কালার ইনসাইড

টাইগারদের কাছে তারকাদের এখন কি প্রত্যাশা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:২৪ পিএম, ১২ জুন, ২০১৯


Thumbnail

ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আর বাংলাদেশ থেকে তাদের দিকে চেয়ে কোটি মানুষ। ক্রিকেট দলকে নিয়ে কত প্রত্যাশা কত স্বপ্ন। শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও চেয়ে আছেন বাংলাদেশ দলের দিকে। গত তিনটি ম্যাচ দেখেছেন এমন কয়েকজন তারকা জানালেন তাদের অনুভূতি।  

ওমর সানী: ইংল্যান্ড তো বাংলাদেশের সঙ্গে চারশো রান করে ফেলতো। এত বড় স্কোর যখন বিপক্ষ দল করে। তখন নিশ্চয়ই বুঝতে হবে বোলিংয়ে গাফিলতি আছে। বোলিংয়ে দুর্বলতা আছে। সেখানে কিভাবে আমরা উন্নতি করতে পারি সেটা ভাবতে হবে। এত বড় স্কোর কিন্তু সচরাচর হয় না। যেটা ইংল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে করে ফেললো। আবার আমার কেন যেন মনে হচ্ছে ওভার কনফিডেন্সটা আমাদের কিছুটা ভোগাচ্ছে। সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয়টাকি ভাবিয়েছে যে যেকোন প্লেয়ারই পারফর্ম করতে পারে বাংলাদেশের? কারণ যখনই আমি দেখছি প্রথম দুই চারজন ভালো রান করছে না, তখনই টিম ধুমরে মুচরে যাচ্ছে। কেউ আর দাড়াতে পারছে না। আমি মনে করি বিশ্বের যেকান দলের চেয়ে গড়পরতা বাংলাদেশের বোলিং খারাপ নয়। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের সঙ্গে যে আমরা এত বড় ব্যবধানে হারলাম। বাংলাদেশের বোলিংয়ের যে বৈশিষ্ঠ। রান চাপিয়ে রাখা। সেটাই তারা আজকাল পারছে না। এটা কিন্তু প্রতিটা ম্যাচে ভোগাবে। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে কিছু দুর্বলতা তো আছেই। তবে এই মুহূর্তে আমি বোলিংয়ে সংকট দেখতে পাচ্ছি। কিছু চেঞ্জ আনা উচিত। একটু এদিক ওদিক করলে বিপক্ষ দলের গেম প্লানেও কিন্তু অনেক সমস্যা হয়। একটা সময় হয়তো বিপক্ষ দল আমাদের নিয়ে খুব বেশি ছক আকতো না। এখন আমি মনে করি বাংলাদেশকে তারা গভীরভাবে স্টাডি করেই মাঠে নামে।

চঞ্চল চৌধুরী: বাংলাদেশ দুর্ভাগ্যক্রমে পরপর দুটি ম্যাচ হারলো। কিন্তু আমার কেন যেন মনে হয় এই দুটি ম্যাচে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ছিল। ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশে যে ২৮০ করলো। ইংল্যান্ডের অত রান তাড়া করতে গিয়ে এটা করেছে। বাংলাদেশ যদি আগে ব্যাট করতো, আমার মনে হয় ৩০০ করার সামর্থ্য ছিল। সেটা তখন ইংল্যান্ডের জন্য একটু হলেও চাপ হতো। যেমন নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচটায় দেখেছি। আমি ক্রিকেটার বা ক্রিকেট বোদ্ধাও নয়। তবে সাধারণ জ্ঞান থেকে আমি বলতে পারি যে বাংলাদেশ ম্যাচে যেকোন সময় ঘুরে দাড়াতে পারে। দুই ম্যাচ হারার পরে নিশ্চয়ই টিম ম্যানেজমেন্টের অনেক ভুল ত্রটি চোখে পড়েছে। সেগুলো দ্রুত শুধরে ঘুরে দাড়াতে পারে বলে মনে করি। সাকিব আল হাসান টানা ভালো খেলছে। দেখা গেল সামনের ম্যাচে আমরা তামিমের কাছ থেকে বড় স্কোর আশা করতে পারি। যেটা তামিম পারছে না বিশ্বকাপে। নতুনরা নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না। তারা গুটিয়ে আছে। তারা যদি এই সুযোগে নিজেদের প্রমান না করতে পারে। তাহলে সেটা দু:খজনক। আমি বাংলাদেশ টিমকে নিয়ে এখনো আশাবাদি। কারণ অতীতের যেকোন সময়য়ের চেয়ে এবার বেস্ট টিম গেছে বাংলাদেশ থেকে। সবচেয়ে অভিজ্ঞ টিম বাংলাদেশের। ঘুরে দাড়াবে আশা রাখি।

সুমি (চিরকুট): বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড কাপে খেলছে এটা আমাদের জন্য গর্বের। বহু বছর ধরেই কোন একটা স্পোর্টস মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড কাপে খেলছে সেটা তো ভালো লাগার বিষয় আছেই। যদি আমরা সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স নিয়ে কথা বলি। বিশেষ করে এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে। তাহলে সমর্থক হিসেবে বলবো ধৈর্য ধরা উচিত। আমরা সমর্থকরা ভালোবাসি বলেই অনেক কিছু বলি। কিন্তু যারা মাঠে খেলে তাদের জন্য জয় পাওয়াটা কিন্তু এত সোজা ব্যাপার নয়। মাঠে যারা খেলে তারা নিশ্চয়ই বাংলাদেশের জন্য বেস্টটাই করার চেষ্টা করে সবসময়। সামনে আমাদেও অনেকগুলো খেলা আছে। আমরা আশা করি ওখানের কমপক্ষে দুই তিনটা ম্যাচে আমরা জিতবো। এতটকু আশা করতে পারি এই মুহুর্তে বাংলাদেশের টিম থেকে। আমরা প্রথম ম্যাচে জয় পেলাম। সেটা তো ভালো লাগা আছেই। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। সেটা বেশ ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের প্রথমে ব্যাটিংটা তেমন ভালো হলো না। তারপর বোলিংয়ের শুরুটাও কোন আশা দেখাতে পারছিল না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যেভাবে ঘুরে দাড়ায় সেটা অসাধারণ ছিল। আমার মনে হয় এই বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ এভাবে ঘুরে দাড়ানোর সামর্থ্য রাখে। তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের সঙ্গে টসে জিতে ব্যাটিংটাই নেওয়া উচিত ছিল বলে আমি মনে করি। কারণ ওদের ব্যাটিং যে লাইন আপ, সেখানে প্রেসার না নিয়ে খেলেছে। যা ওদের এত বড় স্কোর গড়ে দিল। আর আমরা ম্যাচের অর্ধেক সময়ই হেরে গেলাম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রুবেলকে দরকার ছিল। রুবেল বরাবরই বাংলাদেশের যদি কেউ ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভালো বল করে, সে হচ্ছে রুবেল। সামনের ম্যাচগুলোতে এই দিকটায় ভাবা উচিত বলে মনে করি। আশা শেষ হয়ে যায়নি। এখনো আমরা ঘুরে দাড়াতে পারি। টিমকে ভালোবেসে পাশে থাকতে হবে।

রওনক হাসান: শুরুটা খুবই ভালো ছিল। ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর সেভাবেই বিশ্বকাপের শুরুটা ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আমাদেও কামব্যাকটাও ভালো ছিল। ইংল্যান্ডের সঙ্গে আমার মনে হয় কিছু পরিবর্তন দরকার ছিল। ওয়ার্ল্ড কাপের মতো এমন বড় একটা প্ল্যাটফর্মে আমার মনে হয় এক্সপেরিয়েন্স প্লেয়ারদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত ছিল। মিঠুন, মোসাদ্দেকদের বদলে মনে হয় সাব্বির লিটনদের সুযোগ দিলে ভরসাটা বাড়তো। রুবেলকে মিস করি। রুবেল দেখা যায় ম্যাচের শেষের দিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পারে। রুবেল হয়তো কিছুটা রান চাপিয়ে রাখতে পারতো। মিঠুন ও মোসাদ্দেককে তো দেখলাম তিনটা ম্যাচ। তারা আসলে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেনি। তারা যে খেলতে পারে না ব্যাপারটি তা নয়। টানা সুযোগ দিতে থাকলে হয়তো একটা ম্যাচে ভালো খেলবে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে ধারাবাহিকতা আশা করতে পারছি না কেন যেন। আরেকটি কথা যে আমাদের দলে এতগুলো অলরাউন্ডার না রেখে মনে হয় একজন বোলার বাড়ানো উচিত। বোলিংয়ে কিন্তু দুর্বলতা পাই। আর ব্যাটিংয়ে প্রথম যে কয়জন আছে তারা ভেঙ্গে পড়লে আসলে খুব বেশি আশা করার মতো কিছু থাকে না। আমার মনে হয় দলে এতগুলো অলরাউন্ডার না রেখে সলিড একজন ব্যাটসম্যান ও একটা বোলার বাড়ানো দরকার। আমরা কি কৌশলের দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছি কিনা সেটাও ভাবা দরকার। দ্বিতীয় ম্যাচে উইনিং কম্বিনিশন রাখা হয়েছে ভালো কথা। কিন্তু থার্ড ম্যাচে কিছুটা পরিবর্তন রাখা উচিত বলে মনে করি। ইংল্যান্ডের এক এক মাঠের এক এক রুপ। সেটা মাথায় রেখে দল করা উচিত। সেখানে যে কেই বাদ পড়তে পারে। যাই হোক আমি আশাবাদি যে এই টিমটা সেমিফাইনাল খেলার শতভাগ যোগ্যতা রাখে।

মৌসুমী হামিদ: এই মুহূর্তে বাংলাদেশ অন্যতম সেরা টিম। প্রত্যেকটা প্লেয়ার অভিজ্ঞ এবং নিজেদের প্রমান করা। বাংলাদেশ কিন্তু মাঠে নামছে আকাশ পাতাল ব্যবধান নিয়ে নয়। একটা সময় যেটা ছিল, হারালেও হারাতে পারে। সেটাকে সবাই ‘এক্সিডেন্ট’ বলতো। এখন কিন্তু সেই সুযোগটা নেই। বাংলাদেশ জয়ের টার্গেট নিয়েই মাঠে নামে। সেখানে পরপর দুটি ম্যাচ হেরে গেছে মানে এই নয় যে, আমরা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছি। ভারত যেমন টানা জয় পাচ্ছে, আবার কিন্তু পরপর দুটি ম্যাচ হেরেও যেতে পারে। দু:খজনক ব্যাপার হলো আমরা যারা সমর্থক, তারা অত্যাধিক পরিমানে রিঅ্যাক্ট করি। যখন জিতে তখন প্রশংসায় ফেসবুক ভরে যায়। আবার যখন হারে, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধুইতে থাকে। সাকিব আজকে ভালো খেলছে তার প্রশংসায় ভরে যাবে, কাল খারাপ খেললে তাকে ধুয়ে দেওয়া হবে। এটা কেমন সমর্থক বাবা!ওরা তো একা খেলে না। ২০ কোটি মানুষ একসঙ্গে খেলে। ওরা খেললে কলিজা আটকিয়ে যায়। আমি গত ম্যাচগুলোতে মুস্তাফিজকে নিয়ে এক্সপেক্ট করেছিলাম যে ভালো বল করবে। কিন্তু পারেনি। মিরাজের খেলা আমাকে খুবই মুগ্ধ করে। মিরাজকে আমার মনে হয় ভবিষ্যৎ সাকিব আল হাসান। মিরাজ আবার আমার খুলনার ভাই। টিমের সাতটা প্লেয়ারই যদি হয় আমার খুলনার। তাও আবার ঘরের পাশের সাতক্ষীরার দুইজন। সব ভাইব্রাদার খেলছে এই টিমে। সেদিন নিলয়, শ্যামল মাওলার সঙ্গে খেলা দেখতেছিলাম শুটিংয়ের ফাকে। ওরা বলে এটা তো নিউজিল্যান্ড বনাম খুলনার খেলা হচ্ছে। যাই হোক, মাশরাফির দল। তার উপর আমাদের আস্থা আছে।  তিনি নিশ্চয়ই আমাদের জয়ের ধারায় নিয়ে যাবে।  



বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ   



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনে নিপুণ-কলি’দের ভরাডুবির যত কারণ

প্রকাশ: ০৬:৩৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নানা জল্পনার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ডিপজলের কাছে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ। আর মাহমুদ কলি হেরেছেন মিশা সওদাগরের কাছে। শুধু কলি-নিপুণ নয়, তার প্যানেলের রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট অনেককে অবাক করেছে। নির্বাচনে এমন ভরাডুবির বেশ কয়েকটি কারণ আছে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা।

এর আগের নির্বাচনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনয়শিল্পী শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নতুন করে আলোচনায় আসেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। একই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন জায়েদ খান। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে গেল মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ভোটে এই পদের জটিলতার নিরসন হয়নি। ভোট শেষে এই পদের জটিলতা সমাধানে আদালতের দ্বারস্থ হন নিপুণ ও জায়েদ। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে নিপুণ দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। সমিতির দায়িত্ব পালনের পুরো দুই বছর সময়ে জায়েদ খান সমালোচনা করেন নিপুণের। হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি নিপুণও, তিনি জায়েদের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে শিল্পী সমিতির এসব সদস্যের অসংলগ্ন কথাবার্তায় বিরক্ত ছিলেন জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরাও।

গেল মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার এবারও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন নির্বাচনের আগ মুহূর্তে জানান, এই মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তিনি আর অংশ নেবেন না। হঠাৎ করে সভাপতির এমন ঘোষণায় বেকায়দায় পড়েন নিপুণ। এমনকি কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের সাইমন সাদিকসহ কয়েকজন সদস্যের সরে যাওয়াটা এবারের নির্বাচনে নিপুণ প্যানেলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

অন্যদিকে মিশা-ডিপজল তাদের গুছিয়ে ফেললেও নিপুণকে সভাপতি প্রার্থী খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়। অনেক তারকাকে রাজি করানোর চেষ্টার খবর এলেও শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, নিপুণ সভাপতি হিসেবে পান একসময়ের আলোচিত নায়ক মাহমুদ কলিকে। তারপরও যেন নির্বাচনী মাঠ জমাতে পারেননি তিনি। প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা মিশা-ডিপজল প্যানেলের প্রার্থীদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রার্থী ছিল বলেও কেউ কেউ মত দেন, যা নিপুণের জন্য ভালো ফল বয়ে আনেনি।

তা ছাড়া গেল মেয়াদে নিপুণের সঙ্গে যারাই ছিলেন, তাদের মধ্যে শাহনূর, নানা শাহ ও ডি এ তায়েবের মতো অনেকেই যখন তাঁকে ছেড়ে মিশা-ডিপজলের সঙ্গে যোগ দেন, তা সবচেয়ে নেতিবাচক ছিল। এসব নির্বাচনের সময় ভোটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে।

২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে নিপুণ সভাপতি হিসেবে পাশে পেয়েছিলেন জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী ইলিয়াস কাঞ্চনকে। এ বছরের মার্চে হঠাৎ করে শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন তিনি।

ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে টাকার ছড়াছড়ি হয়। ভোটাররা প্রতিটি প্যানেল থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেন। হঠাৎ করে সভাপতির এমন বক্তব্য সাধারণ সম্পাদকসহ সেই প্যানেলের জন্য মন্দ বার্তা বয়ে আনে, যা ভোটে প্রভাব ফেলেছে।

এবারের মেয়াদের নির্বাচন শুরুর আগ মুহূর্তে নিপুণ তার ক্ষমতাবলে কয়েকজনকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ দিয়েছেন, এমন কথা চলচ্চিত্রের অনেকে বলেছেন। আবার ফেসবুক দেওয়া পোস্টকে ঘিরে সদস্যপদ বাতিলের ব্যাপারটিও নিপুণের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনেনি। প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের সদস্যপদ এবং তার নির্বাচনের বিষয়টিও নিপুণকে সমালোচনায় ফেলে। নিপুণের প্যানেল থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা যখন আসে, তখন চলচ্চিত্র শিল্পীদের নিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বেফাঁস মন্তব্যও নির্বাচনে নিপুণ প্যানেলের জন্য নেতিবাচক হয়েছে।

গেল মেয়াদে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পীরজাদা শহীদুল হারুন। তার সঙ্গে নিপুণের দ্বন্দ্ব ছিল প্রকাশ্যে। দুজন দুজনকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করতেও ছাড়েননি। সেই পীরজাদাকে এবার দেখা গেছে কলি-নিপুণ প্যানেলে। হঠাৎ করে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ‘চিরশত্রু’ হিসেবে পরিচিত পীরজাদা হারুনের সঙ্গে হাত মেলানো এবং একই প্যানেল থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ভোটারদের মধ্যে নিপুণকে নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। কারও কারও মতে, নিপুণ শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, যা মোটেও ঠিক হয়নি। জোর খাটিয়েছেন।

নিপুণের এমন আচরণের ইঙ্গিত পাওয়া যায় গেল মেয়াদে তারই প্যানেল থেকে নির্বাচিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা শাহনূরের একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে। এবার তিনি নিপুণের বিপরীত প্যানেল থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। এরপর তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জোর করে কারও মনে স্থান পেতে যাবেন না। আপনাকে যদি তাঁর প্রয়োজন থাকে, তার মনে এমনিতেই আপনার জন্য জায়গা থাকবে।’ অনেকে ফেসবুকে এমনও লিখেছেন বিগত সময়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলন বা অন্য অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা নিপুণ ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ আচরণ করেছেন।

কারও কারও মতে, গেল মেয়াদে বিজয়ী হয়ে আসার আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেননি নিপুণ। তারই প্যানেলে সদস্য নানা শাহ এ বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরেছেন এভাবে..

‘আগেরবার আমি এবং ডি এ তায়েব নিপুণের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম। ভালো কিছু কাজের আশা করেই তাদের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম। তারা কথা দিয়েছিল সিনেমা নির্মাণ করবে। একটি কথা মনে রাখবেন, শিল্পী সমিতি সিনেমা নির্মাণ করতে পারে না। কিন্তু নিপুণ কথা দিয়েছিল ছয়টি সিনেমা নির্মাণ করবে। আমি তার কথা অনুযায়ী এগিয়ে ছিলাম। দুটি সিনেমায় এন্ট্রি করেছিলাম। কিন্তু তারা আমার পাশে কেউ আসেনি। নিপুণ কথা রাখেনি। তার প্যানেলে গিয়ে ভুল করেছিলাম। আমরা শিল্পীরা সম্মান ও ভালোবাসা চাই। এটা যখন আমরা হারিয়ে ফেলি তখন খুব কষ্ট পাই।সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে আমাদের অনেক শিল্পী এখন বেকার। তাদের জন্য শিল্পী সমিতি দুই বছরে কী করতে পেরেছে? দুই বছরে শিল্পী সমিতির সফলতা দেখছি না।’

অন্যদিকে ডিপজল এবং মিশা সওদাগরদের প্রস্তুতিও এবার তুলনামূল বেশি ছিল। কমিটিতে না থেকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাধারণ শিল্পী তথা ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। এ ক্ষেত্রেও ঘাটতি ছিল নিপুণ এবং তার প্যানেলের অন্য সদস্যদের। বিশেষ করে সভাপতি পদে মাহমুদ কলির দীর্ঘদিন সংগঠনের কার্যকর যোগাযোগ ছিল না। তাঁকে সচারচর দেখা যেত না কোনো আয়োজনে। পর্দায়ও দীর্ঘদিন তাঁর উপস্থিতি ছিল না। প্রায় বিস্মৃতিতে চলে গিয়েছিলেন এই তারকা।

এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কলি ও নিপুণ প্যানেল থেকে একটি পদ ছাড়া বাকি আটটি পদে বিজয়ী হয়েছেন মিশা-ডিপজল প্যানেল। আর কার্যনির্বাহী সদস্যপদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। কলি-নিপুণ প্যানেল থেকে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন।


চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন   নিপুণ-কলি প্যানেল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নবনির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদককে বরণ করলেন নিপুন

প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) হয়েছে ভোটগ্রহণ।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফল ঘোষণা করা হয়। এবার নির্বাচনে ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে কলি-নিপুন।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক পদে জয় লাভ করেছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল ভোট পেয়েছেন ২২৫টি। ১৬ ভোট কম পেয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার। তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পরাজয় মেনে নিতেই দেখা গেল নিপুনকে। শুধু তা-ই নয়, মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নিয়েছেন তিনি।

নিপুন বলেন, ‘ডিপজল ভাইয়ের বিপক্ষে মাত্র ১৬ ভোটে হারব, এটা চিন্তাও করিনি। আমি ভেবেছিলাম ডিপজল ভাইয়ের সঙ্গে যখন দাঁড়াবো, খুব বেশি হলে ৫০টা ভোট পাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০৯টি ভোট পেয়েছি। ডিপজল ভাই পেয়েছেন ২২৫টি। শিল্পী সমিতির ভাই-বোনেরা প্রমাণ করে দিয়েছেন—তারা আমাকে ভালোবাসেন। এ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নিপুণ।

শুক্রবার সকাল ৯টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। শেষ হয়েছে বিকেল ৫টায়। এ দিন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন ৪৭৫ জন শিল্পী। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৫৭০ জন। এই নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮ প্রার্থী।

প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলের মধ্যে একটি জোটে ছিলেন মিশা ও ডিপজল। আরেক প্যানেলে ছিলেন মাহমুদ কলি ও নিপুণ আক্তার। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন খোরশেদ আলম খসরু। সদস্য হিসেবে ছিলেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।


চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি   নিপুন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মাত্র ১৬ ভোটে হারব চিন্তাও করিনি : নিপুণ

প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক (২০২৪-২০২৬) মেয়াদের নির্বাচন। এ মেয়াদের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সভাপতি মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

নির্বাচনে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। শনিবার সকালে ফল ঘোষণার পরে ডিপজলকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন পরাজিত এই প্রার্থী। 

এ সময় সাংবাদিকদের নিপুণ বলেন, ‘ডিপজল ভাইয়ের বিপক্ষে মাত্র ১৬ ভোটে হারবো সেটা আমি চিন্তাও করিনি। আমি ভেবেছিলাম ডিপজল সাহেবের সঙ্গে আমি যখন দাঁড়াবো, খুব বেশি হলে ৫০টা ভোট পাবো।’

এই নায়িকা বলেন, ‘আমার ২৬টা ভোট নষ্ট হয়েছে, ২০৯টি ভোট আমি পেয়েছি। যেখানে ডিপজল ভাই পেয়েছেন ২২৫টি ভোট। শিল্পী সমিতির ভাই-বোনেরা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে তারা আমাকে ভালোবাসেন। আমাকে এত সম্মান দেওয়ার জন্যে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’

নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে মন্তব্য করে নিপুণ আরও বলেন, ‘প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই ২০২৪-২৬ নির্বাচন যারা পরিচালনা করেছেন তাদের। আমার মনে হয় আমার টার্মে থেকে আমি খুব সুন্দর একটি নির্বাচন পরিচালনা করেছি।’


নিপুণ আক্তার   অভিনেতা   মনোয়ার হোসেন ডিপজল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

হেরে গেলেন নিপুন, মিশা-ডিপজলের জয়জয়কার

প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাতের অপেক্ষা শেষে ভোর নাগাদ পাওয়া গেলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফলাফল। গেল দুই বছর দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তার অবশেষে হেরে গেছেন। নতুন সাধারন সম্পাদক হিসেবে পাওয়া গেল আলোচিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে। এর আগে গতকাল সারাদিন উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি নির্ধারণ করতে ভোট দিয়েছে শিল্পী সমিতির সদস্যরা।

ভোট গ্রহন শেষে টানা ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পরে পাওয়া গেলো ফলাফল।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর (২৬৫)। তার বিপরীতে অভিনেতা মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫)।

১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার (২০৯)। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল (২৩১) ও ডি এ তায়েব (২৩৪), সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান (২৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২৫৫), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো (২৯৬), দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৪৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন (২৩৫) এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল (২৩১)।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন।

তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)।

কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০) নির্বাচিত।

বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে নয়টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় ভোর গ্রহণ শুরু হয় এবং সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী নির্বাচন   ফলাফল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রথম এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা

প্রকাশ: ০৮:০৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে অনেক কাজই সহজ হয়ে গেছে মানুষের জন্য। রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে নিউজ প্রেজেন্টিং, স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ - সবই এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে করা যায়। এবার আয়োজিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা।

এআই প্রযুক্তি দ্বারা তৈরি মডেলদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটর অ্যাওয়ার্ডস (ডব্লিউএআইসি)। মূলত বিশ্বজুড়ে এআই ক্রিয়েটরদের সম্মান জানাতেই এমনটা করা হচ্ছে।

আয়োজন সংস্থা জানায়, তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিচার করা হবে - সৌন্দর্য, প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে যেমন এআই মডেলের রূপ, তার ডিজাইন, পোশাক ইত্যাদি দেখা হবে।

জানা গেছে, যে মডেল জিতবেন, তাকে মিস এআই শিরোপা দেয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় মোট ২০ হাজার ডলার পুরস্কার রাখা হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মিস এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতার এন্ট্রি। যারা এই ধরনের এআইভিত্তিক মডেল বানিয়ে থাকেন তারাও এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

তবে এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তাদের অংশগ্রহণ করতে হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি থাকতে হবে এবং বয়স হতে হবে ১৮ বছরের বেশি। ইতোমধ্যে ডব্লিউএআইসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে শুরু হয়ে গেছে এই প্রতিযোগিতার আবেদন প্রক্রিয়া।

সুন্দরী প্রতিযোগিতার পাশাপাশি এআইভিত্তিক ফ্যাশন সামগ্রী এবং পুরুষ মডেলের ওপরও জোর দেয়া হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক সংস্থা।

এআই সুন্দরী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন