নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ১৫ জুন, ২০১৯
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নাটক-টেলিফিল্ম নির্মাণ করেন না অনেক বছর। সর্বশেষ গত বছর ‘আয়েশা’ নির্মাণ করেছিলেন। সেটা অনেক বছর পর। আবার কবে টেলিভিশন প্রডাকশন নির্মাণ করবেন সেটা বোঝা বড় দায়। অতিতাভ রেজা কখনোই নিয়মিত নাটক নির্মাণ করেন না। তবে তার নির্মিত নাটকও দর্শক বেশ পছন্দ করেন। মাঝে আবার টেলিভিশন প্রডাকশন নির্মাণ শুরু করেছিলেন। এ বছর কিছু নির্মাণ করেননি। সিনেমা তো প্রতিবছর দর্শককে দেওয়া সম্ভব হয় না। তাহলে মাঝেমধ্যে দুয়েকটি গল্প দর্শককে বললে কতটা আর ক্ষতি হবে সেটা তিনিও ভালো জানেন। যদিও তিনি এখন তার সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত।
গিয়াসউদ্দীন সেলিম জনপ্রিয় হয়েছেন টিভি নাটক থেকেই। তবে এখন আর তাকে টিভি নাটকে পাওয়া যায় না। মেজবাউর রহমান অনেকদিন থেকে টেলিভিশনের জন্য নাটক নির্মাণ করেন না। তিনি বিজ্ঞাপন নিয়েই ব্যস্ত। রেদওয়ান রনি এক সময় ঈদের জনপ্রিয় নাটক নির্মাণ করতেন। তিনি গত বছরও ‘পাতা ঝরার দিন’ নাটকটি করে সবচেয়ে বেশি প্রশংসা পেয়েছেন। এবার আর তার কোন নাটক পাওয়া যায়নি। আফসানা মিমিও নাটক নির্মাণ করছেন না। ইফতেখার আহমেদ ফাহমিরও কোন নাটক পাওয়া যায়নি এই ঈদে। ফাহমি কেন হারিয়ে যাচ্ছেন? দর্শক আপনাকে মিস করে। অনিমেষ আইচ সিনেমা নির্মাণে গিয়ে নাটক থেকে অবসর নিয়েছেন বলা যায়। যা মাঝেমধ্যে দু-একটা কাজ দিয়ে উঁকি দেন। সেটাও আসে না তেমন আলোচনায়। কেন অনিমেষ আইচ সেই প্রশ্ন থেকে যায়। তার একটি ওয়েব সিরিজ অনেকদিন ধরে প্রচার হবে হবে বলে হচ্ছে না।
চয়নিকা চৌধুরী এই ঈদে মাত্র দুইটি নাটক নির্মাণ করেছেন। তিনি তার ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত। আদনান আল রাজিব যদিও নিয়মিত নাটক নির্মাণ করেন না। তবে তিনি যে নাটকটি নির্মাণ করেন, বেশ আলোচনায় থাকে সেই নাটক। এবার ঈদে তিনিও কোন নাটক নির্মাণ করলেন না। ঈদ জুড়ে তার নির্মাণের একটি রংয়ের বিজ্ঞাপন বেশ আলোচনায় ছিল। প্রতি বছর শাফায়াত মনসুর রানা কমপক্ষে একটি নাটক নির্মাণ করেন। গেল কয়েক বছরে তার নাটকটি থাকে সেরার তালিকায়। কিন্তু এবার তিনি মাত্র একটি শর্টফিল্ম নির্মাণ করেছেন। তাও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আইফ্লিক্সের জন্য। হিমেল আশরাফ নিয়মিত নাটক নির্মাণ করছেন অনেক বছর ধরে। সিনেমা নির্মাণে হাত দিয়েছেন। গত বছরও নির্মাণ করেছিলেন নাটক। এ বছর তার তেমন কোন নাটক চোখে পড়েনি। মাসুদ হাসান উজ্জল প্রশংসিত নির্মাতা। ঈদে হাতে গোনা নাটক- টেলিফিল্ম নির্মাণ করেন। সেসব নাটক একটা বিশেষশ্রেনীর দর্শকের কাছে প্রশংসাও পায়। কিন্তু এই ঈদে তিনি ছিলেন না। সুমন আনোয়ার যা এক দুইটা নাটক নির্মাণ করেছেন, তা আলোচিত ছিল না।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ভাই গোলাম কিবরিয়াও বেশ কিছু প্রশংসিত নাটক নির্মাণ করেছেন। কিন্তু আজকাল তাকে আর নাটক নির্মাণে দেখা যায় না। সাইফুল ইসলাম মান্নু কিংবা মোহন খানরা তারকা খচিত নাটক নির্মাণ করতেন। তাদের নাটকও বিশেষ একটি মহলে প্রশংসিত হতো। কিন্তু আজকাল তাদেরও নাটক নির্মাণে দেখা যায় না।
টেলিভিশন নাটকের প্রতি এখন কেমন যেন সবারই অনীহা। এ বছর ঈদুল ফিতরে যারা টেলিভিশনের জন্য নাটক নির্মাণ করেছেন। তারা যে ঈদুল আযহায় নাটক নির্মাণ করবেন তারও কোন গ্যারান্টি নেই। টেলিভিশনের বিপরীতে শক্তিশালী হচ্ছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। সেখানে বড় অংকের বাজেটও পাওয়া যায়। তাই কি টেলিভিশনকে বিদায় জানাচ্ছেন তারা?
এইসব মেধাবীদের জায়গা দখল করছে একঝাঁক তরুণ নির্মাতারা। তারা আসলে কতটা জায়গা দখল করতে পারছেন? দর্শক কি পছন্দ করছেন? মিজানুর রহমান আরিয়ান, মাবরুর রশীদ বান্নাহরা তরুনদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাটক নির্মাণ করেন। এর মধ্যে তাদের এবার ঈদেও বেশ কিছু নাটক প্রশংসিতও হয়েছে। কিন্তু তাতে মনের খোড়াক মেটেনি। বাকি তরুণরা আসলে জায়গা নিতে পারেননি সিনিয়রদের। এবারও দর্শক নন্দিত হয়েছে শিহাব শাহিন কিংবা আশফাক নিপুনদের নাটকই। টেলিভিশন নাটকে জনপ্রিয় নির্মাতাদের অনীহা যে নাটককে ক্রমাগত ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। টেলিভিশন কর্তাদের সচেষ্ট হওয়া উচিত সিনিয়র নির্মাতাদের কাজে নিয়মিত করা। না হয় বাংলাদেশের সিনেমার মত এক সময় মেধাশুন্য হয়ে যাবে টেলিভিশন নাটকও।
টেলিভিশন নাটক কারো স্থায়ী ঠিকানা হচ্ছে না। বিজ্ঞাপনে অর্থ বেশি, সেদিকে যেমন ঝুঁকছেন নির্মাতারা তেমনি এখন ওয়েব সিরিজেও বেশ ব্যস্ত হয়ে উঠছেন। শোনা যাচ্ছে, ওয়েব সিরিজের জন্য ব্যাপক বাজেট পেয়ে থাকেন তারা। তাছাড়া গল্প বলার ক্ষেত্রেও আছে স্বাধীনতা।
সাধারণ দর্শকের প্রত্যাশা টেলিভিশনে নিয়মিত নির্মাণ না করলেও ঈদ বা বিশেষ দিনে অপেক্ষাকৃত সিনিয়র নির্মাতারা কাজ করতে পারেন। উপরের নির্মাতারা যদি ঈদে একটি করেও নাটক নির্মাণ করেন, হলফ করে বলা যায় ঈদটা দর্শকেদর বেশ ভালোই কাটবে। এখন দর্শক কেন নাটক দেখে না, তার একটি উত্তর এটাও হতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই
ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন
যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল
পার্ক'।
সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক
অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত
'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের
সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।
পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'
সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান,
ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।
তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে
বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।
অ্যানিমাল রণবির কাপুর বলিউড সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা
মন্তব্য করুন
আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত
হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের
পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব
পাননি।
গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের
অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন
করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা
দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ
সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।
অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর
১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে
সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।
আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক
অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে
সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন।
বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে
অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব
পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব
পাচ্ছেন।’
উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ
উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল)
ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান
মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।
বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা
প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই।
আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক
তাঁর সন্তানের ওপর।’
তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব
পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই
রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।
বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো,
তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ
ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই
কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া
হয়েছিল।’
অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন
তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন,
‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক
জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান
সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম।
যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু
আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি
আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল
গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব
জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’
ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ
মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই
কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো
ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।
তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’
মন্তব্য করুন
সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)
সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের
ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে
শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি
নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে
বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের
ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে
প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায়
তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের
ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক
ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি
আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে
যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম
না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।
তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের
কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো
হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ
লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর
ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা
প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।
এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে
২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী
সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।
এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি
মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা
মেনে নিয়েছেন।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি
কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার
সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।
আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।
চিত্রনায়ক রিয়াজ বিএফডিসি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা।
বিএফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় এই
আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। ২৪
ঘণ্টার মধ্যে সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরনের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন
বলে জানানো হয়।
জানা গেছে, সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদল চলচ্চিত্র সমিতির ভেতরে
গিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এসময় বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানান, গণমাধ্যমকর্মীরা
যে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে, সেটা তারা মেনে নিয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে আল্টিমেটামটি
কার্যকর হবে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি।
হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার গ্রহণ করেছে চলচ্চিত্র সমিতি। এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের
যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ
অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার। শপথগ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক মিথুন
আল মামুন সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন অভিনেত্রী ময়ূরীর মেয়ের।
এ সময় অভিনেতা শিবা শানু ওই সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। তিনি
না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে অফিস থেকে বের করে দেন শানু। এর মধ্যে সেটি থামাতে
এগিয়ে আসেন উপস্থিত অন্য সাংবাদিকরা। এ সময় সমিতির আরেক নেতা জয় চৌধুরী ‘মার মার’ বলে
তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। এতেই শুরু সাংবাদিকদের ওপর হামলা। চেয়ার থেকে শুরু করে
গাছের ডাল দিয়েও সাংবাদিকদের পেটানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অভিনেতা শিবা শানু, শিল্পী সমিতির
নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো
এই মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন
ডিপজল নির্বাচিত হন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি আল্টিমেটাম
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন