কালার ইনসাইড

‘আগস্ট ১৯৭৫’ যেভাবে নির্মাণ হলো

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০১ পিএম, ১২ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

‘আগস্ট ১৯৭৫’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করেছে শাপলা মিডিয়া। বাংলাদেশের ইতিহাসের কলঙ্কময় এই দিনকে নিয়ে এর আগে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ হয়নি। এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা। সেই ঘটনার পরের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। কী আছে এই সিনেমায়?

সিনেমার প্ল্যানিং:

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার সঙ্গে পরিচালক শামীম আহমেদ রনির প্রথম ছবি ‘শাহেনশাহ’। বছর দুই আগের কথা। ‘শাহেনশাহ’র কাজ তখনও শেষ হয়নি। প্রযোজক সেলিম খান রনিকে ডেকে বললেন আমরা কি ১৫ আগস্ট নিয়ে কিছু করতে পারি না? এখানে উল্লেখ্য সেলিম খান একজন আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বঙ্গবন্ধুর অনুসারী। সেলিম খান বললেন, আমরা ১৫ আগস্ট নিয়ে অনেক গল্পই কিন্তু জানি না। আমরা অনেক সময় অনেক গল্প পড়ি। কিন্তু ১৫ আগস্টের পরের দিন কি ঘটেছিল? বঙ্গবন্ধুর দাফন কিভাবে হয়েছিল? এগুলো নিয়ে কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না। এটা নিয়ে কি বড় করে কিছু করা যায় না? পরিচালক সায় দিলেন। প্রযোজক উৎসাহ দিতে থাকলেন। এরপর শুরু হয় একটা টিম নিয়ে গবেষণা।  বঙ্গবন্ধুর লাশ ১৫ তারিখ সারাদিন পড়ে ছিলো ৩২ নম্বরে। ১৬ তারিখে তার লাশের ব্যবস্থা করা হয়। পরিচালক রনি বলেন, ‘ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওই দিনের যারা যারা বেঁচে আছেন তাদেরকে আমরা খোঁজার চেষ্টা করি। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা হয়। কে এম শফিউল্লাহ থেকে শুরু করে লাশ দাফনে যারা যুক্ত ছিলেন। সেটা প্রায় দেড় বছরের মতো সময় গেছে আমাদের এই রিসার্চে। রিসার্চ কমপ্লিট হওয়ার পর আমরা স্ক্রিপ্টটা করি। ১৫-১৬ তারিখে কি ঘটনা ঘটেছিলো সেটা সবার সঙ্গে কথা বলে একটা জায়গায় এসেছি। যে এটাই সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য।

উদ্দেশ্য:

রিসার্চটা করতে গিয়ে মনে হয়েছে আসলেই এই ঘটনাগুলোর খুঁটিনাটি এই প্রজন্ম অনেকেই জানে না। স্পেশালি নতুন প্রজন্ম জানেই না। তৎকালীন মানুষেরা হয়তো কমবেশি সবাই জানতেন। জেনেও একটা লম্বা সময় তারা মুখ খুলতে পারেননি।’ প্রযোজক সেলিম যোগ করেন, ‘একটা লোক যে কোন রাজনৈতিক দলই করতে পারে। কিন্তু ‘বঙ্গবন্ধু’ কিন্তু সবার ওপরে। বঙ্গবন্ধুর যখন জানাযা হয়েছে তখন কেন ২০/২৫ জন লোক ছিলো। হয়তো অনেকে অনুমান করে নেয় যে ওদের ভয়ে। কিন্তু আসলেই সেদিন কি কি ঘটেছিলো? আশেপাশের ১৯ জেলা কারফিউ দিয়ে ব্লক করে রাখা হয়েছিলো। মানুষ কিভাবে আসবে? ওরা মুসলমান হয়ে ডিরেক্ট কফিনসহ কবরে ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছে। এটা কয়জন মানুষ জানে?’ মৌলবী হালিম, কনস্টেবল সিরাজ, কে কিভাবে ছিলেন সেই অবস্থায়? মেজর হায়দার যার দায়িত্বে ছিলো টুঙ্গিপাড়া নিয়ে গিয়ে লাশ দাফন করা। সেটা কোন সিচুয়েশনে নিয়ে গিয়ে লাশ দাফন করা হয়েছে। এমনকি যারা আওয়ামী লীগ করে এই প্রজন্ম তারাও অনেকে এই প্রকৃত ইতিহাসটা জানে না। পরিচালক- প্রযোজকের এটাই ছিলো সবচেয়ে বড় চাওয়া। 

প্রযোজক সেলিম খান বলেন,‘আমরা চেয়েছি এই ইতিহাসটা মানুষকে জানাতে। এবং সেটা একদম সত্য ঘটনা। যারা যারা ওই সময়ে ছিলো তাদের কাছ থেকে যেটা শুনেছি ওটাই আমরা স্ক্রিপ্টে এনেছি, ওটাই শ্যুট করেছি। আমরা এক বিন্দুও মিথ্যা বলিনি। এক বিন্দুও কল্পনা থেকে করিনি। এটা করার কারণ মানুষ প্রকৃত ইতিহাসটা জানুক।’

অভিনয়শিল্পীদের বক্তব্য:

সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাক অভিনয়শিল্পী। ৭৫ সালের ভয়াল ১৫ আগস্টের পরদিন থেকে ছবির গল্প শুরু হবে। তাই এতে বঙ্গবন্ধু বা উনার পরিবারের কোনও চরিত্র থাকছে না। তবে এতে বেইমান খন্দকার মোশতাক ও জাতীয় চার নেতার মতো ঐতিহাসিক চরিত্রগুলো থাকবে। খন্দকার মোশতাক হিসেবে আছেন শহীদুজ্জামান সেলিম ও জাতীয় চার নেতার একজন হিসেবে আছেন তৌকীর আহমেদ। খন্দকার মোশতাকের চরিত্রটা ইতিহাসের অন্যতম ঘৃণিত চরিত্র। কিভাবে নিজের মধ্যে নিয়েছেন চরিত্রটা? সেলিম বলেন,‘প্রথমেই বলবো চরিত্রটাকে আমি ঘৃণা করতে পারিনি। তাহলে বিশ্বাসযোগ্য করতে পারতাম না। চরিত্রটাকে আমার ভালোবাসতে হয়েছে। ভালোবেসে নিজের মধ্যে নিতে পেরেছি। এমন একটা চরিত্র তার জন্য প্রাকটিস তো ছিলোই। কিন্তু আমার জন্য সবচেয়ে বড় কষ্টের ব্যাপার ছিলো চরিত্রটাকে আমি ঘৃণা করতে পারিনি। আর কিছু ব্যাপর তো ছিলো, সে কিভাবে হাটতো। কিভাবে কথা বলতো। সেটা কিন্তু ৮/১০ জন মানুষের মতো নর্মাল না। খন্দকার মোশতাক কখনো ‘ছ’ বলতে পারতো না। উনি সবসময় ‘চ’ বলতো। এটা কিন্তু রপ্ত করতে হয়েছে।’ 

তৌকির আহমেদ বলেন, ‘যখনই তাজউদ্দিন সাহেবের চরিত্রের কথা ওঠে। সবাই আমাকেই ভাবেন। এটা হয়তো আমার একটা বাড়তি পাওয়া যে এই মহান মানুষটার সঙ্গে আমার কিছু মিল পায়। বঙ্গবন্ধুর পরে তাজ উদ্দিন সাহেব বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এই সিনেমায় এই চরিত্রটা অনেক বিশরদ করে না। ওই দিন বঙ্গবন্ধুর অন্যতম কাছের মানুষটার অনুভূতিটা কি হতে পারে। সেটা তুলে ধরেছি। একটা বেদনার চরিত্র। একটা মানুষের সব হারানো চরিত্র।’ 

নাবিলা বলেন, আমি অভিনয় করেছি বেবী মওদুদের চরিত্রে। অভিনয়ে আমি সব সময় নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই। যখনই জানলাম বেবী মওদুদের চরিত্রে অভিনয় করতে হবে, তখন তাঁর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখে তাঁর কথা বলার ধরন, বাচনভঙ্গি রপ্ত করার চেষ্টা করেছি। কাহিনির প্রেক্ষাপট নিয়ে পড়াশোনাও করেছি। শুটিংয়ের আগে দুই দিন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। ১৫ আগস্টের সেই গুলির আওয়াজ কিন্তু বেবী মওদুদও শুনতে পেয়েছিলেন। তার বাসাও ছিলো ৩২ নম্বরের কাছেই।’

আনিসুর রহমান মিলন বলেন,‘শুটিংটা হয়েছে একটা থমথমে পরিস্থিতিতে। ওই ক্যারেক্টারগুলো যে ধারণ করেছে সে আসলে অন্য কিছু বলতে পারেনি। সেটে এসে সে আসলে একটা পরীক্ষার আগে যেমন মানুষের ভিতর যেমন একটা ভয় কাজ করে। সবার মধ্যে তেমনটা দেখেছি। প্রতিজন অভিনয়শিল্পী এত সিরিয়াস ছিলো যে সেটা সত্যিই অবাক করার মতো। আর যেটা হয়েছে অনেক জায়গায় আবেগটা আমাদের এত এসেছে যে কান্না ধরে রাখতে পারিনি। ক্যামেরাম্যান শ্যুট করতে পারছিলেন না। তিনি নিজেও এতটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছিলেন। এই সিনেমায় তো অনেক গুণী গুণী অভিনয়শিল্পী অভিনয় করেছেন। তারা তো আবেগের দৃশ্য হাজারবার করেছেন। কিন্তু এই চরিত্রগুলো করতে গিয়ে তাদের শরীরের লোম দাড়িয়ে গেছে। তারা ঠিকভাবে নিতে পারছিলেন না। অনেকেই বলেছে, আমরা বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করি। কিন্তু এই ইতিহাসটুকু তো আমরা জানতাম না।’ 

একটা দৃশ্য ছিলো বঙ্গবন্ধুর লাশ দাফন হয়ে গেছে। কনস্টেবল সিরাজের ক্যারেক্টারটা করেছেন আনিসুর রহমান মিলন। আর্মিরা লাশ দাফন করে চলে গেছে পুলিশদের দায়িত্ব দিয়ে। একটা দৃশ্য আছে কবরের পাশে উনি আসে। এসে স্যালুট দেয়। ওই জায়গাটায় আমাদের প্রযোজকও ছিলেন। ওই দৃশ্যটা দেখে সবাই কেঁদে উঠছে। একটা কান্নার রোল উঠে গেছে। সবাই এত ইমোশনালী হয়ে গেছিলো বলে জানান মিলন। 

পরিচালক রনী বলেন, ‘অনেক শিল্পী অনেক ক্যারেক্টার করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর রক্ত বুকে নিয়ে শুটিং করবো। এটা তারা নিতেই পারেনি।  প্রত্যেকটা ক্যারেক্টারের জন্য আমরা যত ডকুমেন্ট পেয়েছি তাদের কাছে দিয়েছি। তারা নিজেরাই সংগ্রহ করেছেন। একদম ছোট ক্যারেক্টারগুলোও। মোশতাক সালাম কিভাবে নিতো। মুখে কিভাবে হাত দিতো। তাজউদ্দিন সাহেব চশমাটা কিভাবে চোখে পড়তো। যে জিয়াউর রহমান ক্যারেক্টারটা করেছেন সে ওটা ধারণ করেছে। সে কিভাবে হাটতেন। কিভাবে কথা বলতেন। সানগ্লাসটা কিভাবে ধরতেন।’ 

চরিত্র নির্বাচন:

পরিচালক রনি বলেন, ‘চরিত্র নির্বাচনে প্রথমেই আমরা খুঁজেছি লুক অ্যালাইক। কিন্তু এর সঙ্গে ঝানু অভিনয়শিল্পী খুঁজেছি। কারণ একটা দুর্বল চরিত্র পুরো সিনেমাটা নষ্ট করে দিতে পারে। এখানে অনেক সিনিয়র অভিনয়শিল্পী যেমন আছেন তেমনি কিছুটা অপরিচতরাও আছেন। তবে সেই অপরিচিতরাও কিন্তু নিজেকে কোথাও না কোথাও প্রমাণ করেছেন। তাজউদ্দীন আহমেদ সাহেব কিভাবে কথা বলতেন। কিভাবে সে চশমাটা খুলতেন।কিভাবে কথা বলার সময় চশমাটা হাতে ধরে রাখতেন এগুলো কিন্তু আমাদের অনেক রিসার্চ করতে হয়েছে। আমরা রিসার্চ করতে গিয়েই এমন খুঁটিনাটি অনেক কিছুই জেনেছি।’

বাজেট:

পরিচালক রনি বলেন, ‘প্রযোজক আমাকে বলেছে তুমি একটা ভালো সিনেমা বানাও। ভালো অভিনয়শিল্পী কাস্টিং করো। তাতে যে খেরচ লাগে সেটা আমি দেবো। এটা থেকে ব্যবসা করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য না। আমরা আমাদের জায়গা থেকে জাতির কাছে যেন কিছু একটা দিতে পারলাম সেটাও বড় বিষয়।’ 

সিনেমাটি মাত্র ১৪ দিনে শুটিং কমপ্লিট করা হয়েছে। এই ১৪ দিনে প্রায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এফডিসিতে এর জন্য সেট নির্মাণ করতে হয়েছে। কারণ ওই সময়ের মতো বাড়িঘর এখন পাওয়া সম্ভব নয়।

মুক্তি:

প্রযোজক বলেন, ‘একটা ইতিহাসকে প্রেজেন্ট করতে যাচ্ছি। এটাও একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। ১৪ তারিখ সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার প্লানিং ছিলো। কিন্তু আমরা ১৪ তারিখ পারছি না। ২১ তারিখে ছবিটা রিলিজ করবো। তথ্য মন্ত্রণালয় আমাদের একটা আশ্বাস দিয়েছে যে আমরা যদি সেন্সরটা পেয়ে যাই। এই ছবিটার জন্য সীমিত সময়ের জন্য হলেও হলগুলো খুলে দেবে। ’

কে কোন চরিত্রে অভিনয় করেছেন:

তৌকির আহমেদ- তাজউদ্দিন আহমেদ
শহীদুজ্জামান সেলিম- খন্দকার মোশতাক
আনিসুর রহমান মিলন- কনস্টেবল সিরাজুল হক
মাজনুন মীজান- মেজর ডালিম
নাবিলা- বেবী মওদুদ
সুইটি- জোহরা তাজউদ্দীন
শাহেদ আলী- প্রণব (রেডিও স্টেশন শিফট ইনচার্জ) 
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় - মৌলভি আবদুল হালিম
ফজলুর রহমান বাবু- বায়োস্কোপওয়ালা
মুনিরা মিঠু- মৌলভির স্ত্রী
তুষার খান- শেখ মান্নান
জিয়াউর রহমান- আশরাফুল আশীষ
খালেদ মোশারফ- আগুণ
দিলারা জামান- বেবী মওদুদের মা

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না: রিয়াজ

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা মেনে নিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।

আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।


চিত্রনায়ক রিয়াজ   বিএফডিসি   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন