের তালিকায় তারা বলিউডের কন্ট্রোভার্সি কুইন কঙ্গনা রানাউতের নাম রেখেছেন। তিনি হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের অনুভূতির কথা প্রকাশ করেন এই নায়িকা।

বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কঙ্গনার নাম ঘোষণার পর এক্সে (টুইট) একটি পোস্টে লেখেন, ‘আমার প্রিয় জন্মভূমি ভারত এবং ভারতীয় জনতার নিজেদের পার্টি ভারতীয় জনতা পার্টি আমাকে সবসময় নিঃস্বার্থভাবে সমর্থন করেছে। লোকসভা নির্বাচনে তাদের প্রার্থী হিসেবে বিজেপি তাদের জাতীয় নেতৃত্বে আমার নাম ঘোষণা করেছে। আমি আমার জন্মস্থান হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে লড়াই করব। আমি হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।

আমাকে এমন একটি দায়িত্বে সুযোগ দেওয়ার জন্য বিজেপিকে ধন্যবাদ। এমন একটি পার্টির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে গর্বিত বোধ করছি। নিজেকে জনগণের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত রাখব। আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।’

এবারের লোকসভা নির্বাচনে কঙ্গনা নির্বাচনের টিকিট পাবেন এ গুঞ্জন অনেক দিনের। এবার সেই গুঞ্জন সত্যি হলো।


বলিউড   অভিনেত্রী   কঙ্গনা রানাউত   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন