কালার ইনসাইড

আমাদের একজন বুলবুল ছিলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৪৭ পিএম, ২২ জানুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

চলে গেলেন বাংলা সংগীত জগতের কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা ইমতিয়াজ বুলবুল। ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। তার ছেলে সামির আহমেদ বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের জন্ম ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকায়। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বুলবুল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাইফেল হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন রণাঙ্গনে। মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ স্মৃতি বিস্মৃতি নিয়ে বহু জনপ্রিয় গান লিখেছেন এবং সুর করেছেন।

‘সেই রেল লাইনের ধারে’, ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘এই দেশ আমার সুন্দরী রাজকন্যা’, ‘আয় রে মা আয় রে’, ‘উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম’, ‘মাঝি নাও ছাইড়া দে’, ‘ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’, ‘মাগো আর তোমাকে ঘুম পাড়ানি মাসি হতে দেবনা’- এমন বহু কালজয়ী গানের স্রষ্টা এই শিল্পী। সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আব্দুল হাদি, এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, আগুন, কনক চাঁপা-সহ বাংলাদেশী প্রায় সকল জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।

তিনি প্রেমের জন্য লিখেছেন- আমার সারা দেহ খেও গো মাটি, ভাড়া কইরা আনবি মানুষ, প্রেমের তাজমহলসহ আরও বহু জনপ্রিয় গান।

তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে সমাদৃত। সত্তর দশকের শেষ থেকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র, সংগীতশিল্পে তার ভূমিকা ছিল অনবদ্য। রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, দুইবার এর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। তিনি তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন। চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করে দুই বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, এগারো বার বাচসাস পুরস্কার সহ বিভিন্ন পুরস্কার পান। এর মধ্যে উল্লেখ্য নয়নের আলো, মরনের পরে, সহযাত্রী, তেজি, আম্মাজান ইত্যাদি।

 

বাংলা ইনসাইডার/এআরএন 

 

 

 

 

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফেরানো গেল না খালিদকে

প্রকাশ: ০৮:৪৬ এএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিরহজাগানিয়া গানে লাখো শ্রোতার নির্ঘুম রাতের সঙ্গী ছিলেন খালিদ। তাঁর কণ্ঠের মায়াজালে বিরহ উদ্যাপনের রসদ পেয়েছেন শ্রোতারা।‘কোনো কারণে ফেরানো গেল না তাঁকে’ গানে হাহাকার জাগিয়েছেন খালিদ। গানের কথার মতো হারিয়ে গেলেন গানটির স্রষ্টা খালিদ।

হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার ( ১৮ মার্চ) রাতে ঢাকায় মারা গেছেন ‘চাইম’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ।

আশি ও নব্বইয়ের দশকে দ্রুতলয়ের রক সংগীতের রমরমা সময়ে ধীরলয়ে গানের জন্য আলাদা পরিচিতি ছিল খালিদের। ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘তুমি নেই তাই’, ‘আকাশনীলা’-এর মতো ধীরলয়ের গানে প্রাণ দিয়েছেন তিনি। খালিদের গাওয়া বেশির ভাগ গান এখনো শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে।

গোপালগঞ্জের এক সংস্কৃতিমনা পরিবারে জন্ম খালিদের। সাত ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন। এক ওস্তাদের কাছে গান শিখতেন বড় বোনেরা। সেখান থেকেই গানের প্রতি অনুরাগ জন্মে খালিদের।

তাঁর জন্ম ১৯৬৫ সালের ১ আগস্ট। গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা করেন। ১৯৮৩ সালে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন। ১৯৮৭ সালে সারগামের ব্যানারে ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘চাইম’ প্রকাশিত হয়। অ্যালবামের ‘নাতি খাতি বেলা গেল’সহ বেশ কয়েকটি গান রীতিমতো আলোড়ন তোলে।

‘চাইম’ ব্যান্ডের বাইরে বেশ কয়েকটি মিশ্র অ্যালবামে নিয়মিত গান করেন খালিদ। নব্বইয়ের দশকে ‘মিক্স মাস্টার’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি।

দীর্ঘদিন গান থেকে দূরে ছিলেন খালিদ। পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে থিতু হন। মাঝেমধ্যে দেশে আসতেন। কয়েক বছর আগে সাউন্ডটেকের ব্যানারে ‘তুই বুঝলি না’ শিরোনামে একটি গানে পাওয়া গেছে তাঁকে।

রাতে ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের প্রথম জানাজা হয়। শেষে তাঁর মরদেহ গোপালগঞ্জে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার। দুপুরে জোহরের নামাজের পর সেখানে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা হবে। মঙ্গলবার পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে এই শিল্পীকে।



শিল্পী   ব্যান্ডসংগীত   শোক   তারকা   খালিদ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কণ্ঠশিল্পী খালিদ মারা গেছেন

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, ‘চাইম’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে ঢাকার গ্রিনরোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

খালিদের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন  গীতিকবি ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, আজ সন্ধ্যা সাতটায় চিরবিদায় নিয়ে চলে যান খালিদ ভাই। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।   

আশি ও নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় সব গান গেয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন খালিদ। তিনি  ছিলেন ‘চাইম’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট।

‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’–এর মতো বহু জনপ্রিয় গান গয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেন খালিদ।

খালিদের জন্ম গোপালগঞ্জে। তিনি ১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা করেন। ১৯৮৩ সালে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন।

ভোকালিস্ট খালিদ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতির নাম ঘোষণা করলেন নিপুণ

প্রকাশ: ০৩:২১ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নিজ প্যানেলের সভাপতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন চিত্রনায়িকা ও আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপুণ আক্তার। এবারে নিপুণের প্যানেলে সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন চলচ্চিত্রের সোনালি দিনের জনপ্রিয় অভিনেতা মাহমুদ কলি।

রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় এফডিসিতে ইফতারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন অভিনেত্রী নিজেই। 

এসময় নিপুণের পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে অভিনেতা মাহমুদ কলিকে। সভাপতি পদের জন্য সকলের কাছে সমর্থন ও দোয়া চেয়েছেন তিনি। 

এর আগেও মাহমুদ কলি শিল্পী সমিতির দুই দফা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘ দিন পর আবারও সমিতির নির্বাচনে দেখা যাবে তাকে।

বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েন নিপুণ। হন্যে হয়ে সভাপতি খুঁজে বেড়ান তিনি। সেই তালিকায় ছিলেন শাকিব খান, ফেরদৗস আহমেদ, অনন্ত জলিল ও আহমেদ শরীফ। তারা সবাই নিপুণকে ফিরিয়ে দেন। এমন অবস্থায় নিপুণের পাশে এসে দাঁড়ালেন মাহমুদ কলি।

উল্লেখ্য, মাহমুদ কলি ছিলেন আশি ও নব্বই দশকের নায়ক। দীর্ঘদিন তিনি রূপালী পর্দায় দর্শক মাতিয়েছেন। তার পারিবারিক নাম মাহমুদুর রহমান উসমানী। তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্রনির্মাতা আজিজুর রহমান বুলি’র ছোট ভাই। মূলত ভাইয়ের হাত ধরেই তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। এরপর দেখিয়েছেন অভিনয়ের মুন্সিয়ানা।

মাহমুদ কলি’র প্রথম চলচ্চিত্র ‘মাস্তান’। তিনি এই চলচ্চিত্রে সহ-অভিনেতার ভূমিকায় ছিলেন। এরপর ১৯৭৮ সালে অশোক ঘোষ নির্মিত ‘তুফান’ চলচ্চিত্রে মূল নায়কের ভুমিকায় অভিনয় করেন। মাহমুদ কলি ৬১টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তারমধ্যে ২টি সিনেমা মুক্তির মুখ দেখেনি। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘গোলমাল’, ‘নেপালি মেয়ে’, ‘শ্বশুরবাড়ি’, ‘সুপারস্টার’, ‘গ্রেফতার’, ‘খামোশ’, ‘মহান’, ‘দেশ বিদেশ’, ‘মা বাপ’ ইত্যাদি।

১৯৯৪ সালে নায়ক হিসেবে মাহমুদ কলি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তি পায়। এর নাম ছিলো ‘মহাগ্যাঞ্জাম’। তবে ২০০২ সালে তাকে আবারও দেখা গিয়েছিলো ‘আবার একটি যুদ্ধ’ চলচ্চিত্রে। সেখানে তিনি উকিল চরিত্রে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন।

১৯৯৭ সালে তিনি টিভি নাটক নির্মাণেও নাম লেখান। ‘তাদের কথা’ নামি ছিলো তার প্রথম নাটকের। এরপর তিনি ‘আলোকিত আঙ্গিনা’ নামে আরও একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মান করেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল এক প্যানেল থেকে নির্বাচন করবে। তাদের বিরোধী প্যানেলে লড়বেন কলি ও নিপুণ।


শিল্পী সমিতির নির্বাচন   সভাপতি   নিপুণ   এফডিসি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

অবশেষে এক সিনেমায় দেখা যাবে বলিউডের তিন খানকে!

প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ১৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডে খানদের দাপটটা যেন সবসময়ই একটু বেশি। প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে বলিপাড়ায় নিজেদের হিট সিনেমার মধ্য দিয়ে রাজ করে চলেছেন শাহরুখ খান, সালমান খান ও আমির খান। তবে দীর্ঘ সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে থাকলেও তিন খানকে কখনও একসাথে এক সিনেমায় দেখা যায়নি।

কিন্তু এবার হয়তো সেটাই ঘটতে যাচ্ছে। আর এমন বার্তা জানিয়েছেন আমির খান নিজেই। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) নিজের জন্মদিনেই এই বড় ঘোষণা দিয়েছেন আমির খান। বিশেষ দিনটি একদিকে যেমন সাবেক স্ত্রী কিরণ রাওয়ের সঙ্গে কেক কেটে উদযাপন করেছেন, তেমনই অনুরাগীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়েছেন। তখনই পুরনো বন্ধু শাহরুখ ও সালমানকে নিয়ে একটি ঘোষণায় চমকে দিয়েছেন আমির খান।

সম্প্রতি অনন্ত আম্বানীর বিয়েতে আমিরের সঙ্গে শাহরুখ ও সালমানকে মঞ্চে নাচতে দেখা গেছে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। আমিরের কাছে একভক্ত জানতে চান, ‘এ তিন সুপারস্টারকে একসঙ্গে কোনো সিনেমায় দেখার সম্ভাবনা আছে কি?’

জবাবে আমির খান জানান, তিনি শাহরুখ ও সালমানের সঙ্গে সিনেমা করতে ইচ্ছুক। তিনি আরো বলেন, আমরা তিন জন একসঙ্গে দেখা করলেই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হয়। শুধু আমাদের জন্য নয়, দর্শকদের কথা ভেবেই আমাদের একসঙ্গে একটা সিনেমা করা উচিত।

তিন জনেই যে সঠিক চিত্রনাট্যের অপেক্ষায় রয়েছেন, সে কথাও স্পষ্ট করেন আমির। তিন দশকের বেশ সময় ধরে বলিউডে রাজত্ব করছেন শাহরুখ, সালমান ও আমির খান। তিন সুপারস্টারই বিভিন্ন সময়ে একে অপরের সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ সিনেমায় আমির ও সালমান কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। অন্যদিকে ‘করণ অর্জুন’, ‘হম তুমহারে হ্যায় সনম’ বা ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর মতো সিনেমায় দর্শক শাহরুখ ও সালমানকে একসঙ্গে দেখেছেন।


শাহরুখ খান   সালমান খান   আমির খান   বলিউড   তিন খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

অবশেষে স্বামী রকিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হলো মাহির

প্রকাশ: ০৩:০৯ পিএম, ১৭ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে স্বামী রকিব সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়েছে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির। স্বামীর সঙ্গে কাগজ-কলমে বিচ্ছেদ হয়েছে বলে এক সাক্ষাৎকারে মাহি এমন্টাই জানান।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাহি বলেন, ‘আমরা দুজনেই চেষ্টা করেছি। যখন দেখেছি চেষ্টা করেও লাভ হচ্ছে না, তখন আসলে চেষ্টাটা ছেড়ে দিয়েছি। একসঙ্গে থেকে তিক্ত হওয়ার চেয়ে বন্ধুত্বটা থাকা ভালো’। 

চিত্রনায়িকা আরও বলেন, ‘যেহেতু ও ফারিশের বাবা এবং এখনো ওর সঙ্গে আমার কথা হয় নিয়মিত, যোগাযোগ আছে। ফারিশকে নিয়ে কথা হয়, ফারিশের কী প্রয়োজন এবং ও খুব যত্নবান একজন মানুষ। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই, কিন্তু ও ফারিশের ব্যাপারে এতটা কেয়ারিং, আমার মনে হয় পৃথিবীতে এমন বাবা পাওয়াটা খুব টাফ’।

চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে হঠাৎ ফেসবুক লাইভে এসে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন মাহি। সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন, অনেক দিন থেকেই তারা আলাদা থাকছেন। আর খুব শিগগিরই (রকিব সরকার ও মাহি) বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী।

তখন মাহি বলেছিলেন, ‘আমরা দুজন মিলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে রকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। অনেক কেয়ারিং সে। খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। কবে আর কীভাবে হবে সেটাও দুজন মিলেই ঠিক করব’।

এরপর তিনি বলেছিলেন, আপনারা আমার ছেলে ফারিশের জন্য দোয়া করবেন। যেন ওকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।

রকিবের বিভিন্ন স্ট্যাটাসের জবাবও দেন অগ্নিকন্যা’খ্যাত এই অভিনেত্রী। বলেন, ‘ও স্ট্যাটাস দিয়েছে, মানুষ এটা নিয়ে আমাকে খোঁচাখুঁচি করেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, ওর মাথা একটু গরম আছে। রাগের মাথায় অনেক কিছু বলে ফেলে, লিখে ফেলে।

কিন্তু যে মানুষটা আমার জন্য এত কিছু করেছে। তাকে নিয়ে একটা নেতিবাচক কথা বললেও আমি নিজেই আয়নার সামনে দাঁড়াতে পারব না’

এদিকে বিচ্ছেদ ঘোষণার পর মাহি জানান, এখন থেকে নিয়মিত অভিনয়ে পাওয়া যাবে তাকে। সে কথাই রাখতে যাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। তবে ঈদের পর নায়িকা পুরোপুরি ব্যস্ত থাকবেন শুটিংয়ে- এমনটাই জানান মাহিয়া মাহি।


স্বামী রকিব   বিচ্ছেদ   মাহিয়া মাহি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন