নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ১২ জুলাই, ২০২০
একজন ডিরেক্টরের কিংবা একের অধিক ডিরেক্টরের তৈরি কিন্তু একই ধাচের তিনটা সিনেমা, বা এককথায় যাকে বলা হয়, ‘ট্রিলোজি‘। সিনেমা ইতিহাসে অনেক ট্রিলোজি তৈরি হয়েছে। কিছু অনেকের জানা, কিছু অজানা। এমন সেরা ১০টা ট্রিলোজি নিয়ে আজকের লেখা।
১. দ্যা লর্ড অব দ্যা রিংস
পিটার জ্যাকসন
দ্যা লর্ড অব দ্যা রিংস: দ্যা ফেলোশিপ অব দ্যা রিংস (২০১১)
দ্যা লর্ড অব দ্যা রিংস: দ্যা টু টাওয়ার (২০০১)
দ্যা লর্ড অব দ্যা রিংস: দ্যা রিটার্ন অব দ্যা কিং (২০০৩)
জে আ আর টকিনের অমর সৃষ্টি ‘দ্যা লর্ড অফ দ্যা রিংস‘ ফ্যান্টাসির আদলে তৈরি পিটার জ্যাকসনের এই মাস্টারপিস সর্বকালের সেরা ট্রিলোজি বললেও কোনো ভুল হবে না। পিটার জ্যাকসন যেন হবিট, উইজার্ড, মানুষ, ইভিল এর মিশেলে এক অন্য জগত দেখিয়েছেন আমাদের। তার মধ্যে এই ট্রিলোজি‘র শেষ সিনেমা‘টি বেস্ট মুভি ক্যাটাগরিতে অস্কার পাওয়া। তার তৈরি হবিট ট্রিলোজিও বেশ ভালো। মজার ব্যাপার হচ্ছে পিটার জ্যাকসন সর্বসাকুল্যে পরিচালনা করেছেন মাত্র ১৩টি সিনেমা। বাকিসব শর্ট ফিল্ম এবং ডকুমেন্টারি।
২. অপু ট্রিলোজি- সত্যজিৎ রায়।
পথের পাঁচালী (১৯৫৫)
অপরাজিত (১৯৫৬)
অপুর সংসার (১৯৫৯)
বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক ‘বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়‘ এর পথের পাচালি এবং অপরাজিত উপন্যাস অনুযায়ী বানানো সত্যজিৎ রায়ের এই মহাসৃষ্টি অপু ট্রিলোজি। যুগে যুগে এই ট্রিলোজি অনুপ্রাণিত করেছে মার্টিন স্করসিস কিংবা আকিরা কুরোসায়ার মত পরিচালক‘কে।
৩. Batman Trilogy by Christopher Nolan
Batman Begins (2005)
The Dark Knight (2008)
The Dark Knight Rises (2012)
সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটম্যান ট্রিলোজি এবং ক্রিস্টোফার নোলান যার হোতা। এই ট্রিলোজি নিয়ে কিছু বলার নেই আসলে। সবাই দেখেছে। ইনফ্যাক্ট সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রিলোজি বললেও ভুল হবে না।
৪. Vengeance Trilogy by Park Chan-wook
Sympathy for Mr. Vengeance (2002)
Oldboy (2003)
Lady Vengeance (2005)
কোরিয়ান সিনেমার অন্যতম অমর সৃষ্টি এই Vengeance ট্রিলোজি। Park Chan-wook এর তৈরি এই ট্রিলোজি যেন থ্রিলার জনরার সংজ্ঞাই পাল্টে দেন। অনুরাগ কশ্যপ তার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন এই সিনেমা তার থ্রিলারের ধারণা পাল্টে দেন। Choi Min-sik, Kang-Ho Song এর মত অসাধারণ অভিনেতা অভিনয় করেছেন এই তিনটি সিনেমায়।
৫. The Godfather Trilogy by Francis Ford Coppola
The Godfather (1972)
The Godfather Part II (1974)
The Godfather Part III (1990)
এই ট্রিলোজি নিয়ে নতুন করে বলার কি আছে। Mario Puzo‘এর অমর সৃষ্টি ‘The Godfather‘ কে ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা রূপ দেন সেলুলয়েড এর পর্দায়৷ এই সিনেমা পাল্টে দেয় গ্যাংস্টার মুভিজের সংজ্ঞা। অমর সৃষ্টি। আল পাচিনো কিংবা রবার্ট ডি নিরোর ক্যারিয়ার পাল্টে দেওয়া পারফরম্যান্স। আর মারলন ব্রান্ডোর সেই প্রথম পার্টের ঝলক তো আছেই৷ তৃতীয় সিনেমাটা যদিও বাকি দুইটার তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে।
৬. Pirates of the Caibbean by Gore Verbinski
Pirates of the Caibbean : The Curse of the Black Pearl (2003)
Pirates of the Caibbean : Dead Man‘s Chest (2006)
Pirates of the Caibbean : At world‘s End (2007)
পার্টিকুলার কোনো ক্যারেকটার যদি কাউকে পছন্দ করতে বলে, টপ থ্রি তে অনেকের কাছেই থাকবে লিজেন্ডারি ‘Captain Jack Sparrow‘। জনি ডেপের অনবদ্য অভিনয় সাথে Orlando Bloom, Keira Knightley এই ট্রিলোজি‘কে অন্য লেভেলে নিয়ে গেছেন ফ্যান্টাসি সাথে এডভেঞ্চার জনরার এই সিনেমা‘কে।
৭. The Dollar Trilogy by Sergio Leone
A Fistful of Dollars (1964)
For a Few Dollars More (1965)
The Good, The Bad and The Ugly (1966)
Western কথাটা শুনলেই আমাদের জেনারেশন এর সবার আগে মাথায় আসে দুইটা জিনিস। এক, সেবা প্রকাশনীর ওয়েস্টার্ন, দুই Clint Eastwood। Clint Eastwood এর ক্যারিয়ারের মাইলফলক অভিনয়, সাথে Sergio Leone এর ডিরেকশন এবং প্রয়াত Ennio Morricone এর মিউজিক কম্পোজিশন। ওয়েস্টার্ন জনরায় এই তিনটার চেয়ে সেরা সিনেমা হয় না। Clint Eastwood এর নিজের পরিচালনা এবং অভিনয় করা Unforgiven কে তুলনা দেওয়া যায়।
৮. Gangster Trilogy by Ram Gopal Verma
Satya (1998)
Company (2002)
D (2005)
বলিউড জগতে অনুরাগ কশ্যপের আগমন এবং রাম গোপাল ভার্মা নামক এক পাগলাটে ডিরেক্টর এর বলিউড‘কে পুনর্জন্ম দেওয়া সিনেমা Satya. যাকে দিয়ে গ্যাংস্টার ট্রিলোজি‘র শুরু। এবং ‘ভিকু মাত্রে‘, বলিউডের সবচেয়ে আইকনিক ক্যারেকটার এর একটা। রামুর এই ট্রিলোজি অনবদ্য। আমার সবচেয়ে প্রিয় সিনেমাগুলোর মধ্যে এই ৩টা। যদিও শেষ সিনেমা‘টি, D রামু চিত্রনাট্য লিখেছেন প্রযোজনাও করেছেন, কিন্তু ডিরেক্টর ছিলেন আরেকজন।
৯. Shakespeare Trilogy Vishal Bhardwaj
Maqbool (2003)
Omkara (2006)
Haider (2014)
Macbeth, Othello এবং Hamlet এর উপর বানানো Vishal Bhardwaj এর অমর সৃষ্টি এই শেক্সপিয়ার ট্রিলোজি। তিনটা সিনেমারই অভিনয় নিয়ে কোনো সংশয় নেই। ইরফান খান, সাইফ আলী খান, শহিদ কাপুর, কে কে মেনন, অজয় দেভগন, নাসিরউদ্দিন শাহ, ওম পুরি - কে ছিলেন না এই ট্রিলোজি‘তে। Maqbool যখন বানান Vishal, এটা শুনে মনোজ বাজপেয়ী পায়ে ধরা বাকি রেখেছিলেন ওকে Maqbool এর ক্যারেকটার টা দিতে। কিন্তু Vishal ঠিক করে রেখেছিলেন ইরফান খান‘কেই। আমার অন্যতম প্রিয় সিনেমা।
১০. The Matrix Trilogy by Wachowski Sisters.
The Matrix (1999)
The Matrix Reloaded (2003)
The Matrix Revolutions (2003)
ট্রিলোজি লিস্টে এই ট্রিলোজি না রাখলে যেন পাপই হতো। ছোটবেলাকার সবচেয়ে প্রিয় সিনেমাগুলোর মধ্যে The Matrix Trilogy যেন ছিল সবার আগে। Lana & Lilly সিস্টার্স সাথে আমাদের কিয়ানু রিভস যেন লিজেন্ডারি এক জিনিসের জন্ম দেন। এই ‘The Matrix Trilogy‘.
আরো অনেক সেরা সেরা ট্রিলোজি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম পছন্দ ‘Back to the Future Trilogy by Robert Zemeckis‘। কিংবা ‘Star Wars Original Trilogy‘, ‘Alien Trilogy‘, ‘Terminator Trilogy‘, ‘Colors Trilogy‘, ‘The Millennium Trilogy‘, ‘Internal Affairs Trilogy‘।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই
ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন
যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল
পার্ক'।
সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক
অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত
'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের
সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।
পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'
সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান,
ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।
তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে
বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।
অ্যানিমাল রণবির কাপুর বলিউড সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা
মন্তব্য করুন
আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত
হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের
পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব
পাননি।
গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের
অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন
করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা
দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ
সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।
অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর
১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে
সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।
আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক
অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে
সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন।
বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে
অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব
পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব
পাচ্ছেন।’
উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ
উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল)
ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান
মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।
বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা
প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই।
আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক
তাঁর সন্তানের ওপর।’
তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব
পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই
রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।
বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো,
তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ
ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই
কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া
হয়েছিল।’
অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন
তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন,
‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক
জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান
সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম।
যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু
আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি
আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল
গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব
জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’
ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ
মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই
কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো
ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।
তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’
মন্তব্য করুন
সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)
সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের
ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে
শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি
নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে
বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের
ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে
প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায়
তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের
ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক
ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি
আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে
যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম
না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।
তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের
কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো
হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ
লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর
ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা
প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।
এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে
২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী
সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।
এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি
মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা
মেনে নিয়েছেন।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি
কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার
সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।
আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।
চিত্রনায়ক রিয়াজ বিএফডিসি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা।
বিএফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় এই
আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। ২৪
ঘণ্টার মধ্যে সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরনের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন
বলে জানানো হয়।
জানা গেছে, সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদল চলচ্চিত্র সমিতির ভেতরে
গিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এসময় বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানান, গণমাধ্যমকর্মীরা
যে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে, সেটা তারা মেনে নিয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে আল্টিমেটামটি
কার্যকর হবে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি।
হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার গ্রহণ করেছে চলচ্চিত্র সমিতি। এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের
যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ
অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার। শপথগ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক মিথুন
আল মামুন সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন অভিনেত্রী ময়ূরীর মেয়ের।
এ সময় অভিনেতা শিবা শানু ওই সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। তিনি
না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে অফিস থেকে বের করে দেন শানু। এর মধ্যে সেটি থামাতে
এগিয়ে আসেন উপস্থিত অন্য সাংবাদিকরা। এ সময় সমিতির আরেক নেতা জয় চৌধুরী ‘মার মার’ বলে
তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। এতেই শুরু সাংবাদিকদের ওপর হামলা। চেয়ার থেকে শুরু করে
গাছের ডাল দিয়েও সাংবাদিকদের পেটানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অভিনেতা শিবা শানু, শিল্পী সমিতির
নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো
এই মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন
ডিপজল নির্বাচিত হন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি আল্টিমেটাম
মন্তব্য করুন