নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বয়স প্রায় ৬ দশক। তবে, এতটা সময়েও চলচ্চিত্রের নাচে নিজস্ব স্বকীয়তা বলতে কী? সবটাই প্রশ্নবিদ্ধ। এক্ষেত্রে জাতীয় পুরস্কারের মত সম্মাননা আছে। কিন্তু সেই সম্মাননা কেন দেওয়া হচ্ছে? বাংলাদেশের প্রায় সব নাচই ভারতীয় ছবির কখনো হুবহু নকল, কখনো আদলে। এছাড়া অনেকেই তো নৃত্য পরিচালক আনেন দেশের বাইরে থেকে। হাতে গোনা বাংলাদেশে যে কয়েকজন নৃত্য পরিচালক আছেন। তাদের কাছ থেকে বাংলা চলচ্চিত্র খুব কিছু পায়নি আজ্যবধি।
বাংলাদেশে একটা সময় প্রায় সব সিনেমায় নাচ থাকতো। এক্ষেত্রে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভারতীয় সিনেমার অনুসরণ করা হচ্ছে। শুরু থেকেই দেশের চলচ্চিত্রে বুঝে বা না বুঝে, অথবা অসচেতনভাবে বলিউডের অনুকরণে নাচের দেখা মিলছে। এতে কখনোই শক্ত ভিত পায়নি, আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির ছোঁয়া। বিষয়টির সঙ্গে একমত নির্মাতারাও। তবে, দায় নিতে রাজি নন কেউ। উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতেই ব্যস্ত সবাই। হাজারো অজুহাত আছে নৃত্য পরিচালকদের।
দেশের সিনেমায় মূলত ৭০-এর দশকে এসে গানের সঙ্গে নাচের বিষয়টি গুরুত্ব পায়। এতে প্রাধান্য দেয়া হয় বলিউডি স্টাইল। যেমন ৯০ এর দশক থেকেই বলিউডের সিনেমাতে নিয়মিত দেখা মেলে বৃষ্টি কিংবা বার ড্যান্স। এ ধারাটা বাংলাদেশে পৌছাতে মোটেও সময় নেয়নি। ছবির গল্পের সঙ্গে নাচও চলে আসে বাংলাদেশে।
এমন ধারায় সবশেষ সংযোজন আইটেম গান। স্বল্প পোশাকে খ্যাত-অখ্যাতদের এই নৃত্য, বলিউডে বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রেও এখন তা অপরিহার্যের তালিকায়।
এতটা কাল ধরে কেন সিনেমার নাচে প্রচ্ছন্নভাবে অনুসরণ করা হয়েছে, বলিউডকে? উত্তরে শুধুই মেলে দোষারোপের সংস্কৃতি। সব নৃত্য পরিচালকেরেই অভিযোগ তাদের যথেষ্ঠ সময় দেওয়া হত না। এই সময়ের এক নৃত্য পরিচালক জানালেন, মৌলিক কাজে শুরু থেকেই ছিলো পৃষ্ঠপোষকতার অভাব।
অনুসরণ সব সময় দোষের নয়। তবে, এই পথে চলার যৌক্তিকতা জরুরি। এর শেষ কোথায় তা বলা যায় না। জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনুরের সবচেয়ে পছন্দের নৃত্য পরিচালক আমির হোসেন বাবু। তার মাধ্যমেই বাংলাদেশে জাতীয় নৃত্য পরিচালকের পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। ১৯৯২ সালে তিনি ‘বেপরোয়া’ সিনেমার জন্য জাতীয় পুরস্কার পান। শাবনুর বলেন,‘ বাবু ভাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। বাবু ভাইয়ের শিষ্য ছিলেন আজিজ রেজা। বাবু ভাইয়ের মৃত্যুর পর আজিজ ভাই কাজ করেছেন। মাসুম বাবুল ভাই আমাদের সময়ের অনেক ভালো নৃত্য পরিচালক। আমাদের যত হিট গান, তারাই ছিলেন দায়িত্বে। সত্যি কথা বলতে আমরা অভিনয়ে যতটা সিরিয়াস ছিলাম। নৃত্যে অতটা ছিলাম না। আর যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তাদের সৃষ্টিশীলতার প্রতি ভরসা ছিল। এখন সেটা যদি কোন জায়গা থেকে অনুকরণীয় হয়, সে দায়িত্ব তাদের। তবে এই সেক্টরে আমাদের আরও উন্নতি করা উচিত ছিল। আরও অনেক ট্যালেন্টদের আশা উচিত ছিল।’
এ সময়ে যারা নাচে ভালো করছেন:
তানজিল আলম: বাংলাদেশে পশ্চিমা নৃত্যের অন্যতম সেরা কোরিওগ্রাফার এখন তানজিল আলম। সমসাময়িক সালসা, টেংগো, হিপহপ, ওয়েস্টার্ন থেকে শুরু করে বলিউড নৃত্য নিয়েই মূলত কাজ করেন তিনি। দেশের বড় বড় ইভেন্ট মানেই তানজিলের ‘ঈগলস ড্যান্স কোম্পানী’র নাচ। ২০০৯ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ ছবিতে প্রথম শাকিব খানের একটি গানের কোরিওগ্রাফি করেন তিনি। হৃদয় খানের গাওয়া ‘আছে দু’চোখ কাছে আসার, আসে হৃদয় ভালোবাসার’ গান দিয়ে সেবারই সেরা নৃত্যপরিচালক হিসেবে জাতীয় স্বীকৃতি পান তিনি। এরপর ‘অগ্নি’, ‘দবির সাহেবের সংসার’, ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’, ‘ফুল অ্যান্ড ফাইনাল’, ‘ওয়ান ওয়ে’সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে গানের কোরিওগ্রাফি করেছেন। গেল বছর ‘আমি নেতা হবো’ ছবিতে শাকিব-মিমকে নিয়ে লাল লিপস্টিক গানের কোরিওগ্রাফি করে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন। এছাড়া ‘হেইলা দুইলা নাচ’ গানের কোরিওগ্রাফি করেও প্রশংসা পান।
এ কে আজাদ: এ সময়ে নৃত্য পরিচালক হিসেবে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ক্যান্টিন বয় থেকে হয়েছেন নৃত্য পরিচালক। নৃত্য পরিচালক আমির হোসেন বাবুর শিষ্য তিনি। প্রায় দশ বছর আমির হোসেন বাবুর সহকারী হিসেবে পাঁচ শতাধিক ছবির নৃত্য পরিচালনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন আজাদ। ২০০৩ সালে বাবু মারা গেলে শুরু হয় একক নৃত্য পরিচালক হিসেবে পথ চলা। এ কে আজাদের নৃত্য পরিচালনায় মুক্তি পাওয়া ছবির মধ্যে ‘বরিশালের মাইয়া ঢাকার পোলা’, ‘দানব সন্তান’, ‘তুই যদি আমার হইতিরে’, ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘রং নাম্বার’, ‘জাগো’, ‘জগৎ সংসার’, ‘আকাশ কত দূরে’ প্রভৃতি। প্রায় ৩০০ ছবিতে একক নৃত্য পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার ঝুলিতে।
মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব: গত বছরের সবচেয়ে আলোচিত নৃত্য পরিচালক জাজের সঙ্গে টেক্কা। জাতীয় পুরস্কার না নিতে চাওয়ার মত কান্ড ঘটান তিনি। গত বছর তিনি মেঘকন্যা, সুপারহিরো ,ক্যাপ্টেন খান , নায়ক ,মাতাল , আসমানী সিনেমার নৃত্য পরিচালনা করেছেন।
ইভান শাহরিয়ার সোহাগ: মূলত টিভি অনুষ্ঠানের নাচের জন্য বেশি পরিচিত। তবে সিনেমার নাচও মাঝেমধ্যে পরিচালনা করেন। ‘ধেততেরিকি’ তার নৃত্য পরিচালনার একটি আলোচিত ছবি।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
প্রায় একযুগ পর বাংলাদেশে আসবেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আতিফ আসলাম। বৃহস্পতিবার
(২৮ মার্চ) নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন পাকিস্তানের
এই সঙ্গিতশিল্পী।
মাত্র ১২ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ, চলো
একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি’। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি। যদিও আতিফ কবে বাংলাদেশে
আসবেন, কোথায় করবেন শো—সেসব কিছুই জানাননি। এর আগেও একবার আতিফ আসলামের বাংলাদেশে
আসার গুঞ্জন রটেছিল।
ওই সময় স্টার বক্স নামের এক আয়োজক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছিল, ২০২৪ সালে
কনসার্ট করতে বাংলাদেশে আসবেন ‘আদাত’ শিল্পী।
এর আগে ২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ আসলাম। দীর্ঘ ১১ বছর পর আবারো ঢাকায় পা রাখতে পারেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক। চলতি বছরই তিনি সংগীত ক্যারিয়ারে ২০ বছর পূর্ণ করবেন।
মন্তব্য করুন
আবারও রাজনীতিতে ফিরে এলেন বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ। বৃহস্পতিবার
(২৮ মার্চ) মুম্বাইয়ের বালাসাহেব ভবনে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের উপস্থিতিতে
শিবসেনায় যোগ দেন গোবিন্দ।
সম্প্রতি একনাথ শিন্ডের সঙ্গে দেখা করেছিলেন গোবিন্দ। সেই মিটিংয়ের
পরই তিনি শিবসেনায় যোগ দিলেন। এমনটাই জানানো হয়েছে পিটিআইয়ের একটি রিপোর্টে
এর আগেও রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন গোবিন্দ। তখন তিনি কংগ্রেসে যোগ
দিয়েছিলেন। এমনকি সেই দলের হয়ে ২০০৪ সালে লোকসভায় লড়েছিলেন উত্তর মুম্বাই কেন্দ্র
থেকে। তখন তিনি বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা রাম নায়ককে পরাজিত করেন। এরপর তিনি কংগ্রেস
থেকে মুখ ফেরান এবং ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
শিবসেনায় যোগ দিয়ে গোবিন্দ বলেন, ‘আমি মন দিয়ে ভালো করে কাজ করব।
শিল্পের উন্নতির দিকে নজর রাখব।’
একই সঙ্গে তিনি জানান মুম্বাই এখন অনেক বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
একনাথ শিন্ডের জন্যই সেটা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া এ অভিনেতা জানান তার বাবা-মায়ের সঙ্গে
শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে কি আবার নির্বাচনে
লড়বেন গোবিন্দ? সেই বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দেয়নি।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, কোনো শর্ত
ছাড়াই গোবিন্দ শিবসেনায় যোগ দিয়েছেন।
গোবিন্দ যদি নির্বাচনে লড়েন তাহলে ২০০৪ সালের মতোই তিনি উত্তর
মুম্বাই কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে লড়বেন বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের
‘রাজকুমার’ সিনেমার প্রথম গান প্রকাশ্যে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায়
গানটি ভার্সেনটাইল মিডিয়ার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে। ‘রাজকুমার’ সিরেমাটির
এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বালাম ও কোনাল।
এর আগে 'প্রিয়তমা' সিনেমার টাইটেল
গান 'ও প্রিয়তমা'তেও কণ্ঠ দিয়ে গত বছর আলোচনায় ছিলেন এই জুটি। আসিফ ইকবালের কথায় গানটির
সংগীত আয়োজন করেছেন আকাশ সেন। গানটির কোরিওগ্রাফি করেছেন বলিউডের আদিল শেখ। ‘রাজকুমার’
সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন আরশাদ আদনান।
তিন মিনিট ৪১ সেকেন্ডের গানের পুরোটা
ধারণ করা হয়েছে নিউ ইয়র্কে। কখনও টাইমস স্কয়ারে এলাকায়, কখনও তুষারে আবৃত অঞ্চলে পশ্চিমা
নায়িকা কোর্টনি কফিকে নিয়ে রোমান্স করেছেন শাকিব।
বহুল আলোচিত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার রেকর্ড
ভাঙার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ‘রাজকুমার’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন নির্মাতা হিমেল আশরাফ। ‘রাজকুমার’
বাংলা সিনেমার নতুন ইতিহাস গড়বে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ছবিটি প্রসঙ্গে নির্মাতা হিমেল আশরাফ
বলেন, ‘ঢাকা, পাবনা, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, বান্দরবন, ভারত ও আমেরিকায়
শুটিং হয়েছে রাজকুমার সিনেমার। এমন লোকেশনে, এমন আয়োজনে রাজকুমারের শুটিং হয়েছে যা
কিছুদিন আগেও বাংলা সিনেমার জন্য স্বপ্ন ছিল। শুধু নিউ ইয়র্কেই টানা ১৮ দিন শুটিং হয়েছে।
যেখানে প্রতিদিন অনেক আমেরিকান প্রফেশনাল কর্মী কাজ করেছেন, সাথে বাংলাদেশের টিম তো
ছিলই’।
জানা গেছে, পারিবারিক সম্পর্ক এবং একজন স্বপ্নবাজ তরুণের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রার গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে রাজকুমার। এতে শাকিবের নায়িকা মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। আসন্ন ঈদে বাংলাদেশের পাশাপাশি সিনেমাটি মুক্তি দেয়া হবে যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, মধ্যপ্রাচ্য, কানাডা, ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশে।
শাকিব খান ‘রাজকুমার’ হিমেল আশরাফ
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি চিত্রনায়িকা বুবলী ও শাকিব
খানের ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনে সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যমে বুবলীর একটি স্ট্যাটাসকে
কেন্দ্র করে পরী
ও বুবলীর মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা যায় সোস্যাল মিডিয়ায়। দুজনের একের পর এক স্ট্যাটাস ও পাল্টা
স্ট্যাটাস তর্কযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ফেসবুক।
এদিকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ছেলে শামসুদ্দিন ফারিশের প্রথম জন্মদিন আজ। তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরী মনি। লিখেছেন, ‘হ্যাপি বার্থডে মানিক চাঁদ আমাদের। তুমি মায়ের চোখের মণি হয়ে থাকো ফারিশ বাবা। আমরা সবাই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’
গত মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন মাহি। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে আলাদাই থাকছেন এই
নায়িকা। ছেলেকে নিয়েও ফেসবুকে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। এখন নিজের লুক
বদলাচ্ছেন অভিনেত্রী। ব্যস্ত হয়েছেন ক্যারিয়ার নিয়ে। এরই মধ্যে পর্দায় ফেরার প্রস্তুতি
নিয়েছেন তিনি।
পর্দায় ফেরা প্রসঙ্গে মাহি বলেন,
ভালো প্রস্তাব পেলে আর ফিরিয়ে দেবেন না। এর কারণও অবশ্য রয়েছে। বিয়ের পর বেশ কিছু সিনেমার
প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে এখন ক্যারিয়ারে মন দিতে
চান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর
গাজীপুরের রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন তিনি। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের ফারিশ নামে
এক বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে স্বামী রাকিব
সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের
ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাহি। পাঁচ বছর সংসারের পর বিচ্ছেদ
হয় তাদের।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি বেশ ঢাকঢোল বাজিয়ে বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা
ফারহান আহমেদ জোভান। সেই বিয়েতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী সাফা কবির।
অথচ এখন শোনা যাচ্ছে তাদের ‘অনন্ত প্রেম’র গুঞ্জন!
সদ্য দুজনেই জুটি বেঁধে শেষ করেছেন ‘অনন্ত প্রেম’-এর শুটিং। আসছে
ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে বিশেষ এই নাটকটি লিখেছেন ও বানিয়েছেন মহিদুল মহিম।
নাটকটির নিয়ে নির্মাতা জানান, ‘এই গল্পের নায়ক জিসান। কক্সবাজারে
নিজের দোকানে বসে কেক তৈরি করে এবং বিক্রি করে। ছোটবেলায় জিসানের মা মারা যায়। তার
মা-ও খুব ভালো কেক তৈরি করতো। তাই মায়ের স্মৃতি ধরে রাখতেই জিসান কেকের বিজনেস করার
সিদ্ধান্ত নেয়।
গল্পের নায়িকা স্নেহা। জিসানের কেক রেস্টুরেন্টে আসে। স্নেহার শখ
ছবি তোলা। খুব সুন্দর পোশাক পরে সাজানো রেস্টুরেন্টে জিসানকে কেক বানাতে দেখে মুগ্ধ
হয়ে ছবি তোলে স্নেহা। আর সুন্দরী স্নেহার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় জিসান।’
নির্মাতা আরও বলেন, ‘বুঝতেই পারছেন, গল্পের এই পর্যায়ে জিসান-স্নেহা
প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করে। গল্পটা মূলত শুরু হয় এখান থেকে। ক্রমশ জড়ায় পারিবারিক
জটিলতায়। শেষটা জানতে দেখতে হবে ঈদ উৎসবে পুরোটা।’
‘অনন্ত প্রেম’ নাটকটি সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে আসছে ঈদ উৎসবে মুক্তি
পাবে।
অনন্ত প্রেম জোভান আহমেদ সাফা কবির
মন্তব্য করুন