নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৯
আফরান নিশো ও অপূর্ব দীর্ঘদিনের বন্ধু। দুজনেই যখন ক্যারিয়ারের স্ট্রাগল পিরিয়ডে। তখন একজন ছাড়া আরেকজনের চলতোই না। সপ্তাহটা ভাগ করে দুজন দুজনার বাসায় থাকতেন। কি করবেন, ক্যারিয়ার কোন দিকে যাচ্ছে। সবকিছু ভেবে কতদিন রাত যে গেছে। সে হিসেব দুজনার কাছে নেই। অনেক চড়াই উৎরাই পেড়িয়ে দুজনেই এখন নাটকের শীর্ষ সারির অভিনেতা। রাজধানীর উত্তরাতে দুজনের বাসাও কাছাকাছি। এদের সঙ্গে তাহসানের বন্ধুত্বটা অনেকদিনের। বিশেষ করে অপূর্বর তো খুবই ভালো বন্ধু তাহসান। একসঙ্গে নাটকেও অভিনয় করেছেন এর আগে। তিনজনই এখন টিভি নাটকের জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। ওয়েব ফিল্ম ‘দ্বিতীয় কৈশোর’-এ প্রথমবারের মতো একসাথে অভিনয় করেছেন সময়ের জনপ্রিয় এই তিন তারকা। এই তিনজনকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করা। যেকোন পরিচালকের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিংই। এতদিনে সেই চ্যালেঞ্জটা নিলেন শিহাব শাহিন। কীভাবে সম্ভব হয়েছে তিনজনকে এক করা? পরিচালক শিহাব বলেন,‘ওদের ইনটেনশনটা তো অবশ্যই মোটিভেট করতে হয়েছে। তারা এখন যে যার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। সেখানে আমি একটা বললেই তো হবে না। আমি ওদের সেই কাজের সুযোগটা করে দিতে পেরেছি। ওদের বুঝিয়েছি এই সময়ে অনেক তরুণ দর্শক এখন ওয়েবের দিকেই ছুটছে। সারা বিশ্বে চলছে নেটফ্লিক্সের আধিপত্য। ভারতসহ সারা বিশ্ব এখন অনলাইনে ছুটছে। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশে যদি কোন ওয়েব প্ল্যাটফর্ম দাড়ায়। সেটা আমাদের জন্যই সুবিধাজনক বা লাভজনক হবে। এই বিবেচনা থেকেও ওরা হয়তো ভেবেছে আমরা কাজটা করি।’
তিনজন মিলে একটি কাজ করবেন। সে মতে শক্তিশালি গল্প হতে হবে। সেই গল্প কি পেয়েছেন নাকি শিহাব শাহিনকে না করতে পারেননি বলে করা? হেসে দিলেন অপূর্ব। তারপর উত্তর দিলেন,‘ না না তেমন কিছু না। আমার তো ট্রাস্ট তার উপর আছেই। অন্য দুজনেরও আছে। আমরা তিনজন কাজের বাইরে ভালো বন্ধুও। যখন কাজের অফারটা আসে, তখন দ্বিতীয়বার ভাবিনি। ভেবেছি ভিন্ন কিছু হচ্ছে। তার সঙ্গে আমার থাকা উচিত।’ তাহসান যোগ করলেন,‘ আমরা জানি যে, শিহাব ভাই আমাদের প্রপার জাজমেন্ট করে হ্যান্ডেল করতে পারবেন। আর ওয়েব প্ল্যাটফর্মের জন্য বড় কিছু করতেও পারছি।’
ত্রিশের কোঠায় থাকা তিন তরুণের ভিন্নধর্মী সঙ্কটের গল্প নিয়ে এগিয়েছে ওয়েব ফিল্মটির কাহিনী। জীবনকে তারা কিভাবে দেখেন এবং প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির নানান হিসেবের বিভিন্ন ঘটনা গল্পটিতে প্রাধান্য পেয়েছে। অপূর্বর ক্যারেক্টারের নাম আবির, তাহসানের ক্যারেক্টারের নাম ধ্রুব, নিশোর ক্যারেক্টারের নাম রিও রোজারিও। তিনজন বন্ধুর গল্প। রিও রোজারিও কফি শপ আছে। আবির একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং ধ্রুব নিজে সলভেন্ট। আবিরের সমস্যা, বয়স ৩৫ হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো বিয়ে করতে ইচ্ছুক নয়। ‘ আবির কোন কারণ ছাড়াই বিয়ে করতে চায় না। সাধারণত যেটা হয়, মানুষের বয়স যখন ত্রিশ ক্রস করে তখনই চারদিক থেকে একটা চাপ আসে। নিজে থেকেও ফিল করে। মানুষজনও বলতে থাকে। অনেকেই বলতে থাকে বিয়ে করো না কেন। মধ্য বয়সী মানুষের মনের মধ্যেও কিন্তু একটা কৈশোর থাকে। তারা ভাবে এখনো তো আমি সুস্থ সবল। আমার তো চল্লিশ কিংবা পয়তাল্লিশ হয়ে যায়নি। তাদের মনের কৈশোর চলে গেছে এটা তারা মনে করে না। অথচ বাস্তবতার চাপ একটু অন্যরকম। এরকম একটা পরিস্থিতির চরিত্র আবির’ নিজের চরিত্র নিয়ে বললেন অপূর্ব।
তাহসানের চরিত্র নিয়ে বলেন,‘ ধ্রুবও একরকম ব্যস্ত। বিয়ে করেছে, তবে বাচ্চা নিতে চায় না। ধ্রুবর বউ বাচ্চা নিতে চায় এখনই।’ রিও চরিত্র করা নিশো বলেন,‘ রিওর দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, ক্যারিয়ার এখনো স্টাবলিশ হতে পারেনি। কফিশপটা নিয়ে পুরোপুরি দাড়াতে পারেনি। সব মিলিয়ে এই চাপটা সবাই ফিল করে। ৩৫ বছর হয়ে গেল, কিন্তু ক্যারিয়াররটা দাড়ালো না। ২০-২৫ বছর বয়সে মানুষ ভাবে সামনে দিন আছে, আমি ততদিনে স্টাবলিশ হয়ে যাবো। কিন্তু ৩০- ৩৫ বছর বয়সে গিয়ে মনে হয় হায় হায় কিছুই তো হলো না। তখন কেউ সন্তান, কেউ ক্যারিয়ার আবার কেউ তখনও কিছু নিয়ে ভাবে না। এইসব নিয়ে এই বয়সীরা একটা আইডেন্টি ক্রাইসিসে ভোগে। ভাবে বাপ হবো , নাকি ক্যারিয়ার ঠিক করবো নাকি জামাই হবো। নাকি সেই যুবক থাকবো। এই বয়সের মানুষগুলোর প্রতিচ্ছবি হ্যান্ডেল করেছে এই গল্পটা।’
নিশোর সঙ্গে এটা শিহাব শাহিনের চতুর্থ কাজ। তবে তাহসান ও অপূর্বর ক্যারিয়ারের প্রায় সব জনপ্রিয় নাটকের পরিচালকই শিহাব শাহিন। পরিচালক বলেন,‘এরা প্রত্যেকেই পেশাদার অভিনেতা। প্রত্যেকেরই স্টারডম আছে, প্রত্যেকেরই ফ্যান ফলোয়ার আলাদা এবং এদের ফ্যানদের মধ্যে একধরনের প্রতিযোগিতাও আছে। ওদের ফ্যানদের তুষ্ট রাখতে হয়। সেই মানের কাজ দিতে হয়। এমন কাজ দিতে হয় যেন ওরা গর্ব করতে পারে ভাই ফাটাইয়া দিছে। সেই জায়গা থেকে একটা চাপ ওদের মধ্যে আছে। এই কাজটার পরেও কিন্তু আলোচনা হবে কে কতটুকু রোল পেল। কিন্তু ফ্যানদের বলি, ওদের মধ্যে সেটা নেই। যার যে কাজটা ওরা সেটাই করার চেষ্টা করেছে। সেখানে ওরা চরিত্রের দৈর্ঘ্য প্রস্থ হিসেব করেনি।’
পরিচালক জানালেন,‘ এটা হচ্ছে সম্পর্কের গল্প। প্রত্যেকের জীবনেরই সম্পর্কের গল্প। সেখানে রোমান্স তো থাকবেই। হাসি ঠাট্টাও থাকবে। শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা যদি বলি, মজার ব্যাপার যদি বলি তিনজনের মধ্যে নিশো একটু বেশি মজার। ও সবাইকে ডিস্টার্ব করতো। সবাইকে মাতিয়ে রাখতো আনন্দ ফূর্তিতে।’
অপূর্বর গল্পে আবুল হায়াত এবং অর্ষা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন। তাহসানের স্ত্রীর চরিত্রে আছেন সানজিদা প্রীতি। নিশোর গার্লফ্রেন্ড হিসেবে আছেন রাইসা অর্পা, রিফাত জাহান, রাফি। ৬০ মিনিট দৈর্ঘ্যরে এই ওয়েব সিনেমায় কোন কমতি রাখেননি পরিচালক। প্রযোজনা সংস্থা গুড কোম্পানির প্রযোজনায় ২৩ জানুয়ারি থেকে অনলাইন স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম ‘বায়োস্কোপ’- প্রকাশ পাওয়ার কথা থাকলেও তা পেছানো হয়েছে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে। তাহসান বলেন, ‘সময়ের বিবর্তনে বড় পর্দা ও টেলিভিশনের পরে এখন মোবাইল ফোনের পর্দায় চলে আসছে উন্নতমানের কন্টেন্ট, যার রয়েছে অন্য ধরনের আবেদন। মূল বিষয়টি হচ্ছে, কন্টেন্ট বা বিষয়বস্তু যদি আকর্ষণীয় হয়, দর্শক তা দেখবেই এবং প্রযোজনা ও বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে অন্যান্য আর্থিক অনুষঙ্গগুলোর ব্যবস্থাপনা আরো ভালো হবে।’
নিশো বলেন, ‘অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো এক ধরনের আর্কাইভ এর মতো। তবে কাজটি কতবার দেখা হলো বা কতজন দশক দেখলেন সেই সংখ্যাটাই সেই কাজটির মান নির্ণায়ক নয়। এসব প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বাড়ছে, কাজের পরিমাণ বাড়ছে, সেই সাথে দর্শকের সংখ্যাও। এসবই আমাদের জন্য আশার বিষয়। আমি বিভিন্ন ধরণের চরিত্র করতে পছন্দ করি, সে কারণে এই কাজটি করে যথেষ্ট আনন্দ পেয়েছি’।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
এদিকে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানায়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অধ্যাপক (ড.) রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শিল্পকলায় পদ্মশ্রী পদক প্রদান করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন দক্ষ পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী, রবীন্দ্রসঙ্গীতের একজন নিবেদিতপ্রাণ অনুশীলনকারী।
ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা হচ্ছে ভারতরত্ন। তারপরই রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। নানা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে পুরস্কারগুলো।
এ বছর দেশটির সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ আর ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মাননা পেয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এবারের পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে।
প্রসঙ্গত, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপর শিক্ষা লাভ করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় রেজওয়ানা বন্যা ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতেও পড়াশোনা করেছেন। তিনি ‘সুরের ধারা’ নামের একটি সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে এ পর্যন্ত বহু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’ ও ‘ছিন্নপত্র’ ইত্যাদি।
সঙ্গীতে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১৬ সালে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক লাভ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সঙ্গীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে ভারতে বঙ্গভূষণ সহ বেশ কিছু পদক পেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্র করে
বলিউড তারকাদের কিছু ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়েই
শুরু হয়েছে হইচই।
ডিপফেক ভিডিও দেখা গেছে, গুলোতে দুই বলিউড
সুপারস্টারকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। একই সঙ্গে তারা
চলমান লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
ভাইরাল দুই ভিডিওর মধ্যে ৩০ সেকেন্ডের
একটি ভিডিও আমির খানের এবং ৪১ সেকেন্ডের আর একটি ভিডিও রণবীর সিংয়ের। ওই ভিডিওতে এই
দুই সুপারস্টারকে বলতে শোনা গেছে, মোদি যে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়নে
তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
এছাড়া গত দুই মেয়াদের ক্ষমতায় তিনি
অর্থনৈতিক সংকটে রোধেও তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেন নাই।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরিকৃত
এই ভিডিও’র শেষে কংগ্রেসের প্রতীক এবং শ্লোগান তুলে ধরা হয়। বলা হয়েছে ‘ভোট হলো অধিকার,
কংগ্রেসকে ভোট দিন’।
আমিরের ভাইরাল ডিপফেক ভিডিও নিয়ে মুম্বাইর
থানায় একটি মামলাও করেছে পুলিশ। জানিয়েছে এই ঘটনার সাথে যুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু
হয়েছে।
ডিপফেক লোকসভা নির্বাচন আমির খান
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ দ্বিবার্ষিক মেয়াদের নির্বাচনে
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে সমিতির এক সদস্য
টাকা দেয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন বরাবর। তবে গত ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণের
পর এতে ডিপজল জয়লাভ করলে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করেন অভিযোগকারী অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা।
গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিজয়ী
সভাপতি খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। পর্দার দাপুটে এ অভিনেতা বলেন, ডিপজলের বিরুদ্ধে নির্বাচন
আচরণবিধি দুই ও তিন ভঙ্গের যে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সাদিয়া মির্জা, সেটি প্রত্যাহার করে
নিয়েছেন তিনি। বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচন ২৭ এপ্রিল সম্পন্ন করার কথা থাকলেও একটি
প্যানেল আপত্তি জানালে পরে ১৯ এপ্রিল তারিখই চূড়ান্ত রাখা হয়। ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির
এ নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দিদ্বতা করেন ৪৮ প্রার্থী।
প্যানেল দুটি হচ্ছে―মাহমুদ
কলি ও নিপুণ আক্তার এবং অন্যটি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন খোরশেদ
আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।
ডিপজল অভিযোগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
মন্তব্য করুন
এবার ঈদের আগে থেকে ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলে বারবার শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে দাম্পত্যজীবন এবং নায়কের প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে নিয়ে মন্তব্য করেই আলোচনার সূত্রপাত। এবার সেই বুবলীকে নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ দ্বিবার্ষিক মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে সমিতির এক সদস্য টাকা দেয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন বরাবর। তবে গত ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণের পর এতে ডিপজল জয়লাভ করলে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করেন অভিযোগকারী অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা।