কালার ইনসাইড

‘চাইলেও ফুল টাইম অভিনেতা হতে পারবো না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:২১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯


Thumbnail

অমিতাভ রেজার ‘ঢাকা মেট্রো’ চলছে এখন হইচইতে। নেভিল ফেরদৌস হাসান এই ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে তাক লাগিয়েছেন। তবে অভিনয়ে তিনি মোটেও নতুন নয়। কর্পোরেটে ব্যস্ত এই মানুষের অভিনয়ে পথচলার গল্প বলেছেন তিনি নিজে।

অভিনয়ের শুরুটা কিভাবে?

২০০৪ সালের শেষের দিকে গিয়াস উদ্দীন সেলিম ভাই ‘সংশয়’ নামে একটি সিরিয়াল বানাবেন। যেখানে জয়া আহসান, ফজলুর রহমান বাবু ভাইরা ছিলেন। তখন একটা ক্যারেক্টারের জন্য নতুন মুখ খুঁজছিলেন তিনি। পরিচিত মুখ নিয়ে ওই ক্যারেক্টারটা পরিচালক করতে ইচ্ছুক ছিলেন না। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ভাইর সঙ্গে আগেই পরিচিত ছিলাম। সরয়ার ভাই আমার কথা সেলিম ভাইকে বলেন। সেলিম ভাই তখন আমার অফিসে এসে দেখা করলেন। অনেক আড্ডা কথা বার্তা হলো। প্রথমে বলেননি যে এই চরিত্রটা করতে হবে। কিছু অবজারভেশনের পর জানালেন চরিত্রটা করতে পারবে কিনা। অফার পেয়ে না করিনি। কেন নয়। করতেই পারি। চেষ্টা তো করতে পারি। ওই নাটকটা খুব হিট হয়েছিল। ওই সময় জয়াও এই নাটকটি থেকে বেশ লাইমলাইটে চলে আসে।

তারপরের পথচলা?

তারপরে প্রচুর কাজের অফার আসতে থাকে। চাকরি সামলিয়ে বেশ কিছু করিছিও। আফসানা মিমির ‘স্পর্শের বাইরে’, ‘লাবন্য প্রভা’, গিয়াস উদ্দীন সেলিমের ‘জনক বাবুর জনরা’, অমিতাভ রেজার ‘মায়েশা’, ‘সারফেস’, ‘শেষ আড্ডা’, মেজবাউর রহমান সুমনের ‘রেলস্টেশনে শোনা গল্প’সহ আরো অনেক কাজ করা হয়েছে। আমি তো ফুল টাইম অ্যাডর্ভাটাইজিংয়ে কাজ করি। চাইলেও ফুল টাইম অভিনেতা হতে পারবো না। ২০০৪-০৫ এর দিকে চেষ্টা করলে হয়তো ফুল টাইম অভিনেতা হতে পারতাম। কিন্তু যখন দেখলাম অনেক কাজের অফার আসছে তখন আসলে অ্যাডভার্টাইজিংয়েই বেশি মনোযোগি হই। কারণ সেটা আমার কাছে প্রয়োরিটি বেশি ছিল। তখনই আস্তে আস্তে অভিনয় কমিয়ে দিয়েছি। এখন তো একদম হাতে গোনা বছরে একটা দুইটা করতে চাই। তাও যদি পরিচালক কিংবা গল্প পছন্দ হয়। তখন সেটা অ্যাডভার্টাইজিংয়ের ওখান থেকে একটু ছুটি নিয়ে করি। সামনেও এভাবেই করার ইচ্ছে আছে। ফুল টাইম অ্যাক্টর আসলে কখনো হওয়া হবে না মনে হয়।

‘ঢাকা মেট্রো’র প্ল্যানিং নাকি হয় অনেক বছর আগে?

২০০২-০৩ সালের দিকের ঘটনা। আমার সাদা রংয়ের একটা করোলা গাড়ী ছিলো। ওইটা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও যাওয়া হতো। তখন যে আমার ক্যারেক্টারটা ছিল, অ্যাডভার্টিজিং, করপোরেটে কাজ করি। এত ব্যস্ত, যদি একদিন সবকিছু ছেড়ে চলে যাই। কেমন হবে সামনের পথটা। পরিচালক অমিতাভ রেজা দীর্ঘদিনের বন্ধু। সেই সময়ে নিয়মিত আড্ডা হতো। আমার সামনে যা কিছু ঘটতে পারে বলে ওর ভাবনায় এসেছে। আর ওই গাড়িটার যে নেমপ্লেট ছিলো। সেই নামেই একটা গল্প আমাকে নিয়ে ভেবে রাখে। আর সেই গল্পটা নিয়ে ও বিভিন্ন সময়ে ভাবছিলো সিনেমা করবে। কিন্তু সেটা নানা কারণে হয়নি। ফাইনালি এবার হলো ওয়েব সিরিজ।

শুটিং অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

ওয়েব সিরিজটির ১১ দিন শুটিং ছিলো দিনাজপুরে। এর আগে ওখানে কখনো যাওয়া হয়নি। এত সুন্দর একটা জায়গা। আর মানুষজনও এত ভালো। তারা বেশ প্রগতীশীল। শুটিংয়ের জন্য ভোর পাঁচটায় উঠতে হতো। গ্রামে ভোরে উঠে পরিবেশটা দেখা সত্যই মুগ্ধতায় ভরা ছিল। সাধারণত এত ভোরে ঘুম থেকে উঠি না। শুটিংয়ের জন্য উঠলাম। সকালে উঠে আমরা শুটিং শুরু করতাম। সন্ধ্যার আগে শুটিং শেষ হয়ে যেত। তারপর রাতে আড্ডা দিতাম। তখন নানা ধরনের কথা হতো। অনেক স্মৃতিচারণ হতো। আমাদের গল্পটা যেমন শহুরে জীবন থেকে ছুটির। তেমনি শুটিংয়ের সময়ও আমাদের ছুটি মিলেছিল।



অপি করিমের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

পরিচালক অমিতাভ রেজা যেমন দীর্ঘদিননের বন্ধু। তেমনি অপি করিমের সঙ্গেও বন্ধুত্ব ও পরিচিতি অনেক দিনের। এর আগেও অপি করিমের সঙ্গে অভিনয় করা হয়েছে। এছাড়াও অফিসিয়ালি তার সঙ্গে পরিচয়ও বহুদিন আগে থেকে। সেখান থেকে যখন একসঙ্গে অভিনয় করা হলো। সে খুবই পাওয়ার ফুল একজন অভিনেত্রী। আমি যেমন কোন প্ল্যান ছাড়া অভিনয় করি। ও তো অভিনয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস। ও ভালো করবে সেটা তো আমাদের সবার জানা কথাই ছিল। কো আর্টিস্ট হিসেবে অপি ভীষণ সাপোর্টিভ। ছোট ছোট অনেক বিষয় আছে। যেমন আমার ক্লোজআপ নিচ্ছে। বিপরীত পাশে ওর যখন ক্লোজআপ নেওয়া হয়েছিল। সেটাই সে আমার ক্লোজআপের সময়ও দিবে। যাতে আমার প্রোপারটা দিতে পারি। অনেক সময় তো এটা অনেকে দিতে চায় না।

অ্যাডভার্টাইজিংয়ের ক্যারিয়ার ২০ বছর হয়ে গেছে। শুরু হয়েছিল কিভাবে?

সেটাও সিরিয়াসভাবে শুরু করা হয়েছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকোনোমিক্সে পড়াশুনা শেষ করে জিআরই করছিলাম। বিদেশে গিয়ে পিএইচডি করার ইচ্ছে। ওই সময় এক বন্ধুর পরামর্শ দেয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছি। সে বর্তমানে আমেরিকাতে আছে। আমার ক্রিয়েটিভ কাজের প্রতি সবসময়ই একটা আগ্রহ ছিলো। সেটা ক্লাস ফ্রেন্ডরা সবাই জানতো। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছবি আঁকতাম, গান গাইতাম, গিটার বাজাতাম। সে পরামর্শ দিলো, তুই যে কয়দিন বাংলাদেশে আছোস। এক বছর তো সব কিছু গুছিয়ে বিদেশ যেতে লাগবে। এশিয়াটিকে সিভি দিতে পারিস। বন্ধুরাই সিভি বানিয়ে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে ডাক আসে। ওখানে চাকরিটা হয়ে যায়। চাকরিটা বেশ উপভোগ্যই মনে হলো। কিন্তু এর মাঝে বিদেশ যাওয়া ভুলেনি। যখন ভিসার জন্য দাড়ালাম। তখন এশিয়াটেকে চাকরি ছেড়েও দিয়েছিলাম। কিন্তু পরপর দুইবার চেষ্টাতেও ভিসা পেলাম না। না পাওয়ার পর এশিয়াটেকের সারাহ যাকের ম্যাম ডেকে বললেন, কি করবে। তুমি যদি চাও, তোমার এখানকার জবটা কন্টিনিউ করতে পারো। তখন আবার কন্টিনিউ করলাম জবটা। তারপর থেকে তো চলছে এই কাজ। আমার প্রফেশন নিয়ে আমি খুবই খুশি। আমার সে সময়ের সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো না।

বর্তমানে এশিয়াটেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে আছেন। সামনের দিনের প্ল্যানিং কী?

ঢাকা মেট্রোর সামনে আরেকটি সিজন হওয়ার কথা আছে। সেটা হলে অবশ্যই করা হবে। এছাড়া সিলেক্ট কিছু ভালো কাজ অবশ্যই করতে চাই। এখন প্ল্যান সামনে পাঁচ বছরের মধ্যে আমি আমার যে শখগুলো আছে। যেটা আমার প্যাশন ছিলো কলেজ ভার্সিটি লাইফে। সেগুলোর প্রতি আরো যত্নশীল হবো। সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করবো। সেগুলোতে সচেতনভাবে আরো সময় দিয়ে করবো।

আপনি তো মিউজিশিয়ানও…

পার্টটাইম মিউজিশিয়ানও বলা যায়। একটা ব্যান্ডও আছে। ব্যান্ডের নাম ‘দ্যা সারোগেট ব্যান্ড’। অ্যালবামের কাজ অনেক আগে শুরু করা হলেও শেষ করা হচ্ছে না যথেষ্ট সময়ের জন্য। ক্লাাসিক রক গানগুলো একটা সময় কাভার করতাম। গান গাই, গিটার বাজাই। এখন পিয়ানো বাজানো শিখছি। আঁকাআঁকিটাও নিয়মিত করা হয়। ছবি তুলতে ভীষন পছন্দ করি।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর পর এবার মাহির ছেলেকে নিয়ে পরীমনির স্ট্যাটাস

প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি চিত্রনায়িকা বুবলী ও শাকিব খানের ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনে সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যমে বুবলীর একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে পরী ও বুবলীর মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা যায় সোস্যাল মিডিয়ায়। দুজনের একের পর এক স্ট্যাটাস ও পাল্টা স্ট্যাটাস তর্কযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ফেসবুক।

এদিকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ছেলে শামসুদ্দিন ফারিশের প্রথম জন্মদিন আজ। তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরী মনি। লিখেছেন, ‘হ্যাপি বার্থডে মানিক চাঁদ আমাদের। তুমি মায়ের চোখের মণি হয়ে থাকো ফারিশ বাবা। আমরা সবাই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’


গত মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন মাহি। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে আলাদাই থাকছেন এই নায়িকা। ছেলেকে নিয়েও ফেসবুকে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। এখন নিজের লুক বদলাচ্ছেন অভিনেত্রী। ব্যস্ত হয়েছেন ক্যারিয়ার নিয়ে। এরই মধ্যে পর্দায় ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি।

পর্দায় ফেরা প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ভালো প্রস্তাব পেলে আর ফিরিয়ে দেবেন না। এর কারণও অবশ্য রয়েছে। বিয়ের পর বেশ কিছু সিনেমার প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে এখন ক্যারিয়ারে মন দিতে চান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন তিনি। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের ফারিশ নামে এক বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাহি। পাঁচ বছর সংসারের পর বিচ্ছেদ হয় তাদের।


পরীমনি   বুবলী   মাহিয়া মাহি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সমুদ্র সৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বেশ ঢাকঢোল বাজিয়ে বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। সেই বিয়েতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী সাফা কবির। অথচ এখন শোনা যাচ্ছে তাদের ‘অনন্ত প্রেম’র গুঞ্জন!

সদ্য দুজনেই জুটি বেঁধে শেষ করেছেন ‘অনন্ত প্রেম’-এর শুটিং। আসছে ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে বিশেষ এই নাটকটি লিখেছেন ও বানিয়েছেন মহিদুল মহিম।

নাটকটির নিয়ে নির্মাতা জানান, ‘এই গল্পের নায়ক জিসান। কক্সবাজারে নিজের দোকানে বসে কেক তৈরি করে এবং বিক্রি করে। ছোটবেলায় জিসানের মা মারা যায়। তার মা-ও খুব ভালো কেক তৈরি করতো। তাই মায়ের স্মৃতি ধরে রাখতেই জিসান কেকের বিজনেস করার সিদ্ধান্ত নেয়।

গল্পের নায়িকা স্নেহা। জিসানের কেক রেস্টুরেন্টে আসে। স্নেহার শখ ছবি তোলা। খুব সুন্দর পোশাক পরে সাজানো রেস্টুরেন্টে জিসানকে কেক বানাতে দেখে মুগ্ধ হয়ে ছবি তোলে স্নেহা। আর সুন্দরী স্নেহার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় জিসান।’

নির্মাতা আরও বলেন, ‘বুঝতেই পারছেন, গল্পের এই পর্যায়ে জিসান-স্নেহা প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করে। গল্পটা মূলত শুরু হয় এখান থেকে। ক্রমশ জড়ায় পারিবারিক জটিলতায়। শেষটা জানতে দেখতে হবে ঈদ উৎসবে পুরোটা।’

‘অনন্ত প্রেম’ নাটকটি সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে আসছে ঈদ উৎসবে মুক্তি পাবে।


অনন্ত প্রেম   জোভান আহমেদ   সাফা কবির  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তারকাদের শেষ প্রজন্ম আমি ও শাহরুখ: কঙ্গনা

প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সদ্যই টিকিট পেয়েছেন বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির হয়ে আসন্ন নির্বাচনে লড়বেন অভিনেত্রী। এরই মধ্যে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়ে গেছেন তিনি। যদিও বলিউডে অনেকটাই নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছেন কঙ্গনা।

একের পর এক ফ্লপ সিনেমার পর অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে কঙ্গনার মতে, খারাপ সময় যতই যাক, আবারও সাফল্যের ধারায় ফিরবেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজেকে শাহরুখ খানের সঙ্গে তুলনা করে তারকাদের জেনারেশনের ‘শেষ তারকা’ হিসেবেও দাবি করলেন কঙ্গনা।

সম্প্রতি ‘টাইমস নাও সামিট’-এ উপস্থিত ছিলেন কঙ্গনা। সেখানেই বিভিন্ন কথোপকথনে নিজেকে এবং শাহরুখ খানকে তারকাদের শেষ প্রজন্ম বলে মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

কঙ্গনা বলেন, ‘আমি এবং শাহরুখ খান তারকাদের শেষ প্রজন্ম। ওটিটি কখনো তারকা তৈরি করতে পারে না। আমরা পরিচিত মুখ। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমাদের অনেক চাহিদা রয়েছে। শুধু টিকে থাকার জন্য ওটিটিতে আসতে পারব না।’

গত কয়েক বছরে একের পর এক সিনেমা বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছে কঙ্গনার। নিজের ব্যর্থ সিনেমা প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, “পৃথিবীতে এমন কোনো অভিনেতা নেই, যার ফ্লপ সিনেমা নেই। শাহরুখ খানের ১০ বছর কোনো হিট সিনেমা ছিল না।

কিন্তু ‘পাঠান’ বক্স অফিসে হিট হয়। ৭-৮ বছর আমার কোনো হিট সিনেমা ছিল না। কিন্তু ‘মণিকর্ণিকা’ বক্স অফিসে হিট হয়। এরপর তিন-চার বছর কোনো হিট সিনেমা উপহার দিতে পারিনি। এবার ‘ইমার্জেন্সি’ আসছে, আশা করছি এটি ভালো সাড়া ফেলবে।”

সর্বশেষ কঙ্গনাকে দেখা গেছে ‘তেজাস’-এ। গত বছরের ২৭ অক্টোবর মুক্তি পায় সিনেমাটি। ৭০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে। আয় করে মাত্র সাড়ে ৫ কোটি রুপি। সামনে অভিনেত্রীকে দেখা যাবে ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমায় ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে। এটি পরিচালনাও করছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভোটের মাঠেও সরব হচ্ছেন অভিনেত্রী।


শাহরুখ খান   কঙ্গনা রানাওয়াত   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কে এই সৌদি মডেল রুমি?

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ইউনিভার্সের মঞ্চে ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম বার, সৌদি আরবের পতাকা হাতে লড়বেন এক নারী। ২৭ বছর বয়সী রুমি আলকাহতানি নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টেই এই ঘোষণা দিয়েছেন। জানিয়েছেন ইতিহাসের অংশ হতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।

তবে এবার প্রশ্ন উঠতে পারে কে এই রুমি, হুট করেই কী তিনি মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে উঠতে যাচ্ছেন? না। এতো বড় মঞ্চে এই প্রথম হলেও রুমি এর আগেও বহু সুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চে উঠেছেন।
এবার মিস ইউনিভার্সের ৭৩ বছরের ইতিহাসে তিনিই প্রথমবার যোগ দিচ্ছে সৌদি আরবের হয়ে। এমন খবরে একরকম চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আসছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ তাকে স্বাগত জানালেও অনেকেই করছেন সমালোচনা।

সৌদির রাজধানী রিয়াদে জন্ম রুমির। এর আগেও তিনি মিস সৌদি আরব, মিস মিডল ইস্ট, মিস উইমেনসহ (সৌদি আরব) বিভিন্ন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন এবং বিজয়ীর মুকুট মাথায় পরেছেন।

রুমি ফ্যাশন মডেলিংয়ের সাথে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেও পরিচিত। তার ইনস্টাগ্রাম অনুসারীর সংখ্যা ১০ লাখ। এক্স ও ফেসবুকেও তাকে লাখ লাখ মানুষ অনুসরণ করে।

ঘুরতে পছন্দ করেন রুমি। বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরেছেন তিনি। রুমির দুই বোনের নাম রাজান ও জেদাই। তাদের মধ্যে রাজানও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ পরিচিত মুখ।

সৌদি   ইউনিভার্স   মঞ্চ   পতাকা   রুমি আলকাহতানি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে সৌদি মডেল!

প্রকাশ: ০২:৫৮ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

এবার সৌদি আরবের পতাকা হাতে মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে দেখা যাবে এক ২৭ বছর বয়সী মডেলকে। ইতিহাসে তিনিই প্রথমবার সৌদির পতাকা হাতে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার এই মঞ্চে উঠতে যাচ্ছেন। 

রুমি আলকাহতানি নামের ওই মডেলের ইন্সটাগ্রামে অনুসারীর সংখ্যা ১০ লাখ। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, তিনি বিশ্ব সুন্দরীদের মঞ্চে তার দেশকে উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। 

তিনি লিখেছেন, ‘আমি মিস ইউনিভার্স ২০২৪ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। এই প্রতিযোগিতায় এটাই সৌদি আরবের অভিষেক।’

এই ছবির সাথেই তিনি সৌদি আরবের পতাকাসহ নিজের ছবি প্রকাশ করেছেন। 

আলকাহতানি রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি এর আগেও বেশ কয়েকটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। 


মিস ইউনিভার্স   সৌদি মডেল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন