কালার ইনসাইড

তারকাদের চোখে ঈদের সেরা নাটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ২১ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

শুধু সাধারণ দর্শক নয়। তারকারাও তার সহকর্মীর কাজ দেখতে চোখ রাখে টেলিভিশনে। এবার ঈদে আলোচিত নাটকের পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা জানালেন তাদের কি ভালো লাগলো।

আশফাক নিপুন:

প্রথমটি বলবো মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘কেস ৩০৪০’। এটি ভালো লাগার প্রথম কারণ হচ্ছে অপি করিম। অপি আপাকে নিয়ে আমি যে ধরনের কাজ করি। আমি যেভাবে চিন্তা করি। অপি আপার এখানে ক্যারেক্টারটা ছিল পুরোপুরি বাইরের। এগুলো আমরা নর্মালি দেখছি বাইরে হয়। আমি অপি আপাকে কোনভাবে হেয় করছি না। কিন্তু ওনার যে এইজ আছে। এটাকে প্রপারলি ব্যবহার করা। ওনার যে এইজ, উনি চাইলেই তো কলেজ স্টুডেন্ট হতে পারবে না। আমার কাছে মনে হয়েছে গল্পটাতে উনি প্রপারলি খাপ খেয়েছেন। এমনিতেই আমি অপি আপার ফ্যান। তারপরে যখন ওনাকে পুলিশ অফিসারের ক্যারেক্টারে দেখেছি তখন সেটা বেশ ভালো লেগেছে। ভারতে রানী মুখার্জি, শেফালী শাহদের এমন চরিত্র করতে দেখেছি। যেসব দিক বিবেচনায় এই কাজটি আমার বেশ ভালো লেগেছে। প্রথম কারণ অপি করিম হলে দ্বিতীয় কারণ মিজানুর রহমান আরিয়ান। কারণ এই পরিচালককে আমরা যেভাবে দেখি, ওনার এই ঈদে মনে হয় সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে লাইফ ইন্সুরেন্স নাটকটা। কিন্তু আমি ওই আরিয়ানকে চিনি। অপূর্ব ও মিথিলাকে নিয়ে যে গল্পটা করেছেন ‘লাইফ ইন্সুরেন্স’। ওইটা আমি আগেও দেখেছি। ওটা তো আরিয়ান পারে। তার নিজস্বতা থেকে বের হয়ে যে ডিডেক্টিভ থ্রিলার স্টোরি করেছেন কতটুকু পেরেছেন কি পেরেছেন ওটা তো সময় বলবে। কিন্তু আমার কাছে আগ্রহের জায়গাই ছিল ওইটা যে যখন কোন ডিরেক্টর নিজের কমফোর্ট জোনটা ভেঙ্গে অন্য কিছু করেন। এই কাজটা নিয়ে প্রচারের আগে থেকেই আমি এক্সাইটেড ছিলাম। সেটা দেখার পরও আমার ভালো লেগেছে। কিছু কিছু জায়গায় প্লট হোল আছে। কিন্তু এই কাজটা একটা বড় কাজ। আর্টিস্ট পছন্দ থেকে ক্যামেরার কাজ সবকিছুই প্রপার হয়েছে। কোন কার্পণ্য করেননি পরিচালক। অনেক সিনিয়র আর্টিস্টদের নিয়েছে। 

শাফায়াত মনসুর রানার ‘আমাদের সমাজ বিজ্ঞান’। রানার কাজ এমনিতেই আমার ভালো লাগে। এখানেও আমি একই কথা বলবো। রানাকে আমরা প্রায় সময়ই দেখি জন অপর্নাকে নিয়ে কাজ করতে। এখানে যে গল্প সেখানে জন অর্পনাকে ধরেই নায়। ও নিলো নতুন একটা ছেলে ইয়াশ রোহানকে। ইয়াশের সঙ্গে আমি অনেক কাজ করেছি। এবার ঈদেও করেছি। এই কাজটিতে অনেক প্লট হোল আছে। যেমন লাস্টে আমার মনে হয়েছে রানার ভয়েসটা দেওয়া মনে হয়েছে দরকার ছিল না। সেটা আমি রানাকে পার্সোনালি বলেছিও। রানারটা ভালো লেগেছে কোন জায়গা থেকে। ওর গল্পটায় কামিং অব এইজ বলে একটা ব্যাপার আছে। কোন ওভার ড্রামাটিক না। একদমই এখনকার ছেলে মেয়েদের সঙ্গে মিলাইয়া করা। জিনিসটা এমনভাবেও ধরেনি যে একদম নেগেটিভিটির চরমে নিয়ে গেছে। খুবই থার্ড এক বিবেচনা থেকে ও ক্যারেক্টারটা দেখাইছে। আমি ‘এই শহরে’ নিশো- মেহজাবিনের ক্যারেক্টারটা ক্রিয়েট করেছি। আমার মনে হয়েছে ইয়াশের ক্যারেক্টারটা ও ক্রিয়েট করেনি। ইয়াশ ওর পাশের বাসায় ছিল। ও জাস্ট ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে ওকে তুলে এনেছে। এমন নাযে ওই ক্যারেক্টারের ভিতর এইসেই বৈশিষ্ট থাকবে। এভাবে ও করেনি। ও খুবই ক্যাজুয়াল স্টাইলে করে গেছে। এই সময়ে আমরা কি ফিল করতেছি সেটা ও খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে। সাউন্ড খুবই ভালো ছিল। আমি আসলে এখন দেখতে গেলে ব্যাকগ্রাউন্ডটাও খুব বিবেচনায় নেই। সেটা বিবেচনাতেও খুব ভালো কাজ হয়েছে। ‘আমাদের সমাজ বিজ্ঞান’ আমি পুরো বিরতীসহ দেখেছি। আমি একবারের জন্যও উঠিনি কাজটি দেখার সময়।

শাফায়াত মনসুর রানা:

অন্য কারো নাটক নিয়ে বলার মতো যোগ্যতা আমার আছে কিনা জানি না। তারপরও যখন প্রশ্ন করা হয় তখন সাধারণ দর্শক হিসেবে পছন্দেও কথা বলতে পারি। ভালো লাগা খারাপ লাগাটা শেয়ার করতে পারি। কয়েকটি নাটকই আমি দেখছি। এর মধ্যে দুইটা নাটক আমার একটু বেশি ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে এই দুইটা নাটকের অনেক কিছুই আগে দেখিনি।

একটা হলো ইফতেখার আহমেদ ফাহমির ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ়’। সামাজিক প্রেক্ষাপটেরই গল্প। তবে গল্পটার প্রেজেন্টেশন ভিন্ন ছিল। গল্পটায় একটা চমক আছে। এক লেয়ারের না গল্পটা। গল্পটা নিয়ে ভাবনার জায়গা আছে। ওভারঅল সবকিছু মিলিয়ে একটা প্রডাকশন দেখার যে আনন্দ সেটা এটায় পেয়েছি। অভিনয় নিয়ে বলতে গেলে তিশা, চঞ্চল গুনী শিল্পী। তারা ভালো করে এবং এটাতেও করেছেন। এখানে যে বিষয়টা, ফাহমি ওনার মতোই অভিনয়টা বের করে নিয়েছেন। নাটক বা তাদের অভিনয় দেখলে আর কেউ যদি এই পরিচালকের আগের কিছু কাজ দেখে থাকেন। তাহলে একবারে বলে দিতে পারবেন এটা ফাহমির নাটক। জিল্লুরও ভালো অভিনয় করেছেন। নাটকটির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়ে একটা ভালো মানের কাজ হয়েছে। গল্পটার ভিতর একটা কিউরিসিটি বিল্ড আপ করাটা ছিল কাজটার বেস্ট পার্ট। গল্পটা ফ্লপি, কিন্তু তারপরও সেখানে একটা কিউরিসিটি ছিল যে বাচ্চাটাকোথা থেকে আসলো কিভাবে আসলো। লজিক্যাল ইললজিক্যাল যেটাই হোক বাচ্চাটাকে নিয়ে একটা ভালো টার্ন ছিল। শেষে মেসেজটাও ইনডাইরেক্টলি দেওয়াটাও আমার কাছে ইন্টেরেস্টিং লেগেছে। ফাহমি অনেকদিন পর ভালো প্রডাকশন নিয়ে ব্যাক করেছেন। এটাও আমাদের এবার ঈদের নাটকের বড় পাওয়া। তিনি যদি রেগুলার প্রডাকশন নির্মাণ করেন তাহলে বাজারে যা ঘটতেছে সেখান থেকে কিছুটা হলেও বেটার কিছু হবে।

আশফাক নিপুনের ‘এই শহরে’। এর গল্পটা ভালো। তবে যেটা একটু বেশি ভালো লেগেছে সেটা হলো নিশোর অভিনয়। নিশোর অনেক নাটক চোখে পড়ে, সেখানে কেমন লাগে আর আশফাক নিপুনের কোন কাজে তাকে কেমন লাগে সেটা আমি আশা করি সে নিজেও জানে। উনি যে লেভেলের অ্যকটিং করতে পাওে সেটা তিনি মনে হয় সাবান বানানোর মতো করে ফেলছেন। ওনার যে অ্যকটিং স্কিল সেটা মনে হয় এই নাটকটায় আবার দেখতে পেরেছি। উনি যে কত অসাধারণ অভিনয় করতে পারেন সেটা এই নাটকটায় দেখতে পেরেছি। গল্পে কিছু প্লট হোল ছিল। সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কাজ করার জন্য পরিচালককে সাধুবাদ। তবে গল্পটা যে কারণে আমাকে শেষ পর্যন্ত দেখতে বাধ্য করিয়েছে তা হলো নিশো। তার প্রত্যেকটা মোমেন্টের দিকে চেয়ে ছিলাম। তার ছোট ছোট এক্সপ্রেশন, ডায়লগ ডেলিভারি সবকিছুই নাটকটিকে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। আর মেহজাবিন ভালো করেছেন। তার যেটা বেটার পার্ট, সে এখন অ্যাকটিং নিয়ে খুবই সিরিয়াস। সে যে যেকোন চরিত্র খুব যত্ন নিয়ে করতে চায় সেটা এই নাটকটি দেখলেও বুঝা যায়। তবে আরো ভালো করতে হবে। কারণ কিছু কিছু জাগায় সে মিক্স টোনে কথা বলছিল। এই জায়গা গুলোতে সে আরেকটু সতর্ক হলে আমার মনে হয় সময়ের থেকে সে একটু এগিয়ে যাবে। আর মেহজাবিন কিংবা নিশো তাদের এই নাটকে ভালো কিছু বের করার প্রশংসা তো অবশ্যই পরিচালককে দিবো।

মাবরুর রশীদ বান্নাহ:

তৌহিদ আশরাফের ‘কিটনাশক’। ঈদে বেশিরভাগ সময়ই রোমান্টিক না হয় কমেডি নাটকই হয়। সেখানে অফট্রাক স্টোরি নিয়ে স্টোরি খুবই কম হয় আমাদের দেশে। অফট্রাকের জায়গা থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে এটা একটা ভিন্ন গল্প। এই পরিচালক অপেক্ষাকৃত নতুন ও অপরিচিত। কিন্তু ওর গল্প বলার ধরণটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ওর উদ্দেশ্য সৎ ছিল। গল্প বলার ক্ষেত্রে ও নতুন ঢংটা তৈরী করতে চেয়েছে। ঈদে সবাই হিট প্রডাকশন বানানোর জন্য রোমান্টিক বা কমেডি জনরাতেই কাজগুলো করে। সেখান থেকে ‘কিটনাশক’ এর গল্প বলার ধরণটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। মুশফিক ফারহানও বেশ ভালো অভিনয় করেছেন। একই সঙ্গে নাটকে তার দুই রুপ দেখা গেছে। যেটা সে বেশ ভালোভাবেই করতে পেরেছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।

মোরসালিন শুভর ‘রাজন দ্যা কিং’ নাটকটিও ভালো লেগেছে। একজন খেটে খাওয়া মানুষ কিভাবে পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনেক খারাপ কিছু হয়ে যেতে পারে। সেটা হয়তো অনেক সময় বাংলা ছবিতে আমরা দেখেছি। কিন্তু নাটকে খুব রিয়েলিস্টিক ওয়েতে এ ধরনের গল্প খুব কমই আমার চোখে পড়েছে। সাধারণ এক ছেলে। বস্তিতে বেড়ে উঠা। বেড়ে উঠাটা বেশ হাবগোবা হয়েই। সেই ছেলেটি হয়ে উঠে শহরের ত্রাস। হয়ে উঠে চাঁদাবাজ আর আন্ডার ওয়ার্ল্ড জগতের ডন। কিন্তু কেন ছেলেটি ডন হয়ে উঠেন। হয়ে উঠেন ভয়ংকর? কে তাঁর গডফাদার, কে তাঁকে নিয়ে এলো এই অন্ধকার জগতে এবং কেনই বা মোশাররফ করিমরা শীর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে ওঠেন। অপূর্ণ রুবেলের চিত্রনাট্যে টেলিফিল্মটির পরিচালক মুরসালিন শুভ। মোশাররফ করিম এর মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। মোশাররফ ভাই তো দুর্দান্ত অভিনয় করেছেনই সঙ্গে শামিম হাসান সরকার, অর্ষাসহ অভিনয়শিল্পীরা বেশ ভালো অভিনয় করেছেন। 

মৌসুমী হামিদ:

মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘সাবলেট’ নাটকটা খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে অপূর্ব ভাইয়া আর পূর্ণিমা আপুর অভিনয়। কিছু কিছু নাটক আছে না যে দেখা শেষেও রেশ থেকে যায়। এটা সে ধরনের একটা গল্প ছিল। আর নাটকটি দেখতে গিয়ে মনের মধ্যে বারবার মোচড় দিয়েছে, শুন্যতা তৈরী হয়েছে। পূর্ণিমা আপুর ছোট ছোট এক্সপ্রেশনগুলো আমাকে ভীষণ টাচ করেছে।

আরেকটির কথা বলবো মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘বুক ভরা ভালোবাসা ২’। শবনম ফারিয়ার অভিনয় আমার এমনিতেই ভালো লাগে। ওর ‘বুক ভরা  ভালোবাসা’ দেখেছিলাম। এর সিক্যুয়েলটাও ভালো লেগেছে। ফারিয়া ও তৌসিফ খুবই ভালো অভিনয় করেছে। এই গল্পটাও আমার খুব আপন মনে হয়েছে। সহজ সরল গল্প, সাধারণ দর্শক হিসেবে আমার ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের পরিবারগুলো সুখী হোক, পরিবারের স্বামী স্ত্রীর যে বোঝাপড়া সেটা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

অর্ষা

শাফায়াত মনসুর রানার ‘আমাদের সমাজ বিজ্ঞান’ আমার খুব ভালো লেগেছে। আমাদের সমাজের এই সময়ের ক্রাইসিস গুলো খুব একটা ইয়ং ছেলের মধ্য দিয়ে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আসলে নাটকটি দেখে মনে হবে ওই চরিত্রটা আমি ও আমার মতো আরো যারা এই সমাজকে নিয়ে ভাবে। শাফায়াত মনসুর রানার গল্প বলার ঢংটা আমার খুব পছন্দ। বরাবরের মতোই ওনার কাজে একটা আলাদা ব্যাপার থাকে। কম কাজ করে বলে মনে হয় ওনার কাজে প্রপার মনোযোগ দেওয়া থাকে।

রাফসান আহসানের ‘লিডার’। এখানে যে ব্যাপারটি ছিল এটা একটু সিনেমাটিক অ্যাকশন বেইসড। টেলিভিশনে তো আসলে অ্যকশন বেইজড কাজ কম হয়। দু:খ , প্রেম, ভালোবাসা , অ্যকশন সবই ছিল গল্পটায়। মনে হয়েছে ছোট পর্দায় সিনেমার স্বাধ। শতাব্দি ওয়াদুদ, স্পর্শিয়া, অন্তুরা গল্পটাও বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না: রিয়াজ

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা মেনে নিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।

আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।


চিত্রনায়ক রিয়াজ   বিএফডিসি   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন