কালার ইনসাইড

এমন সব সিনেমা; যা নিয়ে কেউ কথা বলে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৮ জুন, ২০২০


Thumbnail

হলিউড- বলিউডের সিনেমা তো কম বেশি সবাই দেখেন। প্রিয় নায়ক, প্রিয় নায়িকা কিংবা প্রিয় পরিচালকের ছবি মিস যায় না। এর মধ্যে অস্কার কিংবা বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও কিছু ছবির খোঁজ মেলে। এসব ছাপিয়ে কিছু ছবি থাকে যা নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না। বড় কোন তারকারও সিনেমা না। কিন্তু যদি দেখতে বসেন, তাহলে বলবেন ইস! এতদিন কেন দেখিনি। আপনার না দেখার তালিকায় থাকতে পারে এমন কিছু আন্ডাররেটেড সিনেমার খোঁজ দেওয়া হলো।

Tracks

Country: Australia

এন অর্ডিনারী পারসন ইজ ক্যাপাবল অফ এনিথিং ঠিক এই চিন্তা ভাবনা থেকে Robyn Davidson নামের এক অল্পবয়সী মেয়ে ১৯৭৭ সালে চারটি উট এবং তার বিশ্বস্ত কুকুর নিয়ে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমি জুড়ে ১৭০০  মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ভারত মহাসাগরে উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।  নানান বাধা বিপত্তি পেরিয়ে পায়ে হেটে একা একজন মেয়ে আসলেই কি এতদূর পথ অতিক্রম করতে পারবে? এই নিয়েই মুলত মুভির গল্প। এছাড়াও চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য , অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী সংস্কৃতি সম্পর্কিত তথ্য এ মুভিতে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এডভেঞ্চার রিলেটেড মুভি যারা পছন্দ করেন তারা চাইলে দেখে  নিতে পারেন।

Parched -2015 ( 18+)

Country: India

একটা অন্ধকারছন্ন, কুসংস্কারধর্মী সমাজব্যবস্থায় আলো আনতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সমাজের জড়তা, অসারতা কিংবা কুসংস্কারধর্মী রীতিনীতি ভেঙ্গে মানুষকে সত্য ও সুন্দর পথের অনুসারী করতে শিক্ষাই হতে পারে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার।

সিনেমার গল্পটা ভারতের রাজস্থানের কোনো এক গ্রামের, যেখানে সমাজের কুসংস্কার পূজারী মূর্খ তথা সত্যর আলো ভীতূ প্রবীণ নীতিনির্ধারকদের চালনে ধূকতে থাকা মানুষের দুঃখ কষ্ট নিপীড়নের কথা সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে। বাল্যবিবাহ্, নারীনির্যাতন, শিক্ষাভীতি ছিল সিনেমার মূল বিষয়।

Leena Yadav এর ডিরেকশন, প্রধান একটি চরিত্রে রাধিকা আপ্তের ন্যাচারাল এক্টিং সিনেমাটিকে আরো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে। সিনেমায় ছিল বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ।

আমাদের পুরোনো ও এখনোও কিছু কিছু যায়গায় চলা সামাজিক কুসংস্কারের সঙ্গে যার পাওয়া যায় অনেক মিল।

Shotgun Stories

Country: United States

ক্লিমেন হেস সাউদার্ন আরকান্সাসের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী, ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠা লাভের পূর্বে ক্লিমেন নিকোল নামের এক গরীব ঘরের মেয়েকে বিয়ে করেন সেখানে তার তিনজন পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তাদের নাম সান,কিড আর বয়।

পরে ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠা লাভ করলে স্ত্রী আর তিনপুত্রকে পুরাপুরিভাবে পরিত্যাগ করেন, নতুন আরেকটা বিয়ে করেন এবং নতুন সন্তানদের আদর্শ পিতার ন্যায় বড় করেন।

চরম দারিদ্র্য আর অসহায়ত্ব নিয়ে বড় হওয়া প্রথম পক্ষের তিন সন্তান স্বাভাবিক কারণেই পিতা আর সৎভাইদের দেখতেই পারতেন না। সৎভাইরাও এড়ায় চলতো তাদের।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ক্লিমেন হেসের মৃত্যুর পরে তার ফিউনেরালে যখন উভয় পক্ষের সন্তানেরাই হাজির হন এবং প্রথম পক্ষের বড় ছেলে সান(মাইকেল শ্যানন) সদ্যমৃত বাবার কফিনে থুতু দেন। বাবার প্রতি ঘৃণামিশ্রিত যত কথাবার্তা বলা যায় বলেন।

এই ঘটনা কেন্দ্র করেই দুই পক্ষের ভাইদের অলিখিত যুদ্ধ শুরু হয়। সৎভাইদের এই দ্বন্দ নিয়েই পুরা সিনেমার কাহিনী এগিয়ে যায়।

মাড,টেক শেল্টারের মতন ক্রিটিকালি এক্লেইমড সিনেমা বানানোর আগে পরিচালক জেফ নিকোলস এই দুর্দান্ত ইন্ডি সিনেমার মাধ্যমে নিজের ডেব্যু করেছিলেন।

জোনাকি

দেশ: ভারত- ফ্রান্স

ভারত-ফ্রান্সের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত বাংলা মুভি। নির্বাক ছবিটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল। পরিচালকের নাম আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত। নি:সন্দেহে গত দশকে ডেভিউ হওয়া ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা পরিচালক। `আসা যাওয়ার মাঝে` চলচিত্রটি তারই নির্মাণ। সেটিও একটি নির্বাক চলচিত্র। যেটাকে গত দশকের অন্যতম সেরা বাংলা মুভি বলা হয়।

পরিচালকের দ্বিতীয় মুভি এটা। জোনাকি` প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু মুগ্ধতাই ছড়াবে। । মুভিতে কিছু সিন এমন চমৎকারভাবে দেখিয়েছে যা আগে কোনো ভারতীয় মুভিতে দেখা যায়নি হয়তো।

অসাধারণ অভিনয়, কালার, সিনেম্যাটোগ্রাফি, সাউন্ড, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সব মিলিয়ে অনবদ্য ছিলো মুভিটা । `জোনাকি`র ক্ষেত্রে লোকেশন অন্যতম সেরা জিনিস। ললিতা চট্টোপাধ্যায়-এর শেষ কাজ তার অন্যতম সেরা কাজ হয়ে থাকবেই।

দেখার সময় আপনার একবারো মনে হবেনা এটা বাংলা মুভি। সিনেমাটোগ্রাফি, কালার এতোটাই এক্সট্রিম লেভেলের। আপনি কোনো হলিউডের মুভির ফিল পাবেন।

Columbus

Country: Korea

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আগত জিন লি কোমাতে চলে যাওয়া বাবার কলম্বাস শহরের আর্কিটেকচারের কথা শোনে ছুটে আসে ইন্ডিয়ানার কলম্বাসে। ক্যাসে লাইব্রেরির কাজে জড়িত হলেও যেকিনা স্বপ্ন দেখে একদিন সফল আর্কিটেক্ট হিসেবে নিজেকে দেখার। কাজেরই জন্য সে জড়িয়ে যায় জিন লির সাথে। দুজনের আলাপচারিতায় আর্কিটেকচারের চমৎকার সৌন্দর্যের পাশাপাশি উঠে আসে তাদের জীবনের নানান পঙ্কিলতার সাথে চলার জীবনগাঁথা।

খুবই সিম্পল ধাঁচের হলেও গল্পটি প্রকৃতি, ভালোবাসা আর মানুষের সম্পর্কের কমপ্লেক্সগুলো সুন্দরভাবে দেখিয়েছে।

Risky Business

টম ক্রুজের ক্যারিয়ার শুরু করে দেওয়া এই সিনেমাটা ঠিক ওই ধরনের সিনেমাগুলির মতো, যেগুলি দেখার সময় প্রতিটা সিক্যুয়েন্স কোন একক ক্রিয়েটিভ ফোর্সের প্রোডাক্ট হিসেবে প্রতিভাত হয়। যেন কোন লেখক নিজের ভাড়া করা রুমে বসে বারবার এডিট করে চিত্রনাট্য শেষ করেছেন।

বড়লোক বাবা-মা কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে যাবেন, একা ছেলের দায়িত্বে পুরা বাড়ি- এই বেসিক টিনএজ কমেডির প্লটে অবিস্তারে কাজ সেরেছেন লেখক ও পরিচালক পল ব্রিকম্যান। ব্রিকম্যান মাত্র দুইটা সিনেমার পরেই বন্ধ হয়ে যান; কেন? প্রডিউসারদের সাথে তার ভিশন মিলে নাই এবং হয়ত আরও ব্যক্তিগত কারণ থাকতে পারে।

টম ক্রুজের সম্ভাব্য প্রেমিকার চরিত্রে আছেন তার দুই-তিন বছরের সিনিয়র রেবেকা ডে মর্নে, হলিউডের অন্যতম স্টক রোল "হুকার উইথ আ হার্ট অফ গোল্ড" এর ভূমিকায়। আসলে পুরা মুভিটাই গতানুগতিক সব প্লট পয়েন্টে বানানো, রাইটার-ডিরেক্টরের বেদস্তুর আন্তরিকতা সেটা খেয়াল করতে দেয় নাই।

halima`s path

বসনিয়ান ড্রামা মুভি। হালিমা নামের একজন বসনিয়া যুদ্ধে তার স্বামী এবং পালিত পুত্রকে হারায়। ছেলেটা ছিল তার চাচাতো বোন সাফিজার। কোন এক কারনে তার সাথে ২৩ বছর যোগাযোগ নেই। যুদ্ধ শেষে দেহাবশেষ হস্তান্তরের সময়ে স্বামীরটা পেলেও ছেলের ডিএনএ স্যাম্পল না থাকায় তার দেহাবশেষ সনাক্ত করতে পারেনি। এ অবস্থায় তার একমাত্র উপায় ছিল তার বোন সাফিজাকে খুজে বের করা।এক পর্যায়ে খুজে পায়, কিন্তু সাথে সাথে সম্মুখীন হয় এক ভয়ংকর সত্যের।

দারুন এক ড্রামা। মুভিটা সত্য ঘটনার উপর নির্মিত। যুদ্ধ না দেখিয়েও যুদ্ধের নির্মমতাকে ভালভাবেই দেখানো হয়েছে।

Private

মধ্যবয়স্ক মুহাম্মদ। কিছুটা একরোখা এবং নীতিবান। স্ত্রী এবং ৫ সন্তান নিয়ে এমন এক বাড়িতে থাকেন যেটা পড়েছে ফিলিস্তিন এবং ইসরাইল কলোনির মাঝে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি শুরু হবার পরে সবাই বাড়ি ছেড়ে যেতে চাইলেও তিনি বাড়ি ছেড়ে যেতে নারাজ।নিজের বাড়ি থাকা সত্তেও কেন তিনি রিফিউজি হয়ে ঘুরবেন পরিবার নিয়ে। এছাড়া ভয়ে বাড়ি ছেড়ে যাওয়া একধরনের কাপুরুষতা। এক পর্যায়ে ইসরাইল সৈন্যরা বাড়ি দখল করে নেয়। বাড়ির মালিক বাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি না হওয়াতে তারা বাড়িটাকে তিন ভাগে ভাগ করে। নিচতলার একটা অংশে মুহাম্মদ তার পরিবার নিয়ে একটা রুমে থাকে। আর উপর তলায় থাকে সেনারা,যেখানে তাদের কারো প্রবেশ নিষেধ এবং বাড়ির আর একটা অংশে শুধু সেনাদের নির্দেশে প্রবেশ করতে পারবে তারা। এভাবে চলতে থাকে ইসরায়েল সেনা আর মুহাম্মদ পরিবার মধ্যকার ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। তবে এই যুদ্ধ ছিল মনস্তাত্তিক।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না: রিয়াজ

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা মেনে নিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।

আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।


চিত্রনায়ক রিয়াজ   বিএফডিসি   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন