কালার ইনসাইড

বিখ্যাত ছবির স্মরণীয় গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ১২ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

একাধিক কালজয়ী সিনেমা পেয়েছি স্বাধীনতার পর থেকে। কিছু সিনেমার নাম জানলেও পেছনের অনেক গল্প থাকে অজানা। এমন কয়েকটি সিনেমার পেছনের গল্প বলেছেন সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা।

‘সুজন সখী’র নায়ক ফারুক

নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘লাঠিয়াল’-এর শুটিংয়ে একদিন খান আতা ভাই এলেন। তখন একটি নাটকীয় দৃশ্যের শুটিং চলছিল। শট শেষ হলে আমাকে বসিয়ে ‘সুজন সখী’র কথা বললেন। যেদিন ‘সুজন সখী’র শুটিং শুরু হলো সেদিন আমাকে আর কবরী ম্যাডামকে নিজের গাড়িতে করে স্পটে নিয়ে গেলেন। গাড়িতে আবারও গল্পে গল্পে ছবির চরিত্রগুলো এমনভাবে বললেন আতা ভাই, মনে মনে আমি সুজন হয়ে গেলাম। শুটিংয়ে উপচেপড়া মানুষের ভিড় সামলাতে পুলিশ লাঠিপেটা করার সময় আমিও হাতে ব্যথা পাই। কবরী ম্যাডাম তখন সুপারস্টার। ওনার সঙ্গে আমাকে দর্শক কেমন গ্রহণ করে সেটা দেখার জন্য ভয়ে ভয়ে হলে গিয়েছিলাম। শেষ দৃশ্যে আমরা যখন নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে, তখন দর্শক আহ, ইশ শব্দ করে আফসোস করত। খান আতা ভাই খুব কষ্ট করে সিনেমাটা বানান। পারিশ্রমিক বাবদ আমাকে পাঁচ হাজার টাকা আর একটা হূদয়কাড়া চিঠি দিয়েছিলেন। এই ছবি আমাকে কুফা, অপয়া হিরো থেকে হিট বানিয়ে দিল। ‘সুজন সখী’সহ অনেক ছবিতেই আমাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, কিন্তু দর্শকের ভালোবাসা থেকে তো বঞ্চিত করা যায়নি! জীবনে এমন অনেক ভক্ত পেয়েছি যারা আমাকে বলেছে, তাদের মা-বাবা হলে গিয়ে বারবার ছবিটি দেখেছে। পণ করেছে, ছেলে হলে নাম রাখবে সুজন। এমন অনেক সুজনকেই আমি দেখেছি।

‘রংবাজ’এর গাজী মাজহারুল আনোয়ার

‘রংবাজ’-এর গান লেখার মিষ্টি মিষ্টি গল্প আছে। আমি হাঁস খেতে খুব পছন্দ করতাম। একদিন মা আমাকে কুমিল্লায় যেতে বললেন। গিয়ে দেখি পাঁচটি হাঁস রান্না করেছেন। হঠাত্ ঢাকা থেকে সংগীত পরিচালক আনোয়ার পারভেজের ফোন। ‘রংবাজ’-এর গান লেখার জন্য ঢাকায় ফিরতে হবে। দুই দিনের মধ্যেই শুটিং। বললাম, এ সময়ের মধ্যে সম্ভব নয়। ‘সে যে কেন এলো না কিছু ভালো লাগে না’—গানটি টেলিফোনেই দিলাম। সবাই পছন্দ করলেন; কিন্তু কবরী বেঁকে বসলেন। তিনি ভাবলেন, যেহেতু আমি একসঙ্গে বসে গানটি লিখিনি, তার মানে তাড়াহুড়া করে লিখেছি। তাঁর সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল বিধায় টেলিফোনেই মিষ্টি তর্ক হলো। বললাম, আপনি শুটিং করেন, খারাপ লাগলে আমরা দেব না। পরে তো এই গান সবারই পছন্দের হয়ে গেল। ‘হই হই রঙিলা’ গানটি নিয়েও উনি শর্ত দিয়ে বসলেন। তখন শীতকাল। আমি যেহেতু বৃষ্টিতে ভেজার গান লিখেছি, শুটিংয়ের সময় আমাকেও থাকতে হবে। এমনি নানা হাস্যরসের মধ্য দিয়েই ছবির গানগুলো তৈরি হয়েছিল। তখন সিনেমা ছিল টিমওয়ার্ক। সবাই সবাইকে বুঝতেন। ছবিটির সব গানই লিখেছিলাম আমি। তখনকার সময়ের আধুনিক ছবি ‘রংবাজ’ গানেও আধুনিকত্ব আনার চেষ্টা ছিল। আমরা সফল হয়েছিলাম বলেই গানগুলো এখনো বেঁচে আছে।

‘আলোর মিছিল’ এর সুজাতা

‘আলোর মিছিল’-এর মতো সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে আমি খুব তৃপ্ত ছিলাম সেই সময়। নারায়ণ ঘোষ মিতা বড় মাপের পরিচালক ছিলেন। বড় বড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এ ছবিতে অভিনয় করেন। আজিম সাহেবের পর রাজ্জাকের সঙ্গে আমার বেশ কিছু সিনেমা হিট হয়। ‘আলোর মিছিল’ও সেই রকম সফল একটি সিনেমা। ছবিতে আমার চরিত্রের নাম দিনা। মজুদদার বাবার বিরুদ্ধে আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করি।

এ ছবিতে ববিতাও অভিনয় করেছে। দুই নায়িকা কাজ করলে নাকি প্রতিযোগিতা হয়, তেমন কিছুই ছিল না আমাদের মধ্যে। ও আমার জুনিয়র, শুটিংয়ের সময় তাই স্নেহই করতাম।

‘আলোর মিছিল’এর ববিতা

রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে রোমান্টিক নায়িকা হিসেবে কিছু ছবি হিট করার পর ‘আলোর মিছিল’-এর অফার এলো। গল্পটা ‘আলো’ নামের এক মেয়েকে ঘিরে। সব ইমোশন তাকে নিয়ে, কিন্তু ছবিতে রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে রোমান্টিক পেয়ার হলেন সুজাতা ম্যাডাম। আমি গল্পে রাজ্জাক সাহেবের ভাগ্নি। আমাকে নিয়ে তখন ইন্ডাস্ট্রিতে যাঁরা লগ্নি করছেন বা যাঁরা আমার বন্ধু, সবাই চাইলেন আমি যেন ছবিটা ‘না’ করি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুন্দর গল্প, সুন্দর চরিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছারই জয় হলো।

নারায়ণ ঘোষ মিতা যখন সিকোয়েন্সগুলো অভিনয় করে দেখাতেন, বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠত। এ জন্যই এসব ছবি করার সময় গ্লিসারিন লাগত না। আমার একটা সংলাপ খুব জনপ্রিয় হয়েছে ‘চা গরম চা গরম।’ ক্লাসিক্যাল নাচ শিখতে হয়েছিল এ ছবির জন্য।

দর্শক ছবিটা কিভাবে নেয় তা দেখার জন্য বোরকা পরে গিয়েছিলাম ‘মধুমিতা’য়। আলো যখন মারা যায়, দর্শককে দেখেছি হাউমাউ করে কাঁদতে।

যাঁরা ছবিটি করতে মানা করেছিলেন তাঁরা সবাই পরে আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। কারণ এ ছবির পরও রাজ্জাক ভাইয়ের সঙ্গে আমার রোমান্টিক ছবি হিট হয়েছে। অর্থাত্ দর্শক গল্প এবং চরিত্রই দেখে। সেই সময় এ ধরনের সিনেমাই করতে চেয়েছিলাম। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবতাম কম। অর্থই সব কিছু নয়। ‘আলোর মিছিল’ আমার প্রিয় সিনেমাগুলোর একটি।

‘নয়নমনি’র এ টি এম শামসুজ্জামান

‘নিরক্ষর স্বর্গে’ উপন্যাসের কাহিনী নিয়ে আমজাদ ভাই ‘নয়নমনি’ বানাচ্ছেন শুনে খুশি হয়েছিলাম, কারণ এই গল্পে যে সিনেমা ব্যাপারটা আছে একদিন আমিই তাঁকে বলেছিলাম। আর ভাবলাম সহকারী পরিচালনার কাজটি পেলে ১৫০ টাকার একটা ব্যবস্থা হয়। আমাকে অবাক করে দিয়ে মোড়ল চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব করলেন আমজাদ। আমি তো করবোই না! আনোয়ার হোসেনের সম্মানী সেই সময় ছয় হাজার, আমিও ছয় হাজার চেয়ে বসলাম, যাতে আমাকে না নেয়। আমজাদ বললেন, এক হাজার টাকা দেবেন, তাতেই করতে হবে। অগ্রিম দিলেন ৫০০ টাকা। সেই টাকা পকেটে নিয়ে আমি অভিনয়ের ভয়ে কাঁদতে কাঁদতেই বাড়ি গেলাম। শুটিংয়ের দিন মেকআপম্যান শাজাহান আমাকে একটা কৃত্রিম আচিল মুখে লাগিয়ে দিয়ে বললেন, এটা যত্নে রাখবেন। আচিলটি লাগিয়ে গোলাম মোস্তফা ভাই ‘প্রীত জানে না রীত’-এ পরে সফল হয়েছিলেন। প্রথম শুটিং ছিল গ্রামে একটা লাশ দাফন করতে দেবে না মোড়ল। নয়নকে তখন বলে দিতে হবে, আমি বলি তুই কেডারে? এই ছবির একটা মজার ঘটনা আছে। শেষভাগে মনিকে নিয়ে পালানোর সময় আমি সুজনকে গুলি করতে যাই। মনি ধাক্কা দিয়ে আমাকে নদীতে ফেলে দেয়। শুটিংয়ের সময় শীতকালে কালীগঙ্গা নদীতে পড়ে আমি রীতিমতো কাঁপতে থাকি। আমাকে কেউ একজন ব্র্যান্ডি খাইয়ে দেয়। ছবি মুক্তির পর দেখি সবাই মোড়লকে খুঁজছে। এমন ঘটনাও আছে শুটিং স্পটে আমাকে দেখলেই গ্রামের মহিলারা নানা কটু কথা বলত। দুশ্চরিত্র মোড়ল আর আমি যে এক নই এটা তারা মানতে চাইত না।

‘সীমানা পেরিয়ে’র কাজী হায়াৎ

আমি তখন পরিচালক মমতাজ আলীর সহকারী। তিনি নতুন ছবি করছিলেন না বলে কাজ খুঁজছিলাম। আলমগীর কবিরই আমাকে ‘সীমানা পেরিয়ে’ ছবির সঙ্গে যুক্ত হতে বললেন। খোলাখুলিভাবেই বললেন, দুজন সহকারী রাখা তাঁর পক্ষে সম্ভব না, আমাকে তাই বেশ পরিশ্রম করতে হবে। তাঁর সঙ্গে কাজ করার তীব্র আগ্রহ ছিল বলেই রাজি হয়ে গেলাম। কক্সবাজারে শুটিংয়ের দিনগুলো দারুণ কেটেছিল। সে সময় নেগেটিভ সংকট ছিল, রাত-দিন একাকার করে সম্পাদনার কাজ করতে হয়েছিল। এরপর তাঁর সঙ্গে কিছু তথ্যচিত্রের কাজও করেছিলাম। মাসে ২০০ টাকা করে দিতেন। এরপর মমতাজ আলী আবার ছবি শুরু করলে তাঁর কাছে ফিরে যাই। তবে আলমগীর কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। আলমগীর কবিরের জানাশোনা এত বেশি, তাঁকে দেখলে মনে হতো আমরা মনে হয় কোনো দিনই সিনেমা বানাতে পারব না। আমি তাঁর গুণমুগ্ধ। ‘সীমানা পেরিয়ে’ আমার কাছে নান্দনিক একটি সিনেমা। আমার ‘দায়ী কে’ জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর দেখা করতে গিয়েছিলাম তাঁর অফিসে। অভিনন্দন জানিয়ে আমাকে কিছু কষ্টের কথা বলেছিলেন সেদিন। ভালো ছবি নির্মাণের জন্য প্রচুর ঋণ করেছিলেন। ছবিগুলো ব্যবসা না করায় অনেকেই তাঁকে ভুল বুঝেছেন। যে স্বপ্ন নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন তার অনেক কিছুই পূরণ করতে পারেননি।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এক যুগ পর বাংলাদেশে আসছেন আতিফ আসলাম

প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় একযুগ পর বাংলাদেশে আসবেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আতিফ আসলাম। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন পাকিস্তানের এই সঙ্গিতশিল্পী।

মাত্র ১২ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি’। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি। যদিও আতিফ কবে বাংলাদেশে আসবেন, কোথায় করবেন শো—সেসব কিছুই জানাননি। এর আগেও একবার আতিফ আসলামের বাংলাদেশে আসার গুঞ্জন রটেছিল।

ওই সময় স্টার বক্স নামের এক আয়োজক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছিল, ২০২৪ সালে কনসার্ট করতে বাংলাদেশে আসবেন ‘আদাত’ শিল্পী।

এর আগে ২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ আসলাম। দীর্ঘ ১১ বছর পর আবারো ঢাকায় পা রাখতে পারেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক। চলতি বছরই তিনি সংগীত ক্যারিয়ারে ২০ বছর পূর্ণ করবেন।


আতিফ আসলাম   সঙ্গিতশিল্পী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ

প্রকাশ: ০১:২৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

আবারও রাজনীতিতে ফিরে এলেন বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মুম্বাইয়ের বালাসাহেব ভবনে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের উপস্থিতিতে শিবসেনায় যোগ দেন গোবিন্দ।

সম্প্রতি একনাথ শিন্ডের সঙ্গে দেখা করেছিলেন গোবিন্দ। সেই মিটিংয়ের পরই তিনি শিবসেনায় যোগ দিলেন। এমনটাই জানানো হয়েছে পিটিআইয়ের একটি রিপোর্টে

এর আগেও রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন গোবিন্দ। তখন তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এমনকি সেই দলের হয়ে ২০০৪ সালে লোকসভায় লড়েছিলেন উত্তর মুম্বাই কেন্দ্র থেকে। তখন তিনি বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা রাম নায়ককে পরাজিত করেন। এরপর তিনি কংগ্রেস থেকে মুখ ফেরান এবং ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

শিবসেনায় যোগ দিয়ে গোবিন্দ বলেন, ‘আমি মন দিয়ে ভালো করে কাজ করব। শিল্পের উন্নতির দিকে নজর রাখব।’

একই সঙ্গে তিনি জানান মুম্বাই এখন অনেক বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। একনাথ শিন্ডের জন্যই সেটা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া এ অভিনেতা জানান তার বাবা-মায়ের সঙ্গে শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে কি আবার নির্বাচনে লড়বেন গোবিন্দ? সেই বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দেয়নি।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, কোনো শর্ত ছাড়াই গোবিন্দ শিবসেনায় যোগ দিয়েছেন। 

গোবিন্দ যদি নির্বাচনে লড়েন তাহলে ২০০৪ সালের মতোই তিনি উত্তর মুম্বাই কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে লড়বেন বলে জানা গেছে।


কংগ্রেস   শিবসেনা   গোবিন্দ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রকাশ্যে এলো ‘রাজকুমার’ সিনেমার প্রথম গান

প্রকাশ: ০১:১৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ সিনেমার প্রথম গান প্রকাশ্যে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় গানটি ভার্সেনটাইল মিডিয়ার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে। ‘রাজকুমার’ সিরেমাটির এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বালাম ও কোনাল।

এর আগে 'প্রিয়তমা' সিনেমার টাইটেল গান 'ও প্রিয়তমা'তেও কণ্ঠ দিয়ে গত বছর আলোচনায় ছিলেন এই জুটি। আসিফ ইকবালের কথায় গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন আকাশ সেন। গানটির কোরিওগ্রাফি করেছেন বলিউডের আদিল শেখ। ‘রাজকুমার’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন আরশাদ আদনান।

তিন মিনিট ৪১ সেকেন্ডের গানের পুরোটা ধারণ করা হয়েছে নিউ ইয়র্কে। কখনও টাইমস স্কয়ারে এলাকায়, কখনও তুষারে আবৃত অঞ্চলে পশ্চিমা নায়িকা কোর্টনি কফিকে নিয়ে রোমান্স করেছেন শাকিব।

বহুল আলোচিত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার রেকর্ড ভাঙার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ‘রাজকুমার’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন নির্মাতা হিমেল আশরাফ। ‘রাজকুমার’ বাংলা সিনেমার নতুন ইতিহাস গড়বে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

ছবিটি প্রসঙ্গে নির্মাতা হিমেল আশরাফ বলেন, ‘ঢাকা, পাবনা, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, বান্দরবন, ভারত ও আমেরিকায় শুটিং হয়েছে রাজকুমার সিনেমার। এমন লোকেশনে, এমন আয়োজনে রাজকুমারের শুটিং হয়েছে যা কিছুদিন আগেও বাংলা সিনেমার জন্য স্বপ্ন ছিল। শুধু নিউ ইয়র্কেই টানা ১৮ দিন শুটিং হয়েছে। যেখানে প্রতিদিন অনেক আমেরিকান প্রফেশনাল কর্মী কাজ করেছেন, সাথে বাংলাদেশের টিম তো ছিলই’।

জানা গেছে, পারিবারিক সম্পর্ক এবং একজন স্বপ্নবাজ তরুণের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রার গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে রাজকুমার। এতে শাকিবের নায়িকা মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। আসন্ন ঈদে বাংলাদেশের পাশাপাশি সিনেমাটি মুক্তি দেয়া হবে যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, মধ্যপ্রাচ্য, কানাডা, ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশে।


শাকিব খান   ‘রাজকুমার’   হিমেল আশরাফ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর পর এবার মাহির ছেলেকে নিয়ে পরীমনির স্ট্যাটাস

প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি চিত্রনায়িকা বুবলী ও শাকিব খানের ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনে সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যমে বুবলীর একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে পরী ও বুবলীর মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা যায় সোস্যাল মিডিয়ায়। দুজনের একের পর এক স্ট্যাটাস ও পাল্টা স্ট্যাটাস তর্কযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ফেসবুক।

এদিকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ছেলে শামসুদ্দিন ফারিশের প্রথম জন্মদিন আজ। তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরী মনি। লিখেছেন, ‘হ্যাপি বার্থডে মানিক চাঁদ আমাদের। তুমি মায়ের চোখের মণি হয়ে থাকো ফারিশ বাবা। আমরা সবাই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’


গত মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন মাহি। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে আলাদাই থাকছেন এই নায়িকা। ছেলেকে নিয়েও ফেসবুকে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। এখন নিজের লুক বদলাচ্ছেন অভিনেত্রী। ব্যস্ত হয়েছেন ক্যারিয়ার নিয়ে। এরই মধ্যে পর্দায় ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি।

পর্দায় ফেরা প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ভালো প্রস্তাব পেলে আর ফিরিয়ে দেবেন না। এর কারণও অবশ্য রয়েছে। বিয়ের পর বেশ কিছু সিনেমার প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে এখন ক্যারিয়ারে মন দিতে চান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন তিনি। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের ফারিশ নামে এক বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাহি। পাঁচ বছর সংসারের পর বিচ্ছেদ হয় তাদের।


পরীমনি   বুবলী   মাহিয়া মাহি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সমুদ্র সৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বেশ ঢাকঢোল বাজিয়ে বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। সেই বিয়েতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী সাফা কবির। অথচ এখন শোনা যাচ্ছে তাদের ‘অনন্ত প্রেম’র গুঞ্জন!

সদ্য দুজনেই জুটি বেঁধে শেষ করেছেন ‘অনন্ত প্রেম’-এর শুটিং। আসছে ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে বিশেষ এই নাটকটি লিখেছেন ও বানিয়েছেন মহিদুল মহিম।

নাটকটির নিয়ে নির্মাতা জানান, ‘এই গল্পের নায়ক জিসান। কক্সবাজারে নিজের দোকানে বসে কেক তৈরি করে এবং বিক্রি করে। ছোটবেলায় জিসানের মা মারা যায়। তার মা-ও খুব ভালো কেক তৈরি করতো। তাই মায়ের স্মৃতি ধরে রাখতেই জিসান কেকের বিজনেস করার সিদ্ধান্ত নেয়।

গল্পের নায়িকা স্নেহা। জিসানের কেক রেস্টুরেন্টে আসে। স্নেহার শখ ছবি তোলা। খুব সুন্দর পোশাক পরে সাজানো রেস্টুরেন্টে জিসানকে কেক বানাতে দেখে মুগ্ধ হয়ে ছবি তোলে স্নেহা। আর সুন্দরী স্নেহার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় জিসান।’

নির্মাতা আরও বলেন, ‘বুঝতেই পারছেন, গল্পের এই পর্যায়ে জিসান-স্নেহা প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করে। গল্পটা মূলত শুরু হয় এখান থেকে। ক্রমশ জড়ায় পারিবারিক জটিলতায়। শেষটা জানতে দেখতে হবে ঈদ উৎসবে পুরোটা।’

‘অনন্ত প্রেম’ নাটকটি সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে আসছে ঈদ উৎসবে মুক্তি পাবে।


অনন্ত প্রেম   জোভান আহমেদ   সাফা কবির  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন