কালার ইনসাইড

বলিউডের চরিত্রহীনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

‘#মি টু’ অভিযানে অমিতাভ বচ্চন, নানা পাটেকার, অলোক নাথ, রাজ কুমার হিরানী, সাজিদ খান, সুভাষ কাপুর, বিকাশ বহেল, লাভ রঞ্জনসহ অনেকের নামই এসেছে। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এখন পর্যন্ত। এর মধ্যে অনেকের নামে তো ধর্ষণ কেসও আছে- শাইনী আহুজা, মাধুর ভান্ডারকার, সুভাষ কাপুর, অঙ্কিত তিওয়ারি, ইন্দার কুমারদের জেলেও যেতে হয়েছে। তাদের ছাড়াও যাদের নিয়ে কথা হয় না, কিন্তু নারী কেলেঙ্কারিতে ভরপুর এই মানুষগুলো। অনেকের নারী কেলেঙ্কারি ফাঁসও হয়েছে। কেউ কেউ আবার নিজেদের এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যাদের চরিত্র নিয়ে এখন আর আলোচনা হয় না। বলিউডের এমন অনেকে আছেন যারা নিজেদের ক্ষমতাকে নারী কেলেঙ্কারি হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

দুই স্ত্রী, একাধিক নায়িকার সঙ্গে প্রেম, নিজেকে ‘লাভ চাইল্ড’ বলতেও কোনও কুণ্ঠা ছিল না মহেশ ভাটের। ছোটবেলায় দেখতেন তাঁদের বাড়িতে এলে বাবা পা থেকে জুতো খোলেন না। মা এবং তাঁদের দুই ভাইয়ের কাছে বাবা বেশি ক্ষণ থাকতেনও না। আসার পর থেকেই যেন যাওয়ার তাড়া থাকত। মা বলতেন, তাঁর বাবার অন্য সংসার আছে। সে কথার অর্থ তখন বোধগম্য হত না। কৈশোরে পৌঁছে জানতে পেরেছিলেন, তাঁর বাবা মায়ের মধ্যে বিবাহিত সম্পর্ক ছিল না।

তাঁর বাবা নানাভাই ভাট ছিলেন হিন্দি সিনেমার নামী পরিচালক ও প্রযোজক। স্ত্রী হেমলতা ও সন্তানদের নিয়ে তাঁর বড় পরিবার। কিন্তু নানাভাই কোনও দিন শিরিন মোহাম্মদ আলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অস্বীকার করেননি। শিরিনকে নিজের স্ত্রী হিসেবেও গ্রহণ করেননি। কিন্তু শিরিন এবং তাঁদের সন্তানদের প্রতি কর্তব্য পালন করে গিয়েছেন বরাবর।

মহেশের জীবনেও এসেছে একাধিক নারী। লোরেন ব্রাইট বা কিরণের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেম করে বিয়ে করেন। কিন্তু সিনেমায় পরিচিতি পাওয়া শুরু করলেই তিনি অন্যত্র মজেন। কিরণের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে পারভিন ববির পথে হাটেন। মানসিক অস্থিরতার শিকার পারভিন আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিলেন মহেশের মধ্যে। তাঁদের দুরন্ত প্রেমপর্বের কথা লুকিয়ে রাখেননি দু’জনের কেউই।

১৯৯০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আশিকি’ ছিল তাঁর এবং কিরণের দুরন্ত প্রেম। প্রথম স্ত্রী কিরণের কাছে পরে ফিরে গিয়েছিলেন মহেশ। পারভিনের সঙ্গে প্রেম ভেঙে যাওয়ার পরে, ‘অর্থ’ সফল হওয়ার সময়ে মহেশ চেয়েছিলেন কিরণের সঙ্গে নতুন করে জীবনটাকে শুরু করতে। কয়েক বছর সংসার করলেন মহেশ-কিরণ। জন্ম হল তাঁদের ছেলে রাহুলের। কিন্তু আবার অন্য নারীর কাছে আত্মসমর্পণ করে বসলেন। এ বার মহেশ বিয়ে করলেন টেলিভিশনের অভিনেত্রী সোনি রাজদানকে। তবে কিরণের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদও কোনও দিন হয়নি।

এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন নিজের জীবনে শ্মশানের শান্তির থেকে সমুদ্রের উথালপাথাল ঢেউ বেশি পছন্দ করেন। বইয়ের খোলা পাতার মতো পড়ে থাকা সে জীবনে বিতর্কের ঢেউ আছড়ে পড়েছে বার বার। মেয়ে পূজার সঙ্গে লিপলক কিস নিয়ে উত্তাল হয়েছে আলোচনা। হাল আমলে রিয়া চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ পুরুষ হিসেবেও উঠে এসেছে তাঁরই নাম। একাধিক নারীর সঙ্গে মহেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গল্প বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে চাওর রয়েছে।

পরিচালক-অভিনেতা রাজ কাপুর সম্পর্কে বহু কথা বলিউডের ঘোরাফেরা করে। নারীদের প্রতি তাঁর আসক্তি, মাদকের প্রতি তাঁর ভালবাসা নিয়ে বহু কথাই চালু রয়েছে। ঋষি কাপুর তার বইতে সে সব কথাই খোলাসা করেছেন। নিজের বইতে রাজ কাপুর এবং নার্গিসের সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন ঋষি। কিন্তু এও লিখেছেন এক মহিলায় সন্তুষ্ট থাকতে পারতেন না রাজ। অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলেও তিনি জানিয়েছেন।

সিনিয়র কাপুরের এত মহিলা সঙ্গী, রাজ কাপুরের স্ত্রীর জীবন কেমন ছিল? ঋষি কাপুর জানিয়েছেন, অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে রাজ কাপুরের যখন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তখন তাঁর স্ত্রী ছোট চিন্টুকে(ঋষি কাপুর) নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন। মেরিন ড্রাইভের নটরাজ হোটেলে ছিলেন তিনি। আবার স্বামীর সঙ্গে প্রেমিকার সম্পর্ক ভাঙলে তবেই বাড়ি ফেরেন।

মহিলাদের পাশাপাশি মদেও তীব্র আসক্তি ছিল রাজ কাপুরের। দেশ-বিদেশের দারুণ সব মদ পানে আগ্রহ ছিল তাঁর।

বলিউড অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলি তো সিরিজ কেলেঙ্কারির জনক। আদিত্য তার বাসার কাজের মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল। প্রেমিকা মনিকা বেদির বাসার কাজের মেয়েকেও সে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনার কারণেই তার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেন মনিকা। আদিত্যর বাসার কাজের মেয়ে বলেছেন, সিনেমার নায়িকা বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে আদিত্য তাকে ধর্ষণ করেছে। আদিত্য মেয়ের বয়সী কঙ্গনা রানাউতকেও যৌন হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ আছে।

ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি ‘রকি’ করার পরে আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি শক্তি কাপুরকে। বর্তমানে শক্তির মেয়ে শ্রদ্ধা কাপুরও বলিউডের জনপ্রিয় একজন তারকা। শক্তি কাপুরকে এক সময় নায়িকারা বেশ ভয় পেতেন। শক্তি কাপুরের একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো। তবে শক্তি দ্বিতীয় সারির নায়িকাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তেই বেশি পছন্দ করতেন। প্রথম সারির কোন নায়িকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে না পরায় তার প্রেম নিয়ে তেমন চর্চাও হয়নি। তবে এক অভিনেত্রীর সঙ্গে যৌন মিলনের আগ্রহ জানিয়েছিলেন । এমনকী তিনি সেই অভিনেত্রীদের নামও প্রকাশ্যে এসেছিলেন। এই রেকর্ডিং ভিডিও শোরগোল ফেলে দিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

পরিচালকা সুভাষ ঘাইয়ের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন মণীষা কৈরালা। সুভাষ ঘাইয়ের সঙ্গে সিনেমায় কাজ করাকালীন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। একে সময়ের নামী এ পরিচালকেরও আছে একাধিক নারী কেলেঙ্কারি। সুভাষ ঘাইয়ের মতো রাজকুমার সন্তোষীরও রয়েছে নারী কেলেঙ্কারি। বলিউডের অনেক প্রথম সারির নায়িকার সঙ্গেই তার সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। মমতা কুলকার্নী একবার তার সব কথা ফাঁসও করেছিলেন।

সমকামী হিসেবে পরিচিত করণ জোহরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে একাধিক পুরুষ মডেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে। করণের মতো একতা কাপুরও পুরুষ মডেল বশ করেন। তার সিরিয়ালে চান্স দেওয়ার নামে পুরুষ মডেলদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন বলে কথা রটা আছে বলিউডে।

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না: রিয়াজ

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা মেনে নিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।

আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।


চিত্রনায়ক রিয়াজ   বিএফডিসি   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন