নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ২৭ জুন, ২০২০
এই ওয়েবসিরিজগুলো থেকে অন্যতম প্রাপ্তি হল বহু অখ্যাত অসামান্য অভিনেতাদের কাজ দেখতে পাওয়া। ওয়েবসিরিজ না হলে এরা হয়তো আড়াইঘন্টার বিগস্ক্রিনে কখনও সুযোগই পেতেন না। ওই খান-কাপুরদের ভিড়ের অনেক অনেক পিছনেই দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একদিন নিঃশব্দে সরে আসতেন।
পাতাললোক
পাতাললোক ওয়ান অব দ্যা বেস্ট ইন্ডিয়ান সিরিজ। একটা সিরিজে কি নেই? সমাজের উচু-নিচু বর্ণ, দলিত, মুসলমান, বাস্তুহারা মিডিয়ার কারচুপি সব, সবার গল্প উঠে এসেছে এখানে।
পৃথিবীতেও মানুষ তিন ধাপে থাকে; স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল। স্বর্গের মানুষেরা পাতালের মানুষদের ব্যবহার করে, মর্ত্যের মানুষের কাঁধে চেপে বসে থাকে। নিচু শ্রেনীর মানুষের কাঁদে বন্ধুক রেখে শিকার করে।
দেশের সিস্টেম কে বাহির থেকে দেখলে করাপ্টেড আর নোংরা মনে হবে কিন্তু বাস্তবে সিস্টেম হচ্ছে well-oiled machinery প্রত্যেক পার্ট জানে কার কি কাজ। যে কাজ ভুলে যায় তাকে মেশিনের মতো সেই পার্টকে খুলে বদলে ফেলা হয়। কিন্তু সিস্টেম কখনো পাল্টায় না।
সিস্টেমের মাধ্যমে একজন মুসলমানকে যখন টেরোরিস্ট বানায় দেয় তখন তার পিতা বলে, `কেয়া সাব, যিসকো ম্যায়নে মুসলমান বাননে না দিয়ে, আপ নে উসকো জ্বিহাদী বানা দিয়া?`
অসুর
হিন্দু পুরাণ মতে সাত ঋষির সেরা কাশ্যপের ১৩ স্ত্রীদের মধ্যে দিতি এবং অদিতি সবচেয়ে প্রভাবশালী। উত্তর নক্ষত্রের প্রভাবে অদিতির গর্ভে জন্ম নেয় গুণবান পুত্র যাদের দেবতা বলা হয়। অন্যদিকে গ্রহের দোষে দিতির গর্ভে জন্ম নেয়া সন্তানতা হিংসা, ক্রোধ আক্রান্ত হয়ে জন্ম নেয় যাদেরকে অসুর বলা হয়। অসুর বনাম দেবতার লড়াইয়ে বিজয়ী হয় দেবতারা এবং অসুরদের ছুঁড়ে ফেলা হয় অন্ধকারে।
অনেকটা এই মূলধারাকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হয়েছে ওয়েব সিরিজ `অসুর` যেটি মুক্তি পেয়েছে ভিডিও ষ্ট্রিমিং সাইট Voot-এ। নেটফিক্স কিংবা অ্যামাজনের মতো জনপ্রিয় প্লাটফর্মের সিরিজ না হয়েও গল্প আর নির্মানের জোড়ে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে ক্রাইম থ্রিলার জনরার এই ওয়েব সিরিজটি। হলিউডে মিথলজি নির্ভর অনেক ক্রাইম থ্রিলার মুক্তি পেলেও এই প্রথম ভারতে এমন ধারার কাজ বেশ মুগ্ধ করলো। অসুর ছদ্মনামের এক সিরিয়াল কিলারের নিখুত কিলিং মিশন আটকে রেখেছে দর্শককে সেই টানা ৮ পর্ব ধরে। কিলারের বৈশিষ্ট্য হিসেবে পাওয়া যায় লাশের কাটা আঙ্গুল ও অসুরের মুখোশ। কমেডিতে থিতু হওয়া আরশাদ ওয়ার্সিকে সিবিআই সিরিয়র অফিসার ধনঞ্জয় রাজপুতের মতো সিরিয়াস চরিত্রে পাওয়া দর্শকদের জন্য আলাদা প্রাপ্তি। সিরিজটির অন্যতম প্রধান চরিত্র ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নিখিল নায়ার (বরুন সবতি) যাকে খুনী তার টোপের বশে বিদেশ থেকে ভারত নিয়ে আসে। অসুর দেখে এটাও মনে হয়েছে, এমন সিরিজ নির্মানে আরো বাজেট দাবি রাখে।
পঞ্চায়েত
টিভিএফ মানেই ভিন্ন কিছু। টিভিএফের অনন্যতার অন্যতম প্রধান দিক হচ্ছে খুব সহজ, সাধারণ আর শিক্ষণীয় ব্যাপারটাকেই তারা খুব মজায় মজায় তুলে ধরে।টিভিএফের গল্প, চিত্রনাট্য এবং নির্মাণ নিয়ে তাই কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। একদমই সিম্পল একটা গল্পকে কি করে দারুণ আকর্ষণীয় আর বিনোদনময় করে তুলতে হয় তার প্রমাণ যেন টিভিএফ। গল্প একদমই সাদামাটা তবে হ্যাঁ চিত্রনাট্য ছিল দুর্দান্ত। বিশেষ করে সংলাপ। কেননা, সাদামাটা গল্প হলেও সংলাপ এবং চরিত্রায়নগুলো এমন মোক্ষমভাবে তৈরি করা হয়েছে যে হাস্যরসাত্মকের কারণে গল্পটার মধ্যে অনায়াসেই ডুবে যাওয়া যায়।
একদম শুরুটাই আপনাকে এত মজা দিবে যে, মজার তালে কোন ফাঁকে যে সিজন শেষ হবে তা টেরই পাবেন না। কমেডি ড্রামা হলেও সিরিজে সুখ, দুঃখ, প্রেম, একাকীত্ব, বন্ধুত্ব, সঙ্গীহীনতা এমনকি ডেয়ারিং সিন আর একশনও ছিল – সবই যেন গল্পের ভাঁজে ভাঁজে ফুটে উঠেছে এক এক করে। চিত্রনাট্যকার চন্দন কুমার তাই একটা বাহবা পাওয়ার যোগ্যই বটে।
অভিনয় বেশ ভালো। অভিষেক চরিত্রে ছিলেন জিতেন্দ্র কুমার। এই ছেলেটার অভিনয় দেখলে মনে হয় মঞ্চাভিনেতা ছিল কোন এককালে হয়তো; আর নয়তো একদম গডগিফটেড। যে কোন চরিত্রে কেমন দারুণভাবে মিশে যায়। পঞ্চায়েত প্রধানের চরিত্রে রাগুবির যাদব এবং তার স্ত্রী মঞ্জু দেবীর চরিত্রে নীনা গুপ্তা। এদের অভিনয় নিয়ে কমবেশি সবারই ধারণা আছে। বেশ জমিয়ে অভিনয় করেছেন। এছাড়া, বাদবাকি সবাইই বেশ ভালো অভিনয় করেছে। নয়তো সিরিজটা আইএমডিবিতে ৮.৯/১০ রেটিং পায় না এবং গুগলের হিসেবে প্রতি ১০০ জনে ৯৭ জন এটাকে পছন্দ করতো না।
আরিয়া
কেন দেখবেনঃ ১। সুস্মিতা সেন, ২। মেকিং ৩। চমৎকার চরিত্রাঙ্কন।
কেন দেখবেন নাঃ রিমেক শো দেখতে না চাইলে।
প্রায় দুই দশক পর হারিয়ে যাওয়া সুষ্মিতা যেই রাজকীয়ভাবে এই সিরিজ দিয়ে পদার্পন করলেন, তা আসলেই বলিউডপ্রেমীদের জন্য অভাবনীয় একটা ঘটনা। Neerja দিয়ে জাতীয় পুরষ্কার পাওয়া রাম মাদভানি এই সিরিজে শুধু সুস্মিতাই না, এমন অনেক আন্ডাররেটেড পুরানো অভিনেতাদের জড় করেছেন, যারা বহুদিন বলিউডে থেকেও জায়গা বানাতে পারেনি। তাদের এতো চমৎকারভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা একটা সাদাসিধা প্লটকেও সমৃদ্ধ করেছে।
Aariya এর গল্পে এক বড় ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির ৩ অংশীদার এক স্থানীয় মাদকচক্রের কাছ থেকে মাল চুরি করে ফ্যাসাদে পড়ে, তাদের ক্রিয়াকর্মের ল্যাঠা পরিবারকে চুকাতে হয়। একদিকে পুলিশ, আরেকদিকে কার্টেল। সবার পাওনা মিটিয়ে পরিবারকে নিরাপদে থাকতে গৃহিণী আরিয়াকে হাল শক্ত করে ধরতে হয়। এটাই কাহিনী, যা অনেকটাই নেটফ্লিক্সের Ozark কে মনে করায়, পার্থক্য সেখানে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মিলিত প্রয়াস, আর এখানে প্রায় One-Woman-Show!
ভায়োলেন্স, রক্তারক্তিতেও দারুণ সহনশীলতা দেখেছি। যৌনতা আছে, কিন্তু কোনটাই বাড়াবাড়ি না, বরং ফ্রেশ ও রুচিশীলভাবে করা।
পুরা শো জুড়ে পুরানো দিনের চমৎকার সব মিষ্টি গান, যা শুরু থেকেই আলাদা একটা স্পর্শে মুখর রেখেছে। সাথে আবার উচ্চবিত্ত সমাজের প্রাচীনত্ব নিয়ে ফিউশান হিপহপের ছোঁয়াও আছে। কোনকিছুতেই বাড়াবাড়ি নেই।
ইউর অনার
এটি কোনো মৌলিক গল্প না, বরং একই নামের ইসরাইলী টিভি সিরিজ এর ভারতীয় সংস্করণ বলা যেতে পারে। গল্পের প্রেক্ষাপট পাঞ্জাব এর লুধিয়ানা শহর। যেখানে সারাক্ষণ ২ টি গ্যাং এর ঝামেলা লেগেই থাকে। একটি হলো পাঞ্জাবি দের গ্যাং যার প্রধান সতবির মুড়কি এবং আর একটি হলো ভাইয়া গ্যাং যার প্রধান হলো পণ্ডিত। নিজেদের ক্ষমতা জহির এর জন্য এরা খুন জখম দাঙ্গা করতেই থাকে। তো এইরকম এক সময়ে শহরের এক আদালতের জাজ বিশান খোসলা(জিমি শেরগীল) এর ছেলে আবির ড্রাইভিং টেস্ট এ ফেল করে রাগের মাথায় গাড়ি চালাতে গিয়ে অ্যাকসিডেন্ট করে বসে সৎবির মুরকির বড়ো ছেলে সতনাম মুড়কি কে। নিজের ছেলে কে বাঁচানোর জন্য বিষাণ খোসলা পুলিশ এ গিয়ে ফলস কমপ্লেইন করে এই বলে যে ওর গাড়ি টি চুরি হয় এ গিয়েছে এবং উনি ওই গাড়ি টি ওনার ই এক পরিচিত সিআরপিএফ জওয়ান কাশী কে গিয়ে বলেন যে গাড়িটি যেভাবে হোক সরিয়ে ফেলতে। কাশী তখন ওর পরিচিত এক গাড়ি চোর guddan কে ডেকে গাড়িটি দিয়ে বলে যে আজ রাতের মধ্যেই গাড়িটির রং নম্বর প্লেট সব পাল্টে ফেলতে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে guddan গাড়ি সমেত সেই রাতেই পুলিশ এর হাতে ধরা পড়ে। এর পরে শুরু হলো, নিজেকে এবং নিজের ছেলে কে পুলিশ ও মুড়কি গ্যাং এর হাত থেকে বাঁচাতে বিষাণ খসলার একের পর এক মিথ্যে এবং ক্ষমতার অপ্যবহারের খেলা।
Bishan Khosla এর ভূমিকায় জিম্মি সেরগিল খুব ভালো কাজ করেছেন। মূলত পুরো ওয়েব সিরিজ টি একার কাধেই টেনে নিয়ে গেছেন। তাকে যোগ্য সঙ্গত করে গেছেন পুলিশ অফিসার এর ভূমিকায় মিতা বশিষ্ঠ এবং সিআরপিএফ জওয়ান এর ভূমিকায় বরুণ বাদলা। বাকিরাও ঠিকঠাক। ছেলের ভূমিকায় আবির কে দেখে মাঝে মাঝে রাগ লাগবে। মনে হবে এরকম ছেলের জেল হলেই ভালো হয়। সব মিলিয়ে কিছুটা দুর্বল চিত্রনাট্য হলেও জিমি সেরগীল এর জন্য একবার দেখে নেওয়াই যায়।
মন্তব্য করুন
ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
এদিকে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানায়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অধ্যাপক (ড.) রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শিল্পকলায় পদ্মশ্রী পদক প্রদান করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন দক্ষ পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী, রবীন্দ্রসঙ্গীতের একজন নিবেদিতপ্রাণ অনুশীলনকারী।
ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা হচ্ছে ভারতরত্ন। তারপরই রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। নানা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে পুরস্কারগুলো।
এ বছর দেশটির সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ আর ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মাননা পেয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এবারের পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে।
প্রসঙ্গত, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপর শিক্ষা লাভ করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় রেজওয়ানা বন্যা ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতেও পড়াশোনা করেছেন। তিনি ‘সুরের ধারা’ নামের একটি সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে এ পর্যন্ত বহু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’ ও ‘ছিন্নপত্র’ ইত্যাদি।
সঙ্গীতে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১৬ সালে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক লাভ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সঙ্গীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে ভারতে বঙ্গভূষণ সহ বেশ কিছু পদক পেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্র করে
বলিউড তারকাদের কিছু ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়েই
শুরু হয়েছে হইচই।
ডিপফেক ভিডিও দেখা গেছে, গুলোতে দুই বলিউড
সুপারস্টারকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। একই সঙ্গে তারা
চলমান লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
ভাইরাল দুই ভিডিওর মধ্যে ৩০ সেকেন্ডের
একটি ভিডিও আমির খানের এবং ৪১ সেকেন্ডের আর একটি ভিডিও রণবীর সিংয়ের। ওই ভিডিওতে এই
দুই সুপারস্টারকে বলতে শোনা গেছে, মোদি যে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়নে
তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
এছাড়া গত দুই মেয়াদের ক্ষমতায় তিনি
অর্থনৈতিক সংকটে রোধেও তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেন নাই।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরিকৃত
এই ভিডিও’র শেষে কংগ্রেসের প্রতীক এবং শ্লোগান তুলে ধরা হয়। বলা হয়েছে ‘ভোট হলো অধিকার,
কংগ্রেসকে ভোট দিন’।
আমিরের ভাইরাল ডিপফেক ভিডিও নিয়ে মুম্বাইর
থানায় একটি মামলাও করেছে পুলিশ। জানিয়েছে এই ঘটনার সাথে যুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু
হয়েছে।
ডিপফেক লোকসভা নির্বাচন আমির খান
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ দ্বিবার্ষিক মেয়াদের নির্বাচনে
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে সমিতির এক সদস্য
টাকা দেয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন বরাবর। তবে গত ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণের
পর এতে ডিপজল জয়লাভ করলে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করেন অভিযোগকারী অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা।
গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিজয়ী
সভাপতি খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। পর্দার দাপুটে এ অভিনেতা বলেন, ডিপজলের বিরুদ্ধে নির্বাচন
আচরণবিধি দুই ও তিন ভঙ্গের যে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সাদিয়া মির্জা, সেটি প্রত্যাহার করে
নিয়েছেন তিনি। বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচন ২৭ এপ্রিল সম্পন্ন করার কথা থাকলেও একটি
প্যানেল আপত্তি জানালে পরে ১৯ এপ্রিল তারিখই চূড়ান্ত রাখা হয়। ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির
এ নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দিদ্বতা করেন ৪৮ প্রার্থী।
প্যানেল দুটি হচ্ছে―মাহমুদ
কলি ও নিপুণ আক্তার এবং অন্যটি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন খোরশেদ
আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।
ডিপজল অভিযোগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
মন্তব্য করুন
টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় মুখ অলিউল হক রুমি আর নেই। সোমবার (২২
এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
করেন তিনি।
অভিনেতা জিয়াউল অপূর্ব নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অলিউল হক রুমির
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই ক্যানসার ধরা পড়ে রুমির শরীরে। এরপর চিকিৎসা
নিতে ভারতে যান। সেখানে থেকে দেশে ফিরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন
তিনি।
কর্তব্যরত চিকিৎসক বলছেন, অভিনেতা রুমির শারীরিক অবস্থা প্রথমে
স্থিতিশীল ছিল। চিকিৎসাধীন হয়ে চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। তবে হঠাৎ করেই অবস্থার
অবনতি হতে শুরু করে তার। শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো গেল না এ অভিনেতাকে।
মৃত্যুর আগে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে এ অভিনেতা সবার কাছে
দোয়া চেয়েছিলেন। ক্যানসার জয় করে আগের মতো আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি।
তবে ক্যানসারের কাছে হেরে গেলেন অভিনেতা।
তিনি দীর্ঘদিন মঞ্চেও অভিনয় করেছেন। থিয়েটার বেইলি রোডের আলোচিত
‘এখনও ক্রীতদাস’ নাটকে অনবদ্য অভিনয় করেছেন তিনি।
শোবিজে তার অভিষেক হয় আলোচিত ধারাবাহিক ‘কোন কাননের ফুল’ নাটক দিয়ে। চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
নানা জল্পনার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের
নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ডিপজলের কাছে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ। আর মাহমুদ
কলি হেরেছেন মিশা সওদাগরের কাছে। শুধু কলি-নিপুণ নয়, তার প্যানেলের রীতিমতো ভরাডুবি
হয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট অনেককে অবাক করেছে। নির্বাচনে এমন ভরাডুবির বেশ কয়েকটি কারণ আছে
বলে মনে করছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা।
এর আগের নির্বাচনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনয়শিল্পী
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নতুন করে আলোচনায় আসেন চিত্রনায়িকা নিপুণ
আক্তার। একই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন জায়েদ খান। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে
গেল মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ভোটে এই
পদের জটিলতার নিরসন হয়নি। ভোট শেষে এই পদের জটিলতা সমাধানে আদালতের দ্বারস্থ হন নিপুণ
ও জায়েদ। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে নিপুণ দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। সমিতির দায়িত্ব
পালনের পুরো দুই বছর সময়ে জায়েদ খান সমালোচনা করেন নিপুণের। হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি
নিপুণও, তিনি জায়েদের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে শিল্পী সমিতির এসব
সদস্যের অসংলগ্ন কথাবার্তায় বিরক্ত ছিলেন জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ
মানুষেরাও।
গেল মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার এবারও চলচ্চিত্র শিল্পী
সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে জানান, এই মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তিনি আর অংশ নেবেন
না। হঠাৎ করে সভাপতির এমন ঘোষণায় বেকায়দায় পড়েন নিপুণ। এমনকি কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের
সাইমন সাদিকসহ কয়েকজন সদস্যের সরে যাওয়াটা এবারের নির্বাচনে নিপুণ প্যানেলে নেতিবাচক
প্রভাব পড়েছে।
অন্যদিকে মিশা-ডিপজল তাদের গুছিয়ে ফেললেও নিপুণকে সভাপতি প্রার্থী
খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়। অনেক তারকাকে রাজি করানোর চেষ্টার খবর এলেও শেষ পর্যন্ত দেখা
যায়, নিপুণ সভাপতি হিসেবে পান একসময়ের আলোচিত নায়ক মাহমুদ কলিকে। তারপরও যেন নির্বাচনী
মাঠ জমাতে পারেননি তিনি। প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা মিশা-ডিপজল প্যানেলের প্রার্থীদের
চেয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রার্থী ছিল বলেও কেউ কেউ মত দেন, যা নিপুণের জন্য ভালো ফল
বয়ে আনেনি।
তা ছাড়া গেল মেয়াদে নিপুণের সঙ্গে যারাই ছিলেন, তাদের মধ্যে শাহনূর,
নানা শাহ ও ডি এ তায়েবের মতো অনেকেই যখন তাঁকে ছেড়ে মিশা-ডিপজলের সঙ্গে যোগ দেন, তা
সবচেয়ে নেতিবাচক ছিল। এসব নির্বাচনের সময় ভোটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে।
২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে নিপুণ সভাপতি হিসেবে পাশে পেয়েছিলেন
জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী ইলিয়াস কাঞ্চনকে। এ বছরের মার্চে হঠাৎ করে শিল্পী সমিতির নির্বাচন
নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন তিনি।
ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে
টাকার ছড়াছড়ি হয়। ভোটাররা প্রতিটি প্যানেল থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেন। হঠাৎ করে
সভাপতির এমন বক্তব্য সাধারণ সম্পাদকসহ সেই প্যানেলের জন্য মন্দ বার্তা বয়ে আনে, যা
ভোটে প্রভাব ফেলেছে।
এবারের মেয়াদের নির্বাচন শুরুর আগ মুহূর্তে নিপুণ তার ক্ষমতাবলে
কয়েকজনকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ দিয়েছেন, এমন কথা চলচ্চিত্রের অনেকে বলেছেন। আবার ফেসবুক
দেওয়া পোস্টকে ঘিরে সদস্যপদ বাতিলের ব্যাপারটিও নিপুণের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনেনি।
প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের
সদস্যপদ এবং তার নির্বাচনের বিষয়টিও নিপুণকে সমালোচনায় ফেলে। নিপুণের প্যানেল থেকে
নির্বাচন করার ঘোষণা যখন আসে, তখন চলচ্চিত্র শিল্পীদের নিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বেফাঁস
মন্তব্যও নির্বাচনে নিপুণ প্যানেলের জন্য নেতিবাচক হয়েছে।
গেল মেয়াদে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পীরজাদা
শহীদুল হারুন। তার সঙ্গে নিপুণের দ্বন্দ্ব ছিল প্রকাশ্যে। দুজন দুজনকে নিয়ে আপত্তিকর
মন্তব্য করতেও ছাড়েননি। সেই পীরজাদাকে এবার দেখা গেছে কলি-নিপুণ প্যানেলে। হঠাৎ করে
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ‘চিরশত্রু’ হিসেবে পরিচিত পীরজাদা হারুনের সঙ্গে হাত মেলানো
এবং একই প্যানেল থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ভোটারদের মধ্যে নিপুণকে নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া
তৈরি করে। কারও কারও মতে, নিপুণ শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন,
যা মোটেও ঠিক হয়নি। জোর খাটিয়েছেন।
নিপুণের এমন আচরণের ইঙ্গিত পাওয়া যায় গেল মেয়াদে তারই প্যানেল থেকে
নির্বাচিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা শাহনূরের একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে। এবার তিনি নিপুণের
বিপরীত প্যানেল থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। এরপর তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জোর করে
কারও মনে স্থান পেতে যাবেন না। আপনাকে যদি তাঁর প্রয়োজন থাকে, তার মনে এমনিতেই আপনার
জন্য জায়গা থাকবে।’ অনেকে ফেসবুকে এমনও লিখেছেন বিগত সময়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলন
বা অন্য অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা নিপুণ ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ আচরণ করেছেন।
কারও কারও মতে, গেল মেয়াদে বিজয়ী হয়ে আসার আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি
রক্ষা করতে পারেননি নিপুণ। তারই প্যানেলে সদস্য নানা শাহ এ বিষয়টি সবার সামনে তুলে
ধরেছেন এভাবে..
‘আগেরবার আমি এবং ডি এ তায়েব নিপুণের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম।
ভালো কিছু কাজের আশা করেই তাদের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম। তারা কথা দিয়েছিল সিনেমা
নির্মাণ করবে। একটি কথা মনে রাখবেন, শিল্পী সমিতি সিনেমা নির্মাণ করতে পারে না। কিন্তু
নিপুণ কথা দিয়েছিল ছয়টি সিনেমা নির্মাণ করবে। আমি তার কথা অনুযায়ী এগিয়ে ছিলাম। দুটি
সিনেমায় এন্ট্রি করেছিলাম। কিন্তু তারা আমার পাশে কেউ আসেনি। নিপুণ কথা রাখেনি। তার
প্যানেলে গিয়ে ভুল করেছিলাম। আমরা শিল্পীরা সম্মান ও ভালোবাসা চাই। এটা যখন আমরা হারিয়ে
ফেলি তখন খুব কষ্ট পাই।সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে আমাদের অনেক শিল্পী এখন বেকার। তাদের জন্য
শিল্পী সমিতি দুই বছরে কী করতে পেরেছে? দুই বছরে শিল্পী সমিতির সফলতা দেখছি না।’
অন্যদিকে ডিপজল এবং মিশা সওদাগরদের প্রস্তুতিও এবার তুলনামূল বেশি
ছিল। কমিটিতে না থেকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাধারণ শিল্পী তথা ভোটারদের সঙ্গে
যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। এ ক্ষেত্রেও ঘাটতি ছিল নিপুণ এবং তার প্যানেলের অন্য সদস্যদের।
বিশেষ করে সভাপতি পদে মাহমুদ কলির দীর্ঘদিন সংগঠনের কার্যকর যোগাযোগ ছিল না। তাঁকে
সচারচর দেখা যেত না কোনো আয়োজনে। পর্দায়ও দীর্ঘদিন তাঁর উপস্থিতি ছিল না। প্রায় বিস্মৃতিতে
চলে গিয়েছিলেন এই তারকা।
এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কলি ও নিপুণ প্যানেল থেকে একটি পদ ছাড়া বাকি আটটি পদে বিজয়ী হয়েছেন মিশা-ডিপজল প্যানেল। আর কার্যনির্বাহী সদস্যপদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। কলি-নিপুণ প্যানেল থেকে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন নিপুণ-কলি প্যানেল
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ দ্বিবার্ষিক মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে সমিতির এক সদস্য টাকা দেয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন বরাবর। তবে গত ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণের পর এতে ডিপজল জয়লাভ করলে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করেন অভিযোগকারী অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা।
নানা জল্পনার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ডিপজলের কাছে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ। আর মাহমুদ কলি হেরেছেন মিশা সওদাগরের কাছে। শুধু কলি-নিপুণ নয়, তার প্যানেলের রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট অনেককে অবাক করেছে। নির্বাচনে এমন ভরাডুবির বেশ কয়েকটি কারণ আছে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা।