নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
একটা সময়ে বলিউড তারকাদের খুব বেশি বিজ্ঞাপনের মডেল হতে দেখা যেত না। কিন্তু সময় বদলেছে। ভারতের সেরা সেরা সব ব্রান্ডের মডেল হয়ে আছেন বলিউড তারকারা। আর এই বিজ্ঞাপনের জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে নিচ্ছেন অবাক করার মত। অনেকের তো প্রতি বছর অভিনয়ের চেয়ে অনেক বেশি আয় হয় এই বিজ্ঞাপনের জন্য। তারকাদের মধ্যে বিজ্ঞাপনে চুক্তিবদ্ধ হওয়া নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা। তারকাদের তারকা মূল্য এবং তাদের অবস্থান নির্ধারণেও এই বিজ্ঞাপন গুলো হয়ে উঠে অন্যতম নিয়ামক।
তাদের ব্রান্ড ভ্যালু:
দেশের সেলেব্রিটিদের দিকে তাকিয়েই বিজ্ঞাপন তৈরি করে সংস্থাগুলি। সেলিব্রেটিদের ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’ হিসেব করে তাদের মডেল করা হয়। তিনি থাকলে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে একটা বিজ্ঞাপন, দেখা হয় এ সব। এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলি এই ব্রান্ড ভ্যালুতে ভারতে সবচেয়ে এগিয়ে। ডাফ অ্যান্ড ফেল্পস একটি সমীক্ষা চালায়। সেখানে ‘দ্য বোল্ড, দ্য বিউটিফুল অ্যান্ড দ্য ব্রিলিয়ান্ট’- এই তিনটি বৈশিষ্টের ভিত্তিতে রিপোর্ট করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এসে বিরাটের ব্র্যান্ড ভ্যালু প্রায় ১৭০.৯ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১২০৫ কোটি টাকা।
তাদের মূলত এই আয়টা হয়-ই-কমার্স, রিটেল, এফএমসিজি ও স্মার্টফোনের বাজার থেকে। দ্বিতীয় স্থানটি দখল করেছেন বলিউড নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন। ‘পদ্মাবত’ নায়িকার ব্র্যান্ড ভ্যালু প্রায় ১০২.৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭২৩ কোটি টাকা।
তৃতীয় স্থানেও কিন্তু খানদের প্রাধান্য নেই। অক্ষয় কুমার রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। তাঁর ব্র্যান্ড ভ্যালু ৬৭.৩ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৪৭ কোটি টাকা ।
সিম্বা অভিনেতা রণবীর সিংয়ের ব্র্যান্ড ভ্যালু প্রায় ৪৪৫ কোটি টাকা। তিনি আছেন চতুর্থ স্থানে।
সেলেব্রিটিদের নিয়ে ভারতে ২০০৭ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাণ হয় ৬৫০টি, ২০১৭ সালে তা ১৬৬০, ২০১৯ সালে যার পরিমান বেড়েছে আরও দুইশ।
শুধু বিজ্ঞাপনেই আছেন তারা:
যেমন কাজলের কথাই ধরুন, সিনেমায় নিয়মিত না দেখা গেলেও বিজ্ঞাপনের মাঠে ঠিকই আছেন। এভাবে কারিশমা কাপুর অথবা জুহি চাওলারাও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সারা বছর দর্শকের সামনে উপস্থিত হচ্ছেন। ক্যান্সার আক্রান্ত সোনালী বেন্দ্রে একটু সুস্থতা পেলেই বিজ্ঞাপনের জন্য ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে গেছেন। এমন অনেক তারকাই আছেন যারা সিনেমায় নেই, কিন্তু বিজ্ঞাপনে বাজিমাত করছেন।
পারিশ্রমিকে এগিয়ে:
দীপিকা পাডুকোন: বিজ্ঞাপনে এখন নায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় দীপিকা পাড়ুকোনের। প্রতিদিন হিসেবে তিনি নাকি নিয়ে থাকেন ৩ থেকে ৫ কোটি রুপি। ফোর্বস সাময়িকীর ভারত সংস্করণ এ গত বছর শেষে সর্বোচ্চ আয় করা ১০০ জন নারীর তালিকায়, যেখানে প্রথম সারিতে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছিলেন বলিউড সুন্দরী দীপিকা পাড়ুকোন। গেল বছর তার আয় ১১২ কোটি ৮০ লাখ রুপি।
অক্ষয় কুমার: এই অভিনেতা বিভিন্ন অটোমবাইলস, সেলফোন সহ ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেট এবং বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ডের প্রচারের সঙ্গেই তিনি জড়িত। অক্ষয়ের প্রতিদিনের পারিশ্রমিক সাড়ে তিন কোটি রুপি।
রনবীর সিং: ৩ কোটি রুপি নিয়ে থাকেন প্রতিদিনের জন্য। তবে শোনা যাচ্ছে, গেল বছর একটি বিজ্ঞাপনের জন্য ৭৫ কোটি হাকিয়েছিলেন। সেখানে অবশ্য দুই বছরের জন্য চুক্তি ছিল। যে চুক্তিতে দুই বছরে বেশ কিছু বিজ্ঞাপন ও শোতে অংশগ্রহণ করতে হবে ওই পণ্যের জন্য।
সালমান খান: প্রতিদিন পারিশ্রমিক হিসেবে তিনি নিয়ে থাকেন ৩ কোটি রুপি। তবে তিনি সব বিজ্ঞাপনের মডেল হন না।
অমিতাভ বচ্চন: গুজরাট ট্যুরিজমের বিজ্ঞাপন সহ মাথার তেল, ক্রিম, নুডুলস এমন কোন বিজ্ঞাপন নাই যেখানে অমিতাভ করেননি। তার পারিশ্রমিক ঠিক জানা না গেলেও প্রথম দুই চারজনের মধ্যেই তার নাম থাকবে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়।
আমির খান: বিজ্ঞাপনে কাজের জন্য প্রতিদিন তিনি পাঁচ কোটি রুপী নিয়ে থাকেন। যা এ পর্যন্ত বলিউডে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক। তবে গত বছর তাকে গালভর্তি দাড়ি, মাথায় পাগড়ি, পাঞ্জাবি উচ্চারণ, আর গ্রাম্য ব্যবসায়ী রূপে যে দেখা মিলেছিল। নতুন চিন্তার জয়গান গাওয়া হয়েছে তাতে। বলা হয়েছে, শুধু ছেলে নয়, মেয়েরাও পারে অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে। সেই বিজ্ঞাপনে নাকি আমির নিয়েছিলেন ১০০ কোটি রুপি। অবশ্য শুধু অভিনয়ই নয়, বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানটির বিপণণ কৌশল থেকে প্রচারের ধরন সবই ঠিক করেছেন আমির।
শাহরুখ খান: ইদানিং শাহরুখ একটু কম কাজ করছেন। তিনি বিজ্ঞাপনে কাজের জন্য আনুমানিক প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কোটি রুপী নিয়ে থাকেন। তার বিজ্ঞাপন থেকে বাৎসরিক আয় সবচেয়ে বেশি। যা তিনি সিনেমা অভিনয়ের চেয়েও অনেকবেশি আয় করেন।
ক্যাটরিনা কাইফ: তার করা স্লাইস আমের জুসের বিজ্ঞাপন জনপ্রিয়তার সাথে সাথে সমালোচিত হয়েছে অনেক। এছাড়াও তিনি ভারতের শীর্ষস্থানীয় এক অলংকার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানেরও ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হিসাবে কাজ করেছেন। প্রতিদিন বিজ্ঞাপনে কাজের জন্য দেড় কোটি রুপি নিয়ে থাকেন।
কারিনা কাপুর: বিয়ে- সন্তানের পরও তিনি একের পর এক পণ্যের সাথে যুক্ত হচ্ছেন তাদের প্রচারের জন্য। ইলেক্ট্রনিক্স, জুয়েলারী সহ নানা রকম এফএমসিজি ব্র্যান্ডের মডেল হয়েছেন তিনি। আর এই অভিনেত্রী পণ্যের বিজ্ঞাপনে কাজের জন্য দিন প্রতি দেড় কোটি রুপি নিয়ে থাকেন।
রণবীর কাপুর: ল্যাপটপ, ঘড়ি মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে তার উপস্থিতি পণ্য প্রচারে নতুন মাত্রা এনেছে। তিনিও পারিশ্রমিক নেন দিন হিসাবে এবং প্রতিদিনের জন্য তিনি পান ৩ কোটি রুপী।
প্রিয়াংকা চোপড়া: তার ব্যাগে এখন পেপসি, নাইকন সহ বেশ কিছু স্থানীয় এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয় সব পণ্যের বিজ্ঞাপন। পারিশ্রমিক হিসাবে তিনি প্রতিদিন এক কোটি রুপি।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই
ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন
যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল
পার্ক'।
সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক
অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত
'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের
সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।
পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'
সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান,
ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।
তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে
বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।
অ্যানিমাল রণবির কাপুর বলিউড সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা
মন্তব্য করুন
আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত
হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের
পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব
পাননি।
গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের
অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন
করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা
দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ
সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।
অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর
১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে
সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।
আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক
অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে
সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন।
বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে
অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব
পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব
পাচ্ছেন।’
উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ
উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল)
ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান
মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।
বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা
প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই।
আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক
তাঁর সন্তানের ওপর।’
তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব
পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই
রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।
বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো,
তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ
ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই
কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া
হয়েছিল।’
অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন
তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন,
‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক
জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান
সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম।
যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু
আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি
আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল
গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব
জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’
ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ
মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই
কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো
ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।
তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’
মন্তব্য করুন
সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)
সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের
ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে
শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি
নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে
বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের
ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে
প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায়
তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের
ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক
ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি
আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে
যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম
না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।
তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের
কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো
হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ
লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর
ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা
প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।
এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে
২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী
সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।
এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি
মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা
মেনে নিয়েছেন।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি
কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার
সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।
আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।
চিত্রনায়ক রিয়াজ বিএফডিসি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা।
বিএফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় এই
আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। ২৪
ঘণ্টার মধ্যে সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরনের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন
বলে জানানো হয়।
জানা গেছে, সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদল চলচ্চিত্র সমিতির ভেতরে
গিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এসময় বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানান, গণমাধ্যমকর্মীরা
যে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে, সেটা তারা মেনে নিয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে আল্টিমেটামটি
কার্যকর হবে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি।
হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার গ্রহণ করেছে চলচ্চিত্র সমিতি। এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের
যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ
অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার। শপথগ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক মিথুন
আল মামুন সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন অভিনেত্রী ময়ূরীর মেয়ের।
এ সময় অভিনেতা শিবা শানু ওই সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। তিনি
না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে অফিস থেকে বের করে দেন শানু। এর মধ্যে সেটি থামাতে
এগিয়ে আসেন উপস্থিত অন্য সাংবাদিকরা। এ সময় সমিতির আরেক নেতা জয় চৌধুরী ‘মার মার’ বলে
তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। এতেই শুরু সাংবাদিকদের ওপর হামলা। চেয়ার থেকে শুরু করে
গাছের ডাল দিয়েও সাংবাদিকদের পেটানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অভিনেতা শিবা শানু, শিল্পী সমিতির
নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো
এই মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন
ডিপজল নির্বাচিত হন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি আল্টিমেটাম
মন্তব্য করুন