নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৪ পিএম, ০৯ জুলাই, ২০১৯
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জান্নাতুল পিয়া। কেমন ছিল পিয়ার এই ইংল্যান্ড ট্যুর, তা নিয়ে কথা বললেন বিস্তারিত…
যাওয়ার পথে জয়া-রাজ্জাক:
বায়োস্কোপের হয়ে জিটিভির প্রযোজনায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে উপস্থাপনার জন্য আমাকে পাঠানো হলো। বিমানবন্দরেই পেয়ে গেলাম জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আবদুর রাজ্জাক আর জয়া আপুকে (অভিনেত্রী জয়া আহসান)। তাঁরা বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তারকা অতিথি হয়ে যাচ্ছেন। জয়া আহসানের সঙ্গে আগে চোরাবালি সিনেমায় কাজ করলেও এত গল্প হয়নি। আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য তাঁর চেয়ে ভালো কেউ হতে পারে না। আর রাজ্জাক ভাইও অসাধারণ মানুষ।
ইংল্যান্ড নেমে যা দেখলেন:
ওভাল- কেনিংটন বিশ্বকাপের সাজে সজ্জিত। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাকিংহাম প্যালেসে গেলাম। কাছে গিয়ে দেখলাম জয়া আহসান আর আবদুর রাজ্জাক সকাল থেকে উপস্থিত। ঠান্ডায় সবার অবস্থা কাহিল। সবার হাতে কফির মগ। ঢুকতেই কাকে যেন দেখলাম খুব পরিচিত। ও মাই গড! ব্রেট লি। ছোটবেলাতে যখন খেলা বুঝতাম না, তখন থেকেই তাঁকে খুব ভালো লাগত। ছবি তুলতে কিন্তু ভুল করিনি। পাশেই ফারহান আক্তার, মালালা ইউসুফজাই। এ রকম আরও অনেকে। ভাবলাম, এখানে কমপক্ষে একজনের সাক্ষাৎকার নিতেই হবে। যদিও তাঁরা সবাই খুব ব্যস্ত। কার নেওয়া যায়? তখনই চোখ পড়ল স্যার ভিভ রিচার্ডসের ওপর। তিনি এত বিনয়ী, অবাক না হয়ে পারলাম না। তাঁকে বললাম, আমি পিয়া, বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় হবে কি না। তিনি তখনই বললেন, ‘অবশ্যই।’ তিনি জানালেন, বাংলাদেশ খুব ভালোই করছে। এই কথোপকথনের পর ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে প্রায় এক সপ্তাহ পরে আবার দেখা হলো। তখন বললেন, ‘মিস বাংলাদেশ কেমন আছ?’ বিদেশের মাটিতে এমন সম্মান কজনই পায়।
ইংল্যান্ডের শহরগুলো:
ইংল্যান্ডের শহরগুলো বেশ চমৎকার লেগেছে। আমি আশার আগে টেনশনে ছিলাম যে, দেড় দুই মাস আমি কিভাবে দেশের বাইরে থাকবো। কারণ আমি বেশিদিন দেশের বাইরে থাকতে পারি না। একেবারেই পারি না। অনেক ট্রাভেল করি। কিন্তু বেশিদিন থাকতে পারি না। এখানকার আবহায়ওয়া চমৎকার। আমার ডারহাম খুব ভালো লেগেছে। ছোট শহর, কিন্তু ক্ল্যাসি একটা শহর। কী অসাধারণ শহর! ছবির মতো সাজানো। ছোট ছোট পুরনো সব বাড়ি, দেখতে অসাধারণ। পাহাড় ঘেরা শহর। সত্যিই অদ্ভুত সুন্দর এই শহরটি। সাউদাম্পটনের রোজ বোল স্টেডিয়াম অসাধারণ। ওখানকার আবহাওয়াও চমৎকার। ছেলেমেয়ে সবাই দারুণ স্মার্ট। সাউদাম্পটনের চেয়ে ডারহাম শহরটা খুব ছোট। ইংল্যান্ডে গেলে লন্ডনেই তো বেশি যাওয়া হয়। এইসব ছোট শহরে আগে খুব একটা যাওয়া হয়নি। এবার ঘুরে ঘুরে অনেক জায়গায় প্রথমবারের মতো যাওয়া হলো। স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গও খুব ভালো লেগেছে। আমরা অনেক ঐতিহ্য ইতিহাস বইতে পড়েছি পেপার বা টিভিতে দেখেছি। সেসব আসলে বাস্তবে ইংল্যান্ডের সেসব শহরে পাওয়া গেছে।
ধারাভাষ্যকরদের সঙ্গে সম্পর্ক:
সবার সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। অনেক দিনের জার্নি। তাদের মধ্যে যাদের কথা বলতে হয়, সাইমন ডল, হার্শা ভোগলে, মাইকেল হোল্ডিংকে একটু বেশি ভালো লেগেছে। মাইকেল হোল্ডিংকে তো সবসময় ফলো করি। মাইকেল হোল্ডিংয়ের ধারাভাষ্য আমার খুব ভালো লাগে। উনি যখন কথা বলেন, কখনোই একঘেয়েমি লাগে না। আমি তার ধারাভাষ্য মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনি। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হই। আমিও চাই তার মতো করে বলতে, যেন কারও বোরিং না লাগে। আমি চাই মানুষ যেন আমার উপস্থাপনা উপভোগ করতে পারেন। নেতিবাচক কিংবা ইতিবাচক যাই বলুক, তবুও যেন বলে। গল্পের মতো করে হোল্ডিং ব্যাখ্যা করেন। এটাই আসলে শ্রোতারা শুনতে চান। আমিও নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করছি। মাইকেল ক্লার্ক একটু বেশি মুগ্ধ করেছে, হয়তো সে গুড লুকিং তাই (হাসি)।
মায়ান্তি ল্যাঙ্গার ও জয়নব আব্বাসের সঙ্গে সখ্যতা:
মায়ান্তি ল্যাঙ্গার কিংবা জয়নব আব্বাস দুজনই খুব ভালো মানুষ। তাদের সঙ্গে সময়টা খুব ভালো কাটছে। দুইজনের উপস্থাপনা তুলনা করলে মায়ান্তি অসাধারণ। তার উপস্থাপনায় দারুণ কিছু ব্যাপার আছে। আমার মনে হয় সে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা নারী উপস্থাপক।
চ্যালেঞ্জ:
সবচেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জটা ছিল, কোন রেস্ট পাইনি। প্রত্যেকদিন আমাদের ম্যাচ কাভার করতে হয়েছে। তাও একটা সিটি থেকে অন্য সিটিতে দৌড়াতে হয়েছে। এটা বেশ কঠিন ছিল। এই ট্রাভেলের মধ্যে নিজেকে সুন্দর কওে প্রেজেন্ট করা আরো কঠিন ছিল। এটাও একটা চ্যালেঞ্জ ছিল যে এত বড় একটা দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। সেটা যেন প্রপারভাবে করতে পারি। আমি চেষ্টা করেছি প্রপারলি করার।
বাংলাদেশ সম্পর্কে গ্রেট প্লেয়ারদের মন্তব্য:
সত্যিই আমার জন্য এটা গ্রেট অপরচুনিটি। ওয়াসিম আকরাম, সৌরভ গাঙ্গুলি, মাইকেল ক্লার্ক, ব্রায়ান লারা, ওয়াকার ইউনুসদের সঙ্গে বসে থাকছি। তাদের সঙ্গে কথা বলছি, কাজ করছি। ক্রিকেট ভক্তরা যাদের ব্যাপারে অন্ধ, তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারছি। এই বয়সে এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। সত্যি কথা বলতে, আমার জন্য গ্রেট অভিজ্ঞতা। প্রত্যেকেই খুব ভালো মন্তব্য করেছেন। নানা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। স্পেশালি সৌরভ গাঙ্গুলির কথা বলতে হয়। তিনি নানাভাবে প্রশংসা করতেন। এটা বলাটা ঠিক হবে কিনা জানি না, বাংলাদেশ যেদিন ভারতের কাছে হেরে গেল। তার খুব মন খারাপ হয়েছে। তার মুখ দেখে সেটা স্পষ্ট বোঝা গেছে। তিনি বাংলাদেশ থেকে আরেকটু ফাইট আশা করেছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলিকে আমরা বরাবরই দেখেছি তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে যথেষ্ঠ পজিটিভ। তিনি মনে করেছিলেন ম্যাচটা আরো প্রতিযোগিতামূলক হবে। সাইমন ডলের কথা বলতে হয়, কোন ম্যাচের সময় তিনি আর আমি দাড়িয়ে খেলা দেখছিলাম। শ্রীলঙ্কা খুব বাজেভাবে হেরে যাচ্ছিল। হেরে যাওয়ার পরও শ্রীলংকার সাপোর্টাররা গান গাচ্ছিল। সুন্দর কওে সাপোর্ট দিচ্ছিল। আমি আর সাইমন ঢুল তা দেখছিলাম। আমি বলছিলা, শ্রীলংকার ফ্যানরা এত পজিটিভ। এত বাজেভাবে হেরে যাচ্ছে তাও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে যা দেখার মতো। তখন তিনি বলছিলেন, তোমাদের ফ্যানরাও বেশ ভালো। বাংলাদেশের খারাপ সময়ও তারা বেশ পজিটিভলি সাপোর্ট দিয়েছে। আমি তখন বলছিলাম, তারা সমালোচনাও কম করে না। তখন তিনি হাসছিল।
নতুন বন্ধু:
এখানে এসে অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে। একজন ব্যারিষ্টারের সঙ্গে বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে, উনি হচ্ছেন ব্রিটিশ। একজন পকিস্তানি কমেডিয়ান কিন্তু লন্ডনে থাকেন। তার সঙ্গে বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে। ইন্ডিয়ান একজন প্রেজেন্টার আছে রিদ্ধিমা, তার সঙ্গেও বেশ ভালো সম্পর্ক হয়েছে।
ক্রীড়া উপস্থাপনায় বাংলাদেশের অবস্থান:
আমি আসলাম প্রথমবারের মতো। বাংলাদেশ থেকে কেউ প্রথমবারের মতো মাঠ থেকে সরাসরি উপস্থাপন করলো। উন্নতির তো শেষ নেই। এরজন্য আসলে আমরা কতটা প্রাকটিস করতে পারি সেটাও একটা বিষয়। যেমন আমি ফাইনালের পরে আরো কিছুদিন থেকে যাবো লন্ডনে। কিছু কোর্স করে তারপর যাবো। উন্নতি আর ভালোর কোন শেষ নেই। ক্রিকেট বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। আমার মনে হয় এটাকে লক্ষ্য করেও অনেকে উপস্থাপনায় আসতে পারেন।
প্রথমবারের মতো আমি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমাকে দেখে নতুন নতুন মেয়েরা যেন আসে। ক্রিকেট এমন একটা জায়গায় চলে গেছে, এটাকে পেশা হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। এজন্য নিজের কিছু প্রস্তুতি জরুরি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবকিছু এমনভাবে উপস্থাপনা করতে চাই, যেন মানুষ লাইভ দেখার অনুভূতি পায়। আমার উপস্থাপনায় মানুষ যেন এন্টারটেইন হয়, একঘেয়ে যেন না হয়।
প্রতিবন্ধকতা:
কোন প্রতিবন্ধকতাই ছিল না। বাংলাদেশ থেকে গিয়েছি। সবাই খুব সম্মান দিয়েছেন। সবাই মিস বাংলাদেশ বলে সম্বোধন করতেন। তবে প্রতিবন্ধকতার বিপরীতে বলতে হয় আমার খুব স্টাডি করতে হয়েছে। যাতে প্রতিবন্ধকতা না আসে। মাঠ, স্থান, খেলোয়ার, পূর্ব ইতিহাস নিয়ে অনেক স্টাডি করেছি। ম্যাচশেষে সব সময়ই আমাকে খেলোয়াড়দের ইন্টারভিউ নেওয়া লেগেছে। কিন্তু হেরে যাওয়া দলের খেলোয়াড়দের ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কেননা, হেরে যাওয়া দলের খেলোয়াড়দের প্রশ্ন করার ব্যাপারে আমাকে সচেতন থাকতে হয়। এমন কোনও প্রশ্ন যেন না হয়, যেটাতে ওই খেলোয়াড় ব্যথিত কিংবা বিব্রত হয়। এই কাজটা আমার জন্য কঠিন ছিল।
ভালো মুহুর্তগুলো:
যাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে শচিন টেন্ডলকার, ব্রায়ান লারা, ওয়াসিম আকরামদের মতো লিজেন্ডদের সঙ্গে দেখা হয়েছে কথা হয়েছে। তারা কেন লিজেন্ড তা কথা বলেই বোঝা যায়। অনেক বড় বড় মানুষ তারা। অন্যকে প্রশংসা করার মতো অদ্ভূত সুন্দর গুন রয়েছে। সব মিলিয়ে এত চমৎকার অভিজ্ঞতা আমার আর কখনো হয়নি। আমরা যদি রেজাল্টটা নিয়ে আসতে পারতাম। তাহলে আমার যে উপভোগ্য সময়, সেটা মনে হতো সারাদেশের মানুষেরও হতো। সেই ফিলটা হতো।
শেষে বলতে হয়:
আমি বিশ্বাস করি আমরা ৮ নাম্বারে যাওয়ার মতো দল নয়। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সমালোচনা করছে হয়তো। কিন্তু আমরা আবার এমনই জাতি। আরেকটা জয় পেলে ভুলে যাবো বিশ্বকাপের ব্যার্থতা। আর সেটা আশা করি বাংলাদেশ আবার খুব শিঘ্রই পেতে যাচ্ছে। নতুন একটা ট্যুর জিতে আসলেই বাংলাদেশ আবার প্রশংসা পাবে। আর প্লেয়ারদের ফ্যামিলি নিয়েও কিছু বলা ঠিক নয়।
স্পোর্টস উপস্থাপনা:
স্পোর্টসে উপস্থাপনা করাটা বেশ আনন্দের, চ্যালেঞ্জও বটে। তবে আমি এখানে ক্যারিয়ার গড়বো এই চিন্তা করে আসিনি। ক্যারিয়ারের কথা ভাবলে, আইনজীবী কিংবা ব্যবসা নিয়ে মনোযোগী হতাম। দুটো অপশনই আমার ছিল এবং এখনও আছে। তবে আমি সব সময়ই প্রাধান্য দিয়েছি আমার ভালো লাগাকে। স্পোর্টস ঘরানায় আসার পেছনে বিশেষ কারও অবদান কিংবা অনুপ্রেরণা বলতে গেলে আমান আশরাফ (গাজী টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক) ভাইয়ের কথা বলতেই হবে। উনি একদিন আমাকে বলছিলেন, আমরা প্রতিবছর কিছু হলেই বিদেশ থেকে মেয়েদের নিয়ে আসি। সেটা আন্তর্জাতিক হোক আর লোকাল কিছু হোক। তুমি নিজেকে প্রস্তুত করো। আমাদের এখানে কি স্মার্ট মেয়ে নেই? আমাদের কেন বাইরে থেকে মেয়ে নিয়ে আসতে হবে উপস্থাপনার জন্য?
তখন আমি ভাবলাম, সেই মেয়েটা আমি কেন নই! মনে হলো, ক্রিকেটের এই জায়গায় উপস্থাপক হিসেবে আমিও কাজ করতে পারি। খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে, যারা পছন্দকে পেশা হিসেবে নিতে পারে। আমি ক্রিকেট পছন্দ করতাম, সেই পছন্দের জায়গাতেই কাজ করতে পারছি এখন।
বাংলাদেশ দলের দুর্বলতা:
আমার মনে হয় বাংলাদেশ দলের কোন দুর্বলতা নেই। দুর্বলতা হলো সমালোচকদের। কারণ বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছে, সেখান থেকে এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ারই কথা। বাংলাদেশ দলে যে নিয়মিত উন্নতি হচ্ছে। সেটা এই টুর্নামেন্টেও চোখে পড়ে। স্পেশালি সাকিব আল হাসানের কথা বলতে হয়। মুস্তাফিজও ভালো বল করেছেন। মুশফিক তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেছেন। সাকিব আসলে এতটাই ভালো পারফর্মেন্স করেছেন যে অন্য কারোটা চোখে পড়ে না। অতিদানবীয় পারফর্মেন্স করেছেন সাকিব। নতুনদের মধ্যে আমরা সাইফউদ্দীনকে পেলাম। আসলে বাংলাদেশের ভাগ্যটাও কিছুটা খারাপ ছিল। কিছু ফিল্ডিং মিস আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলেছে। শেষের দুইটা ম্যাচ টস হেরে বিপদে পড়তে হয়েছে। আল্টিমেটলি রেজাল্টটা পাইনি আমরা। ৮ নাম্বারে এসেছি আমরা। কিন্তু আমরা ৮ নাম্বারে যাওয়ার মতো দল নয়। আমাদের সেমি ফাইনালে যাওয়ার মত দল ছিল। অন্য বড় দলগুলোও যেমন ছিটকে পড়েছে। আমরাও তেমন ছিটকে পড়েছি। পুরোটা সময় জুড়েতো চোখের সামনে দেখেছি। আসলে তাদের কিছু ম্যাচ পরাজয় কেন হয়েছে বলার ভাষা নেই। যখন হেরে গিয়েছে আসলে এতটাই আবেগ কাজ করেছে।
দেশে ফেরা:
২২ তারিখ ফেরা হবে। আমি কোর্স করছি কমিউনিকেশন এবং টিভি প্রেজেন্টেশনের উপরে। এই কারণেই বিশ্বকাপ শেষেও থাকা হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি চিত্রনায়িকা বুবলী ও শাকিব
খানের ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনে সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যমে বুবলীর একটি স্ট্যাটাসকে
কেন্দ্র করে পরী
ও বুবলীর মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা যায় সোস্যাল মিডিয়ায়। দুজনের একের পর এক স্ট্যাটাস ও পাল্টা
স্ট্যাটাস তর্কযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ফেসবুক।
এদিকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ছেলে শামসুদ্দিন ফারিশের প্রথম জন্মদিন আজ। তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরী মনি। লিখেছেন, ‘হ্যাপি বার্থডে মানিক চাঁদ আমাদের। তুমি মায়ের চোখের মণি হয়ে থাকো ফারিশ বাবা। আমরা সবাই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’
গত মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন মাহি। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে আলাদাই থাকছেন এই
নায়িকা। ছেলেকে নিয়েও ফেসবুকে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। এখন নিজের লুক
বদলাচ্ছেন অভিনেত্রী। ব্যস্ত হয়েছেন ক্যারিয়ার নিয়ে। এরই মধ্যে পর্দায় ফেরার প্রস্তুতি
নিয়েছেন তিনি।
পর্দায় ফেরা প্রসঙ্গে মাহি বলেন,
ভালো প্রস্তাব পেলে আর ফিরিয়ে দেবেন না। এর কারণও অবশ্য রয়েছে। বিয়ের পর বেশ কিছু সিনেমার
প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে এখন ক্যারিয়ারে মন দিতে
চান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর
গাজীপুরের রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন তিনি। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের ফারিশ নামে
এক বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে স্বামী রাকিব
সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের
ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাহি। পাঁচ বছর সংসারের পর বিচ্ছেদ
হয় তাদের।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি বেশ ঢাকঢোল বাজিয়ে বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা
ফারহান আহমেদ জোভান। সেই বিয়েতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী সাফা কবির।
অথচ এখন শোনা যাচ্ছে তাদের ‘অনন্ত প্রেম’র গুঞ্জন!
সদ্য দুজনেই জুটি বেঁধে শেষ করেছেন ‘অনন্ত প্রেম’-এর শুটিং। আসছে
ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে বিশেষ এই নাটকটি লিখেছেন ও বানিয়েছেন মহিদুল মহিম।
নাটকটির নিয়ে নির্মাতা জানান, ‘এই গল্পের নায়ক জিসান। কক্সবাজারে
নিজের দোকানে বসে কেক তৈরি করে এবং বিক্রি করে। ছোটবেলায় জিসানের মা মারা যায়। তার
মা-ও খুব ভালো কেক তৈরি করতো। তাই মায়ের স্মৃতি ধরে রাখতেই জিসান কেকের বিজনেস করার
সিদ্ধান্ত নেয়।
গল্পের নায়িকা স্নেহা। জিসানের কেক রেস্টুরেন্টে আসে। স্নেহার শখ
ছবি তোলা। খুব সুন্দর পোশাক পরে সাজানো রেস্টুরেন্টে জিসানকে কেক বানাতে দেখে মুগ্ধ
হয়ে ছবি তোলে স্নেহা। আর সুন্দরী স্নেহার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় জিসান।’
নির্মাতা আরও বলেন, ‘বুঝতেই পারছেন, গল্পের এই পর্যায়ে জিসান-স্নেহা
প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করে। গল্পটা মূলত শুরু হয় এখান থেকে। ক্রমশ জড়ায় পারিবারিক
জটিলতায়। শেষটা জানতে দেখতে হবে ঈদ উৎসবে পুরোটা।’
‘অনন্ত প্রেম’ নাটকটি সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে আসছে ঈদ উৎসবে মুক্তি
পাবে।
অনন্ত প্রেম জোভান আহমেদ সাফা কবির
মন্তব্য করুন
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সদ্যই টিকিট পেয়েছেন বলিউডের আলোচিত
অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির হয়ে আসন্ন নির্বাচনে লড়বেন অভিনেত্রী।
এরই মধ্যে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়ে গেছেন তিনি। যদিও বলিউডে অনেকটাই নড়বড়ে অবস্থায়
রয়েছেন কঙ্গনা।
একের পর এক ফ্লপ সিনেমার পর অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার নিয়েই সংশয় দেখা
দিয়েছে। তবে কঙ্গনার মতে, খারাপ সময় যতই যাক, আবারও সাফল্যের ধারায় ফিরবেন
তিনি। সেই সঙ্গে নিজেকে শাহরুখ খানের সঙ্গে তুলনা করে তারকাদের জেনারেশনের
‘শেষ তারকা’ হিসেবেও দাবি করলেন কঙ্গনা।
সম্প্রতি ‘টাইমস নাও সামিট’-এ উপস্থিত ছিলেন কঙ্গনা। সেখানেই বিভিন্ন
কথোপকথনে নিজেকে এবং শাহরুখ খানকে তারকাদের শেষ প্রজন্ম বলে মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম
দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
কঙ্গনা বলেন, ‘আমি এবং শাহরুখ খান তারকাদের শেষ প্রজন্ম। ওটিটি
কখনো তারকা তৈরি করতে পারে না। আমরা পরিচিত মুখ। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমাদের অনেক চাহিদা
রয়েছে। শুধু টিকে থাকার জন্য ওটিটিতে আসতে পারব না।’
গত কয়েক বছরে একের পর এক সিনেমা বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছে কঙ্গনার।
নিজের ব্যর্থ সিনেমা প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, “পৃথিবীতে এমন কোনো অভিনেতা নেই, যার ফ্লপ
সিনেমা নেই। শাহরুখ খানের ১০ বছর কোনো হিট সিনেমা ছিল না।
কিন্তু ‘পাঠান’ বক্স অফিসে হিট হয়। ৭-৮ বছর আমার কোনো হিট সিনেমা
ছিল না। কিন্তু ‘মণিকর্ণিকা’ বক্স অফিসে হিট হয়। এরপর তিন-চার বছর কোনো হিট সিনেমা
উপহার দিতে পারিনি। এবার ‘ইমার্জেন্সি’ আসছে, আশা করছি এটি ভালো সাড়া ফেলবে।”
সর্বশেষ কঙ্গনাকে দেখা গেছে ‘তেজাস’-এ। গত বছরের ২৭ অক্টোবর মুক্তি
পায় সিনেমাটি। ৭০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে। আয় করে মাত্র
সাড়ে ৫ কোটি রুপি। সামনে অভিনেত্রীকে দেখা যাবে ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমায় ইন্দিরা গান্ধীর
চরিত্রে। এটি পরিচালনাও করছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভোটের মাঠেও সরব হচ্ছেন অভিনেত্রী।
শাহরুখ খান কঙ্গনা রানাওয়াত বলিউড
মন্তব্য করুন
সৌদি ইউনিভার্স মঞ্চ পতাকা রুমি আলকাহতানি
মন্তব্য করুন
এবার সৌদি আরবের পতাকা হাতে মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে দেখা যাবে এক
২৭ বছর বয়সী মডেলকে। ইতিহাসে তিনিই প্রথমবার সৌদির পতাকা হাতে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার
এই মঞ্চে উঠতে যাচ্ছেন।
রুমি আলকাহতানি নামের ওই মডেলের ইন্সটাগ্রামে অনুসারীর সংখ্যা ১০
লাখ। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, তিনি বিশ্ব সুন্দরীদের মঞ্চে তার দেশকে উপস্থাপন করতে
যাচ্ছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘আমি মিস ইউনিভার্স ২০২৪ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে
সম্মানিত বোধ করছি। এই প্রতিযোগিতায় এটাই সৌদি আরবের অভিষেক।’
এই ছবির সাথেই তিনি সৌদি আরবের পতাকাসহ নিজের ছবি প্রকাশ করেছেন।
আলকাহতানি রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি এর আগেও বেশ কয়েকটি সুন্দরী
প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন