কালার ইনসাইড

‘তুই’ থেকে ‘তুমি’ যেভাবে হলো

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৩২ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯


Thumbnail

অভিনেত্রী সাবিলা নূর এ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। হুট করে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন বলে অনেকেই ভাবছেন। প্লানিং কিন্তু চলছিলো অনেকটা দিন ধরেই। যেভাবে তিনি নেহাল সুনন্দ তাহেরের স্ত্রী হচ্ছেন সেই গল্প বললেন।

প্রথম দেখা:

অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব সাবিলার অন্যতম ভালো বন্ধু। সেটা মিডিয়ার অনেকেই জানে। নেহালও তেমনি তৌসিফের অনেকদিনের বন্ধু। আর এই সুবাধেই ২০১৬ সালের ঈদের দিন দেখা দুজনার। তারপর থেকে শুরু হয় বন্ধুত্বটা। সেই বন্ধুত্বটা কখন যে প্রেম হয়ে যায় সেটা সাবিলা টের পায়নি। নেহাল টের পেয়ে প্রস্তাবটা আর সাবিলাকে দেয়নি। টেকনিক খাটিয়ে প্রস্তাবটা সাবিলার মায়ের কাছে দিলেন, ‘আমি সাবিলাকে পছন্দ করি। আমি ওকে বিয়ে করতে চাই। আপনাদের পারমিশন আছে কিনা।’

বিয়ের পথে হাটা:

সাবিলা বলেন,‘বন্ধুত্বের একটা পর্যায়ে মনে হয়েছে ও আমাকে পছন্দ করে। মনে হয়েছে ও আমাকে বোঝে। আমাকে বলার আগে ও আমার মাকে বলেছে, এরপরে আমার পরিবার কথা বলেছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরো কিছুটা সময় যাক। যেহেতু তুলনামূলকভাবে বিয়ের জন্য তৈরী বয়সের চেয়ে আমার বয়সটা কম বলেই তারা মনে করছিলেন। আমি পরিবারের সবার ছোট। সেক্ষেত্রে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আরো কিছুদিন সময় নেওয়া উচিত। তারপরে তিনমাস আগে তারা একটি সিদ্ধান্তে পৌছেছে। ফাইনালি এই ২৫ অক্টোবর আমার বিয়ে।’

যেভাবে ফাঁস হলো বিয়ের খবর:

সাবিলা নূরের প্ল্যান ছিল বিয়ের চার পাঁচদিন আগে বিয়ের খবরটা জানাতে। কিন্তু তার সেই প্ল্যান আর সফল হলো না। এর আগেই বিয়ের খবর রটে গেল। যার সতত্যাও স্বীকার করেন। একদম কাছের কয়েকজনকে দিয়েছিলেন বিয়ের কার্ড। আর তাতেই রটে যায় তার বিয়ের খবর। কিছুটা দু:খ নিয়ে বললেন, কোন একজন আমাকে নিয়ে ছয় মাস আগে নিউজ করেছিলেন যে আমার বিয়ে হচ্ছে। ছয়মাস আগে আমার বিয়ের কথাবর্তা কিছুই হয়নি। তখন আমি আমার পরীক্ষার কারণে কাজ কম করছিলাম। সে অনুমান করে এ ধরণের একটি নিউজ করেছে। কোন কারণে ওনার আমার ওপর রাগ বা ক্ষোভ আছে। সে এই ব্যাপারটি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। সে একটি নাটকের গ্রুপে যেখানে প্রায় লাখ খানেক মেম্বার। সেখানে আমার বিয়ের কার্ড দিয়ে বলেছেন কে কে বিয়েতে যাচ্ছেন। এটা এক ধরণের হ্যারাজমেন্ট আমাকে। আমি যেটা আশা করিনি। আমি কখনো কারো সঙ্গে এমন কিছু করিনি যার জন্য আমার প্রতি ক্ষোভ থাকা উচিত।’

সাবিলাদের পরিচয়:

সাবিলার বাবা তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুল করিম। দুই বোন আর এক ভাইয়ের মধ্যে সাবিলা সবার ছোট। বর নেহাল সুনন্দ তাহের পেশায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এসএ টিভির ব্রডকাস্ট প্রকৌশলী। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর। বাংলাদেশ বেতারের সাবেক উপ-মহাপরিচালক মরহুম আবু তাহেরের একমাত্র ছেলে সে। হবু শাশুড়ি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে আছেন। নেহালরা এক ভাই ও এক বোন। সে হিসাবে সাবিলা বাড়ির একমাত্র বউ।

বিয়ের অনুষ্ঠান:

২৫ অক্টোবর রাজধানীর একটি পার্টি সেন্টারে জাঁকালো আয়োজনে হতে যাচ্ছে তাদের বিয়ে। ২৪ অক্টোবর গায়ে হলুদ, ২৫ অক্টোবর বিয়ের অনুষ্ঠান ও ২৭ অক্টোবর বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার আলাদা তিনটি স্থানে অনুষ্ঠানের ভেন্যু আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘ডেকোরেশন, ফটোগ্রাফারসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোও ঠিক করে ফেলেছি। এখন বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র দেওয়া ও টুকটাক ছোটছোট বিষয়গুলো গোছাচ্ছি। বলা যায় খুব ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। এখানেও একটা ব্যাপার দেখলাম আমার অনুষ্ঠানের স্থান অনেকে মেনশন করছেন। যেটা আমি আসলে চাচ্ছি না। যারা অনুষ্ঠান অ্যারেঞ্জ করেছে। তাদের তো একটা প্রস্তুতি আছে। ওভাবে সব ওপেন হলে সেটা আসলে বিব্রতকর কোন পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে।’

দুজন দুজনকে নিয়ে কি ভাবেন?

ঠান্ডা প্রকৃতির মানুষ নেহাল। সবার সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিশতে পারে। খুব বন্ধুবৎসল এবং ভালো একজন মানুষ বলেই তাকে মনে করেন সাবিলা। তবে তিনি ফিউচার নিয়ে অনেক ভাবেন। ভবিষ্যতটা কিভাবে সুন্দর হবে তা নিয়ে ভাবেন। যারা সাবিলার ফ্যান তারা তো বলে সাবিলা সুন্দর বা অভিনয় সুন্দর। সাবিলা জানালেন, ‘নেহাল বলে তোমার ব্রেন অনেক বেশি মুগ্ধ করে। তাৎক্ষণিক বুদ্ধি বের করতে পারো। তোমার ব্রেনটা দ্রুত কাজ করে।’

বিয়ের কেনাকাটা:

ঢাকা ও কলকাতা দুই জায়গা থেকেই কেনাকাটা করা হয়েছে। তাছাড়া অনুষ্ঠানে মেকআপ কোথা থেকে করবেন, তাও ঠিক করে রেখেছেন। তবে সেসব নিয়ে মুখ খুলতে চাইলেন না।

এখনো ‘তুই’:

মজার ব্যাপার হলো আর মাত্র কয়েকদিন পর বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনো একে অপরকে ‘তুই’ বলেই সম্বোধন করেন। আর এরজন্য পরিবারের কাছ থেকেও ধমক খেতে হচ্ছে। এইতো কিছুদিন আগে নেহাল দেখা করতে গিয়েছিলেন সাবিলার দাদির সঙ্গে। দুজনে অনেক প্রাকটিস করে গিয়েছেন ‘তুমি’ বলার। কিন্তু সেখানে গিয়ে ‘তুই’ চলে আসে। দাদিও কাছে আচ্ছামতো ধমক খেতে হয় দুজনারই।

ব্যাক টু দ্যা প্যাভিলিয়ন:

বিয়ের পড়ে নভেম্বরের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই কাজ শুরু করবেন বলে জোর দিয়ে বললেন। ‘নেহাল তো সবসময় আরো উৎসাহ দিতে থাকে যে কাজ করো। এই করো সেই করো।

সাবিলা সঙ্গ পেয়েছেন তখনও:

এটা সকলেরই জানা, কিছুদিন আগে আমার সময়টা খারাপ গিয়েছিল। আমি মানসিকভাবে অনেকটা ভেঙ্গে পড়েছিলাম। এমন পরিস্থিতি এর আগে আমার জীবনে আসেনি। মিথ্যা একটা ভিডিও নিয়ে আমি হেনস্থা হলাম। সেই সময় ও আমার ফ্রেন্ড ছিলো। ফ্রেন্ড হিসাবে ও আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে। আমি সবসময় বলেছি আমি আমার ফ্রেন্ড কলিগ পরিবারে সাপোর্টে আমার ঘুরে দাড়াতে পেরেছি। সেই সময়ে ও আমাকে বিশ্বাস করেছে আমাকে সর্বক্ষণ সময় ও সাপোর্ট দিয়েছে। যে রিউমারটা ছড়িয়েছিল এটার পরেও আমি যেন কাজ করি। আমি যেন এই ডিপ্রেশন থেকে বের হতে পারি সেটার পেছনে ও এমনকি ওর মায়েরও অনেকবেশি ভূমিকা ছিল।’

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

‘ডিপফেক’ ভিডিও দিয়ে রাজনৈতিক প্রচার, থানায় মামলা করলেন আমির খান

প্রকাশ: ১০:৩১ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাশ্মিকা মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান।

সম্প্রতি আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়েছেন।

২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আমির খানকে ‘জুমলা’র থেকে সতর্ক থাকতে বলতে দেখা গেছে। আমিরের অফিসের দাবি, অভিনেতার মুখ মর্ফ করে ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি এমন কোনও প্রচার ভিডিও শুট করেননি।

আমির খানের অফিসের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩৫ বছরের বলিউড ক্যারিয়ারে আমির খান কখনও কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার করেননি। আমিরের অফিস থেকে অভিযোগ পেতেই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ (অন্যকে নকল করা), ৪২০ (প্রতারণা) সহ একাধিক ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


ডিপফেক ভিডিও   রাজনৈতিক প্রচার   মামলা   আমির খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

চলছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোটগ্রহণ

প্রকাশ: ০৯:৫৭ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

ভোটগ্রহণ চলাকালীন দুপুরে বিরতি দিয়ে ফের ভোট শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এবারের নির্বাচনে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১। মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল প্যানেল ও মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল

এরই মধ্যে নির্বাচনের সব আয়োজন শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও প্রস্তুত। সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা ও ফলাফল ঘোষণার স্বার্থে সকাল থেকে ভোটের ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত মূল ফটক থেকে এফডিসির বিভিন্ন জায়গায় প্রায় আড়াইশ পুলিশ সদস্যসহ সাদা পোশাকে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিতি রয়েছেন।

এ ছাড়াও ভোটকে আরও নিরবচ্ছিন্ন করতে এফডিসির বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি আরও ৩১টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা। ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।

এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ডিপজলকে শোকজ

প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ভিডিও প্রমাণসহ খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিপক্ষে অভিযোগ জানিয়েছেন সাদিয়া মির্জা নামের এক প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সাদিয়া মির্জা নামে ওই প্রার্থীর অভিযোগ আমলে নিয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজলকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছি।

এদিকে সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার খসরু।

অন্যদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা নিপুণ আক্তারের।

এ নিয়ে মিশা-ডিপজল প্যানেলের চিত্রনায়ক আলেকজান্ডার বোকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, একটি পক্ষ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে। তবে আমরা চাই সুষ্ঠ নির্বাচন। এমন অভিযোগ আমরা অন্য প্যানেল থেকেও পেয়েছি, কিন্তু তাতে আমরা গুরুত্ব দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, ডিপজল ভাই এমনিতেই দানবীর। সবাইকে টাকা-পয়সা দান করে থাকেন। এটা নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিষয়টি সুখকর হবে না।

তবে বিষয়টি নিয়ে কলি-নিপুণ প্যানেলের কেউ মুখ খোলেননি। কথা বলতে চাননি মিশা-ডিপজল পরিষদের অন্য সদস্যরাও।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। দুপুরে বিরতি দিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই ভোট। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার করা হয়েছে।

মনোয়ার হোসেন ডিপজল   বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

রাত পোহালেই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএফডিসিতে রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আগামীকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) সকাল ৯টায় থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। 

এবারের নির্বাচনে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১। মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল প্যানেল ও মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল

মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল প্যানেল

মিশা-ডিপজল পরিষদের হয়ে নির্বাচনে সহ-সভাপতির পদে লড়বেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।


এছাড়াও কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।

মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল

মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের প্রার্থী হয়েছেন, সহ-সভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের হিসেবে থাকছেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো.সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

এছাড়াও এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকছেন খোরশেদ আলম খসরু। সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান এবং শিল্পী সমিতির নির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা ৫৭০ জন। তারাই বেছে নেবেন আগামী দুই বছরের চলচ্চিত্র শিল্পীদের নেতা-অভিভাবক।


ইতোমধ্যেই ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছ নির্বাচন কমিশন। এবারই প্রথম শিল্পীদের নির্বাচনে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার খসরু বলেন, ‘এবার ভোটার আছেন ৫৭০ জন। নির্বাচনে যেন কোনো ঝামেলা না হয়, সুষ্ঠু পরিবেশে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করব। গতবারের কোনো প্রভাব যেন এই নির্বাচনে না পড়ে সেটাও খেয়াল রাখছি।’


মিশা সওদাগর   মনোয়ার হোসেন ডিপজল   মাহমুদ কলি   নিপুণ আক্তার   চলচ্চিত্র   শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

পরীমনি কে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

প্রকাশ: ০৩:০৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নায়িকা পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছে আদালত। পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন বাদীপক্ষ পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মোহাম্মদ মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।

মামলায় নাসিরউদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পারসেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পারসেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।


পরীমনি   আদালত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন