কালার ইনসাইড

তারকাদের শত্রুতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ০২ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

শোবিজে ঝগড়াটা নতুন নয়। এক সঙ্গে কাজ করতে গেলে ঝগড়া বাঁধবেই। নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনার মতো একজন অন্যজনকে তুলোধুনা করে। তবে তারকাদের এমন ঝগড়া-ঝাটি ভক্তদের মধ্যেও বেশ প্রভাব ফেলে। ভক্তরা হয়ে যায় দ্বিধা বিভক্ত। একে অন্যকে নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত করে। স্যোশাল মিডিয়ায় ভক্তদের এমন ঝগড়া মাত্রাতিরিক্তও হয়ে যায়। ঝগড়াটা কখনো রুপ নেয় শত্রুতায়। প্রকাশ্যে কে কার কতটা ক্ষতি করলো সেটা বোঝা না গেলেও কেউ যে কাউকে ছাড়ার পাত্র নন সেটা বোঝা যায়। বন্ধু দিবসে তাই শত্রুতার খবর জানানো হলো।

আসিফ আকবরের সঙ্গে শফিক তুহিন- প্রীতমদের ঝগড়া বেশ আলোচনায় এসেছিল। কিন্ত সেই ঝগড়াটা এমন রুপ নেয় যে শফিক তুহিনের মামলায় জেলে যেতে হয় আসিফের। পাঁচদিন কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর। ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় চার্জ‌শিট দা‌খিল পর্যন্ত তার জা‌মিন মঞ্জুর করা হ‌য়।

শাকিব খানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব জায়েদ খানের। শাকিব খানের সঙ্গে তখন অপুর বিচ্ছেদ হয়নি। প্রকাশ্যেও আসেনি দুজনার বিয়ের খবর। এমনই সময় একদিন জায়েদ খান গেলেন অপু বিশ্বাসের বাসায়। জায়েদ খানের ভাষ্যে, বাসার নিচে দাড়িয়ে সিনেমা নিয়ে কথা বলছিলেন। শাকিব খান কোথা থেকে গিয়ে অপু বিশ্বাসকে লাত্থি, চড় থাপ্পড়। শাকিব খান পরবর্তীতে বলেছেন, অপু বিশ্বাসকে তিনি একজনের সঙ্গে হাতেনাতে ধরেছেন। কাকে ইঙ্গিত করে তিনি এই কথা বলেছেন সেটা বুঝতে কারো বাকি নেই। শাকিব খানের সঙ্গে এখন প্রকাশ্য শত্রুতা চলছে প্রযোজক সেলিম খানের সঙ্গে। অন্যদিকে রিয়াজ মনে করে শাকিব খানই তাকে ইন্ডাস্ট্রি থেকে বের করেছেন। তাই এ নিয়ে শাকিবের বিরুদ্ধে কথা বলতেও শোনা যায়।

মিশা সওদাগরের সঙ্গে মৌসুমী- ওমরসানীর ছিলো জিগরি দোস্তি। এমনকি মিশার ছেলে আমেরিকায় মৌসুমী- ওমরসানীর ছেলের সঙ্গেই পড়াশুনা করে। কিন্তু শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে তাদের শত্রুতা চরমে ওঠে। একে অপরকে এখন প্রায়ই তুলোধুনো করতে দেখা যায়। 

একটা সময় কিংবদন্তি দুই কন্ঠশিল্পী, সাবিনা ইয়াসমিন ও রুনা লায়লার মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। একসঙ্গে গান করা তো দূরের কথা। একে অপরের কোন প্রসঙ্গও তুলতেন না বলে শোনা যায়। হয়তো শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। অনেক বছর পর সম্পর্কটা জোড়া লাগে ‘তুমি বড় ভাগ্যবতী’ গানটি দিয়ে। ফারুক আর জাফর ইকবালের ঝগড়াটাও কিন্তু কমদিনের জন্য ছিল না। সমসাময়িক হওয়াতে একজন আরেকজনের অভিনয় নিয়ে নিয়মিতই সমলোচনার ঝড় বইয়ে দিতেন। তবে তার চেয়ে বড় গুঞ্জন ছিলো ববিতার প্রেমে দুজনেই মগ্ন ছিলেন। ববিতা -রোজি আফসারীর ঝগড়াটাও ছিল দীর্ঘদিন ধরে। এমনকি ববিতাকে রোজি আফসারি মারধর করেছেন এমন গুঞ্জনও আছে সিনেমামহলে।

সালমান শাহ ও মৌসুমীর চলচ্চিত্র জীবনের যাত্রা শুরু একই সঙ্গে। প্রথম ছবি ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছিল সুপারডুপার হিট। প্রথম ছবির পর প্রযোজক পরিচালকদের ভীড় লেগে যায় তাদের দ্বারে। কিন্তু কি এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ জুটির ভাঙন ধরে। তাদের একসঙ্গে আর কোন ছবিতে দেখা যায়নি। দুজনের জুটি ভাঙ্গার পরও একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে কখনো দোষারোপ কিংবা সমলোচনা করেননি।

চলচ্চিত্রে প্রায় একই সময়ে যাত্রা শুরু করেন মৌসুমী ও শাবনূর। পপির যাত্রাটা তাঁদের চার বছর পরে। ঠিক কী দ্বন্দ্ব তা স্পষ্ট না হলেও মৌসুমী আর শাবনুর দীর্ঘ ১৩ বছর একসঙ্গে কোন কাজ করেননি। প্রয়াত নায়ক মান্না তাদের সে ঝগড়া মিটিয়ে দিয়েছিলেন। সম্পর্কে ফুপাতো-মামাতো বোন হওয়া সত্ত্বেও দ্বন্দ্বের কারণে মৌসুমী-পপি ১৪ বছর একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি। সেই দ্বন্দ্ব একটা সময়ে এসে মিটে গেছে। পপির পেশাগত দ্বন্দ্ব ছিল শাবনুরের সঙ্গেও। তাদের একসঙ্গে কোন ছবিতে দেখা যায়নি। একই সঙ্গে কোন শোতেও দেখা যেত না।

সালমান পরবর্তী সময়ে রিয়াজের সঙ্গে জুটি বাঁধে শাবনূর। এই জুটি বেশ প্রশংসিতও হয়। চাহিদা তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০২ সালে ভেঙে যায় তাদের জুটি। আর এর কারণ শাবনুর- রিয়াজ জুটির হিটের পেছনে মানুষ শাবনুরকেই বেশি ক্রেডিট দিতো। এ নিয়ে প্রকাশ্যে ঝগড়া না হলেও মনোমালিন্য ছিলো।

পূর্ণিমার সঙ্গে শাকিবের দ্বন্দ্বের শুরু হয় ‘ভালোবেসে মরতে পারি’ ছবির সেটে। শুটিং স্পট থেকে পূর্ণিমা চলে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্ব খুব বেশিদিন হয়নি মিটেছে।

শাকিবের জের ধরে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বুবলির ঝগড়া প্রকাশ্য। শাকিব খানকে নিয়ে একে অন্যের বিপক্ষে তীর্যক বাক্য নিয়মিত বলে যাচ্ছে। বুবলি- অপুর ঝগড়ার কারণে প্রকাশ্যে আসে শাকিব-অপু বিশ্বাসের বিয়ের খবরও।

দেবদাস ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন মৌসুমী। অথচ ঐ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্র পার্বতীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অপু বিশ্বাস। পার্বতীর পরিবর্তে চন্দ্রমুখী মৌসুমী কেন পুরস্কার পাবে এই প্রশ্ন নিয়ে অপু বিশ্বাস একটি স্ট্যাটাস দেন। আর এ স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছিল তাদের ভেতরের ঠান্ডা যুদ্ধ।

শাকিল খান আর পপির ঝগড়ার খবর নিশ্চয়ই কারো অজানা নয়। সে ঝগড়ায় সেদিন দুজনেই আবার তাও দিয়েছিল। তবে মিডিয়ায় খুব বেশি গরম করতে পারেনি।

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি নাটক পাড়ায় ঝগড়াও কম হয় না। এই যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ত্রিমুখী ঝগড়ায় অবতীর্ন হয়েছিলেন মম-বিন্দু আর মিম। একবার মম তার সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বিন্দু ও মমতো এখনো পড়ালেখাই শেষ করেননি।’ এরকম সমলোচনামূলক আরও কিছু তথ্য। আর এতেই পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করেছিলেন মিম ও বিন্দু।

ফারিয়া শাহরিনের সঙ্গে তো রীতিমতো বাকযুদ্ধ মেতেছিলেন নওশীন, বন্যা মির্জা, নাফিসারা। ফারিয়া শাহরিন মিডিয়ার কিছু খারাপ দিক তুলে ধরাতে এই যুদ্ধ বাধে। এখনো কেউ কাউকে বলার কোন সুযোগ পেলে ছাড়ে না।

তারকাদের ভার্চূয়াল যুদ্ধও হয়। এই যেমন ফারিয়া আর স্পর্শিয়ার ভার্চুয়াল ঝগড়া। স্পর্শিয়ার একটি ভিডিও পোস্ট দেওয়া নিয়ে তাদের ভেতর ঝামেলার সূত্রপাত হয়। নুসরাত ফারিয়া কারো নাম প্রকাশ না করে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, ‘কাউকে নিয়ে অযথা মজা করা কখনোই ভালো ব্যাপার নয়। কিন্তু কেউ একজন এটাই করেছে। তবে এটা নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই কারণ সেখানে আমার জন্য শুভকামনাও ছিল। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে ঐ ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে পাবলিক আকর্ষণের জন্য।আমি তাকে বলবো যে, বড় হতে হলে সহকর্মীদের সম্মান দিতে হবে।’ এরকমই আর এক ঝগড়ায় লিপ্ত হয় মেহজাবিন ও নুসরাত ফারিয়া। ক্রিকেটার রুবেলকে নিয়ে হ্যাপির সঙ্গে ভার্চুয়াল ঝগড়া হয় উপস্থাপিকা আমিব্রিন ও মৌসুমী হামিদের।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না: রিয়াজ

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা মেনে নিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।

আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।


চিত্রনায়ক রিয়াজ   বিএফডিসি   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন