কালার ইনসাইড

যত লড়াইয়ে টিকে আছেন অমিতাভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৩০ পিএম, ১৫ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে করোনার সঙ্গে লড়ছেন অমিতাভ বচ্চন ও অভিষেক। অন্যদিকে অমিতাভ-অভিষেকের পর ঐশ্বরিয়া এবং আরাধ্যাও করোনায় আক্রান্ত হন। অমিতাভদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পরই অসংখ্য ভক্তকূলের প্রার্থনা শুরু হয়ে যায়। ভয় নেই, ৭৭ বছর বয়স্ক বলিউড শাহেনশাহ জীবনে অসংখ্য খারাপ সময় জয় করেছেন।

জানেন কি, ভারতের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিলেন? অমিতাভ বচ্চনের ক্যারিয়ারের অনেক গুলো বাধা যা তিনি জয় করে আজো টিকে আছেন:-

১৯৬৯-৭২ - ক্যারিয়ারের শুরু ১২ টি ফ্লপ ফিল্ম এর মাধ্যমে

শুরুটা ‘সাত হিন্দুস্তানি’ দিয়ে। ১৯৬৯ সালের ঘটনা। সিনেমার সাতটি প্রধান চরিত্রের তিনি একটিতে অভিনয় করেছেন। ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়নি। কিন্তু তিনি তার জাত চিনিয়েছেন। নবাগত হিসেবে জাতীয় পুরস্কার বগলবন্দি করেছেন। তাঁর উথানটা মূলত ‘আনন্দ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। অভিনয় করেন আরেক সুপারস্টার রাজেশ খান্নার সঙ্গে। বাণিজ্যিক সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে চলচ্চিত্র সমালোচকদের প্রশংসাও আদায় করতে সক্ষম হয়। সে বছর ফিল্মফেয়ারে সেরা সহশিল্পীর পুরস্কার পান। সে বছরই মুক্তি পায় ‘পরওয়ানা’ সে ছবিটাও প্রশংসিত ও ব্যবসাসফল হয়।

এরপরও ভাগ্যদেবী মুখ ফিরিয়ে থাকে তার থেকে। বেশ কিছু সিনেমা সুপার ফ্লপ হয়। যেকোনও নবাগত অভিনেতার পক্ষে ক্যারিয়ারের শুরুতেই ফ্লপ ফিল্ম রীতিমত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করে। বলিউড বাদশা অমিতাভের জীবনের প্রথম ১২ টি ছবিই হিট হয়নি। তবুও মুষড়ে পড়েননি বিগ বি। লড়াই চালিয়েছেন সমান তালে। শেষে সৌভাগ্য কড়া নাড়ে তাঁর দরজায়। ‘জাঞ্জির’ ছবির হাত ধরে আসে তাঁর ক্যারিয়ারে বলিউডে প্রথম হিট, সাফল্যের স্বাদ পান অমিতাভ। প্রথম ছবির পারিশ্রমিক অমিতাভ বচ্চনের প্রথম ছবি ‘সাত হিন্দুস্তানি’। সেই ছবিতে তাঁর পারিশ্রমিক ছিল ১ হাজার টাকা। সেখান থেকে শুরু করে আজ তিনি ১৪৭.৫ কোটি টাকার মালিক।

নিজের ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা পুরোটাই বড় মিডিয়া কর্তৃক ব্যান। (১৯৭৬-৮৯)

বিগ বি অমিতাভ বচ্চন একবার প্রায় ১৫ বছর ধরে সমগ্র মিডিয়া দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়। কয়েক বছর আগে অমিতাভ নিজে জানান, সমগ্র মিডিয়া তার বিরুদ্ধে গিয়েছিল। তারা বিশ্বাস করতেন যে অমিতাভের ফিল্ম সেন্সরশিপ একটি বড় হাত ছিল। 

রাজনীতিতে পা রাখা ও কন্ট্রোভারসিতে জড়ানো (১৯৮৪-৮৭)

৭৭ বছর বয়সী এই অভিনেতা ১৯৮৪ সালে অভিনয় জীবন থেকে সাময়িক বিরতি নেন। দীর্ঘ দিনের পারিবারিক বন্ধু প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সমর্থনে যোগ দেন রাজনীতিতে। এমনকি এলাহাবাদ থেকে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে দাঁড়ান। বিশাল ব্যবধানে জেতেনও। কিন্তু সেই রাজনৈতিক জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তিন বছরের মধ্যেই কুখ্যাত বোফর্স কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে যায় অমিতাভ বচ্চনের নাম। সেই অভিযোগ থেকে আদালত তাকে মুক্তিও দেয়। কিন্তু তার অনেক আগেই রাজনীতিকে ‘নোংরা জায়গা’ আখ্যা দিয়ে কংগ্রেস ছাড়েন অমিতাভ বচ্চন। এরপরে আরেক পারিবারিক বন্ধু অমর সিংহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা সূত্রে সমাজবাদী পার্টিকে কিছুদিন সমর্থন করেন। তবে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আর দেখা যায়নি তাঁকে।

কুলি সিনেমার শ্যূটিং এর সময় মারাত্মকভাবে এক্সিডেন্ট করেন (১৯৮২)

সালটা ১৯৮২। বলি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন `কুলি` ছবির শুটিং চলাকালীন টেবিলের কোণায় লেগে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। যদিও প্রথম অবস্থায় অমিতাভের পেটে হালকা ব্যথা শুরু হলেও সেটা নিয়ে অত গ্রাহ্য করেননি অভিনেতা। ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকায় চিকিৎসকরা অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। এবং পেটে যে ক্ষত হয়েছিল তা দেখেও হতবাক হয়ে যায় চিকিৎসকরা। অপারেশন হবার পর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন অমিতাভ। সারা শরীরে তার রোগ যেন ছড়িয়ে পড়ছিল। রক্তের ঘনত্বও পাতলা হয়ে যাচ্ছিল। অপারেশন হবার পর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন অমিতাভ। সারা শরীরে তার রোগ যেন ছড়িয়ে পড়ছিল। তারপর অমিতাভকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসাপাতালে বিশেষ ভাবে তাকে রাখা হছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছিল ততই যেন শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছিল। তারপর অমিতাভকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসাপাতালে বিশেষ ভাবে তাকে রাখা হছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছিল ততই যেন শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হতে যাচ্ছিল। অমিতাভ নিজে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে দিয়েছিল।

সেমি রিটায়েরমেন্ট - ১৯৯২-১৯৯৬। ফ্লপ রানিং ক্যারিয়ার ১৯৯৬-৯৯। ১৯৯৭ সালে দেউলিয়া হন। কাজ ছাড়া বেকার ১৯৯৭-৯৯

সময়টা নব্বইয়ের দশক। তখন অমিতাভ বচ্চনের পর একে একে নতুন তারকারা প্রবেশ করছে বলিউডে। সেই সময় বলিউড থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন।

নিউইয়র্কে একটি টিভি শো চালাতেন তিনি। পরবর্তীতে জানিয়েছিলেন সেটা ছিল তাঁর অন্যতম ভুল সিদ্ধান্ত। নিজের একটি প্রতিষ্ঠান খুলেছিলেন অমিতাভ। যা পরবর্তীতে লাভের মুখ না দেখায় তাঁকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। ঠিক এর আগেই বলিউড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এটি ছিল তাঁর জীবনে দ্বিতীয় ভুল।

এরপরই অবসাদ গ্রাস করেছিল অমিতাভকে। অর্থের ভার, হাতে নেই ছবি কীভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন বুঝতে পারছিলেন না। এমনই সময় আশার আলো দেখিয়ে ছিল কেবিসি। একের পর এক ফ্লপ ছবি সই করতে থাকেন অমিতাভ, তখন লক্ষ্যে ছিল অর্থ উপার্জন, তিনি চাইছিলেন বলিউডে ফিরে আসতে, পারছিলেন না। এমনি এক সময় যশ চোপড়াকে ফোন দেন, যশ চোপড়া মহব্বতিন সিনেমায় সুযোগ দিয়ে শাহেনশাহকে জাগ্রত করেন।

এরপরও তার জীবনে একের পর এক লড়াই এসেছে:

Spinal TB রোগ ২০০০

ইন্টেস্টাইন অপারেশন ২০০৫

এবডুমিনাল অপারেশন ২০০৮

এবডুমিনাল ডাবল অপারেশন ২০১২

Eye Ailment ২০২০

সর্বশেষ করোনা আক্রান্ত।

জীবনে সব বাধা, সব সমস্যা অতিক্রম করে লড়ে গেছেন বচ্চন সাহেব। আশা করি এবারো পারবেন।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সুখবর দিলেন শবনম ফারিয়া

প্রকাশ: ০৯:৫৬ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অভিনয়ে আর আগের মতো নিয়মিত নন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। সবশেষ তাকে দেখা গেছে ওয়েব সিরিজ ‘মোবারকনামা’য়। নতুন খবর হলো, সদ্যই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল একটি মুঠোফোন কোম্পানিতে জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যুক্ত হয়েছেন শবনম ফারিয়া। এ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টও দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন ভক্তদের এই সুখবরটি।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে দেশের একটি গণমাধ্যম যোগাযোগ করে তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আসলে আমি চাই না এটি নিয়ে নিউজ হোক। তাই বিষয়টি নিয়ে কারও সঙ্গে কথাও বলিনি। ফেসবুকে শুধু একটু জানিয়েছি, আর কিছুই না।’

এর আগে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন শবনম ফারিয়া। প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া এবং কমিনিকেশন্স’র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তীতে ইভ্যালির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রাহকের করা মামলায় আদালতের মুখোমুখিও হতে হয়েছে তাকে।

শবনম ফারিয়া  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীকে পাল্টা জবাব দিলেন অপু

প্রকাশ: ০৯:৪৭ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে নিজেকে এখনো শাকিব খানের স্ত্রী দাবি করেছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। বলেছেন, তারা দু’জনই সময় নিচ্ছেন। এছাড়াও তার নিজের ক্যারিয়ার, সন্তান শেহজাদ ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ খোলাখুলি বেশ কিছু কথা বলেন এই নায়িকা। 

শাকিব খানের বাসায় কখনো অপু বিশ্বাসের সাথে দেখা গিয়েছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে বুবলী বলেন, ‘দেখা হয় আমাদের। খুব স্বাভাবিক। যখন দেখা হয়েছে, আমি সর্বোচ্চ সম্মানটা দিতে চেষ্টা করেছি।’

এমনকি একদিন শেহজাদ ও শাকিব খানকে নিয়ে তিনি যখন রুমে সময় কাটাচ্ছিলেন, তখন সেখানে আবরামকে নিয়ে নাকি অপু বিশ্বাসও হাজির হয়েছিলেন বলে ওই সাক্ষাৎকারে জানান বুবলী। এটি প্রকাশের পর থেকে এ নিয়ে গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য সামনে এসেছে। যা নিয়ে নতুন জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমে এরই মধ্যে খবর এসেছে বুবলীর এমন কথায় নাকি বিরক্ত শাকিব খান আর অভিমান করেছেন অপু। 

এ নিয়ে মুখও খুলেছেন অপু। তার মতে, বুবলীর সঙ্গে দেখা হওয়ার দিন ছিল প্রথম রমজান। আর সেদিন আগে থেকেই জয়কে নিয়ে শাকিব খানের বাসায় ছিলেন অপু। আর বুবলী সেদিন শাকিবের বাসায় না অফিসে এসেছিলেন। এমনটাই দাবি করলেন অপু। 

অপু আরও বলেন, আসলে এসব কথার ব্যাখ্যা দেওয়ার রুচি আমার নেই। কারণ প্রত্যেক মানুষেরই একটা ব্যক্তিত্ব থাকে। তো এ বিষয়ে কথা বলার আগে কিছু কথা সবার জানা দরকার। মূলত সেদিন আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ ও শাকিবের সঙ্গে আমাদের ইফতারের আয়োজন ছিল। যেহেতু এবার রোজায় খান (শাকিব) ঢাকায় ছিলেন। তো সেভাবে আমাদের আয়োজন করা হয়। পরে ইফতারের পরে যতদূর মনে পড়ে-সন্ধ্যা ৭টার দিকে খাবার খাবে বলে শাকিব তার অফিস থেকে ফোনকলে আমাকে জানায়। আমি এর ৩০-৪০ মিনিট পর যখন শাকিবের বাসা থেকে সেই খাবারটা নিয়ে অফিসের দিকে যাই, তখনই বুঝে ফেলি যে শেহজাদ হয়তো বাবার (শাকিব) কাছে এসেছে। কারণ দরজা খুলতেই দেখি বুবলীর মেকআপম্যান/কেয়ারটেকারকে যে সব সময় শেহজাদের টেককেয়ার করে। তো খাবারটা নিয়ে শাকিবের অফিসে যেয়েই দেখি শেহজাদের সাথে তিনিও (বুবলী) অফিসে এসেছেন। এ সময় আমার ও জয়ের সঙ্গে আমার ননদের মেয়েও ছিল। কিন্তু এটা বুবলী ভিন্নভাবে মিডিয়ায় উপস্থাপন করেছেন। সেখানে রুমে কোয়ালিটি টাইমের কথা কেন বলা হয়েছে তা আমি বুঝিনি। তিনি এসব বলে কি মিন করতে চাইছেন তাও জানি না।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অপু আরও বলেন, অফিস ফ্লোরের দরজা খুলে ভেতরে যেতেই আমি দেখি- শেহজাদ টিভিতে কার্টুন দেখছে আর বুবলী একটা চেয়ার বসে আছেন। আর শাকিব খান ঘুমিয়ে আছেন। তাদের সাথে ওই অফিসে তখন শাকিব খানের দু’জন ব্যক্তিগত সহকারীও উপস্থিত ছিলেন। এভাবেই বুবলী ও শেহজাদের সঙ্গে দেখা হয়।

‘এরপরও এটাকে কেন তিনি কোয়ালিটি টাইম বলেছেন জানি না। বিষয়টি হচ্ছে উনি এসব বলে নিজে ছোট হচ্ছেন, না অন্যকে ছোট করার চেষ্টা করছেন-আমি জানি না। উনি বারবার একই কথা বলছেন- আমরা একটা কোয়ালিটি টাইম কাটিয়েছি। শেহজাদের উপস্থিতিতে তার এই কোয়ালিটি টাইমের কথা সামনে আনার কোনো যৌক্তিকতা দেখি না। এসবই মিথ্যা। তিনি কিভাবে বলতে পারেন- শেহজাদ তাদের (শাকিব-বুবলী) স্পেস দেয়। কি অদ্ভূত! সেই ছোট্ট বাচ্চা কিভাবে বুঝে নেয়, তার বাবা-মা একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছে? আমি শুধু এটুকুই বলবো আল্লাহ যেন উনাকে হেদায়েত দান করেন। আমি খুবই লজ্জিত ও দুঃখিত যে-এই সময়ে এসেও এসব নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে বলেও যোগ করেন অপু বিশ্বাস।


শবনম বুবলী   শাকিব খান   অপু বিশ্বাস  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

গুলির ঘটনায় সালমানের বাড়িতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৪৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) এই ঘটনার পরই মঙ্গলবারই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাইয়ের অপরাধ দমন শাখা। মুম্বাই পুলিশের বিশেষ টিম গুজরাটে গিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত দুজনের নাম ভিকি গুপ্তা (২৪) ও সাগর পাল (২১)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই যুবকই বিহারের চম্পারণের। দুজনই শ্যুটার হিসেবে কুখ্যাত। তাদের বিরুদ্ধে হার ছিনতাই, চুরির মতো একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে গুলি চালানোর ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তারের পরেই মঙ্গলবার বিকেলে সালমানের ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টেমন্টে’ যান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে।

বলিউ ভাইজানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, গোটা ঘটনায় মুম্বাই পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি সালমানসহ তাঁর গোটা পরিবারকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। এই মর্মে মুম্বাই পুলিশ কমিশনারকে ইতিমধ্যেই দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিণ্ডে।

এর আগে একাধিকবার হত্যার হুমকি পেয়েছেন সালমান খান। গত বছর ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে সালমান খান ১০টি গ্যাংয়ের টার্গেট তালিকায় শীর্ষে আছেন। যার মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর নামও। ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসায়র হরিণ শিকারের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল সালমানের। তার পর থেকেই তিনি চলে আসেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের নজরে।

এর আগেও তারা সালমান খানকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন। বিষ্ণোই এর আগেও বলেছিল যে তার বন্ধু সম্পাত নেহরা সালমান খানের বান্দ্রার বাড়ির দিকে নজরদারি চালিয়েছে। সালমানকে প্রাণে মারার জন্য সঠিক উপায় তৈরির জন্য খোঁজ চালাচ্ছিল সে। হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের হাতে ধরা পড়ে নেহরা। আপাতত সে-ও রয়েছে কারাগারে। 

২০২২ সালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে হুমকিমূলক চিঠি পেয়েছিলেন সালমান খান। যেখানে তাকে ও তাঁর বাবা সেলিম খানকে মেরে ফেলার কথা লেখা হয়েছিল। এমনকি কানাডাভিত্তিক পলাতক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল, সালমান খান রয়েছেন তাদের হত্যা তালিকায়। গোল্ডি সেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল লরেন্সের কথা।

বলেছিল, ‘আমরা ওকে মারব, আমরা ওকে মারবই মারব। ভাই সাব (লরেন্স বিষ্ণোই) বলেছিলেন, ওর ক্ষমা চাওয়া উচিত। বাবা তখনই করুণা দেখাবেন যখন তিনি করুণাময় বোধ করবেন। সালমান খান যে বর্তমানে আমাদের টার্গেট, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা সফল হলে তো আপনারা জানতেই পারবেন।’

এই গোল্ডি ব্রারই ২০২২ সালের মে মাসে পাঞ্জাবি গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পেছনে ছিল। গোল্ডি ব্রারের নাম ছিল কানাডার টপ ২৫ মোস্ট ওয়ান্টেড পলাতকের তালিকায়।


সালমান খান   বলিউড   ভারত   মুখ্যমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফারুকীর চোখে ‘মনোগামী’ বনাম ‘ব্যাচেলর’

প্রকাশ: ০৫:৪০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ওয়েবফিল্ম ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’ স্ট্রিমিং শুরু হয় চাঁদরাতে। এতে মুখ্য দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী ও জেফার রহমান। ওয়েব ফিল্মটি চরকিতে মুক্তির পর থেকেই নির্মাতা এবং কলাকুশলীরা প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। বিশেষ করে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পাচ্ছেন গুণী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও জেফার। 

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালিত সিনেমা ‘ব্যাচেলর’ মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। তার ঠিক ২০ বছর পর ওটিটি মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে ওয়েবফিল্ম ‘মনোগামী’। অনেক দর্শক মনোগামী দেখে ব্যাচেলর সিনেমার সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর এবারে সদ্যমুক্তি পাওয়া ওয়েবফিল্ম ‘মনোগামী’ নিয়ে কথা বলেছেন নির্মাতা নিজেই। 

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ফেসবুক পোস্টে ‘মনোগামী’ ওয়েবফিল্ম নিয়ে লিখেছেন, ‘কোন সন্দেহ ছাড়াই ব্যাচেলরের এক ধরনের কম্প্যানিয়ন পিস বলা যায় মনোগামীকে। ব্যাচেলরে ঢাকার কিছু ব্যাচেলরের লাইফ দেখানোর চেষ্টা করেছি। আর মনোগামীতে ডিজায়ার আর গিল্ট ফিলিংয়ের মল্লযুদ্ধে ক্লান্ত এক মানুষকে ফলো করার চেষ্টা করছি। কাজটা করে খুবই আনন্দ পেয়েছি। অ্যাকচুয়ালি, আমার শেষ কাজগুলো অনেকটা সিরিয়াস টোনের ছিল। ফলে যারা আমার হিউমার পছন্দ করত, তারা প্রায়ই আমাকে কমপ্লেইন করতো এটা নিয়ে। তাদের কমপ্লেইন বাদ দিলেও, আমি নিজেও আসলে এই হিউমার ডিল করাটাকে মিস করছিলাম।’ 

দর্শকের প্রতিক্রিয়ার কথা বলতে গিয়ে এই নির্মাতা বলেন, ‘মনোগামীর কারণ একটা বিশাল অডিয়েন্সকে ফিরে পেয়েছি। যারা সত্যিকার অর্থে পিপড়াবিদ্যা থেকে শুরু করে এর পরের কাজগুলোতে আমার ওপর অভিমান করেছিল যে, আমি কেন ওই হিউমারগুলা আর ডিল করছি না। সেই অডিয়েন্সরা ফিরে আসছে এবং তারা অনেকেই চিঠি লিখেছে। এটা জেনে আমি খুবই আনন্দিত। ব্যাচেলরের পরে যেরকম তর্ক-বিতর্ক হতো। এটির ক্ষেত্রেও সেটা হচ্ছে। এটি আসলেই খুব ভালো। মনোগামী নিয়ে মানুষের ভালো, মন্দ, প্রশংসা, সমালোচনা- সবকিছুই আমি সাদরে গ্রহণ করছি। আপনাদের সবার জন্য ভালোবাসা।’ 

উল্লেখ্য, এর আগে গতবছরের শেষে মুক্তি পায় ফারুকীর ওয়েবফিল্ম ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। এই ওয়েবফিল্মটির মধ্য দিয়ে প্রথমবার পর্দায় আসেন ফারুকী। 

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী   চঞ্চল চৌধুরী   জেফার রহমান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ছেলেকে নিয়ে শাকিবের সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্তে হয়তো উনিও এসেছেন: বুবলী

প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবারের ঈদে একগুচ্ছ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী অভিনীত ‘দেয়ালের দেশ’ ও ‘মায়া’ সিনেমা। সম্প্রতি ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলে আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছেন এ নায়িকা।

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান, তার প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাস এবং নায়কের দুই ছেলে জয়-বরীকে নিয়ে কথা বলেছেন বুবলী। একইসঙ্গে চিত্রনায়কের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ বুবলী জানান, শাকিব খানের সঙ্গে এখনো ডিভোর্স হয়নি তার। সময় নিচ্ছেন তারা। আর সাক্ষাৎকারে এমনটা জানানোর পরই খবর উঠে আসে অভিনেত্রীর এমন বক্তব্যে বিরক্ত শাকিব খান।

এবার অন্য একটি টেলিভিশনে হাজির হয়ে শাকিব খান-অপু বিশ্বাসকে নিয়ে কথা বললেন বুবলী। এসময় বুবলী বলেন, সন্তান বীর ও তার বাবাকে নিয়ে যখন রুমে সময় কাটাই, তখন সেখানে জয়কে নিয়ে হয়তো উনিও এসেছেন।

ভাইরালিজম প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, ‘আসলে এটা প্রয়োজন নেই। অনেক সময় দেখা যায় আমরা যখন কাজকে ফোকাস করছি, তখন দর্শকরা প্রশংসা করছেন সেটির। দর্শকরা ভালোবাসার জায়গা থেকেই বিভিন্ন সময় আমাদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে জানতে চান। এটাও ঠিক আছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘দর্শকরা জানতে চান শেহজাদ কী করছে বা কী রকম সময় কাটছে ওর। ওই সময় হয়তো আমি কিছু ভিডিও ক্লিপস শেয়ার করছি। তবে সব কিছুর মধ্যে সীমাবদ্ধতা থাকা প্রয়োজন। আবার আমাদের ভাষাগত দিক থেকেও সীমাবদ্ধ থাকা উচিত যে―আমরা একজন আরেকজন শিল্পীকে কীভাবে মূল্যায়ন করছি’।


শাকিব খান. বুবলী   অপু বিশ্বাষ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন