কালার ইনসাইড

দেশী ওটিটি প্ল্যাটফর্মঃ পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর ইনভেস্টমেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

আপনি কি জানেন বাংলাদেশ থেকে নেটফ্লিক্সের আয় কতো? আপনি কি জানেন বাংলাদেশে নেটফ্লিক্স ছাড়াও আরো কি কি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তাদের ব্যবসা করে যাচ্ছে। অথবা তাদের সফলতা কতটুকু!

২০১৬ সাল! যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স প্রবেশ করে বাংলাদেশে। কিন্তু সেই প্রবেশ অফিশিয়ালি নয়। এশিয়া অঞ্চলে এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যবসা শুরু করে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে। সে বছর এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির সিইও রিড হ্যাস্ট্রিংস বলেছিলেন এশিয়াতে তাদের সাফল্য সময়ের ব্যপার মাত্র। হ্যা ঠিক তাই, নেটফ্লিক্স সিইও ঠিকই বলেছিলেন। নেটফ্লিক্সের এশিয়া যাত্রার ১০০ দিনের মাথায় রিড হ্যাস্ট্রিংস জানান এক কোয়ার্টারে ৪০ লক্ষের বেশি ইন্টারন্যাশনাল সাবস্ক্রাইবার বেড়েছে নেটফ্লিক্সের। সুযোগ লুফে নেয় আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত। নেটফ্লিক্সকে আমন্ত্রণ জানানো হয় ভারতে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের। ফলাফল এখন চোখের সামনে পরিস্কার, বলিউডি সিনেমায় নেটফ্লিক্স ভরার পাশাপাশি হিন্দি ভাষার সবথেকে বড় বড় ওয়েব সিরিজের অর্থায়ন এসেছে নেটফ্লিক্স থেকে। অথচ নেটফ্লিক্স বাংলাদেশেও বর্তমানে সমান জনপ্রিয়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ঢোকা নেটফ্লিক্স প্রায় ২০০ কোটি টাকার মতো ব্যবসা করেছিলো ওই সময়েই। সেইসাথে প্রতিবছর সেই সংখ্যা তারা বাড়িয়ে নিচ্ছে।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেরও রয়েছে বেশকিছু ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। আইফ্লিক্স, বঙ্গ, বায়োস্কোপ, বাংলাফ্লিক্স, টেলিফ্লিক্স, র‍্যাবিটহোলবিডি, রবিটিভি, সিনেস্পট, জাগোবিডি, টফি এবং সর্বশেষ যুক্ত হয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জ। এতো গলো বাংলাদেশী ওটিটি থাকলেও দর্শক কি পাচ্ছে এদের কাছ থেকে?

অনেকেই বলে থাকেন ওটিটি তে দর্শক অভ্যস্ত নয়, টাকার বিনিময়ে কন্টেন্ট দেখে না, তারা দেশি কন্টেন্টের চাইতে বিদেশী কন্টেন্ট এ বেশি আকৃষ্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের দেশী ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো দর্শকদের আসলে কি দিচ্ছে? দেশীও ওটিটি গুলো দর্শক ধরে রাখতে কি ধরণের পরিকল্পনা নিচ্ছে?

আপনি যখন আপনার ব্যবসা পরিচালনা করবেন তখন অবশ্যই আপনার একটি গোপন রেসিপি থাকতে হবে। সেইসাথে অন্যরা কিভাবে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি কাস্টমার ধরে রাখছে সে বিষয়েও দৃষ্টিপাত করতে হবে। আমাদের দেশের ওটিটি গুলোর ব্যবসা পদ্ধতি কেমন তা কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষই হয়তো ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু দেশীয় ওটিটি গুলোর ব্যবসায়িক ধরন খেয়াল করলে দেখা যায় অনেকটাই “মাছের তেলে মাছ ভাজার মতো”। এখানে প্রায় প্রতিটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যায়না নিজস্ব কোনো স্বকীয়তা। প্রায় সবগুলো ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্ট এর ধরনেও পাওয়া যায় একই ধরণের মিল। সেইসাথে টেলিভিশনে জনপ্রিয় হওয়া কন্টেন্ট আপলোড আর ওটিটি ভার্সন নামেই যেন তাদের কাজ শেষ। “ওমুক অরিজিনাল কন্টেনট” নামে তাদের যে চ্যাপ্টার থাকে ওখানেই হাতে গোনা কয়েকটি কাজ ছাড়া দেশীয় কোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মের অরিজিনাল সিরিজ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এমনটি বিরল। এর পেছনের কারণ কি ? কেন পাশের দেশের বাংলা কন্টেন্ট নির্ভর ওটিটি এদেশে ব্যবসা করলেও আমাদের ওটিটিগুলো পিছিয়ে যাচ্ছে?

বিশ্বের সফল সব ওটিটি প্ল্যাটফর্মের প্রধানতম ওপেন রেসিপি হচ্ছে বিশাল কন্টেন্ট লাইব্রেরী। বিশ্বের বড় বড় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর আপডেটেড কন্টেন্ট লাইব্রেরী থাকার কারণে সাবস্ক্রাইবাররা তাদের বিনোদনের সকল আয়োজন একসাথে পায়। এছাড়াও তাদের থাকে নানান রকম দর্শক ও তাদের চাহিদা ভেদে হাজার রকমের কন্টেন্ট যা দর্শকদের বেঁধে রাখে এবং দর্শক মুগ্ধ হয়ে সাবস্ক্রাইব করে থাকে।

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সাধারণত দর্শক মাসিক ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সাবস্ক্রিপশন ফি এর বিনিময়ে তাদের কন্টেন্ট উপভোগ করে থাকেন। প্রতিষ্ঠিত ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো সেটাই দেখায় যা দর্শকের চাহিদা। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা কি? টেলিভিশনে যার চেহারা দেখতে দেখতে দর্শক প্রায় বিরক্ত সেই তারকাকেই আবার গিলতে হচ্ছে দেশীয় ওটিটি গুলোতে। গল্পের বেলাতে নতুনত্ব তো আমাবস্যার চাঁদ।

ধরা যাক দেশীয় ওটিটিতে একজন দর্শক তার পকেটের টাকার বিনিময়ে সাবস্ক্রাইব করলেন, একটা দুটো কন্টেন্ট দেখার পড়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মালিকেরা যেন ভুলেই যান যে একজন দর্শক তার নতুন কন্টেন্ট দেখবার আশায়  টাকা খরচ করে তার ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সাবস্ক্রাইবার হয়েছেন। কিন্তু না থাকে নতুন কন্টেন্ট না থাকে কন্টেন্ট এর বৈচিত্র। বিরক্ত হয়ে সাবস্ক্রাইব করা ওটিটি ছেড়ে অনেকেই ঝুকছেন উন্নত বিনোদন সেবা দেওয়া ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোতে।

পাশের দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত নতুন সিনেমার প্রিমিয়ার শুরু হয়ে গেলেও আমাদের দেশে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মালিকদের আগ্রহ আর ব্যবসায়িক উদাসীনতায় সিনেমার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম রিলিজ এখনো তেতুলিয়া দূরত্বে। দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম মালিকদের আচরণকে তুলনা করা যেতে পারে সাম্প্রতিক সময়ের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সাথে। পেঁয়াজের দাম হুট করে বেড়ে যাওয়ায় যেমন লাভবান হয়ে থাকেন কিছু ব্যবসায়ী ঠিক তেমন শুধুমাত্র বিনিয়োগেই তাদের কাজ শেষ। তারা কোনো ধরণের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা আর সঠিক মার্কেট রিসার্চ ছাড়াই ব্যবসা করতে নামবেন, এক রাতে রাতারাতি তারা নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন বা হৈচৈ হয়ে বসবেন। আবার ঢাল হিসাবে খোঁড়ার যুক্তি দেখাবেন এদেশের দর্শক অভ্যস্ত নয়, তাদের চোখের সামনেই নেটফ্লিক্স তাদের ভিনদেশী কন্টেন্ট দেখিয়ে নিয়ে যাবেন কোটি কোটি টাকা।

এইতো কিছুদিন আগেই পাশের দেশের প্রতিষ্ঠিত ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চার বছরে পা দেওয়ার দিন তাদের চলতি বছরের কর্মপরিকল্পনা দর্শকের সামনে নিয়ে আসলেন। এটি অবশ্যই তাদের ব্যবসায়িক চিন্তার গভীরতার প্রতিফলন। কারণ পরিকল্পনায় তারা নতুনদের পাশাপাশি এবার নিয়ে আসছেন প্রতিষ্ঠিত নির্মাতাদের। সেই সাথে এক ঝাঁক নতুন কন্টেন্ট যেখানে রয়েছে বেশকিছু বাংলাদেশী পরিচালকের কন্টেন্টও। অথচ আমাদের দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কাছে তরুণরা এক রকম উপক্ষিতই বলা চলে। এপর্যন্ত দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের হাত ধরে উঠে এসেছে এমন পরিচালকের সংখ্যাও এদেশে বলতে গেলে শুন্যের কোঠায়। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশের হৈচৈ এর উদাহরণ টানলেই দেখা যায় আজকের হৈচৈ এর এই অবস্থানে আসার পেছনে তরুণ নির্মাতাদের অবদান কতখানি ছিলো।

দিনদিন বাংলাদেশী বাজার দখল করে নিচ্ছে বৈশ্বিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রতিটি সাবস্ক্রাইবারের গুরুত্ব সমান, কারণ এখানে স্ব স্ব দর্শক তাদের নিজের পকেটের টাকা দিয়ে অবশ্যই উন্নত এবং মানসম্পন্ন কন্টেন্ট দেখতে চান। বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কতৃপক্ষ এখনই সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ না করলে আমরা দর্শকেরা হারাবো আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির শেকড়ের গল্প আর দিনশেষে বিজয়ীর হাসি অবশ্যই হাসবে সঠিক পরিকল্পনায় মাঠে নামা ভিনদেশী ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না: রিয়াজ

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা মেনে নিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।

আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।


চিত্রনায়ক রিয়াজ   বিএফডিসি   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন