কালার ইনসাইড

এই মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের এত্তগুণ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০১৯


Thumbnail

‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৯’- এর চ্যাম্পিয়ন রাফাহ নানজীবা তোরসা। নভেম্বরে লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য ৬৯তম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় যাচ্ছেন তিনি। তার আগে নিজের সম্বন্ধে বললেন তিনি:

নামটা বেজায় সুন্দর:

রাফাহ্ নানজীবা মানে, যত ধরনের সুন্দর আছে সেগুলোর বিশেষণ। আর তোরসা মানে ‘পৃথিবী’। পুরো নামের অর্থ দাঁড়ায়, ‘সুন্দর পৃথিবী’। নামটা রেখেছিলেন তোরসার ফুফু ও বাবা রেখেছিলেন। এ বছর মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের মুকুট মাথায় তুলেছেন।

জন্ম ও বেড়ে ওঠা:

সাংস্কৃতিক আবহে বড় হওয়া তোরসার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারে। তবে শৈশবের বেশিরভাগ সময় কেটেছে চট্টগ্রামে। বাবার পেশার খাতিরে তোরসার বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামের শিল্পকলা এলাকায়।

পরিবারেই সংস্কৃতি চর্চা:

তোরসা নিজেই বললেন,‘আমি খুব ভাগ্যবান যে, এমন পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছি। সত্যি বলতে, আমার বাবা ও মা দুজনই সংস্কৃতিমনা। বাবা অসংখ্য গান লিখেছেন। বাবার নাম শেখ মোর্শেদ। তিনি সংস্কৃতি চর্চা করলেও পেশায় চট্টগ্রাম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। ২০১৮ সালে বাবা মারা গেছেন। মা শারমিন মোর্শেদ এবং একমাত্র ছোট ভাই তুরাজ। আমি চট্টগ্রামে বড় হলেও আমাদের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়াতে।’ ২০১৪ সালে মারা গেছেন বাবা। উনি সমাজ সেবক ও সংষ্কৃতিমনা মানুষ ছিলেন। ২০১০ সালে একুশে বই মেলায় দুইটি উপন্যাসের বই প্রকাশ পেয়েছিল তোরসার বাবার। তিনি অজশ্র গান কবিতা লিখেছেন। পত্রিকাতে ওনাকে নিয়ে অনেক লেখালেখি এসেছে।  মা-ও একজন রবীন্দ্রসংগীত ও আবৃতি শিল্পী। পাশাপাশি উনিও আইনপেশায় আছেন।

এত পুরস্কার এত প্রাপ্তি:

পরিবার বা পরিচিতজনরাও জানে তোরসা কখনো দ্বিতীয় হন না। ২০০৮ সালে ‘লিটল মিস চিটাগাং’ প্রতিযোগিতায় প্রথম, ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে লোকনৃত্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু–কিশোর প্রতিযোগিতায় প্রথম, সেবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছেন। ২০১০ সালে জাতীয় শিশুকিশোর প্রতিযোগিতায় ভরতনাট্যম নৃত্যে স্বর্ণপদক, বিদেশে মনিপুরী নাচের জন্যও পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১০ সালে এনটিভি মার্কস অলরাউন্ডারে প্রতিযোগিতার হয়েছিলেন প্রথম রানারআপ। দুবার দেশকে বিদেশে উপস্থাপন করেছেন। এর মধ্যে একটি হলো ২০০৮ সালে দিল্লীতে আন্তর্জাতিক থিয়েটার উৎসব। অপরটি ত্রিপুরায় মনিপুরী নৃত্য উৎসব। শুধু তাই নয়, চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তোরসা বিজয়ী হয়ে পুরস্কার অর্জন করেন। সেগুলো আলাপকালে বলে শেষ করতে পারছিলেন না তিনি।

গুনের শেষ নেই:

যখন বয়স সাড়ে তিন তখন থেকেই মঞ্চে উঠেছেন তোরসা। গান, নৃত্য, আবৃত্তি, অংকন, বিতর্ক প্রতিযোগিতার মত সব প্রতিযোগিতায় ছিল তার অংশগ্রহণ। এছাড়া থিয়েটার, মডেলিং, মূকাভিনয়ও করেছেন। আবৃত্তি সংগঠন ‘নরেন’ এবং থিয়েটার সংগঠন ‘ফেইম’ এর সাথে যুক্ত আছেন। সামাজিক সংগঠন লিও ক্লাব এবং রেডক্রিসেন্টেরও সদস্য।

অনুপ্রেরণা:

তোরসা বলেন,‘আমার এই পথচলায় বাবার অবদান সত্যি অন্যরকম। বাবা ২০১৪ সালে মারা যাওয়ার পর যখনই আমার মন খারাপ হতো বা ভালো কিছু পেতাম, উনার কবরে জিয়ারত করতাম। জীবনের অন্যতম বড় একটি প্রাপ্তির পর এখন পর্যন্ত তার কবরে যেতে পারিনি। আসলে ওটা চট্টগ্রামে। এখন ইন্টারভিউ দিতে হচ্ছে আর মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার ফাইনাল যেদিন থেকে হলো সেদিন থেকেই আমার লন্ডনে যাওয়ার প্রস্তুতি তৈরী হয়েছে। এই যে এখন কথা বলছি, তার আগেও বাবাকে মনে পড়ছিল। তার মেয়ে বলেই হয়তো এই অর্জনগুলো করা সম্ভব হয়েছে। আর অবশ্যই আমার মায়ের কথা বলব। তিনিও অক্লান্তভাবে আমার পাশে আছেন।’

মা-ই আমার সবচেয়ে আপন বন্ধু। এক ফুফুও ভীষণ উৎসাহ দিয়েছেন। মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ জয়ে ক্যাম্পাসও প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন তিনি। যখন সবাই জানতে পারলেন যে, মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে সেরা ১২ জনের একজন হয়েছি সেখানে হৈ চৈ পড়ে গেল। ‘আমার ক্যাম্পাসের বন্ধুরা, বড় ও ছোট ভাইবোনেরা আমার জন্য ভোট চেয়েছেন। এটা আমাকে দারুণভাবে প্রেরণা দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে। ঠিক একইভাবে দেশবাসীর কাছে আমি সেই সমর্থন চাইব। এখনো অনেক পথ বাকি। এখন থেকে আমার যা প্রাপ্তি হবে সেটা বাংলাদেশেরও প্রাপ্তি। আমি জানি বাংলাদেশ অধীর আগ্রহে বসে থাকবে।’

পড়াশুনাতেও সেরা:

লেখাপড়াতেও মেধাবী তোরসা। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ‘জিপিএ ফাইভ’ পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন তোরসা। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিষয়ে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করছেন।

মিস ওয়ার্ল্ডে নাম লেখানো কেন?

তোরসা বলেন,‘এটাই একমাত্র প্রতিযোগিতা যেখানে বিউটি বলতে বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, আপনার মনটাও যে সুন্দর এবং সমাজকে আপনি কীভাবে সুন্দর করবেন, এসব কিছু! এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ বিষয়টি আমাকে খুব টানে। যার কারণে এই প্রতিযোগিতায় নাম লেখানো।’

ছিল বাদ পড়ার ভয়ও:

তোরসা বলেন,‘বারবার মনে হচ্ছিলো এই পর্ব থেকে বাদ পড়বো। সবাই কি বলবে! কারণ সেরা ১২-তে যারা ছিলেন তারা সবাই দারুণ। সেরা ছয় বাছাইয়ে যখন এক এক করে অনেকেই বাদ পড়ছিলেন। মনে হচ্ছিলো, এই বুঝি আমিও বাদ পড়ে গেলাম। এই বাদ পড়ার ভয় অনেকটা নার্ভাসও করে রেখেছিল।’

মূল পর্ব নিয়ে কেন আশাবাদি?

মিস ওয়ার্ল্ড এর মূল পর্বের প্রতিযোগিতা নিয়ে তিনি ভীষণ আশাবাদী। তার ভাষ্যে, ‘ইংরেজিতে একটা শব্দ ব্যবহার করা হয়, ‘এসডাব্লিউওটি’। এর পুরো রূপ হলো- স্ট্রেংন্থ, উইকনেস অপরচুনিটি ও থ্রেট। এই চারটা বিষয় নিয়ে আমি এগুতে চাই। আমার শক্তিশালী জায়গা হলো আত্মবিশ্বাস। এটাকে কাজে লাগাতে চাই। আর আমার দুর্বলতাগুলো নিয়ে কাজ করছি। এশীয় প্রতিযোগীর কিছু দুর্বলতা থাকে, আমি চেষ্টা করব, এগুলোকে কাটিয়ে উঠে আমার স্ট্রেংন্থকে আরও শক্তিশালী করতে।’

শোবিজে কাজ করেছেন এর আগেও:

তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘হালদা’ ছবিতেও ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বিজয় টিভির শো’র সঞ্চালনাও করেছেন, পাশাপাশি রেডিওতে কাজ করেছেন।

‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে কোন মাধ্যমে কাজ করতে চান?

তোরসা বলেন, ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ থেকে ফিরে আমি লেখাপড়া শেষ করবো। মিডিয়াতে কাজের ইচ্ছে একেবারে নেই তা কিন্তু না। কাজ করবো। তবে অবশ্যই এমন কাজ করবো যেন আমার ওই কাজগুলো সমাজে কোনো না কোনোভাবে প্রভাব ফেলে এবং আমার কাজগুলো খুব প্রমিনেন্ট হতে হবে। তবে আমার মধ্যে কোনো তাড়াহুড়ো নেই।’

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর পর এবার মাহির ছেলেকে নিয়ে পরীমনির স্ট্যাটাস

প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি চিত্রনায়িকা বুবলী ও শাকিব খানের ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনে সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যমে বুবলীর একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে পরী ও বুবলীর মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা যায় সোস্যাল মিডিয়ায়। দুজনের একের পর এক স্ট্যাটাস ও পাল্টা স্ট্যাটাস তর্কযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ফেসবুক।

এদিকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ছেলে শামসুদ্দিন ফারিশের প্রথম জন্মদিন আজ। তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরী মনি। লিখেছেন, ‘হ্যাপি বার্থডে মানিক চাঁদ আমাদের। তুমি মায়ের চোখের মণি হয়ে থাকো ফারিশ বাবা। আমরা সবাই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’


গত মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন মাহি। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে আলাদাই থাকছেন এই নায়িকা। ছেলেকে নিয়েও ফেসবুকে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। এখন নিজের লুক বদলাচ্ছেন অভিনেত্রী। ব্যস্ত হয়েছেন ক্যারিয়ার নিয়ে। এরই মধ্যে পর্দায় ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি।

পর্দায় ফেরা প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ভালো প্রস্তাব পেলে আর ফিরিয়ে দেবেন না। এর কারণও অবশ্য রয়েছে। বিয়ের পর বেশ কিছু সিনেমার প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে এখন ক্যারিয়ারে মন দিতে চান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন তিনি। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের ফারিশ নামে এক বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাহি। পাঁচ বছর সংসারের পর বিচ্ছেদ হয় তাদের।


পরীমনি   বুবলী   মাহিয়া মাহি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সমুদ্র সৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বেশ ঢাকঢোল বাজিয়ে বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। সেই বিয়েতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী সাফা কবির। অথচ এখন শোনা যাচ্ছে তাদের ‘অনন্ত প্রেম’র গুঞ্জন!

সদ্য দুজনেই জুটি বেঁধে শেষ করেছেন ‘অনন্ত প্রেম’-এর শুটিং। আসছে ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে বিশেষ এই নাটকটি লিখেছেন ও বানিয়েছেন মহিদুল মহিম।

নাটকটির নিয়ে নির্মাতা জানান, ‘এই গল্পের নায়ক জিসান। কক্সবাজারে নিজের দোকানে বসে কেক তৈরি করে এবং বিক্রি করে। ছোটবেলায় জিসানের মা মারা যায়। তার মা-ও খুব ভালো কেক তৈরি করতো। তাই মায়ের স্মৃতি ধরে রাখতেই জিসান কেকের বিজনেস করার সিদ্ধান্ত নেয়।

গল্পের নায়িকা স্নেহা। জিসানের কেক রেস্টুরেন্টে আসে। স্নেহার শখ ছবি তোলা। খুব সুন্দর পোশাক পরে সাজানো রেস্টুরেন্টে জিসানকে কেক বানাতে দেখে মুগ্ধ হয়ে ছবি তোলে স্নেহা। আর সুন্দরী স্নেহার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় জিসান।’

নির্মাতা আরও বলেন, ‘বুঝতেই পারছেন, গল্পের এই পর্যায়ে জিসান-স্নেহা প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করে। গল্পটা মূলত শুরু হয় এখান থেকে। ক্রমশ জড়ায় পারিবারিক জটিলতায়। শেষটা জানতে দেখতে হবে ঈদ উৎসবে পুরোটা।’

‘অনন্ত প্রেম’ নাটকটি সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে আসছে ঈদ উৎসবে মুক্তি পাবে।


অনন্ত প্রেম   জোভান আহমেদ   সাফা কবির  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তারকাদের শেষ প্রজন্ম আমি ও শাহরুখ: কঙ্গনা

প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সদ্যই টিকিট পেয়েছেন বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির হয়ে আসন্ন নির্বাচনে লড়বেন অভিনেত্রী। এরই মধ্যে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়ে গেছেন তিনি। যদিও বলিউডে অনেকটাই নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছেন কঙ্গনা।

একের পর এক ফ্লপ সিনেমার পর অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে কঙ্গনার মতে, খারাপ সময় যতই যাক, আবারও সাফল্যের ধারায় ফিরবেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজেকে শাহরুখ খানের সঙ্গে তুলনা করে তারকাদের জেনারেশনের ‘শেষ তারকা’ হিসেবেও দাবি করলেন কঙ্গনা।

সম্প্রতি ‘টাইমস নাও সামিট’-এ উপস্থিত ছিলেন কঙ্গনা। সেখানেই বিভিন্ন কথোপকথনে নিজেকে এবং শাহরুখ খানকে তারকাদের শেষ প্রজন্ম বলে মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

কঙ্গনা বলেন, ‘আমি এবং শাহরুখ খান তারকাদের শেষ প্রজন্ম। ওটিটি কখনো তারকা তৈরি করতে পারে না। আমরা পরিচিত মুখ। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমাদের অনেক চাহিদা রয়েছে। শুধু টিকে থাকার জন্য ওটিটিতে আসতে পারব না।’

গত কয়েক বছরে একের পর এক সিনেমা বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছে কঙ্গনার। নিজের ব্যর্থ সিনেমা প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, “পৃথিবীতে এমন কোনো অভিনেতা নেই, যার ফ্লপ সিনেমা নেই। শাহরুখ খানের ১০ বছর কোনো হিট সিনেমা ছিল না।

কিন্তু ‘পাঠান’ বক্স অফিসে হিট হয়। ৭-৮ বছর আমার কোনো হিট সিনেমা ছিল না। কিন্তু ‘মণিকর্ণিকা’ বক্স অফিসে হিট হয়। এরপর তিন-চার বছর কোনো হিট সিনেমা উপহার দিতে পারিনি। এবার ‘ইমার্জেন্সি’ আসছে, আশা করছি এটি ভালো সাড়া ফেলবে।”

সর্বশেষ কঙ্গনাকে দেখা গেছে ‘তেজাস’-এ। গত বছরের ২৭ অক্টোবর মুক্তি পায় সিনেমাটি। ৭০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে। আয় করে মাত্র সাড়ে ৫ কোটি রুপি। সামনে অভিনেত্রীকে দেখা যাবে ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমায় ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে। এটি পরিচালনাও করছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভোটের মাঠেও সরব হচ্ছেন অভিনেত্রী।


শাহরুখ খান   কঙ্গনা রানাওয়াত   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কে এই সৌদি মডেল রুমি?

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ইউনিভার্সের মঞ্চে ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম বার, সৌদি আরবের পতাকা হাতে লড়বেন এক নারী। ২৭ বছর বয়সী রুমি আলকাহতানি নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টেই এই ঘোষণা দিয়েছেন। জানিয়েছেন ইতিহাসের অংশ হতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।

তবে এবার প্রশ্ন উঠতে পারে কে এই রুমি, হুট করেই কী তিনি মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে উঠতে যাচ্ছেন? না। এতো বড় মঞ্চে এই প্রথম হলেও রুমি এর আগেও বহু সুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চে উঠেছেন।
এবার মিস ইউনিভার্সের ৭৩ বছরের ইতিহাসে তিনিই প্রথমবার যোগ দিচ্ছে সৌদি আরবের হয়ে। এমন খবরে একরকম চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আসছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ তাকে স্বাগত জানালেও অনেকেই করছেন সমালোচনা।

সৌদির রাজধানী রিয়াদে জন্ম রুমির। এর আগেও তিনি মিস সৌদি আরব, মিস মিডল ইস্ট, মিস উইমেনসহ (সৌদি আরব) বিভিন্ন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন এবং বিজয়ীর মুকুট মাথায় পরেছেন।

রুমি ফ্যাশন মডেলিংয়ের সাথে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেও পরিচিত। তার ইনস্টাগ্রাম অনুসারীর সংখ্যা ১০ লাখ। এক্স ও ফেসবুকেও তাকে লাখ লাখ মানুষ অনুসরণ করে।

ঘুরতে পছন্দ করেন রুমি। বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরেছেন তিনি। রুমির দুই বোনের নাম রাজান ও জেদাই। তাদের মধ্যে রাজানও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ পরিচিত মুখ।

সৌদি   ইউনিভার্স   মঞ্চ   পতাকা   রুমি আলকাহতানি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে সৌদি মডেল!

প্রকাশ: ০২:৫৮ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

এবার সৌদি আরবের পতাকা হাতে মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে দেখা যাবে এক ২৭ বছর বয়সী মডেলকে। ইতিহাসে তিনিই প্রথমবার সৌদির পতাকা হাতে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার এই মঞ্চে উঠতে যাচ্ছেন। 

রুমি আলকাহতানি নামের ওই মডেলের ইন্সটাগ্রামে অনুসারীর সংখ্যা ১০ লাখ। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, তিনি বিশ্ব সুন্দরীদের মঞ্চে তার দেশকে উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। 

তিনি লিখেছেন, ‘আমি মিস ইউনিভার্স ২০২৪ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। এই প্রতিযোগিতায় এটাই সৌদি আরবের অভিষেক।’

এই ছবির সাথেই তিনি সৌদি আরবের পতাকাসহ নিজের ছবি প্রকাশ করেছেন। 

আলকাহতানি রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি এর আগেও বেশ কয়েকটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। 


মিস ইউনিভার্স   সৌদি মডেল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন