নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ১৪ মার্চ, ২০১৯
বাংলাদেশের শিল্পীরা কলকাতায় গিয়ে অভিনয় করতে মুখিয়ে থাকেন, এমন অভিযোগ নতুন নয়। এটা মিথ্যে নয়, একটা সময় কলকাতার অভিনয়শিল্পীরাও বাংলাদেশে অভিনয় করতে মুখিয়ে থাকতেন। কারণ সে সময় কলকাতার চেয়ে বাংলাদেশে পারিশ্রমিক বেশি ছিল। তাইতো যুগে যুগে কলকাতার ইন্ডাস্ট্রি থেকে অনেকেই এসেছে বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করতে। অনেকে চেয়েছিল স্থায়ী হয়ে যেতেও। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু শিল্পী নিয়ে আলোচনাটা একটু বেশিই হচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় কেউ সাফল্য নিয়ে আসেতে পারেনি।
‘কামরূপ কামাখ্যা’ সিনেমার মাধ্যমে ফের বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন কলকাতার রিয়া সেন। এই নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করলেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। ‘যদি একদিন’ সিনেমায় তিনি অভিনয় করলেন। যেখানে তিনি আলাদা করে নজর কাড়তে পারেননি। তাকে নিয়ে সিনেমা মুক্তির আগে ও মুক্তির সময় যে আলোচনা ছিল। তার কিছুই সিনেমার মুক্তির সপ্তাহ খানেক পড়ে নেই। আসলে তিনি সেই মাপের চরিত্র বা অভিনয় এই সিনেমার মাধ্যমে করতে পারেননি বলেই হয়তো আলোচনা স্তিমিত হয়ে গেছে। শ্রাবন্তীর আগে আলোচনায় এসেছিলেন ঋতুপর্ণা। নায়ক আলমগীরের পরিচালনায় ‘একটি সিনেমার গল্প’ রীতিমতো বস্তাপচা বলে সবাই অভিহীত করেছে।
বাংলাদেশের পূজার সঙ্গে কলকাতার আদৃত জুটি হয়ে করলেন ‘প্রেম আমার টু’। সিনেমাটি কলকাতায় যতটা আলোচিত হয়েছে। তার ছিটেফাটাও হয়নি বাংলাদেশে। ‘গাদ্দার’ ছবিতে অভিনয় করতে ২০১৭ সালে ঢাকায় আসেন রিতিকা সেন। সে সময় এ নিয়ে মাতামাতি। পরবর্তীতে অবশ্য ছবিটির আর কোন খবর নেই। ইন্দ্রনীল এসে বাংলাদেশে ‘সম্রাট’ ও ‘চোরাবলি’ নামে দুটি সিনেমা করলেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিল্পীরাই ছিল বেশি উজ্জল। ছবিগুলোর সফলতার পেছনে তার আলাদা কোন অবদান আছে বলে কেউ মনে করেন না।
এ পর্যন্ত যৌথ প্রযোজনার ছবিতে ওপার বাংলার ঋতুপর্ণা, মিঠুন চক্রবর্তী, অঙ্কুশ, সোহম, ওম, রিয়া সেন, আশীষ বিদার্থীসহ বেশ কিছু মুখকে দেখেছেন আমাদের দেশের চলচ্চিত্র দর্শক। সবসময়ই তাদের প্রাধান্য দেওয়া হয় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে। পরমব্রতও বাংলাদেশের দুইটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কিন্তু সেখানে পরমব্রত কোন উজ্জল দৃষ্টান্ত রেখে যেতে পারেনি। ‘ভুবনমাঝি’ তে কিছুটা প্রশংসিত হলেও ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সিনেমায় রীতিমতো সমলোচনায় ধুয়ে গেছেন তিনি। নির্মাতা সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড তার দুই ছবিতে শাশ্বত চ্যাটার্জি এবং সমদর্শী দত্তকে নিলেন। স্বপন আহমেদের ‘পরবাসিনী’ মুম্বাইয়ের উর্বশী রাওতেলা এবং সব্যসাচীকে আশ্রয় দিল। অনন্য মামুন বলিউডের রাখি সাওয়ান্তকে ‘আমি তোমার হতে চাই’ ছবিতে কাস্ট করলেন ঠিকই, আনতে পারলেন না দেশের মাটিতে। নেপালে গিয়ে স্থানীয় এই ছবির শুটিং হলো। রফিক শিকদার দিলেন প্রিয়াংকা সরকারকে এফডিসিতে কাজের সন্ধান, দিলেন ‘হৃদয় জুড়ে’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ। এত অধিকসংখ্যক হারে, প্রচার মাধ্যমে হৈহৈ রৈরৈ করে, তর্ক-বিতর্কের তুফান ছুটিয়ে কখনই ভারতীয় শিল্পীদের কাজ করতে দেখা যায়নি। এই বিপুল কাজের সুযোগের বিনিময়ে হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। অনন্ত জলিল নিয়ে এসেছিলেন স্নেহা উল্লালকে। কিন্তু ওই ছবির পরে বাংলাদেশে তার আর কোন আলোচনা নেই। পাওলি দাম কত আলোচনা তৈরী করে বাংলাদেশের শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করলেন। তিনিও রাখতে পারলেন না কোন সফলতার চিন্হ। ইরফান খানের মতো অভিনয়শিল্পী বাংলাদেশে এসে কোন তাক লাগাতে পারেননি।
তবে ইদানিং তুলনামূলকভাবে ভারতীয় শিল্পীদের আগমন কম ঘটছে। কারণ তাদের ইন্ডাস্ট্রি আবার কাজে ফিরছে। অনেকই মনে করেন, একটা সময় সেখানে ছবির নির্মাণসংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে নায়ক-নায়িকাদের কাজের ব্যস্ততাও কমে গিয়েছিল। যার কারণে অনেক শিল্পী যৌথ প্রযোজনা কিংবা এ দেশীয় ছবিতে কাজের আগ্রহ দেখিয়েছেন।
এরই মধ্যে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে জিৎ, সোহম, অঙ্কুশ, ওম, শ্রাবন্তী, শুভশ্রী, রিয়া সেন, ঋত্বিকা সেন, বনি, রজতভ দত্তসহ একাধিক শিল্পী অভিনয় করেছেন, এখনো করছেন। একইভাবে শুধু এ দেশীয় ছবিতেও কলকাতার পরমব্রত, ইন্দ্রনীল, পাওলি দাম, প্রিয়াংকা সরকার কাজ করছেন।
কলকাতার তারকাদের নিয়ে ছবি নির্মাণ করছেন তাঁদের মধ্যে কোনো কোনো নির্মাতা মনে করেন, এখানকার তারকাদের কেউ কেউ নিয়মিতই শুটিং সেটে আসেন দেরি করে, আবার মাঝেমধ্যে শিডিউল ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভ্যাসও আছে। ফলাফল, ছবির কাজ শেষ করতে কখনো কখনো এক থেকে দুই বছরও লেগে যায়। এতে করে ছবির বাজেট বেড়ে দাঁড়ায় দ্বিগুণ। কিন্তু একই পারিশ্রমিকে কলকাতার তারকাদের এনে কাজ করালে, টানা কাজ শেষ করা যায়। কোনো বাড়তি চাপ থাকে না। আর ওপার বাংলার প্রতি এদেশের দর্শকের মোহটা নতুন কিছু নয়।
তেমনি বাংলাদেশের যত শিল্পী কলকাতায় গিয়ে অভিনয় করেছেন। হাতেগোনা দুয়েকজন ছাড়া বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই ওই আলোচনা ছিল, কিন্তু সাফল্য ছিল না।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
নানা জল্পনার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের
নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ডিপজলের কাছে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ। আর মাহমুদ
কলি হেরেছেন মিশা সওদাগরের কাছে। শুধু কলি-নিপুণ নয়, তার প্যানেলের রীতিমতো ভরাডুবি
হয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট অনেককে অবাক করেছে। নির্বাচনে এমন ভরাডুবির বেশ কয়েকটি কারণ আছে
বলে মনে করছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা।
এর আগের নির্বাচনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনয়শিল্পী
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নতুন করে আলোচনায় আসেন চিত্রনায়িকা নিপুণ
আক্তার। একই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন জায়েদ খান। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে
গেল মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ভোটে এই
পদের জটিলতার নিরসন হয়নি। ভোট শেষে এই পদের জটিলতা সমাধানে আদালতের দ্বারস্থ হন নিপুণ
ও জায়েদ। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে নিপুণ দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। সমিতির দায়িত্ব
পালনের পুরো দুই বছর সময়ে জায়েদ খান সমালোচনা করেন নিপুণের। হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি
নিপুণও, তিনি জায়েদের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে শিল্পী সমিতির এসব
সদস্যের অসংলগ্ন কথাবার্তায় বিরক্ত ছিলেন জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ
মানুষেরাও।
গেল মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার এবারও চলচ্চিত্র শিল্পী
সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে জানান, এই মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তিনি আর অংশ নেবেন
না। হঠাৎ করে সভাপতির এমন ঘোষণায় বেকায়দায় পড়েন নিপুণ। এমনকি কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের
সাইমন সাদিকসহ কয়েকজন সদস্যের সরে যাওয়াটা এবারের নির্বাচনে নিপুণ প্যানেলে নেতিবাচক
প্রভাব পড়েছে।
অন্যদিকে মিশা-ডিপজল তাদের গুছিয়ে ফেললেও নিপুণকে সভাপতি প্রার্থী
খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়। অনেক তারকাকে রাজি করানোর চেষ্টার খবর এলেও শেষ পর্যন্ত দেখা
যায়, নিপুণ সভাপতি হিসেবে পান একসময়ের আলোচিত নায়ক মাহমুদ কলিকে। তারপরও যেন নির্বাচনী
মাঠ জমাতে পারেননি তিনি। প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা মিশা-ডিপজল প্যানেলের প্রার্থীদের
চেয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রার্থী ছিল বলেও কেউ কেউ মত দেন, যা নিপুণের জন্য ভালো ফল
বয়ে আনেনি।
তা ছাড়া গেল মেয়াদে নিপুণের সঙ্গে যারাই ছিলেন, তাদের মধ্যে শাহনূর,
নানা শাহ ও ডি এ তায়েবের মতো অনেকেই যখন তাঁকে ছেড়ে মিশা-ডিপজলের সঙ্গে যোগ দেন, তা
সবচেয়ে নেতিবাচক ছিল। এসব নির্বাচনের সময় ভোটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে।
২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে নিপুণ সভাপতি হিসেবে পাশে পেয়েছিলেন
জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী ইলিয়াস কাঞ্চনকে। এ বছরের মার্চে হঠাৎ করে শিল্পী সমিতির নির্বাচন
নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন তিনি।
ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে
টাকার ছড়াছড়ি হয়। ভোটাররা প্রতিটি প্যানেল থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেন। হঠাৎ করে
সভাপতির এমন বক্তব্য সাধারণ সম্পাদকসহ সেই প্যানেলের জন্য মন্দ বার্তা বয়ে আনে, যা
ভোটে প্রভাব ফেলেছে।
এবারের মেয়াদের নির্বাচন শুরুর আগ মুহূর্তে নিপুণ তার ক্ষমতাবলে
কয়েকজনকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ দিয়েছেন, এমন কথা চলচ্চিত্রের অনেকে বলেছেন। আবার ফেসবুক
দেওয়া পোস্টকে ঘিরে সদস্যপদ বাতিলের ব্যাপারটিও নিপুণের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনেনি।
প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের
সদস্যপদ এবং তার নির্বাচনের বিষয়টিও নিপুণকে সমালোচনায় ফেলে। নিপুণের প্যানেল থেকে
নির্বাচন করার ঘোষণা যখন আসে, তখন চলচ্চিত্র শিল্পীদের নিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বেফাঁস
মন্তব্যও নির্বাচনে নিপুণ প্যানেলের জন্য নেতিবাচক হয়েছে।
গেল মেয়াদে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পীরজাদা
শহীদুল হারুন। তার সঙ্গে নিপুণের দ্বন্দ্ব ছিল প্রকাশ্যে। দুজন দুজনকে নিয়ে আপত্তিকর
মন্তব্য করতেও ছাড়েননি। সেই পীরজাদাকে এবার দেখা গেছে কলি-নিপুণ প্যানেলে। হঠাৎ করে
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ‘চিরশত্রু’ হিসেবে পরিচিত পীরজাদা হারুনের সঙ্গে হাত মেলানো
এবং একই প্যানেল থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ভোটারদের মধ্যে নিপুণকে নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া
তৈরি করে। কারও কারও মতে, নিপুণ শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন,
যা মোটেও ঠিক হয়নি। জোর খাটিয়েছেন।
নিপুণের এমন আচরণের ইঙ্গিত পাওয়া যায় গেল মেয়াদে তারই প্যানেল থেকে
নির্বাচিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা শাহনূরের একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে। এবার তিনি নিপুণের
বিপরীত প্যানেল থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। এরপর তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জোর করে
কারও মনে স্থান পেতে যাবেন না। আপনাকে যদি তাঁর প্রয়োজন থাকে, তার মনে এমনিতেই আপনার
জন্য জায়গা থাকবে।’ অনেকে ফেসবুকে এমনও লিখেছেন বিগত সময়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলন
বা অন্য অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা নিপুণ ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ আচরণ করেছেন।
কারও কারও মতে, গেল মেয়াদে বিজয়ী হয়ে আসার আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি
রক্ষা করতে পারেননি নিপুণ। তারই প্যানেলে সদস্য নানা শাহ এ বিষয়টি সবার সামনে তুলে
ধরেছেন এভাবে..
‘আগেরবার আমি এবং ডি এ তায়েব নিপুণের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম।
ভালো কিছু কাজের আশা করেই তাদের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম। তারা কথা দিয়েছিল সিনেমা
নির্মাণ করবে। একটি কথা মনে রাখবেন, শিল্পী সমিতি সিনেমা নির্মাণ করতে পারে না। কিন্তু
নিপুণ কথা দিয়েছিল ছয়টি সিনেমা নির্মাণ করবে। আমি তার কথা অনুযায়ী এগিয়ে ছিলাম। দুটি
সিনেমায় এন্ট্রি করেছিলাম। কিন্তু তারা আমার পাশে কেউ আসেনি। নিপুণ কথা রাখেনি। তার
প্যানেলে গিয়ে ভুল করেছিলাম। আমরা শিল্পীরা সম্মান ও ভালোবাসা চাই। এটা যখন আমরা হারিয়ে
ফেলি তখন খুব কষ্ট পাই।সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে আমাদের অনেক শিল্পী এখন বেকার। তাদের জন্য
শিল্পী সমিতি দুই বছরে কী করতে পেরেছে? দুই বছরে শিল্পী সমিতির সফলতা দেখছি না।’
অন্যদিকে ডিপজল এবং মিশা সওদাগরদের প্রস্তুতিও এবার তুলনামূল বেশি
ছিল। কমিটিতে না থেকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাধারণ শিল্পী তথা ভোটারদের সঙ্গে
যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। এ ক্ষেত্রেও ঘাটতি ছিল নিপুণ এবং তার প্যানেলের অন্য সদস্যদের।
বিশেষ করে সভাপতি পদে মাহমুদ কলির দীর্ঘদিন সংগঠনের কার্যকর যোগাযোগ ছিল না। তাঁকে
সচারচর দেখা যেত না কোনো আয়োজনে। পর্দায়ও দীর্ঘদিন তাঁর উপস্থিতি ছিল না। প্রায় বিস্মৃতিতে
চলে গিয়েছিলেন এই তারকা।
এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কলি ও নিপুণ প্যানেল থেকে একটি পদ ছাড়া বাকি আটটি পদে বিজয়ী হয়েছেন মিশা-ডিপজল প্যানেল। আর কার্যনির্বাহী সদস্যপদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। কলি-নিপুণ প্যানেল থেকে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন নিপুণ-কলি প্যানেল
মন্তব্য করুন
অবশেষে টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) হয়েছে ভোটগ্রহণ।
আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফল ঘোষণা করা হয়।
এবার নির্বাচনে ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে কলি-নিপুন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন অভিনেতা মিশা
সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক পদে জয় লাভ করেছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম
প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল
ভোট পেয়েছেন ২২৫টি। ১৬ ভোট কম পেয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার। তিনি
পেয়েছেন ২০৯ ভোট।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পরাজয় মেনে নিতেই দেখা গেল নিপুনকে। শুধু
তা-ই নয়, মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নিয়েছেন তিনি।
নিপুন বলেন, ‘ডিপজল ভাইয়ের বিপক্ষে মাত্র ১৬ ভোটে হারব, এটা চিন্তাও
করিনি। আমি ভেবেছিলাম ডিপজল ভাইয়ের সঙ্গে যখন দাঁড়াবো, খুব বেশি হলে ৫০টা ভোট পাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০৯টি ভোট পেয়েছি। ডিপজল ভাই পেয়েছেন ২২৫টি। শিল্পী
সমিতির ভাই-বোনেরা প্রমাণ করে দিয়েছেন—তারা আমাকে ভালোবাসেন। এ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু
হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নিপুণ।
শুক্রবার সকাল ৯টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। শেষ হয়েছে বিকেল ৫টায়। এ
দিন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন ৪৭৫ জন শিল্পী। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৫৭০ জন।
এই নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮ প্রার্থী।
প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলের মধ্যে একটি জোটে ছিলেন মিশা ও ডিপজল।
আরেক প্যানেলে ছিলেন মাহমুদ কলি ও নিপুণ আক্তার। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার
হিসেবে ছিলেন খোরশেদ আলম খসরু। সদস্য হিসেবে ছিলেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিপুন নির্বাচন
মন্তব্য করুন
উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক (২০২৪-২০২৬) মেয়াদের নির্বাচন। এ মেয়াদের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সভাপতি মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
নির্বাচনে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। শনিবার সকালে ফল ঘোষণার পরে ডিপজলকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন পরাজিত এই প্রার্থী।
এ সময় সাংবাদিকদের নিপুণ বলেন, ‘ডিপজল ভাইয়ের বিপক্ষে মাত্র ১৬ ভোটে হারবো সেটা আমি চিন্তাও করিনি। আমি ভেবেছিলাম ডিপজল সাহেবের সঙ্গে আমি যখন দাঁড়াবো, খুব বেশি হলে ৫০টা ভোট পাবো।’
এই নায়িকা বলেন, ‘আমার ২৬টা ভোট নষ্ট হয়েছে, ২০৯টি ভোট আমি পেয়েছি। যেখানে ডিপজল ভাই পেয়েছেন ২২৫টি ভোট। শিল্পী সমিতির ভাই-বোনেরা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে তারা আমাকে ভালোবাসেন। আমাকে এত সম্মান দেওয়ার জন্যে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’
নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে মন্তব্য করে নিপুণ আরও বলেন, ‘প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই ২০২৪-২৬ নির্বাচন যারা পরিচালনা করেছেন তাদের। আমার মনে হয় আমার টার্মে থেকে আমি খুব সুন্দর একটি নির্বাচন পরিচালনা করেছি।’
নিপুণ আক্তার অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল
মন্তব্য করুন
রাতের অপেক্ষা শেষে ভোর নাগাদ পাওয়া গেলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফলাফল। গেল দুই বছর দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তার অবশেষে হেরে গেছেন। নতুন সাধারন সম্পাদক হিসেবে পাওয়া গেল আলোচিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে। এর আগে গতকাল সারাদিন উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি নির্ধারণ করতে ভোট দিয়েছে শিল্পী সমিতির সদস্যরা।
ভোট গ্রহন শেষে টানা ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পরে পাওয়া গেলো ফলাফল।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর (২৬৫)। তার বিপরীতে অভিনেতা মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫)।
১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার (২০৯)। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল (২৩১) ও ডি এ তায়েব (২৩৪), সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান (২৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২৫৫), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো (২৯৬), দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৪৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন (২৩৫) এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল (২৩১)।
কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন।
তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)।
কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০) নির্বাচিত।
বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে নয়টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় ভোর গ্রহণ শুরু হয় এবং সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী নির্বাচন ফলাফল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নানা জল্পনার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ডিপজলের কাছে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ। আর মাহমুদ কলি হেরেছেন মিশা সওদাগরের কাছে। শুধু কলি-নিপুণ নয়, তার প্যানেলের রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট অনেককে অবাক করেছে। নির্বাচনে এমন ভরাডুবির বেশ কয়েকটি কারণ আছে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা।
উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক (২০২৪-২০২৬) মেয়াদের নির্বাচন। এ মেয়াদের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সভাপতি মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। নির্বাচনে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। শনিবার সকালে ফল ঘোষণার পরে ডিপজলকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন পরাজিত এই প্রার্থী।
রাতের অপেক্ষা শেষে ভোর নাগাদ পাওয়া গেলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফলাফল। গেল দুই বছর দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তার অবশেষে হেরে গেছেন। নতুন সাধারন সম্পাদক হিসেবে পাওয়া গেল আলোচিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে। এর আগে গতকাল সারাদিন উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি নির্ধারণ করতে ভোট দিয়েছে শিল্পী সমিতির সদস্যরা।