কালার ইনসাইড

দেশী ওটিটি প্ল্যাটফর্মঃ পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর ইনভেস্টমেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

আপনি কি জানেন বাংলাদেশ থেকে নেটফ্লিক্সের আয় কতো? আপনি কি জানেন বাংলাদেশে নেটফ্লিক্স ছাড়াও আরো কি কি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তাদের ব্যবসা করে যাচ্ছে। অথবা তাদের সফলতা কতটুকু!

২০১৬ সাল! যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স প্রবেশ করে বাংলাদেশে। কিন্তু সেই প্রবেশ অফিশিয়ালি নয়। এশিয়া অঞ্চলে এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যবসা শুরু করে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে। সে বছর এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির সিইও রিড হ্যাস্ট্রিংস বলেছিলেন এশিয়াতে তাদের সাফল্য সময়ের ব্যপার মাত্র। হ্যা ঠিক তাই, নেটফ্লিক্স সিইও ঠিকই বলেছিলেন। নেটফ্লিক্সের এশিয়া যাত্রার ১০০ দিনের মাথায় রিড হ্যাস্ট্রিংস জানান এক কোয়ার্টারে ৪০ লক্ষের বেশি ইন্টারন্যাশনাল সাবস্ক্রাইবার বেড়েছে নেটফ্লিক্সের। সুযোগ লুফে নেয় আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত। নেটফ্লিক্সকে আমন্ত্রণ জানানো হয় ভারতে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের। ফলাফল এখন চোখের সামনে পরিস্কার, বলিউডি সিনেমায় নেটফ্লিক্স ভরার পাশাপাশি হিন্দি ভাষার সবথেকে বড় বড় ওয়েব সিরিজের অর্থায়ন এসেছে নেটফ্লিক্স থেকে। অথচ নেটফ্লিক্স বাংলাদেশেও বর্তমানে সমান জনপ্রিয়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ঢোকা নেটফ্লিক্স প্রায় ২০০ কোটি টাকার মতো ব্যবসা করেছিলো ওই সময়েই। সেইসাথে প্রতিবছর সেই সংখ্যা তারা বাড়িয়ে নিচ্ছে।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেরও রয়েছে বেশকিছু ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। আইফ্লিক্স, বঙ্গ, বায়োস্কোপ, বাংলাফ্লিক্স, টেলিফ্লিক্স, র‍্যাবিটহোলবিডি, রবিটিভি, সিনেস্পট, জাগোবিডি, টফি এবং সর্বশেষ যুক্ত হয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জ। এতো গলো বাংলাদেশী ওটিটি থাকলেও দর্শক কি পাচ্ছে এদের কাছ থেকে?

অনেকেই বলে থাকেন ওটিটি তে দর্শক অভ্যস্ত নয়, টাকার বিনিময়ে কন্টেন্ট দেখে না, তারা দেশি কন্টেন্টের চাইতে বিদেশী কন্টেন্ট এ বেশি আকৃষ্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের দেশী ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো দর্শকদের আসলে কি দিচ্ছে? দেশীও ওটিটি গুলো দর্শক ধরে রাখতে কি ধরণের পরিকল্পনা নিচ্ছে?

আপনি যখন আপনার ব্যবসা পরিচালনা করবেন তখন অবশ্যই আপনার একটি গোপন রেসিপি থাকতে হবে। সেইসাথে অন্যরা কিভাবে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি কাস্টমার ধরে রাখছে সে বিষয়েও দৃষ্টিপাত করতে হবে। আমাদের দেশের ওটিটি গুলোর ব্যবসা পদ্ধতি কেমন তা কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষই হয়তো ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু দেশীয় ওটিটি গুলোর ব্যবসায়িক ধরন খেয়াল করলে দেখা যায় অনেকটাই “মাছের তেলে মাছ ভাজার মতো”। এখানে প্রায় প্রতিটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যায়না নিজস্ব কোনো স্বকীয়তা। প্রায় সবগুলো ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্ট এর ধরনেও পাওয়া যায় একই ধরণের মিল। সেইসাথে টেলিভিশনে জনপ্রিয় হওয়া কন্টেন্ট আপলোড আর ওটিটি ভার্সন নামেই যেন তাদের কাজ শেষ। “ওমুক অরিজিনাল কন্টেনট” নামে তাদের যে চ্যাপ্টার থাকে ওখানেই হাতে গোনা কয়েকটি কাজ ছাড়া দেশীয় কোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মের অরিজিনাল সিরিজ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এমনটি বিরল। এর পেছনের কারণ কি ? কেন পাশের দেশের বাংলা কন্টেন্ট নির্ভর ওটিটি এদেশে ব্যবসা করলেও আমাদের ওটিটিগুলো পিছিয়ে যাচ্ছে?

বিশ্বের সফল সব ওটিটি প্ল্যাটফর্মের প্রধানতম ওপেন রেসিপি হচ্ছে বিশাল কন্টেন্ট লাইব্রেরী। বিশ্বের বড় বড় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর আপডেটেড কন্টেন্ট লাইব্রেরী থাকার কারণে সাবস্ক্রাইবাররা তাদের বিনোদনের সকল আয়োজন একসাথে পায়। এছাড়াও তাদের থাকে নানান রকম দর্শক ও তাদের চাহিদা ভেদে হাজার রকমের কন্টেন্ট যা দর্শকদের বেঁধে রাখে এবং দর্শক মুগ্ধ হয়ে সাবস্ক্রাইব করে থাকে।

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সাধারণত দর্শক মাসিক ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সাবস্ক্রিপশন ফি এর বিনিময়ে তাদের কন্টেন্ট উপভোগ করে থাকেন। প্রতিষ্ঠিত ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো সেটাই দেখায় যা দর্শকের চাহিদা। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা কি? টেলিভিশনে যার চেহারা দেখতে দেখতে দর্শক প্রায় বিরক্ত সেই তারকাকেই আবার গিলতে হচ্ছে দেশীয় ওটিটি গুলোতে। গল্পের বেলাতে নতুনত্ব তো আমাবস্যার চাঁদ।

ধরা যাক দেশীয় ওটিটিতে একজন দর্শক তার পকেটের টাকার বিনিময়ে সাবস্ক্রাইব করলেন, একটা দুটো কন্টেন্ট দেখার পড়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মালিকেরা যেন ভুলেই যান যে একজন দর্শক তার নতুন কন্টেন্ট দেখবার আশায়  টাকা খরচ করে তার ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সাবস্ক্রাইবার হয়েছেন। কিন্তু না থাকে নতুন কন্টেন্ট না থাকে কন্টেন্ট এর বৈচিত্র। বিরক্ত হয়ে সাবস্ক্রাইব করা ওটিটি ছেড়ে অনেকেই ঝুকছেন উন্নত বিনোদন সেবা দেওয়া ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোতে।

পাশের দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত নতুন সিনেমার প্রিমিয়ার শুরু হয়ে গেলেও আমাদের দেশে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মালিকদের আগ্রহ আর ব্যবসায়িক উদাসীনতায় সিনেমার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম রিলিজ এখনো তেতুলিয়া দূরত্বে। দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম মালিকদের আচরণকে তুলনা করা যেতে পারে সাম্প্রতিক সময়ের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সাথে। পেঁয়াজের দাম হুট করে বেড়ে যাওয়ায় যেমন লাভবান হয়ে থাকেন কিছু ব্যবসায়ী ঠিক তেমন শুধুমাত্র বিনিয়োগেই তাদের কাজ শেষ। তারা কোনো ধরণের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা আর সঠিক মার্কেট রিসার্চ ছাড়াই ব্যবসা করতে নামবেন, এক রাতে রাতারাতি তারা নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন বা হৈচৈ হয়ে বসবেন। আবার ঢাল হিসাবে খোঁড়ার যুক্তি দেখাবেন এদেশের দর্শক অভ্যস্ত নয়, তাদের চোখের সামনেই নেটফ্লিক্স তাদের ভিনদেশী কন্টেন্ট দেখিয়ে নিয়ে যাবেন কোটি কোটি টাকা।

এইতো কিছুদিন আগেই পাশের দেশের প্রতিষ্ঠিত ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চার বছরে পা দেওয়ার দিন তাদের চলতি বছরের কর্মপরিকল্পনা দর্শকের সামনে নিয়ে আসলেন। এটি অবশ্যই তাদের ব্যবসায়িক চিন্তার গভীরতার প্রতিফলন। কারণ পরিকল্পনায় তারা নতুনদের পাশাপাশি এবার নিয়ে আসছেন প্রতিষ্ঠিত নির্মাতাদের। সেই সাথে এক ঝাঁক নতুন কন্টেন্ট যেখানে রয়েছে বেশকিছু বাংলাদেশী পরিচালকের কন্টেন্টও। অথচ আমাদের দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কাছে তরুণরা এক রকম উপক্ষিতই বলা চলে। এপর্যন্ত দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের হাত ধরে উঠে এসেছে এমন পরিচালকের সংখ্যাও এদেশে বলতে গেলে শুন্যের কোঠায়। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশের হৈচৈ এর উদাহরণ টানলেই দেখা যায় আজকের হৈচৈ এর এই অবস্থানে আসার পেছনে তরুণ নির্মাতাদের অবদান কতখানি ছিলো।

দিনদিন বাংলাদেশী বাজার দখল করে নিচ্ছে বৈশ্বিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রতিটি সাবস্ক্রাইবারের গুরুত্ব সমান, কারণ এখানে স্ব স্ব দর্শক তাদের নিজের পকেটের টাকা দিয়ে অবশ্যই উন্নত এবং মানসম্পন্ন কন্টেন্ট দেখতে চান। বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কতৃপক্ষ এখনই সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ না করলে আমরা দর্শকেরা হারাবো আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির শেকড়ের গল্প আর দিনশেষে বিজয়ীর হাসি অবশ্যই হাসবে সঠিক পরিকল্পনায় মাঠে নামা ভিনদেশী ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এক যুগ পর বাংলাদেশে আসছেন আতিফ আসলাম

প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় একযুগ পর বাংলাদেশে আসবেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আতিফ আসলাম। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন পাকিস্তানের এই সঙ্গিতশিল্পী।

মাত্র ১২ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি’। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি। যদিও আতিফ কবে বাংলাদেশে আসবেন, কোথায় করবেন শো—সেসব কিছুই জানাননি। এর আগেও একবার আতিফ আসলামের বাংলাদেশে আসার গুঞ্জন রটেছিল।

ওই সময় স্টার বক্স নামের এক আয়োজক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছিল, ২০২৪ সালে কনসার্ট করতে বাংলাদেশে আসবেন ‘আদাত’ শিল্পী।

এর আগে ২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ আসলাম। দীর্ঘ ১১ বছর পর আবারো ঢাকায় পা রাখতে পারেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক। চলতি বছরই তিনি সংগীত ক্যারিয়ারে ২০ বছর পূর্ণ করবেন।


আতিফ আসলাম   সঙ্গিতশিল্পী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ

প্রকাশ: ০১:২৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

আবারও রাজনীতিতে ফিরে এলেন বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মুম্বাইয়ের বালাসাহেব ভবনে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের উপস্থিতিতে শিবসেনায় যোগ দেন গোবিন্দ।

সম্প্রতি একনাথ শিন্ডের সঙ্গে দেখা করেছিলেন গোবিন্দ। সেই মিটিংয়ের পরই তিনি শিবসেনায় যোগ দিলেন। এমনটাই জানানো হয়েছে পিটিআইয়ের একটি রিপোর্টে

এর আগেও রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন গোবিন্দ। তখন তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এমনকি সেই দলের হয়ে ২০০৪ সালে লোকসভায় লড়েছিলেন উত্তর মুম্বাই কেন্দ্র থেকে। তখন তিনি বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা রাম নায়ককে পরাজিত করেন। এরপর তিনি কংগ্রেস থেকে মুখ ফেরান এবং ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

শিবসেনায় যোগ দিয়ে গোবিন্দ বলেন, ‘আমি মন দিয়ে ভালো করে কাজ করব। শিল্পের উন্নতির দিকে নজর রাখব।’

একই সঙ্গে তিনি জানান মুম্বাই এখন অনেক বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। একনাথ শিন্ডের জন্যই সেটা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া এ অভিনেতা জানান তার বাবা-মায়ের সঙ্গে শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে কি আবার নির্বাচনে লড়বেন গোবিন্দ? সেই বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দেয়নি।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, কোনো শর্ত ছাড়াই গোবিন্দ শিবসেনায় যোগ দিয়েছেন। 

গোবিন্দ যদি নির্বাচনে লড়েন তাহলে ২০০৪ সালের মতোই তিনি উত্তর মুম্বাই কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে লড়বেন বলে জানা গেছে।


কংগ্রেস   শিবসেনা   গোবিন্দ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রকাশ্যে এলো ‘রাজকুমার’ সিনেমার প্রথম গান

প্রকাশ: ০১:১৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ সিনেমার প্রথম গান প্রকাশ্যে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় গানটি ভার্সেনটাইল মিডিয়ার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে। ‘রাজকুমার’ সিরেমাটির এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বালাম ও কোনাল।

এর আগে 'প্রিয়তমা' সিনেমার টাইটেল গান 'ও প্রিয়তমা'তেও কণ্ঠ দিয়ে গত বছর আলোচনায় ছিলেন এই জুটি। আসিফ ইকবালের কথায় গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন আকাশ সেন। গানটির কোরিওগ্রাফি করেছেন বলিউডের আদিল শেখ। ‘রাজকুমার’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন আরশাদ আদনান।

তিন মিনিট ৪১ সেকেন্ডের গানের পুরোটা ধারণ করা হয়েছে নিউ ইয়র্কে। কখনও টাইমস স্কয়ারে এলাকায়, কখনও তুষারে আবৃত অঞ্চলে পশ্চিমা নায়িকা কোর্টনি কফিকে নিয়ে রোমান্স করেছেন শাকিব।

বহুল আলোচিত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার রেকর্ড ভাঙার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ‘রাজকুমার’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন নির্মাতা হিমেল আশরাফ। ‘রাজকুমার’ বাংলা সিনেমার নতুন ইতিহাস গড়বে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

ছবিটি প্রসঙ্গে নির্মাতা হিমেল আশরাফ বলেন, ‘ঢাকা, পাবনা, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, বান্দরবন, ভারত ও আমেরিকায় শুটিং হয়েছে রাজকুমার সিনেমার। এমন লোকেশনে, এমন আয়োজনে রাজকুমারের শুটিং হয়েছে যা কিছুদিন আগেও বাংলা সিনেমার জন্য স্বপ্ন ছিল। শুধু নিউ ইয়র্কেই টানা ১৮ দিন শুটিং হয়েছে। যেখানে প্রতিদিন অনেক আমেরিকান প্রফেশনাল কর্মী কাজ করেছেন, সাথে বাংলাদেশের টিম তো ছিলই’।

জানা গেছে, পারিবারিক সম্পর্ক এবং একজন স্বপ্নবাজ তরুণের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রার গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে রাজকুমার। এতে শাকিবের নায়িকা মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। আসন্ন ঈদে বাংলাদেশের পাশাপাশি সিনেমাটি মুক্তি দেয়া হবে যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, মধ্যপ্রাচ্য, কানাডা, ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশে।


শাকিব খান   ‘রাজকুমার’   হিমেল আশরাফ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর পর এবার মাহির ছেলেকে নিয়ে পরীমনির স্ট্যাটাস

প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি চিত্রনায়িকা বুবলী ও শাকিব খানের ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনে সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যমে বুবলীর একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে পরী ও বুবলীর মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা যায় সোস্যাল মিডিয়ায়। দুজনের একের পর এক স্ট্যাটাস ও পাল্টা স্ট্যাটাস তর্কযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ফেসবুক।

এদিকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ছেলে শামসুদ্দিন ফারিশের প্রথম জন্মদিন আজ। তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরী মনি। লিখেছেন, ‘হ্যাপি বার্থডে মানিক চাঁদ আমাদের। তুমি মায়ের চোখের মণি হয়ে থাকো ফারিশ বাবা। আমরা সবাই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’


গত মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন মাহি। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে আলাদাই থাকছেন এই নায়িকা। ছেলেকে নিয়েও ফেসবুকে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। এখন নিজের লুক বদলাচ্ছেন অভিনেত্রী। ব্যস্ত হয়েছেন ক্যারিয়ার নিয়ে। এরই মধ্যে পর্দায় ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি।

পর্দায় ফেরা প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ভালো প্রস্তাব পেলে আর ফিরিয়ে দেবেন না। এর কারণও অবশ্য রয়েছে। বিয়ের পর বেশ কিছু সিনেমার প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে এখন ক্যারিয়ারে মন দিতে চান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন তিনি। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের ফারিশ নামে এক বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাহি। পাঁচ বছর সংসারের পর বিচ্ছেদ হয় তাদের।


পরীমনি   বুবলী   মাহিয়া মাহি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সমুদ্র সৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বেশ ঢাকঢোল বাজিয়ে বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। সেই বিয়েতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী সাফা কবির। অথচ এখন শোনা যাচ্ছে তাদের ‘অনন্ত প্রেম’র গুঞ্জন!

সদ্য দুজনেই জুটি বেঁধে শেষ করেছেন ‘অনন্ত প্রেম’-এর শুটিং। আসছে ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে বিশেষ এই নাটকটি লিখেছেন ও বানিয়েছেন মহিদুল মহিম।

নাটকটির নিয়ে নির্মাতা জানান, ‘এই গল্পের নায়ক জিসান। কক্সবাজারে নিজের দোকানে বসে কেক তৈরি করে এবং বিক্রি করে। ছোটবেলায় জিসানের মা মারা যায়। তার মা-ও খুব ভালো কেক তৈরি করতো। তাই মায়ের স্মৃতি ধরে রাখতেই জিসান কেকের বিজনেস করার সিদ্ধান্ত নেয়।

গল্পের নায়িকা স্নেহা। জিসানের কেক রেস্টুরেন্টে আসে। স্নেহার শখ ছবি তোলা। খুব সুন্দর পোশাক পরে সাজানো রেস্টুরেন্টে জিসানকে কেক বানাতে দেখে মুগ্ধ হয়ে ছবি তোলে স্নেহা। আর সুন্দরী স্নেহার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় জিসান।’

নির্মাতা আরও বলেন, ‘বুঝতেই পারছেন, গল্পের এই পর্যায়ে জিসান-স্নেহা প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করে। গল্পটা মূলত শুরু হয় এখান থেকে। ক্রমশ জড়ায় পারিবারিক জটিলতায়। শেষটা জানতে দেখতে হবে ঈদ উৎসবে পুরোটা।’

‘অনন্ত প্রেম’ নাটকটি সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে আসছে ঈদ উৎসবে মুক্তি পাবে।


অনন্ত প্রেম   জোভান আহমেদ   সাফা কবির  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন