কালার ইনসাইড

সৃজিত মুখার্জীঃ টালিগঞ্জের বাজিকর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

একটা সময় কলকাতার বাংলা সিনেমা আটকে গিয়েছিলো বিশেষ কিছু গল্পের চোরাবালিতে। ধনী গরীবের অসম প্রেমের গল্প, পিতার হত্যাকারীকে বছরের পর বছর ধরে খুঁজে চলার গল্প, দক্ষিনী সিনেমার ফ্রেম টু ফ্রেম কপি আর বি গ্রেডের রগরগে যৌনতা নির্ভর গল্পের ভার যেন আর সইতে পারছিলো না কলকাতার সিনেমাপ্রেমী দর্শকেরা।

সময়টা ২০০৮ কিংবা ২০০৯ হবে। প্রেসিডেন্সী কলেজ আর জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে অর্থনীতি আর পরিসংখ্যানের কর্মজীবনকে পেছনে ঠেলে এক যুবক আসলেন কলকাতার সিনেমা পাড়ায়। মনের মধ্যে বাংলা সিনেমার অংকের হিসেব বদলে দেবার ইচ্ছে নিয়ে ঘুরতে লাগলেন প্রয়োজকদের দ্বারে দ্বারে। অথচ গল্প শুনিয়ে প্রযোজকদের মন জয় করতেই পারছিলো না ছেলেটি। অর্থনীতির ছাত্রের সিনেমার গল্পে নাকি বাণিজ্য খুঁজে পাচ্ছিলেন না প্রযোজকগণ। তার গল্পে নাকি কমার্শিয়াল বিষয়টা ঠিক নেই। অবশেষে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের শ্রীকান্ত মোহতা শুনলেন সেই যুবকের গল্প। দুই বছর ধরে এই গল্পের সাথে বাস করতে থাকা ছেলেটি সেদিন তার গল্পের আকর্ষণে আকৃষ্ট করেছিলেন তাকে। গল্প শুনে মোহতা যখন ওই গল্পের পরিচালনা কে করবেন প্রশ্নটি করেছিলেন, সেদিন ওই যুবক দৃপ্ত কন্ঠে বলেছিলেন যদি পৃথিবীর কেউ এই গল্পটি বলতে পারে সেটি একমাত্র আমি। কলকাতার সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রির ভার অনেকটা একা বয়ে চলা নায়ক প্রসেনজিত এর ক্যারিয়ারে তখন বলতে গেলে এক রকমের ভাটা চলছিলো। সত্যজিৎ রায়ের “নায়ক” আর ইংরিদ বারিমানের “ওয়াইল্ড স্ট্রবেরিজ” থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রসেনজিত চ্যাটার্জিকে নিয়ে ধরলেন এক বিশাল বাজি। তৈরী করলেন “অটোগ্রাফ”। ঐ এক বাজিতেই বদলে গেলো টালিগঞ্জের সিনেমার ধারা, শুরু হলো নতুন এক যুগের। হ্যা সেই বাজি ধরা ছেলেটির নাম সৃজিত মুখার্জী, টালিগঞ্জের বাজিকর।

যুগে যুগে সিনেমায় বাণিজ্যের দরকার ছিলো। মূলত আপনি আপনার সিনেমাকে কিভাবে বেচবেন এটা নির্ভর করবে আপনার দর্শকের রুচি আর জ্ঞানের উপর নির্ভর করে। ওই সময়কার কলকাতার দর্শককের মধ্যে এক ধরণের বিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন সৃজিত মুখার্জী। গল্পই ছিলো তার সিনেমার মূল অস্ত্র। সেই সাথে এক্সপেরিমেন্টাল মাইন্ড দিয়ে অসাধারণ সব অভিনেতা আর হৃদয় জুড়িয়ে দেওয়া গানে যেন বদলে দিলেন গোটা একটা ইন্ড্রাস্ট্রির সিনেমার ধারাকেই।

পরের বছর সৃজিত বাঙ্গালীকে ডুবালেন এক ঘোর লাগা থ্রিলারের দুনিয়াতে। “বাইশে শ্রাবণ”! সৃজিত মুখার্জীর দ্বিতীয় সিনেমায় পর্দায় আনলেন পরমব্রতকে। সেইসাথে বদ্ধ ঘরের চার দেয়ালের মাঝে নিজের সাথে নিজে দাবা খেলে যাওয়া উন্মাদ পুলিশ অফিসার রুপে আবির্ভূত হলেন অটোগ্রাফের বদৌলতে প্রসেনজিত চ্যাটার্জি থেকে প্রসেনজিত বাবুতে বদলে যাওয়া চরিত্র “প্রবির রায় চৌধুরী”। বাঙ্গালি মুগ্ধ হলো, থ্রিলারের এই রুপ বাঙ্গালী আগে দেখেনি। বাজিমাত করলেন সৃজিত মুখার্জী।

বাঙ্গালী ভাবতেও পারেনি আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য কোনো কোচিং সেন্টার থাকতে পারে, আবার সেই গল্প থেকে আস্ত একটা বাংলা সিনেমা হতে পারে। হ্যা হয়েছিলো, সৃজিত নির্মাণ করলেন “হেমলক সোসাইটি” নামের অদ্ভুত কন্টেন্ট এর এক সিনেমা। যা অনেক মানুষকেই বুঝিয়েছে যে “আত্মহত্যা কোনো সমাধান হয়”।

এরপর একে একে কাকাবাবু, মিশর রহস্য, জাতিস্মর দিয়ে সৃজিত নিজের জাত চিনিয়েছেন কলকাতার দর্শকদের। যার ফলস্বরূপ ৬১ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে নেয় সৃজিতের জাতিস্মর।

ডায়লগ যে একটা সিনেমাকে কতোটা উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে সেটির প্রতিফলন দেখালেন “চতুস্কোন” সিনেমাতে। চতুর্ভুজ প্রেম নিয়েও যে টুইস্টে ভরপুর থ্রিলার নির্মাণ সম্ভব তা দেখালেন সৃজিত মুখার্জী। সৃজিতের অদ্ভুত এক ক্ষমতা আছে, যে সকল অভিনেতারা অনেকদিন অভিনয় থেকে দূরে আছেন তাদের কাজ করার ক্ষুধাকে কাজে লাগিয়ে মাস্টারপিস তৈরী করেন তিনি। ৬২ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে জিতে নেন সেরা পরিচালক ও সেরা চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার।

সৃজিতের ক্যারিয়ারের সবথেকে বড় মাস্টারপিস ছিলো সম্ভবত “নির্বাক” নামের সিনেমাটি। অঞ্জন দত্তের নির্বাক হাসির সাথে মর্গের ড্রয়ার থেকে ধোঁয়ার সাথে সাথে উড়ে আসা প্রেম আর সমুদ্রের মাঝে মৃত লাশকে সিনেমার পর্দায় যেন জীবন্ত রুপ দিয়েছিলেন সৃজিত মুখার্জী।

বড় একটি ঘটনার ইমপ্যাক্ট যে ছোট একটি ব্রোথেলেও এসে পড়তে পারে এবং এই ঘটনা থেকেও যে সিনেমা নির্মান সম্ভব তা কলকাতাবাসীর সামনে আনলেন সৃজিত। নির্মাণ করলেন দেশভাগের ঘটনা নিয়ে “রাজকাহিনী” যা পরবর্তীতে হিন্দিতে “বেগমজান” নামেও তিনি নির্মাণ করেছিলেন। এরপর একে একে নির্মাণ করেন জুলফিকার, ইয়েতি অভিযান, উমা, শাহজাহান রিজেন্সি, এক যে ছিলো রাজা, ভিঞ্চিদা।

নেতাজী শুভাস বোস এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সৃজিত নির্মাণ করলেন “গুমনামী”, যা সৃজিতের রাজনৈতিক চিন্তার গভীরতার ছাপ রেখেছে। সৃজিত মুখার্জীর সিনেমাতে যেমন মুগ্ধ থাকেন সাধারণ দর্শকেরা, তেমনি সমালোচকদের মুগ্ধতাও কুড়িয়ে নেন গল্প আর কন্টেন্ট এর জোরে। সৃজিতের মধ্যে খুব জটিল সিনেমার প্লটকেও পাড়ার চায়ের দোকানের উঠতি যুবকদের আড্ডার টপিকে পরিণত করার গুণ রয়েছে। সাবলিল ভাষায় কোনো ভাঁড়ামি ছাড়া ডায়লগ কিভাবে মানুষের মন ছুঁয়ে যেতে পারে এটির বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে সৃজিতে মুখার্জীর সিনেমাগুলো। সামনে তিনি হাজির হচ্ছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিনের বিখ্যাত বই অবলম্বনে “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি” নিয়ে। যা দুই বাংলার দর্শকদের রহস্যময় চরিত্র “মুশকান জুবেরি” তে বুদ করবে বলে দেওয়া যায়।

টালিগঞ্জে সৃজিত সেই ২০১০ এ যে বাজি ধরেছিলেন সেই বাজি না ধরলে হয়তো কলকাতার দর্শকরা সেই ম্যাড়মেড়ে প্রেমের গল্প আর বি গ্রেড যৌনাচার দিয়েই মন ভরাতো। হয়তো সৃজিত নামের বাজিকরের কারণেই আজ কলকাতা পেয়েছে স্মার্ট দর্শকশ্রেনী। টালিগঞ্জের এই বাজিকরের আজ ৪৩ তম জন্মদিন। সৃজিত মুখার্জী তার নিত্য নতুন সিনেমা দিয়ে মুগ্ধ করে রাখুক বাঙ্গালীকে। বাংলা ভাষার দর্শকদের ডাল ভাত আর বিরিয়ানির পার্থক্য বুঝতে শেখানো টালিগঞ্জের বাজিকরকে জানাই শুভ জন্মদিন।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ডিপজলকে শোকজ

প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ভিডিও প্রমাণসহ খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিপক্ষে অভিযোগ জানিয়েছেন সাদিয়া মির্জা নামের এক প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সাদিয়া মির্জা নামে ওই প্রার্থীর অভিযোগ আমলে নিয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজলকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছি।

এদিকে সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার খসরু।

অন্যদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা নিপুণ আক্তারের।

এ নিয়ে মিশা-ডিপজল প্যানেলের চিত্রনায়ক আলেকজান্ডার বোকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, একটি পক্ষ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে। তবে আমরা চাই সুষ্ঠ নির্বাচন। এমন অভিযোগ আমরা অন্য প্যানেল থেকেও পেয়েছি, কিন্তু তাতে আমরা গুরুত্ব দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, ডিপজল ভাই এমনিতেই দানবীর। সবাইকে টাকা-পয়সা দান করে থাকেন। এটা নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিষয়টি সুখকর হবে না।

তবে বিষয়টি নিয়ে কলি-নিপুণ প্যানেলের কেউ মুখ খোলেননি। কথা বলতে চাননি মিশা-ডিপজল পরিষদের অন্য সদস্যরাও।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। দুপুরে বিরতি দিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই ভোট। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার করা হয়েছে।

মনোয়ার হোসেন ডিপজল   বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

রাত পোহালেই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএফডিসিতে রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আগামীকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) সকাল ৯টায় থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। 

এবারের নির্বাচনে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১। মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল প্যানেল ও মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল

মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল প্যানেল

মিশা-ডিপজল পরিষদের হয়ে নির্বাচনে সহ-সভাপতির পদে লড়বেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।


এছাড়াও কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।

মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল

মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের প্রার্থী হয়েছেন, সহ-সভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের হিসেবে থাকছেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো.সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

এছাড়াও এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকছেন খোরশেদ আলম খসরু। সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান এবং শিল্পী সমিতির নির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা ৫৭০ জন। তারাই বেছে নেবেন আগামী দুই বছরের চলচ্চিত্র শিল্পীদের নেতা-অভিভাবক।


ইতোমধ্যেই ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছ নির্বাচন কমিশন। এবারই প্রথম শিল্পীদের নির্বাচনে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার খসরু বলেন, ‘এবার ভোটার আছেন ৫৭০ জন। নির্বাচনে যেন কোনো ঝামেলা না হয়, সুষ্ঠু পরিবেশে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করব। গতবারের কোনো প্রভাব যেন এই নির্বাচনে না পড়ে সেটাও খেয়াল রাখছি।’


মিশা সওদাগর   মনোয়ার হোসেন ডিপজল   মাহমুদ কলি   নিপুণ আক্তার   চলচ্চিত্র   শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

পরীমনি কে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

প্রকাশ: ০৩:০৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নায়িকা পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছে আদালত। পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন বাদীপক্ষ পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মোহাম্মদ মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।

মামলায় নাসিরউদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পারসেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পারসেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।


পরীমনি   আদালত  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফের এক হচ্ছেন তাহসান-মিথিলা

প্রকাশ: ০২:২২ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

একসময়ে দেশের জনপ্রিয় দাম্পত্য তারকা জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ২০০৭ সালের ৩ আগস্ট ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা। ১০ বছর সংসার জীবন পার হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেন একে অন্যের সঙ্গে আর থাকবেন না। এরপর ২০১৭ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। কিন্তু এবার আবারও তারা এক হচ্ছেন। তবে বাস্তবে নয়, দেখা যাবে ছোট পর্দায়।

এক সময় নিয়মিত ছোট পর্দায় কাজ করতেন এই জুটি। আবারও তাদের জুটি হতে দেখা যাবে। এবার নাটক বা সিনেমায় নয়। ফিরছেন ৭ পর্বের ‘বাজি’ নামক একটি ওয়েব সিরিজ দিয়ে।

এই ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ করছেন ‘মাটির প্রজার দেশ’খ্যাত নির্মাতা আরিফুর রহমান। তবে এ বিষয়ে রাখা হয়েছে গোপনীয়তা। নির্মাতার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে সিরিজের প্রথম লটের শুটিং ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।

এছাড়া এই ওয়েব সিরিজ দিয়ে ওটিটিতে প্রথমবারের মতো নাম লেখাতে যাচ্ছে তাহসান। তবে কোনো প্ল্যাটফর্মে সিরিজটি দেখানো হবে সে বিষয়ে এখনো কিছু নিশ্চিত করা হয়নি।

উল্লেখ্য, তাহসান-মিথিলা জুটি হয়ে বেস কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ‘আমার গল্পে তুমি’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস’, ‘ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে প্রেম’, ‘মধুরেন সমাপয়েত’সহ বেশকিছু নাটকে। একসঙ্গে গেয়েছেন গানও। এই সংসারে আইরা তেহরীম খান নামে তাদের একটি মেয়েও রয়েছে।


তাহসান খান   রাফিয়াত রশিদ মিথিলা   নাটক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো যেমন চলছে

প্রকাশ: ১১:৪৪ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সিনেমাপ্রিয় দর্শক মানসম্মত নতুন ছবি মুক্তির জন্য মুখিয়ে থাকেন। ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবি মানেই এ ঈদ আনন্দ বহুগুণে বেড়ে যাওয়া। প্রদর্শকরাও আগ্রহ নিয়ে ঈদের ছবির জন্য অপেক্ষার প্রহর গোনে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

দেশে বর্তমানে উদ্বেগজনক হারে সিনেমা হলের সংখ্যা কমলেও প্রযোজকদের ছবি মুক্তি দিতে বেশ দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। এবার দেশের শতাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ১১ টি ছবি। দেশীয় চলচ্চিত্রের দুর্দিনে এটি অবশ্যই বড় ধরনের প্রাপ্তি।

এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া ১১ টি ছবি হলো, রাজকুমারকাজলরেখা, ওমর, দেয়ালের দেশ, জ্বীন-২, আহারে জীবন, লিপস্টিকসোনার চর, গ্রিণ কার্ড, মায়া দ্য লাভ ও মেঘনা কন্যা

রাজকুমার

ঈদের ছবি হিসেবে বাণিজ্য ও দর্শকপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছে হিমেল আশরাফ পরিচালিত শাকিব খান অভিনীত ‘রাজকুমার’। এ  ছবির গল্পের বিভিন্ন অংশ দর্শককে আবেগাপ্লুত করছে, শাকিবের অভিনয়ও পাচ্ছে ভূয়সী প্রশংসা। ফলে স্টার সিনেপ্লেক্সসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে উল্লেখযোগ্য দর্শক সমাগম হচ্ছে। ঈদে সর্বাধিক ১২৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘রাজকুমার’। সিনেমাটি দর্শকের সাড়াও পাচ্ছে বেশ।দর্শক চাপে আগের শোর সঙ্গে সনি স্কয়ারে একটি, বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে দুটি এবং রাজশাহীতে বাড়ানো হয় একটি শো। সব মিলিয়ে সিনেপ্লেক্সে ‘রাজকুমার’ সিনেমার মোট শো দাঁড়ায় ১৭টি। অন্যদিকে ঐতিহ্যবাহী হল মধুমিতার কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বললেন, তার মধুমিতাতে শাকিব খানের ছবি মানেই উৎসবের আমেজ। সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোতে শাকিব খানের ছবি দিয়েই দুই পয়সা আয়ের মুখ দেখছে।

সোমবার সকালে সামাজিকমাধ্যমে শাকিব খান লিখেছেন- ‘অবিরামভাবে মিলিয়ন মিলিয়ন ভালোবাসা পাচ্ছে ‘রাজকুমার’। প্রিয় দর্শকদের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। সবাইকে ভালোবাসা।’

ওমর

সিনেমা হল সংখ্যায় দ্বিতীয় জায়গাটি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ নির্মিত ‘ওমর’ এর দখলে। ২১টি হল পেয়েছে ছবিটি। জানা গেছে, প্রেক্ষাগৃহের মতো দর্শক সাড়ায়ও ‘রাজকুমার’ এর পরেই অবস্থান করছে এটি। বিশেষ করে ছবিটির গল্প দর্শক-সমালোচকদের মুগ্ধ করছে। সিঙ্গেল স্ক্রিনে খুব একটা সুবিধা না করতে পারলেও মাল্টিপ্লেক্সে অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে রাজকুমারের পরেই ওমরের অবস্থান বলে জানিয়েছেন সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। ওমর সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন- শরিফুল রাজ, শহিদুজ্জামান সেলিম, নাসির উদ্দিন খান ও দর্শনা বণিক।

মোনা: জ্বীন টু

সিনেমা হল মালিকদের কথায় বেশ সরব অবস্থানে রয়েছে ‘মোনা : জ্বীন টু’ ছবিটি। তবে সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল মিলিয়ে ৮ পর্দায় চলছে ছবিটি। এ ছবির প্রযোজক জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, ‘ছবিটির সাফল্য আমার প্রত্যাশার শতভাগেরও বেশি ছাড়িয়ে গেছে। টিকিট সেলের দিক থেকে এ ছবিটি এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। প্রতিটি হলে টিকিট অগ্রিম সোল্ড আউট হয়ে যাচ্ছে, যা ঈদের অন্য কোনো ছবির বেলায় নেই। মোনা: জ্বীন টুর অ্যাডভান্স টিকিটি সেলিং আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। সবচেয়ে বড় কথা দর্শক পরিবার নিয়ে বারবার ছবিটি দেখছে।’

সোনার চর

জায়েদ খান অভিনীত সোনার চর ঈদে সাতটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। জাহিদ হোসেন পরিচালিত এ ছবিটি সন্তোষজনক ব্যবসা করছে বলে দাবি ছবির নায়ক জায়েদ খানের। তিনি বলেন, ‘ঈদে ছবিটি আমার প্রত্যাশার শতভাগ পূরণ করেছে। কারণ দর্শক বলছে এতে প্রকৃত একজন অভিনেতা হিসেবে জায়েদ খানকে খুঁজে পেয়েছেন তারা। আমি আমার প্রিয় ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

আহারে জীবন

ছটকু আহমেদ পরিচালিত ফেরদৌস ও পূর্ণিমা অভিনীত ‘আহারে জীবন’ ছবিটি ঈদে দর্শকদের মুগ্ধ করলেও সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে দর্শক প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে আক্ষেপ নির্মাতার। তিনি বলেন, এমন শোয়ের টাইম বেঁধে দেওয়ায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দর্শকরা আমার ছবিটি তেমনভাবে দেখতে পারেনি।

এটি কমার্শিয়াল ছবি নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

কাজলরেখা

বাংলা লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে কাজলরেখা’। কেবল দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সবচেয়ে বেশি মূল্যের ভিআইপি হলে চলছে ‘কাজলরেখা’। তারপরও দর্শকদের ভিড় খারাপ নয়। কাজলরেখার অনেক শো হাউসফুল গিয়েছে। এ ছবির পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম জানিয়েছেন, ‘এই ছবি যারা দেখছেন তারা রূপকথার যে গল্প শুনে আসছিলেন তার সঙ্গে কানেক্ট করতে পারছেন। যারা দেখছেন তারা সবাই তৃপ্ত হয়ে হল থেকে বের হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত সিনেমাটির কোনো নেতিবাচক রিভিউ পাইনি।’ সিনেমাটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- মন্দিরা চক্রবর্তী, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, সাদিয়া আয়মান, শরীফুল রাজ, খায়রুল বাসার, গাউসুল আলম শাওনসহ আরও অনেকে।

দেয়ালের দেশ

মিশুক মনি নির্মিত ‘দেয়ালের দেশ’ নিয়েও প্রত্যাশা ছিল অনেকের।  কিন্তু মুক্তির পর সেই প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমীকরণ মেলেনি সেভাবে।  

এছাড়াও ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত ‘মেঘনা কন্যা, জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালিত ‘মায়া : দ্য লাভ’, কাজী হায়াতের গ্রিন কার্ড’, ছবিগুলো এভারেজ দর্শক টানছে বলে জানান সিনেমা হল মালিকরা।


ঈদে সিনেমা   সিনেপ্লেক্স   হাউজ ফুল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন