নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ৩০ জুন, ২০২০
মিষ্টি মেয়ে কবরী, প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী, আইকনিক মডেল মৌ, ফ্যাশনের আজরা মাহমুদ কিংবা সুইটি, শাওন, তিশা, মম, ববি, জ্যোতিকা জ্যোতি, রুনা খান, টয়ার মতো শোবিজে প্রতিষ্ঠিত বেশিরভাগের গায়ের রং কালো বা শ্যামবর্নের।
অভিনেত্রীদের আইডেন্টিটির সঙ্গে যেমন তাঁর প্রতিভা জড়িয়ে আছে, তেমনই জড়িয়ে আছে চামড়ার রং- বহুদিনের এই দ্বন্দ্ব কি আদৌ মিটবে? তবে ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী’ ফেয়ারটা সরিয়ে ফেললো। কারণ ফর্সা মানেই সুন্দরী না। বিশ্ববিখ্যাত এ কোম্পানির এতদিনে টনক নড়লো। আর তা নিয়ে কথা বলছে বলিউডসহ বাংলাদেশেরও অনেকে।
মানুষ আজও ‘সুন্দরী’ মেয়ের বর্ণনায় ভাবে লম্বা চুল, টিকোলো নাক, আর টকটকে ফর্সা রং। আর তাইতো কোন কালো অভিনেত্রীকে রংচং করে ফর্সা হতে হয়। এসব যুগযুগ ধরে চলে এসেছে। এই ‘ফর্সা’, ‘প্রকৃত সুন্দরী’ ট্যাগলাইন আজও কি শোবিজের পিছু ছেড়েছে? তা হলে কেন শ্রীদেবী থেকে কাজল, কিংবা দীপিকাদের প্রত্যেককেই মেলানিন ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে চামড়া ফর্সা করতে হয়? ভারতে কিন্তু তাদের আগে জিনাত আমান, রেখা, শাবানা আজমিদের মতো কালো অভিনেত্রী আছেন। বিপাসা বসুতো ভীষণ রেগে এই কালো ফর্সা দ্বন্দ্বে। এমনিতেই সবাই তাকে কালা বিল্লি বলে ডাকে। তার মতে, একটা দেশে যেখানে বেশির ভাগ মানুষের রং কালো সেখানে ফেয়ার কী করে লাভলি হয়ে গেল তা আজও বুঝতে পারেননি তিনি।
পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে টেলিভিশনে পণ্যের বিজ্ঞাপন পর্যন্ত সর্বত্রই ফর্সা রঙের মাহাত্ম্য প্রচার, সবখানেই ফর্সার জয়জয়কার। কোন মেয়ের গায়ের রং কালো হলে তাকে গড়পরতা হিসেবেও বিবেচনা করা হয় না, সুন্দরী হিসেবে তো দূরের কথা।
কালো-ফর্সা দিয়ে বিভেদ আসলে এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা বলে মনে করেন মডেল সাদিয়া ইসলাম মৌ। তিনি বলেন, ‘ওই সব কথা মাথায় রাখিনি। কারণ জানি, অভিনয় আর আত্মবিশ্বাস আসল। নয়তো আমাদের দেশে এত এত সু অভিনেত্রীর জন্ম হতো না।’
জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘ছোটবেলায় শুনতাম কালো! বিয়ে হবে? আমার ছোট বোনটা ফর্সা।ভাবতাম ইস ওর মতো গায়ের রং হতো। এটা কোনও কথা? সৌন্দর্যের সঙ্গে ফর্সা-কালোর কোনও সম্পর্ক নেই। আমার অভিনয় করার ক্ষেত্রে শুরু দিকে অনেকে বলেছে যে, এই টোনটা ক্যামেরার জন্য খুব সাপোর্ট করে। তবে কিছু মানুষ তো আছেই যে নায়িকা মানে ফর্সা হবে। সমাজের মতো মিডিয়াতেও কিছু মানুষ আছে। আসলে গায়ের রং দিয়ে তো সৌন্দর্য যাচাই হয় না। আমার গায়ের রং ওভাবে বাধা হয়নি। যেখানে রাজলক্ষী শ্রীকান্ত করলাম, একাধিক নাটক গ্লামারাস চরিত্র করেছি। ২০০৬-০৭ এর দিকে অনেক বাণিজ্যিক সিনেমারও প্রস্তাব ছিলো। সেটা আমি নিজে করিনি যেহেতু ছবির মান তখন খুব খারাপ ছিলো। নিশ্চয়ই হতে পারে অনেক পরিচালক আমাকে গায়ের রংযের জন্য নেয়নি। সেটা যে একদমই নেই মিডিয়াতে তা না।’
বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, আমি ফর্সা হলে কী হবে? সারাক্ষণ শুনছি, ‘‘বাবা! তুই যা ফর্সা অন্ধকারেও চকচক করিস! কালো ফর্সা জিনগত ব্যাপার, ও দিয়ে কিছু হয় না। ফেয়ারনেস শব্দ বিজ্ঞাপনে আলাদা প্রাধান্য পাক, চাইনি কখনও।’
ফর্সা-কালোর দ্বন্দ্ব নিয়ে বলতে বসে আক্ষেপও আছে তার, ‘আমার ক্ষেত্রে তো উল্টোটাই হয়েছে! ফর্সা রংয়ের জন্য অনেক ভাল চরিত্র হাতছাড়া হয়েছে। অনেক কম কাজ পেয়েছি। ফর্সা রং অনেক সময় মাইনাস পয়েন্টও হতে পারে।’ মেহজাবিন বলেন, ‘রং নিয়ে প্রশংসা-নিন্দা কিছুই চাইনা। যা স্বাভাবিক, যা নিজস্ব, তা স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করাতেই আমি বেশি খুশি।’
অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘ফেয়ারনেস নিয়ে বলতে বসেছি, এটাই কী ভীষণ লজ্জার, পিছিয়ে পড়া মানসিকতার, তাই না? আমার ১১ বছরের মেয়ে। একদিন বাইরে বের হবো, বললাম মা রেডি হয়ে আসো। সে জামা পাল্টিয়ে আসলো। দেখি কোন লিপস্টিক বা অন্য কিছু না। আজকালকার যুগের মেয়েরা আমার মনে হয় ফর্সা হওয়ার দৌড় থেকে অনেক বেরিয়ে এসেছে। সিম্পল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন শুদ্ধ থাকাটাই হলো আসল।’
প্রসূণ আজাদ বলেন, ‘আমার গায়ের রং বেশ চাপা। কালোই আমি। তাই নিয়ে সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চাইছেন?’’ তারপরে জানালেন, ‘‘না, কোনও সমস্যা হয়নি। বরং, সবাই আমার গায়ের রংয়ের প্রশংসাও করেন। বিশেষ করে সিনেমাটোগ্রাফার বা ডিওপি-রা বলেন, আমার গমরঙা গায়ের রং নাকি ক্যামেরার পক্ষে দারুণ কমফর্ট জোন। গায়ের রং আসলে কখনওই শিল্পীর প্রতিবন্ধকতা হয় না। তবে চরিত্র বিশেষে ম্যাটার করে। আমার মনে হয় এজন্য বরং আমি ভিন্ন ভিন্ন ক্যারেক্টার করতে পেরেছি।’
মৌসুমী এসব পাত্তা দেন না। তিনি বলেন, এই গায়ের রং নিয়েই আমি যত গ্ল্যামারাস সিনেমা করেছি, বাংলাদেশের আর কেউ করেছে কিনা জানা নেই। শাবনুরের গায়ের রংও চাপা। কবরী ম্যাম আছেন। আসলে নিজের যোগ্যতাটাই আসল।’
মন্তব্য করুন
নায়িকা পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে
জিমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছে আদালত। পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন
মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল
ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন বাদীপক্ষ পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির
আবেদন করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য
নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মোহাম্মদ
মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার
জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা
পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে
অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ
তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত
বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।
মামলায় নাসিরউদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল
সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং
পারসেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা
মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট
ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে
অ্যালকোহল পান করেন।
এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল
আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে
ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির
মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে
পারসেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ
করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং
গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে
আঘাতপ্রাপ্ত হন।
বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির
উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা
দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা
ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।
মন্তব্য করুন
একসময়ে দেশের জনপ্রিয় দাম্পত্য তারকা জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত
রশিদ মিথিলা। ২০০৭ সালের ৩ আগস্ট ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা। ১০ বছর সংসার জীবন পার
হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেন একে অন্যের সঙ্গে আর থাকবেন না। এরপর ২০১৭ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে
বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। কিন্তু এবার আবারও তারা এক হচ্ছেন। তবে বাস্তবে নয়, দেখা যাবে ছোট
পর্দায়।
এক সময় নিয়মিত ছোট পর্দায় কাজ করতেন এই জুটি। আবারও তাদের জুটি
হতে দেখা যাবে। এবার নাটক বা সিনেমায় নয়। ফিরছেন ৭ পর্বের ‘বাজি’ নামক একটি ওয়েব সিরিজ
দিয়ে।
এই ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ করছেন ‘মাটির প্রজার দেশ’খ্যাত নির্মাতা
আরিফুর রহমান। তবে এ বিষয়ে রাখা হয়েছে গোপনীয়তা। নির্মাতার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে
সিরিজের প্রথম লটের শুটিং ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
এছাড়া এই ওয়েব সিরিজ দিয়ে ওটিটিতে প্রথমবারের মতো নাম লেখাতে যাচ্ছে
তাহসান। তবে কোনো প্ল্যাটফর্মে সিরিজটি দেখানো হবে সে বিষয়ে এখনো কিছু নিশ্চিত করা
হয়নি।
উল্লেখ্য, তাহসান-মিথিলা জুটি হয়ে বেস কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন।
যার মধ্যে রয়েছে ‘আমার গল্পে তুমি’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস’, ‘ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে
প্রেম’, ‘মধুরেন সমাপয়েত’সহ বেশকিছু নাটকে। একসঙ্গে গেয়েছেন গানও। এই সংসারে আইরা তেহরীম
খান নামে তাদের একটি মেয়েও রয়েছে।
তাহসান খান রাফিয়াত রশিদ মিথিলা নাটক
মন্তব্য করুন
দেশের
সিনেমাপ্রিয় দর্শক মানসম্মত নতুন ছবি মুক্তির জন্য মুখিয়ে থাকেন। ঈদে মুক্তি পাওয়া
ছবি মানেই এ ঈদ আনন্দ বহুগুণে বেড়ে যাওয়া। প্রদর্শকরাও
আগ্রহ নিয়ে ঈদের ছবির জন্য অপেক্ষার প্রহর গোনে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
দেশে বর্তমানে উদ্বেগজনক হারে সিনেমা
হলের সংখ্যা কমলেও প্রযোজকদের ছবি মুক্তি দিতে বেশ দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। এবার দেশের
শতাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ১১ টি ছবি। দেশীয় চলচ্চিত্রের দুর্দিনে এটি অবশ্যই বড় ধরনের প্রাপ্তি।
এবারের
ঈদে মুক্তি পাওয়া ১১ টি ছবি হলো, রাজকুমার, কাজলরেখা, ওমর, দেয়ালের দেশ, জ্বীন-২, আহারে জীবন, লিপস্টিক, সোনার চর, গ্রিণ
কার্ড, মায়া
দ্য লাভ ও মেঘনা কন্যা।
রাজকুমার
ঈদের ছবি হিসেবে বাণিজ্য ও দর্শকপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছে হিমেল আশরাফ পরিচালিত শাকিব খান অভিনীত ‘রাজকুমার’। এ ছবির গল্পের বিভিন্ন অংশ দর্শককে আবেগাপ্লুত করছে, শাকিবের অভিনয়ও পাচ্ছে ভূয়সী প্রশংসা। ফলে স্টার সিনেপ্লেক্সসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে উল্লেখযোগ্য দর্শক সমাগম হচ্ছে। ঈদে সর্বাধিক ১২৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘রাজকুমার’। সিনেমাটি দর্শকের সাড়াও পাচ্ছে বেশ।দর্শক চাপে আগের শোর সঙ্গে সনি স্কয়ারে একটি, বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে দুটি এবং রাজশাহীতে বাড়ানো হয় একটি শো। সব মিলিয়ে সিনেপ্লেক্সে ‘রাজকুমার’ সিনেমার মোট শো দাঁড়ায় ১৭টি। অন্যদিকে ঐতিহ্যবাহী হল মধুমিতার কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বললেন, তার মধুমিতাতে শাকিব খানের ছবি মানেই উৎসবের আমেজ। সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোতে শাকিব খানের ছবি দিয়েই দুই পয়সা আয়ের মুখ দেখছে।
সোমবার সকালে সামাজিকমাধ্যমে শাকিব খান লিখেছেন-
‘অবিরামভাবে মিলিয়ন মিলিয়ন ভালোবাসা পাচ্ছে ‘রাজকুমার’। প্রিয় দর্শকদের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। সবাইকে ভালোবাসা।’
ওমর
সিনেমা হল সংখ্যায় দ্বিতীয় জায়গাটি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ নির্মিত ‘ওমর’
এর দখলে। ২১টি হল পেয়েছে ছবিটি। জানা গেছে, প্রেক্ষাগৃহের
মতো দর্শক সাড়ায়ও ‘রাজকুমার’ এর
পরেই অবস্থান করছে এটি। বিশেষ করে ছবিটির গল্প দর্শক-সমালোচকদের মুগ্ধ করছে। সিঙ্গেল স্ক্রিনে খুব একটা সুবিধা না করতে পারলেও মাল্টিপ্লেক্সে অগ্রিম
টিকিট বিক্রিতে রাজকুমারের পরেই ওমরের অবস্থান বলে জানিয়েছেন সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। ওমর সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন- শরিফুল
রাজ, শহিদুজ্জামান
সেলিম, নাসির
উদ্দিন খান ও দর্শনা বণিক।
মোনা: জ্বীন টু
সিনেমা হল মালিকদের কথায় বেশ সরব অবস্থানে রয়েছে ‘মোনা
: জ্বীন টু’ ছবিটি। তবে সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল মিলিয়ে ৮ পর্দায় চলছে ছবিটি। এ ছবির প্রযোজক জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, ‘ছবিটির
সাফল্য আমার প্রত্যাশার শতভাগেরও বেশি ছাড়িয়ে গেছে। টিকিট সেলের দিক থেকে এ ছবিটি এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। প্রতিটি হলে টিকিট অগ্রিম সোল্ড আউট হয়ে যাচ্ছে, যা ঈদের অন্য কোনো ছবির বেলায় নেই। মোনা: জ্বীন
টুর অ্যাডভান্স টিকিটি সেলিং আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। সবচেয়ে বড় কথা দর্শক পরিবার নিয়ে বারবার ছবিটি দেখছে।’
সোনার চর
জায়েদ খান অভিনীত সোনার চর ঈদে সাতটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। জাহিদ হোসেন পরিচালিত এ ছবিটি সন্তোষজনক ব্যবসা করছে বলে দাবি ছবির নায়ক জায়েদ খানের। তিনি বলেন, ‘ঈদে ছবিটি আমার প্রত্যাশার শতভাগ পূরণ করেছে। কারণ দর্শক বলছে এতে প্রকৃত একজন অভিনেতা হিসেবে জায়েদ খানকে খুঁজে পেয়েছেন তারা। আমি আমার প্রিয় ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আহারে জীবন
ছটকু আহমেদ পরিচালিত ফেরদৌস ও পূর্ণিমা অভিনীত ‘আহারে
জীবন’ ছবিটি ঈদে দর্শকদের মুগ্ধ করলেও সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে দর্শক প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে আক্ষেপ নির্মাতার। তিনি বলেন, এমন
শোয়ের টাইম বেঁধে দেওয়ায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দর্শকরা আমার ছবিটি তেমনভাবে দেখতে পারেনি।
এটি কমার্শিয়াল ছবি নয়
বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কাজলরেখা
বাংলা
লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ অবলম্বনে
নির্মিত হয়েছে ‘কাজলরেখা’। কেবল
দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছে সবচেয়ে বেশি মূল্যের ভিআইপি হলে চলছে ‘কাজলরেখা’। তারপরও দর্শকদের ভিড় খারাপ নয়। কাজলরেখার অনেক শো হাউসফুল গিয়েছে।
এ ছবির পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম জানিয়েছেন,
‘এই ছবি যারা দেখছেন তারা রূপকথার যে গল্প শুনে আসছিলেন তার সঙ্গে কানেক্ট করতে পারছেন। যারা দেখছেন তারা সবাই তৃপ্ত হয়ে হল থেকে বের হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত সিনেমাটির কোনো নেতিবাচক রিভিউ পাইনি।’ সিনেমাটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- মন্দিরা
চক্রবর্তী, রাফিয়াত
রশিদ মিথিলা, সাদিয়া
আয়মান, শরীফুল
রাজ, খায়রুল
বাসার, গাউসুল
আলম শাওনসহ আরও অনেকে।
দেয়ালের দেশ
মিশুক মনি নির্মিত ‘দেয়ালের দেশ’ নিয়েও
প্রত্যাশা ছিল অনেকের। কিন্তু
মুক্তির পর সেই প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমীকরণ মেলেনি সেভাবে।
এছাড়াও ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত ‘মেঘনা কন্যা’, জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালিত ‘মায়া : দ্য লাভ’, কাজী হায়াতের ‘গ্রিন কার্ড’, ছবিগুলো এভারেজ দর্শক টানছে বলে জানান সিনেমা হল মালিকরা।
ঈদে সিনেমা সিনেপ্লেক্স হাউজ ফুল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শবনম বুবলী শাকিব খান অপু বিশ্বাস
মন্তব্য করুন
একসময়ে দেশের জনপ্রিয় দাম্পত্য তারকা জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ২০০৭ সালের ৩ আগস্ট ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা। ১০ বছর সংসার জীবন পার হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেন একে অন্যের সঙ্গে আর থাকবেন না। এরপর ২০১৭ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। কিন্তু এবার আবারও তারা এক হচ্ছেন। তবে বাস্তবে নয়, দেখা যাবে ছোট পর্দায়।