নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৩ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
মাত্র ৩ বছর আগের কথা ... একটি ফোন এলো , অপর প্রান্তে আমারই পরিচিত একজন নবীন নৃত্যশিল্পী ৷ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেছিল তাদের বিদেশ সফরের প্রতারনার কথা৷ পর পর বেশ কয়েকটি ফোন এলো ৷ একই কাহিনী , একই অশ্রুবন্যা৷ দেশ টি ছিলো মালয়েশিয়া৷ এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ভিক্টিম একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করলেও তাদের কে হুমকি দিয়ে ঘটনাটি ধামা চাপা দেয়া হয়৷ ভুল সবই ভুল ....
গত বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আমারই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই ফোন করলো৷ সে এয়ারপোর্ট সিকিউরিটির কর্মকর্তা ৷ মেসেন্জারে একজন সিনিয়র নৃত্যশিল্পীর ছবিসহ আরও ছয়জন ছেলের ছবি৷ ঐ শিল্পীকে চিনতে পারলেও বাকীদের চিনতে পারিনি৷ আমাকে জানানো হলো উনি এই ছেলেগুলোকে নৃত্যশিল্পী পরিচয় দিয়ে মালয়েশিয়া পাচার করতে গিয়ে ধরা পরেছেন৷ ঐ ছেলেগুলো স্বীকার করেছে৷ আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম৷ সাথে সাথে জানালাম নৃত্যশিল্পী সংস্থাকে৷ নাহ্ ....ভুল সবই ভুল ...
আর এই গত দুদিন আগে দেখলাম জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত নৃত্যশিল্পীর খবর...এটাও নিশ্চিত ভুল সবই ভুল ! এরকম আরও অনেক ঘটনা আছে...কারও মনে কি আদৌ প্রশ্ন জাগে কেন এসব হচ্ছে? কারা করছে? আদৌ এগুলো সত্য কিনা ? নাকি সব ষড়যন্ত্র? যদি তাই হয় তবে কেন এত ষড়যন্ত্র?
৩ বছর আগে মালয়েশিয়ার ঘটনার পরপর সংস্থা কে বলেছিলাম একটি বার্তা অন্তত সকল নৃত্যশিল্পীদের উদ্দেশ্যে পাঠানো হোক যেন কুচক্রীদল এধরনের কাজ বন্ধ করে৷ কিন্তু হায়... আমার কথার কোন মূল্য কি আছে আদৌ? গতবছর এয়ার্পোটের কথা জানানোর পর সবাই বললো চেপে যাও... নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করোনা৷ তাতে নৃত্যশিল্পীদেরই অসন্মান৷ আবারও আমি একা! যারা এসব করে তারা আশ্চর্যজনকভাবে কেউই আর্থিকভাবে অসচ্ছল নন... হ্যাঁ তবে চারিত্রিক নৈতিকতার দিক থেকে বড্ড দরিদ্র ৷
সবাই কাদা কে ভীষণ ভয় পায়৷ কাদার উৎস টা কেউই খুঁজতে নারাজ৷ এমনকি তাদের সচেতন করতেও নারাজ৷ যদি নৃত্যশিল্পীদের সন্মানহানী হয়! আর এই সন্মান বাচাতে বাচাতে এবার টিভি , মিডিয়া আর প্রথম আলোর মতো পত্রিকা কাদা ছুড়ে দিতে বাধ্য হলো আমাদের নৃত্যশিল্পীদের দের ঝকঝকে সাদা কাপড়ে ৷ টিভিতে একটি বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম ... " দাগ থেকেই দারুণ কিছু শেখা যায়" ! আমরা কেনো শিখিনা বলুন তো৷ আমরা কেন এসকল মানুষ কে বয়কট করতে পারিনা? এখন অনেকেই তেড়ে আসবে... দোষী প্রমান না হলে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক না৷ তবে জানেন কি প্রমান না হওয়া আর ধামা চাপা দেয়াকে কেউ গুলিয়ে ফেলবেন না দয়া করে৷ ওটা আমি অন্তত ভালোই বুঝি৷ টাকা , ক্ষমতা দিয়ে অনেকেই বেচে যায় তা জানি ... কিন্তু যারা সত্যিকার অর্থে দোষী তাদের আমি আপনি ভালোই চিনি৷ বরং কাদা কে ভয় না পেয়ে চলুন না নৃত্যশিল্পীরা এই কাদার উৎস খুঁজে বের করে তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করি ৷ হয়তো সাময়িকভাবে এতে আমাদের পোশাকে একটু আবর্জনা লাগবে তবে আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনার পরবর্তী প্রজন্মের নৃত্যশিল্পীরা আজীবন ঝকঝকে পরিষ্কার কাপড় নিয়ে নৃত্য জগতে ঝলমল করবে ৷ আমি ও অন্যান্য অনেক নৃত্যশিল্পীরাই প্রতি বছর দল নিয়ে দেশের বাইরে সন্মানের সাথে নৃত্যানুষ্ঠান করছি ... এই ঘটনা গুলো কি আমাদের জন্যও হুমকি স্বরূপ নয় কি?
নতুন প্রজন্মের নৃত্যশিল্পীরা তোমাদের কি মত? তোমরা কি চাওনা নৃত্য জগত থেকে এসব আবর্জনা পরিষ্কার করতে?মুক্তমনা নবীন নৃত্যশিল্পীরা জাগ্রত হও...
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
এদিকে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানায়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অধ্যাপক (ড.) রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শিল্পকলায় পদ্মশ্রী পদক প্রদান করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন দক্ষ পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী, রবীন্দ্রসঙ্গীতের একজন নিবেদিতপ্রাণ অনুশীলনকারী।
ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা হচ্ছে ভারতরত্ন। তারপরই রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। নানা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে পুরস্কারগুলো।
এ বছর দেশটির সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ আর ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মাননা পেয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এবারের পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে।
প্রসঙ্গত, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপর শিক্ষা লাভ করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় রেজওয়ানা বন্যা ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতেও পড়াশোনা করেছেন। তিনি ‘সুরের ধারা’ নামের একটি সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে এ পর্যন্ত বহু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’ ও ‘ছিন্নপত্র’ ইত্যাদি।
সঙ্গীতে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১৬ সালে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক লাভ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সঙ্গীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে ভারতে বঙ্গভূষণ সহ বেশ কিছু পদক পেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্র করে
বলিউড তারকাদের কিছু ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়েই
শুরু হয়েছে হইচই।
ডিপফেক ভিডিও দেখা গেছে, গুলোতে দুই বলিউড
সুপারস্টারকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। একই সঙ্গে তারা
চলমান লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
ভাইরাল দুই ভিডিওর মধ্যে ৩০ সেকেন্ডের
একটি ভিডিও আমির খানের এবং ৪১ সেকেন্ডের আর একটি ভিডিও রণবীর সিংয়ের। ওই ভিডিওতে এই
দুই সুপারস্টারকে বলতে শোনা গেছে, মোদি যে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়নে
তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
এছাড়া গত দুই মেয়াদের ক্ষমতায় তিনি
অর্থনৈতিক সংকটে রোধেও তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেন নাই।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরিকৃত
এই ভিডিও’র শেষে কংগ্রেসের প্রতীক এবং শ্লোগান তুলে ধরা হয়। বলা হয়েছে ‘ভোট হলো অধিকার,
কংগ্রেসকে ভোট দিন’।
আমিরের ভাইরাল ডিপফেক ভিডিও নিয়ে মুম্বাইর
থানায় একটি মামলাও করেছে পুলিশ। জানিয়েছে এই ঘটনার সাথে যুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু
হয়েছে।
ডিপফেক লোকসভা নির্বাচন আমির খান
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ দ্বিবার্ষিক মেয়াদের নির্বাচনে
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে সমিতির এক সদস্য
টাকা দেয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন বরাবর। তবে গত ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণের
পর এতে ডিপজল জয়লাভ করলে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করেন অভিযোগকারী অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা।
গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিজয়ী
সভাপতি খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। পর্দার দাপুটে এ অভিনেতা বলেন, ডিপজলের বিরুদ্ধে নির্বাচন
আচরণবিধি দুই ও তিন ভঙ্গের যে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সাদিয়া মির্জা, সেটি প্রত্যাহার করে
নিয়েছেন তিনি। বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচন ২৭ এপ্রিল সম্পন্ন করার কথা থাকলেও একটি
প্যানেল আপত্তি জানালে পরে ১৯ এপ্রিল তারিখই চূড়ান্ত রাখা হয়। ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির
এ নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দিদ্বতা করেন ৪৮ প্রার্থী।
প্যানেল দুটি হচ্ছে―মাহমুদ
কলি ও নিপুণ আক্তার এবং অন্যটি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন খোরশেদ
আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।
ডিপজল অভিযোগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
মন্তব্য করুন
এবার ঈদের আগে থেকে ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলে বারবার শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে দাম্পত্যজীবন এবং নায়কের প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে নিয়ে মন্তব্য করেই আলোচনার সূত্রপাত। এবার সেই বুবলীকে নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ দ্বিবার্ষিক মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে সমিতির এক সদস্য টাকা দেয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন বরাবর। তবে গত ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণের পর এতে ডিপজল জয়লাভ করলে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করেন অভিযোগকারী অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা।