নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ২৭ জুন, ২০২০
এই ওয়েবসিরিজগুলো থেকে অন্যতম প্রাপ্তি হল বহু অখ্যাত অসামান্য অভিনেতাদের কাজ দেখতে পাওয়া। ওয়েবসিরিজ না হলে এরা হয়তো আড়াইঘন্টার বিগস্ক্রিনে কখনও সুযোগই পেতেন না। ওই খান-কাপুরদের ভিড়ের অনেক অনেক পিছনেই দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একদিন নিঃশব্দে সরে আসতেন।
পাতাললোক
পাতাললোক ওয়ান অব দ্যা বেস্ট ইন্ডিয়ান সিরিজ। একটা সিরিজে কি নেই? সমাজের উচু-নিচু বর্ণ, দলিত, মুসলমান, বাস্তুহারা মিডিয়ার কারচুপি সব, সবার গল্প উঠে এসেছে এখানে।
পৃথিবীতেও মানুষ তিন ধাপে থাকে; স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল। স্বর্গের মানুষেরা পাতালের মানুষদের ব্যবহার করে, মর্ত্যের মানুষের কাঁধে চেপে বসে থাকে। নিচু শ্রেনীর মানুষের কাঁদে বন্ধুক রেখে শিকার করে।
দেশের সিস্টেম কে বাহির থেকে দেখলে করাপ্টেড আর নোংরা মনে হবে কিন্তু বাস্তবে সিস্টেম হচ্ছে well-oiled machinery প্রত্যেক পার্ট জানে কার কি কাজ। যে কাজ ভুলে যায় তাকে মেশিনের মতো সেই পার্টকে খুলে বদলে ফেলা হয়। কিন্তু সিস্টেম কখনো পাল্টায় না।
সিস্টেমের মাধ্যমে একজন মুসলমানকে যখন টেরোরিস্ট বানায় দেয় তখন তার পিতা বলে, `কেয়া সাব, যিসকো ম্যায়নে মুসলমান বাননে না দিয়ে, আপ নে উসকো জ্বিহাদী বানা দিয়া?`
অসুর
হিন্দু পুরাণ মতে সাত ঋষির সেরা কাশ্যপের ১৩ স্ত্রীদের মধ্যে দিতি এবং অদিতি সবচেয়ে প্রভাবশালী। উত্তর নক্ষত্রের প্রভাবে অদিতির গর্ভে জন্ম নেয় গুণবান পুত্র যাদের দেবতা বলা হয়। অন্যদিকে গ্রহের দোষে দিতির গর্ভে জন্ম নেয়া সন্তানতা হিংসা, ক্রোধ আক্রান্ত হয়ে জন্ম নেয় যাদেরকে অসুর বলা হয়। অসুর বনাম দেবতার লড়াইয়ে বিজয়ী হয় দেবতারা এবং অসুরদের ছুঁড়ে ফেলা হয় অন্ধকারে।
অনেকটা এই মূলধারাকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হয়েছে ওয়েব সিরিজ `অসুর` যেটি মুক্তি পেয়েছে ভিডিও ষ্ট্রিমিং সাইট Voot-এ। নেটফিক্স কিংবা অ্যামাজনের মতো জনপ্রিয় প্লাটফর্মের সিরিজ না হয়েও গল্প আর নির্মানের জোড়ে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে ক্রাইম থ্রিলার জনরার এই ওয়েব সিরিজটি। হলিউডে মিথলজি নির্ভর অনেক ক্রাইম থ্রিলার মুক্তি পেলেও এই প্রথম ভারতে এমন ধারার কাজ বেশ মুগ্ধ করলো। অসুর ছদ্মনামের এক সিরিয়াল কিলারের নিখুত কিলিং মিশন আটকে রেখেছে দর্শককে সেই টানা ৮ পর্ব ধরে। কিলারের বৈশিষ্ট্য হিসেবে পাওয়া যায় লাশের কাটা আঙ্গুল ও অসুরের মুখোশ। কমেডিতে থিতু হওয়া আরশাদ ওয়ার্সিকে সিবিআই সিরিয়র অফিসার ধনঞ্জয় রাজপুতের মতো সিরিয়াস চরিত্রে পাওয়া দর্শকদের জন্য আলাদা প্রাপ্তি। সিরিজটির অন্যতম প্রধান চরিত্র ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নিখিল নায়ার (বরুন সবতি) যাকে খুনী তার টোপের বশে বিদেশ থেকে ভারত নিয়ে আসে। অসুর দেখে এটাও মনে হয়েছে, এমন সিরিজ নির্মানে আরো বাজেট দাবি রাখে।
পঞ্চায়েত
টিভিএফ মানেই ভিন্ন কিছু। টিভিএফের অনন্যতার অন্যতম প্রধান দিক হচ্ছে খুব সহজ, সাধারণ আর শিক্ষণীয় ব্যাপারটাকেই তারা খুব মজায় মজায় তুলে ধরে।টিভিএফের গল্প, চিত্রনাট্য এবং নির্মাণ নিয়ে তাই কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। একদমই সিম্পল একটা গল্পকে কি করে দারুণ আকর্ষণীয় আর বিনোদনময় করে তুলতে হয় তার প্রমাণ যেন টিভিএফ। গল্প একদমই সাদামাটা তবে হ্যাঁ চিত্রনাট্য ছিল দুর্দান্ত। বিশেষ করে সংলাপ। কেননা, সাদামাটা গল্প হলেও সংলাপ এবং চরিত্রায়নগুলো এমন মোক্ষমভাবে তৈরি করা হয়েছে যে হাস্যরসাত্মকের কারণে গল্পটার মধ্যে অনায়াসেই ডুবে যাওয়া যায়।
একদম শুরুটাই আপনাকে এত মজা দিবে যে, মজার তালে কোন ফাঁকে যে সিজন শেষ হবে তা টেরই পাবেন না। কমেডি ড্রামা হলেও সিরিজে সুখ, দুঃখ, প্রেম, একাকীত্ব, বন্ধুত্ব, সঙ্গীহীনতা এমনকি ডেয়ারিং সিন আর একশনও ছিল – সবই যেন গল্পের ভাঁজে ভাঁজে ফুটে উঠেছে এক এক করে। চিত্রনাট্যকার চন্দন কুমার তাই একটা বাহবা পাওয়ার যোগ্যই বটে।
অভিনয় বেশ ভালো। অভিষেক চরিত্রে ছিলেন জিতেন্দ্র কুমার। এই ছেলেটার অভিনয় দেখলে মনে হয় মঞ্চাভিনেতা ছিল কোন এককালে হয়তো; আর নয়তো একদম গডগিফটেড। যে কোন চরিত্রে কেমন দারুণভাবে মিশে যায়। পঞ্চায়েত প্রধানের চরিত্রে রাগুবির যাদব এবং তার স্ত্রী মঞ্জু দেবীর চরিত্রে নীনা গুপ্তা। এদের অভিনয় নিয়ে কমবেশি সবারই ধারণা আছে। বেশ জমিয়ে অভিনয় করেছেন। এছাড়া, বাদবাকি সবাইই বেশ ভালো অভিনয় করেছে। নয়তো সিরিজটা আইএমডিবিতে ৮.৯/১০ রেটিং পায় না এবং গুগলের হিসেবে প্রতি ১০০ জনে ৯৭ জন এটাকে পছন্দ করতো না।
আরিয়া
কেন দেখবেনঃ ১। সুস্মিতা সেন, ২। মেকিং ৩। চমৎকার চরিত্রাঙ্কন।
কেন দেখবেন নাঃ রিমেক শো দেখতে না চাইলে।
প্রায় দুই দশক পর হারিয়ে যাওয়া সুষ্মিতা যেই রাজকীয়ভাবে এই সিরিজ দিয়ে পদার্পন করলেন, তা আসলেই বলিউডপ্রেমীদের জন্য অভাবনীয় একটা ঘটনা। Neerja দিয়ে জাতীয় পুরষ্কার পাওয়া রাম মাদভানি এই সিরিজে শুধু সুস্মিতাই না, এমন অনেক আন্ডাররেটেড পুরানো অভিনেতাদের জড় করেছেন, যারা বহুদিন বলিউডে থেকেও জায়গা বানাতে পারেনি। তাদের এতো চমৎকারভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা একটা সাদাসিধা প্লটকেও সমৃদ্ধ করেছে।
Aariya এর গল্পে এক বড় ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির ৩ অংশীদার এক স্থানীয় মাদকচক্রের কাছ থেকে মাল চুরি করে ফ্যাসাদে পড়ে, তাদের ক্রিয়াকর্মের ল্যাঠা পরিবারকে চুকাতে হয়। একদিকে পুলিশ, আরেকদিকে কার্টেল। সবার পাওনা মিটিয়ে পরিবারকে নিরাপদে থাকতে গৃহিণী আরিয়াকে হাল শক্ত করে ধরতে হয়। এটাই কাহিনী, যা অনেকটাই নেটফ্লিক্সের Ozark কে মনে করায়, পার্থক্য সেখানে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মিলিত প্রয়াস, আর এখানে প্রায় One-Woman-Show!
ভায়োলেন্স, রক্তারক্তিতেও দারুণ সহনশীলতা দেখেছি। যৌনতা আছে, কিন্তু কোনটাই বাড়াবাড়ি না, বরং ফ্রেশ ও রুচিশীলভাবে করা।
পুরা শো জুড়ে পুরানো দিনের চমৎকার সব মিষ্টি গান, যা শুরু থেকেই আলাদা একটা স্পর্শে মুখর রেখেছে। সাথে আবার উচ্চবিত্ত সমাজের প্রাচীনত্ব নিয়ে ফিউশান হিপহপের ছোঁয়াও আছে। কোনকিছুতেই বাড়াবাড়ি নেই।
ইউর অনার
এটি কোনো মৌলিক গল্প না, বরং একই নামের ইসরাইলী টিভি সিরিজ এর ভারতীয় সংস্করণ বলা যেতে পারে। গল্পের প্রেক্ষাপট পাঞ্জাব এর লুধিয়ানা শহর। যেখানে সারাক্ষণ ২ টি গ্যাং এর ঝামেলা লেগেই থাকে। একটি হলো পাঞ্জাবি দের গ্যাং যার প্রধান সতবির মুড়কি এবং আর একটি হলো ভাইয়া গ্যাং যার প্রধান হলো পণ্ডিত। নিজেদের ক্ষমতা জহির এর জন্য এরা খুন জখম দাঙ্গা করতেই থাকে। তো এইরকম এক সময়ে শহরের এক আদালতের জাজ বিশান খোসলা(জিমি শেরগীল) এর ছেলে আবির ড্রাইভিং টেস্ট এ ফেল করে রাগের মাথায় গাড়ি চালাতে গিয়ে অ্যাকসিডেন্ট করে বসে সৎবির মুরকির বড়ো ছেলে সতনাম মুড়কি কে। নিজের ছেলে কে বাঁচানোর জন্য বিষাণ খোসলা পুলিশ এ গিয়ে ফলস কমপ্লেইন করে এই বলে যে ওর গাড়ি টি চুরি হয় এ গিয়েছে এবং উনি ওই গাড়ি টি ওনার ই এক পরিচিত সিআরপিএফ জওয়ান কাশী কে গিয়ে বলেন যে গাড়িটি যেভাবে হোক সরিয়ে ফেলতে। কাশী তখন ওর পরিচিত এক গাড়ি চোর guddan কে ডেকে গাড়িটি দিয়ে বলে যে আজ রাতের মধ্যেই গাড়িটির রং নম্বর প্লেট সব পাল্টে ফেলতে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে guddan গাড়ি সমেত সেই রাতেই পুলিশ এর হাতে ধরা পড়ে। এর পরে শুরু হলো, নিজেকে এবং নিজের ছেলে কে পুলিশ ও মুড়কি গ্যাং এর হাত থেকে বাঁচাতে বিষাণ খসলার একের পর এক মিথ্যে এবং ক্ষমতার অপ্যবহারের খেলা।
Bishan Khosla এর ভূমিকায় জিম্মি সেরগিল খুব ভালো কাজ করেছেন। মূলত পুরো ওয়েব সিরিজ টি একার কাধেই টেনে নিয়ে গেছেন। তাকে যোগ্য সঙ্গত করে গেছেন পুলিশ অফিসার এর ভূমিকায় মিতা বশিষ্ঠ এবং সিআরপিএফ জওয়ান এর ভূমিকায় বরুণ বাদলা। বাকিরাও ঠিকঠাক। ছেলের ভূমিকায় আবির কে দেখে মাঝে মাঝে রাগ লাগবে। মনে হবে এরকম ছেলের জেল হলেই ভালো হয়। সব মিলিয়ে কিছুটা দুর্বল চিত্রনাট্য হলেও জিমি সেরগীল এর জন্য একবার দেখে নেওয়াই যায়।
মন্তব্য করুন
মনোয়ার হোসেন ডিপজল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
মন্তব্য করুন
বিএফডিসিতে রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আগামীকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন
করপোরেশনে (বিএফডিসি) সকাল ৯টায় থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
এবারের নির্বাচনে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি
প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১। মিশা সওদাগর ও মনোয়ার
হোসেন ডিপজল প্যানেল ও মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল
মিশা সওদাগর ও মনোয়ার
হোসেন ডিপজল প্যানেল
মিশা-ডিপজল পরিষদের হয়ে নির্বাচনে সহ-সভাপতির পদে লড়বেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।
এছাড়াও কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।
মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল
মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের প্রার্থী হয়েছেন, সহ-সভাপতি পদে ড্যানি
সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান,
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও
ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান।
কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের হিসেবে থাকছেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো.সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।
এছাড়াও এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকছেন খোরশেদ আলম খসরু। সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান এবং শিল্পী সমিতির নির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা ৫৭০ জন। তারাই বেছে নেবেন আগামী দুই বছরের চলচ্চিত্র শিল্পীদের নেতা-অভিভাবক।
ইতোমধ্যেই ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন
করেছ নির্বাচন কমিশন। এবারই প্রথম শিল্পীদের নির্বাচনে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার খসরু বলেন, ‘এবার ভোটার আছেন ৫৭০ জন। নির্বাচনে যেন কোনো ঝামেলা না হয়, সুষ্ঠু পরিবেশে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করব। গতবারের কোনো প্রভাব যেন এই নির্বাচনে না পড়ে সেটাও খেয়াল রাখছি।’
মিশা সওদাগর মনোয়ার হোসেন ডিপজল মাহমুদ কলি নিপুণ আক্তার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন
মন্তব্য করুন
নায়িকা পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে
জিমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছে আদালত। পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন
মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল
ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন বাদীপক্ষ পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির
আবেদন করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য
নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মোহাম্মদ
মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার
জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা
পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে
অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ
তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত
বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।
মামলায় নাসিরউদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল
সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং
পারসেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা
মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট
ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে
অ্যালকোহল পান করেন।
এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল
আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে
ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির
মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে
পারসেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ
করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং
গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে
আঘাতপ্রাপ্ত হন।
বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির
উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা
দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা
ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।
মন্তব্য করুন
একসময়ে দেশের জনপ্রিয় দাম্পত্য তারকা জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত
রশিদ মিথিলা। ২০০৭ সালের ৩ আগস্ট ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা। ১০ বছর সংসার জীবন পার
হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেন একে অন্যের সঙ্গে আর থাকবেন না। এরপর ২০১৭ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে
বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। কিন্তু এবার আবারও তারা এক হচ্ছেন। তবে বাস্তবে নয়, দেখা যাবে ছোট
পর্দায়।
এক সময় নিয়মিত ছোট পর্দায় কাজ করতেন এই জুটি। আবারও তাদের জুটি
হতে দেখা যাবে। এবার নাটক বা সিনেমায় নয়। ফিরছেন ৭ পর্বের ‘বাজি’ নামক একটি ওয়েব সিরিজ
দিয়ে।
এই ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ করছেন ‘মাটির প্রজার দেশ’খ্যাত নির্মাতা
আরিফুর রহমান। তবে এ বিষয়ে রাখা হয়েছে গোপনীয়তা। নির্মাতার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে
সিরিজের প্রথম লটের শুটিং ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
এছাড়া এই ওয়েব সিরিজ দিয়ে ওটিটিতে প্রথমবারের মতো নাম লেখাতে যাচ্ছে
তাহসান। তবে কোনো প্ল্যাটফর্মে সিরিজটি দেখানো হবে সে বিষয়ে এখনো কিছু নিশ্চিত করা
হয়নি।
উল্লেখ্য, তাহসান-মিথিলা জুটি হয়ে বেস কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন।
যার মধ্যে রয়েছে ‘আমার গল্পে তুমি’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস’, ‘ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে
প্রেম’, ‘মধুরেন সমাপয়েত’সহ বেশকিছু নাটকে। একসঙ্গে গেয়েছেন গানও। এই সংসারে আইরা তেহরীম
খান নামে তাদের একটি মেয়েও রয়েছে।
তাহসান খান রাফিয়াত রশিদ মিথিলা নাটক
মন্তব্য করুন
দেশের
সিনেমাপ্রিয় দর্শক মানসম্মত নতুন ছবি মুক্তির জন্য মুখিয়ে থাকেন। ঈদে মুক্তি পাওয়া
ছবি মানেই এ ঈদ আনন্দ বহুগুণে বেড়ে যাওয়া। প্রদর্শকরাও
আগ্রহ নিয়ে ঈদের ছবির জন্য অপেক্ষার প্রহর গোনে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
দেশে বর্তমানে উদ্বেগজনক হারে সিনেমা
হলের সংখ্যা কমলেও প্রযোজকদের ছবি মুক্তি দিতে বেশ দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। এবার দেশের
শতাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ১১ টি ছবি। দেশীয় চলচ্চিত্রের দুর্দিনে এটি অবশ্যই বড় ধরনের প্রাপ্তি।
এবারের
ঈদে মুক্তি পাওয়া ১১ টি ছবি হলো, রাজকুমার, কাজলরেখা, ওমর, দেয়ালের দেশ, জ্বীন-২, আহারে জীবন, লিপস্টিক, সোনার চর, গ্রিণ
কার্ড, মায়া
দ্য লাভ ও মেঘনা কন্যা।
রাজকুমার
ঈদের ছবি হিসেবে বাণিজ্য ও দর্শকপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছে হিমেল আশরাফ পরিচালিত শাকিব খান অভিনীত ‘রাজকুমার’। এ ছবির গল্পের বিভিন্ন অংশ দর্শককে আবেগাপ্লুত করছে, শাকিবের অভিনয়ও পাচ্ছে ভূয়সী প্রশংসা। ফলে স্টার সিনেপ্লেক্সসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে উল্লেখযোগ্য দর্শক সমাগম হচ্ছে। ঈদে সর্বাধিক ১২৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘রাজকুমার’। সিনেমাটি দর্শকের সাড়াও পাচ্ছে বেশ।দর্শক চাপে আগের শোর সঙ্গে সনি স্কয়ারে একটি, বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে দুটি এবং রাজশাহীতে বাড়ানো হয় একটি শো। সব মিলিয়ে সিনেপ্লেক্সে ‘রাজকুমার’ সিনেমার মোট শো দাঁড়ায় ১৭টি। অন্যদিকে ঐতিহ্যবাহী হল মধুমিতার কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বললেন, তার মধুমিতাতে শাকিব খানের ছবি মানেই উৎসবের আমেজ। সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোতে শাকিব খানের ছবি দিয়েই দুই পয়সা আয়ের মুখ দেখছে।
সোমবার সকালে সামাজিকমাধ্যমে শাকিব খান লিখেছেন-
‘অবিরামভাবে মিলিয়ন মিলিয়ন ভালোবাসা পাচ্ছে ‘রাজকুমার’। প্রিয় দর্শকদের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। সবাইকে ভালোবাসা।’
ওমর
সিনেমা হল সংখ্যায় দ্বিতীয় জায়গাটি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ নির্মিত ‘ওমর’
এর দখলে। ২১টি হল পেয়েছে ছবিটি। জানা গেছে, প্রেক্ষাগৃহের
মতো দর্শক সাড়ায়ও ‘রাজকুমার’ এর
পরেই অবস্থান করছে এটি। বিশেষ করে ছবিটির গল্প দর্শক-সমালোচকদের মুগ্ধ করছে। সিঙ্গেল স্ক্রিনে খুব একটা সুবিধা না করতে পারলেও মাল্টিপ্লেক্সে অগ্রিম
টিকিট বিক্রিতে রাজকুমারের পরেই ওমরের অবস্থান বলে জানিয়েছেন সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। ওমর সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন- শরিফুল
রাজ, শহিদুজ্জামান
সেলিম, নাসির
উদ্দিন খান ও দর্শনা বণিক।
মোনা: জ্বীন টু
সিনেমা হল মালিকদের কথায় বেশ সরব অবস্থানে রয়েছে ‘মোনা
: জ্বীন টু’ ছবিটি। তবে সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল মিলিয়ে ৮ পর্দায় চলছে ছবিটি। এ ছবির প্রযোজক জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, ‘ছবিটির
সাফল্য আমার প্রত্যাশার শতভাগেরও বেশি ছাড়িয়ে গেছে। টিকিট সেলের দিক থেকে এ ছবিটি এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। প্রতিটি হলে টিকিট অগ্রিম সোল্ড আউট হয়ে যাচ্ছে, যা ঈদের অন্য কোনো ছবির বেলায় নেই। মোনা: জ্বীন
টুর অ্যাডভান্স টিকিটি সেলিং আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। সবচেয়ে বড় কথা দর্শক পরিবার নিয়ে বারবার ছবিটি দেখছে।’
সোনার চর
জায়েদ খান অভিনীত সোনার চর ঈদে সাতটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। জাহিদ হোসেন পরিচালিত এ ছবিটি সন্তোষজনক ব্যবসা করছে বলে দাবি ছবির নায়ক জায়েদ খানের। তিনি বলেন, ‘ঈদে ছবিটি আমার প্রত্যাশার শতভাগ পূরণ করেছে। কারণ দর্শক বলছে এতে প্রকৃত একজন অভিনেতা হিসেবে জায়েদ খানকে খুঁজে পেয়েছেন তারা। আমি আমার প্রিয় ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আহারে জীবন
ছটকু আহমেদ পরিচালিত ফেরদৌস ও পূর্ণিমা অভিনীত ‘আহারে
জীবন’ ছবিটি ঈদে দর্শকদের মুগ্ধ করলেও সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে দর্শক প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে আক্ষেপ নির্মাতার। তিনি বলেন, এমন
শোয়ের টাইম বেঁধে দেওয়ায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দর্শকরা আমার ছবিটি তেমনভাবে দেখতে পারেনি।
এটি কমার্শিয়াল ছবি নয়
বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কাজলরেখা
বাংলা
লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ অবলম্বনে
নির্মিত হয়েছে ‘কাজলরেখা’। কেবল
দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছে সবচেয়ে বেশি মূল্যের ভিআইপি হলে চলছে ‘কাজলরেখা’। তারপরও দর্শকদের ভিড় খারাপ নয়। কাজলরেখার অনেক শো হাউসফুল গিয়েছে।
এ ছবির পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম জানিয়েছেন,
‘এই ছবি যারা দেখছেন তারা রূপকথার যে গল্প শুনে আসছিলেন তার সঙ্গে কানেক্ট করতে পারছেন। যারা দেখছেন তারা সবাই তৃপ্ত হয়ে হল থেকে বের হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত সিনেমাটির কোনো নেতিবাচক রিভিউ পাইনি।’ সিনেমাটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- মন্দিরা
চক্রবর্তী, রাফিয়াত
রশিদ মিথিলা, সাদিয়া
আয়মান, শরীফুল
রাজ, খায়রুল
বাসার, গাউসুল
আলম শাওনসহ আরও অনেকে।
দেয়ালের দেশ
মিশুক মনি নির্মিত ‘দেয়ালের দেশ’ নিয়েও
প্রত্যাশা ছিল অনেকের। কিন্তু
মুক্তির পর সেই প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমীকরণ মেলেনি সেভাবে।
এছাড়াও ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত ‘মেঘনা কন্যা’, জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালিত ‘মায়া : দ্য লাভ’, কাজী হায়াতের ‘গ্রিন কার্ড’, ছবিগুলো এভারেজ দর্শক টানছে বলে জানান সিনেমা হল মালিকরা।
ঈদে সিনেমা সিনেপ্লেক্স হাউজ ফুল
মন্তব্য করুন
একসময়ে দেশের জনপ্রিয় দাম্পত্য তারকা জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ২০০৭ সালের ৩ আগস্ট ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা। ১০ বছর সংসার জীবন পার হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেন একে অন্যের সঙ্গে আর থাকবেন না। এরপর ২০১৭ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। কিন্তু এবার আবারও তারা এক হচ্ছেন। তবে বাস্তবে নয়, দেখা যাবে ছোট পর্দায়।