কালার ইনসাইড

‘স্পর্শিয়াকে চিনি না, বুবলীর তো শুরু’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:২০ পিএম, ২২ মে, ২০১৯


Thumbnail

আসছে ঈদে মুক্তি পাচ্ছে চিত্রনায়িকা ববি অভিনীত ছবি ‘নোলক’। সাকিব সনেটের পরিচালনায় এতে তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন ঢালিউড কিং শাকিব খান। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ছবির প্রচারণা। ছবি ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন চিত্রনায়িকা ববি…

‘নোলক’র প্রচারণায় শাকিব নেই। কিভাবে দেখছেন ব্যাপারটা?

শাকিব কিন্তু প্রচারণা নিয়ে খুব একটা চিন্তিতও নয়। তার সিনেমায় সে প্রচারণা করে না বললেই চলে। যেটা বাইরের সুপারস্টাররাও করে। শাকিবের বিশ্বাস তার দর্শকশ্রেনী আছেন, তারা শাকিবের সিনেমা দেখবেই। শাকিবের হোম প্রডাকশন থেকে একটা সিনেমা রিলিজ হচ্ছে। সেটার প্রতি টানটা তো একটু বেশি থাকবেই। তাছাড়া শাকিব কিন্তু কোন জায়গায় বলেনি যে এই ছবিটা দেখবে ওইটা দেখবে না। শাকিব নিজেও এই সিনেমাটি নিয়ে অনেক আশাবাদি। আরেকটি কথা এখনি এই ছবিটা রিলিজ দেওয়া কেন? আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ। আর এই সিনেমাটি এমনই বাজেটের সিনেমা যেটা ঈদ ছাড়া রিলিজ দেওয়া ঠিক হবে না বলেই বিবেচনা করেছি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি। ঈদের জন্য এই সিনেমাটি একদম পারফেক্ট একটা সময়। আর দুরকম শাকিবকেই মানুষ দেখবে। আমিও বলছি না এটা দেখবেন ওটা দেখবেন না।  দর্শক বিবেচনা করবে কোন ছবিটি দেখবে। আর শাকিবের ছবি কোন ঈদে একটি আসছে, এটা কিন্তু খুব কমই হয়েছে। চারটি পাঁচটি সিনেমাও আসছে।

নোলক নিয়ে সবচেয়ে যে আলোচিত বিষয় ছিলো পরিচালক রাশেদ রাহা ও পরিচালক- প্রযোজক সাকিব সনেটের দ্বন্দ্ব। সেখানে আপনি শুরু থেকেই সাকিব সনেটের পক্ষে কথা বলতে দেখা গেছে। তার কারণ কী?

আমি কারো পক্ষে না। আমি নোলকের পক্ষে। নোলক এমন একটি সিনেমা, আমি কিন্তু ডিরেক্টর আর্টিস্ট। আমি ডিরেক্টরকে সবচেয়ে বেশি বুঝতে চাই। ডিরেক্টর আমার কাছে অনেক বড় একটি বিষয়। কিন্তু তার ডিরেক্টর হতে হবে। তার সেই যোগ্যতা থাকতে হবে। রাশেদ রাহার মতো ডিরেক্টর যদি চলচ্চিত্রে আসে, এমনিতেও অবস্থা খুব ভালো নয়। তাহলে আমরা ভবিষ্যত ঘোর অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে বলবো। তাদের যদি আমরা ডিরেক্টর আখ্যা দেই। তাহলে চলচ্চিত্র ধ্বংস ছাড়া আর কোন উপায় নেই। নোলক প্রথম থেকে যে ডিরেকশন দিয়েছে। নোলককে যে বাচিয়ে রেখেছে আমি তারই পক্ষে। নোলককে যে মুক্তি দিতে সামর্থ্য হয়েছে এত ঝড় ঝঞ্জাটের পর। আমি তারই পক্ষে। রাশেদ রাহার কোন কিছু নিয়েই লিগ্যাল কোন ডকুমেন্ট নেই। তারপরও সে ভুলভাল অনেক কাগজপত্র দিয়ে হ্যারাসমেন্ট করার চেষ্টা করেছে নোলককে। আর আমি একা নই। তারিক আনাম খান আঙ্কেল, মৌসুমী আপু,  ওমর সানী ভাইয়া, রেবেকা আন্টি, নিমা আন্টি, শহীদুল আলম সাচ্চুদের মতো আমাদের সিনিয়র গুনীজনরাও কিন্তু সাকিব সনেটের পক্ষে। কারণ তারাও সত্যিটা জানে।  একটা সিনেমা নিয়ে অন্যায়ের লিমিট ক্রস করেছে। 

সিনেমাটির স্ক্রিপ্ট কেন পছন্দ করা?

সিনেমাটির গল্প আসার সঙ্গে সঙ্গে লুফে নিয়েছিলাম। যে কেউ নিতেন বলে নায়িকার মত। এটা একটা মৌলিক গল্প। আমাদের সবারই মৌলিক গল্পের প্রতি একটা ক্ষুধা থাকে। কিন্তু সেটা তো সবসময় পাওয়া হয় না। গল্পটা এতটাই ইনোসেন্ট যে কারো ভালো লাগবে। স্ক্রিপ্টটা পড়েই মনে হয়েছিল, একটা পারফেক্ট সিনেমার প্রায় সবগুলো গুনাগুনই আছে স্ক্রিপ্টে। যদি সুন্দরভাবে প্রেজেন্ট হয়। তাহলেই সেটা একটা পারফেক্ট মুভি হবে। গল্পটা শুনেই আমার ওরকম ফিল হয়েছিল। প্রত্যেকটা আর্টিস্টের কাজ করার জায়গা আছে।

নোলক’র চরিত্রটা নিয়ে কিছু বলুন…

কাজলা। খুব চঞ্চল স্বভাবের মেয়ে। খুব কমপিটিটিভ নারীবাদী। ফ্যামিলির ব্যাপারে খুব প্রটেকটিভ। আবার খুব ছেলেমানুষ। গ্রামের প্রভাবশালী কারো মেয়ে। আবার এরকম নয় যে সে প্রভাব খাটিয়ে কিছু করে। এই কাজলা রুপে ঈদে দর্শকের সামনে আসছি। এতদিন পোস্টার আর টিজারে দর্শক প্রশংসা করেছে ছবির।

কাজলা চরিত্রটা করার জন্য কি কোন পূর্ব প্রস্তুতি ছিল?

গেট আপটাও এমন, আমার ক্যারিয়ারে যত সিনেমা করেছি এরকম ক্যারেক্টার এখন পর্যন্ত প্লে করিনি। এই ক্যারেক্টারের সঙ্গে আমার আগে যে ছবিগুলো তার কোন মিল নেই। এটা করতে গিয়ে যেটা হয়েছে কথা বলার ঢংটা একটু ডিফারেন্ট করতে হয়েছে। মেকাপ-গেটআপ অভিনয় সবকিছুই এই ছবিতে চেইঞ্জ হয়ে গেছে। তবে এখানে প্রস্তুতিরও অনেক ব্যাপার ছিল। কিন্তু তারপরও যতটকু সময় পেয়েছি সেটা কাজে লাগিয়েছি এই সিনেমার জন্য। আমাদের দেশে তো সাধারণত এমন হয় না যে অনেক সময় দেওয়া হয় প্রস্তুতির জন্য।

শুটিং চলাকালীন সময়কার কোন মজার ঘটনা মনে আছে?

কাজলা চরিত্রটা করতে গিয়ে কম বেগ পেতে হয়নি। এই সিনেমার জন্য প্রথম আমি ঘোড়ার গাড়ি চালিয়েছি। আমাদের শুটিং ছিল হায়দরাবাদে। ওই ঘোড়ার গাড়ি যখন আসছে, ওর সঙ্গে যে ট্রেইনার। ও বলছে এটা কিন্তু বাহুবলির ঘোড়া। বাহুবলির শুটিং করেছে। ওর কিন্তু একটু পরপর রেস্ট নিতে হয়। ওর বিস্কুট লাগে। এগুলা বলছিলো আমাদের। এক তো আমি আগে চালাইনি। একটা ভয় ছিল নিজের মধ্যে। যখন ঘোড়ায় উঠলাম, দেখলাম না ঠিক আছে। দৃশ্যটা যখন ধারণ হবে, আমি ঘোড়ার গাড়িতে। অনেক দূর থেকে ক্যামেরা ও ক্ররা। শর্টে তো তারা থাকতে পারবে না। ওটা একটা জঙ্গল টাইপের জায়গা। দৃশ্যটা এমন, আমি ঘোড়া চালিয়ে ক্যামেরার সামনে থেকে ক্রস করে যাবো। সেটা না করে ঘোড়াটি হঠাৎ করে জঙ্গলের ভিতর ছুটলো। একটা পর্যায়ে সে দাড়ালো। আমি মাথা নিচু না করলে বিপদ হতে পারতো। জঙ্গলের ডালপালা আমার বিপদ ঘটিয়ে দিতো। ওটা যখন দাড়ালো, সবাই তো ছুটে আসলো। ট্রেনারটা এসে বললো, ম্যাডাম বললাম না ওর বিস্কুট লাগবে, রেস্ট লাগবে। সেটা মনে হয় ঠিকমতো হয়নি। তখন বললাম যে, আসলেই তো এটা বাহুবলির ঘোড়া। তো সে পুরো সিনেমায় নবাবের মতো ব্যবহার করেছেন আমাদের সঙ্গে। আর তার মতো করে আমাদের শর্ট নিতে হয়েছে।

সিনেমায় অনেক সিনিয়র অভিনয়শিল্পী ছিলেন, তাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কী?

আমাদের সিনেমায় যেটা এখন হয়। সাপোর্টিং ক্যারেক্টারগুলোতে ভালো অভিনয়শিল্পী নেওয়া হয় না। যেটা একটা সময় আমরা খুব উপভোগ করতাম। সাপোর্টিং রোলগুলোর জন্যও অনেক সময় সিনেমা ভালো লাগতো। স্কিনটা খুব ভারী লাগে সাপোর্টিং ক্যারেক্টারগুলো যদি জনপ্রিয় মুখ হয়। শুধু এক বা দুইজন দিয়ে সিনেমার মজাটা থাকে না। এই সিনেমায় পারিবারিক একটা আবহ পাবে। ড্রামা, ইমোশন, কমেডি- সবকিছুতে পূর্ন একটি সিনেমা। আমার যেটা অ্যাকশন সিনেমা। সেটা বলেই দেই যে এটা অ্যাকশন সিনেমা। সেক্ষেত্রে বলবো এটা ফুল প্যাকেজের সিনেমা। যারা বলে যে পরিবার নিয়ে সিনেমা হলে যাওয়া যায় না। এন্টারটেইনমেন্টের কন্টেন্ট নেই। তাদের জন্য এই সিনেমাটি একটা সুযোগ বলবো। সিনিয়রদের সঙ্গে কাজ করলে যেটা হয়। অনেক কিছু শেখা যায়।

শাকিব খানের সঙ্গে কেমিস্টি কেমন হলো?  

শাকিব খানের সঙ্গে ৫ নাম্বার সিনেমা। এর আগের সবগুলো সিনেমাই ছিল ব্যাবসাসফল। সেসব সিনেমা এখনো মানুষ দেখেন। উপভোগ করে তার গান। এটা যেমন আমার কাছে খুব স্পেশাল একটা সিনেমা। তেমনি শাকিবেরও খুব স্পেশাল একটি সিনেমা বলবো। শাকিব তো অনেক বেশি সময় ধরে অনেক ভালো ভালো কাজ করেছেন। আমি নিজে তার অনেক সিনেমা দেখেছি। আমি বলবো তার মধ্যে অন্যতম সেরা কাজ হবে এটি। একটা সময়ে যদি তার কাছে ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমার নাম বলতে বলা হয়। সে এই সিনেমাটির নাম বলবে বলে আমি মনে করি।

শাকিব কিভাবে দেখবে দর্শক?

এই সিনেমায় অন্য শাকিবকে দেখতে পাওয়া যাবে। সবাই বলে না যে শাকিব মানে সিনেমাতেও শাকিব একটা ব্যাপার হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে বলবো শাকিব খানের আগে মনে হবে শাওন। খুব ইনোসেন্ট ক্যারেক্টার প্লে করেছেন।

শাকিব-ববি হিট জুটি হলেও একসঙ্গে খুব একটা দেখা যায়নি কেন?

শাকিব- অপু তো একটা লম্বা সময়ের জুটি। তারা টানা একটা লম্বা সময় কাজ করেছেন। তার মধ্যে অন্যকারো সঙ্গে শাকিবকে তেমন দেখা যায়নি। যেমন তার মধ্যে আমি মাত্র চারটা ছবি তার সঙ্গে করতে পেরেছি। যা সবগুলোই হিট ছিল। তারপরও কিছু পলিটিক্সের কারণে মাত্র এই চারটি সিনেমাই হয়েছে। এটা দেখে দর্শকরা খুব মজা পাবে। ওর আর আমার যে খুঁনসুটি। সারাক্ষন যে দুজনার একটা কম্পিটিশন চলে সেটা দর্শক খুব উপভোগ করবে। আর এটা একদম ইনোসেন্ট একটা প্রেমের গল্প তো। সেখানে আমাদের ক্যারেক্টারগুলোও তেমন ছিল। বিশেষ করে আমার আর শাকিবের। আর একটা অবাক ব্যাপার। আমাদের কেমিস্টিও যতটকুই গান বা অন্য যেভাবেই বের হয়েছে। সবগুলো থেকেই পজিটিভ ফিডব্যাক পাচ্ছি। যেটা সাধারণত হয় না।

শাকিবের সঙ্গে শুটিং অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

শুটিং করতে গিয়ে হয়েছে নানা অভিজ্ঞতা। শাকিবের সঙ্গে করতে হয়েছে আগুনের মধ্যে অভিনয়। একটা দৃশ্য তিনি জীবনেও ভুলবো না। ওর সঙ্গে কয়েকটা দৃশ্যই শুটিং শেষে এখনো রেশ কাটেনি আমার মধ্য থেকে। যেমন ও ঘোড়া চালিয়েছে আর আমি বসে ছিলাম। সেটা অনেক সুন্দর একটি দৃশ্য। পাহাড়ের উপর দুজনে জড়িয়ে ধরে ইমোশন একটা দৃশ্য আছে। আমার সবচেয়ে মনে পড়ছে একটা বড় পার্ট আমরা ক্লাইমেক্সের জন্য আগুনে কাছে শুট করেছিলাম। আগুনের মধ্যে রোমান্স করতে হবে। সেখানে যেমন আগুনের তাপ আছে শরীরে। ওর মধ্যে আমরা হাসছি, রোমান্স করছি। সেটা আসলে খুব কঠিনই ছিল। তবে কঠিনটা সহজ হয়ে গেছে যে কো আর্টিস্টের সঙ্গে ভালো একটা কেমিস্ট্রি আছে। ও তখন আমাকে খুব সাহস দিয়েছে।

‘নোলক’র সঙ্গে ‘পাসওয়ার্ড’ ও ‘আবার বসন্ত’ রিলিজ হচ্ছে। সেখানে নায়িকা বুবলি আর স্পর্শিয়া আছেন। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা কেমন দেখছেন?

স্পর্শিয়া কে চিনি না। কেউ একটা সিনেমা করলো অমনি নায়িকা হয়ে গেল বলে আমি মনে করি না। সেই ২০১০ সাল থেকে এই ইন্ডাস্ট্রির ভালো জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নায়িকা হওয়াটা এত সোজা নয় বলে আমি মনে করি। আর বুবলির তো সবে শুরু। তাছাড়া আমি কাউকে প্রতিযোগি মনে করি না। আমি আমার প্রতিযোগি। আমার কাজের সঙ্গে আমার প্রতিযোগিতা হয়।

নোলক’র পর কি কি সিনেমা আসছে?

‘নোলক’র পরে ‘বেপরোয়া’, ‘বৃদ্ধাশ্রম’ মুক্তির অপেক্ষায় আছে। কলকাতার জয়দ্বীপ মুখার্জির ছবি ‘রক্তমুখী নীলা’র অল্প কিছু কাজ বাকি আছে। কলকাতায় আরেকটি ছবি হওয়ার কথা। সিনেমাজ নামে নতুন একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের তিনটি ছবির স্ক্রিপ্ট আছে হাতে। ছবি পেলেই তো সাইন করি না। এত খারাপ সময়েও যে ছবিগুলো আছে তা নিয়ে আমি আশাবাদি।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না: রিয়াজ

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা মেনে নিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।

আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।


চিত্রনায়ক রিয়াজ   বিএফডিসি   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন