কালার ইনসাইড

ভিকি জাহেদ : আমাদের মিস্টার টুইস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৫৪ এএম, ০১ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

চার বছর আগের কথা। ধীরে ধীরে ইউটিউব বেশ জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে বাংলাদেশে।

২০১৬ সালের মার্চ মাস। ইউটিউবে বাংলাদেশী দর্শকরা প্রথমবারের মতো দেখলো টেলিভিশন পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভানকে। “মোমেন্টস” নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। হ্যা, বলতে গেলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ধারার প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ছিলো “মোমেন্টস”। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ধারার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নির্মাতা হিসাবে যার নাম প্রথমে আসবে তিনি হচ্ছেন “ভিকি জাহেদ”। বর্তমানে ইউটিউব সহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এখন অনেক প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা অভিনেত্রী নিয়মিত কাজও করছেন ইউটিউবের জন্য নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলোতে। ভিকি জাহেদ তার নির্মিত প্রতিটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে স্বকীয়তা ধরে রেখে নিজস্ব একটি স্টাইল তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। সম্প্রতি নির্মাতা ভিকি জাহেদ কথা বলেছেন বাংলা ইনসাইডারের সাথে। প্রথমদিকের প্রতিবন্ধকতা, বর্তমান ব্যস্ততা সব নানা দিক উঠে এসেছে আলোচনায়। বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের জন্য থাকলো সাক্ষাৎকারটির চুম্বক অংশ।

 

বাংলা ইনসাইডারঃ নির্মাতা হিসাবে আপনার শুরুর দিকের ফ্ল্যাশব্যাক ও প্রতিবন্ধকতা।

ভিকি জাহেদঃ শুরুর দিকে প্রতিবন্ধকতাই বেশি ছিলো। ওই সময়টাতে বাইরে থেকে এসে সাপোর্ট করার মতো কেউ ছিলো না, শুধুমাত্র আমার ওই সময়ের টিম মেম্বার যারা ছিলো তাদের অনুপ্রেরণাই ছিলো সামনে আগানোর রসদ। আর্থিকভাবে সহায়তা করার মতো বা যদি বলি প্রডিউসার এই সাপোর্টটা ছিলো না ওই সময়টাতে। বাণিজ্যিকভাবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নামে যে কিছু হতে পারে এমন ভাবনাও ছিলো না কারো মাঝেই। আমার যে টিমটা ছিলো আমরা ওই সময়টাতে বাণিজ্যিকভাবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানানোর আগে নিজেরা কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানিয়েছিলাম। নিজেরা নিজেরা টাকা দিয়েই টিম ওয়ার্কটা চালিয়ে গিয়েছিলাম। একটা সময় বেশ হতাশা ভর করেছিলো আমাদের মাঝেও। ওই সময়ের একটা ঘটনা যদি বলি, একদিন শিল্পকলায় আমি ও আমার বন্ধু সিনেমাটোগ্রাফার বিদ্রোহী দীপন হতাশ হয়ে ভাবছিলাম যে আমাদের হয়তো এসব ছেড়ে দেয়াটাই ভালো হবে। একটা গল্প বেশ কিছুদিন ধরেই মাথায় ঘুরছিলো তখন, সবকিছু ছেড়ে দেবার আগে ভাবলাম শেষ চেষ্টা হিসাবে কিছু একটা করি। টিমের সবার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়েই আমরা “মোমেন্টস” এর শুটিং করে ফেলি। ওই জায়গা থেকে আমি বেশ ভালো একটা শিক্ষাও পেয়েছিলাম, “যদি তুমি কোনো কিছুতে সততার সাথে লেগে থেকে তোমার বেষ্ট ইফোর্টটা দাও তাহলে প্রকৃতিও তোমাকে সাহায্য করবে”। তারপরে বেশ ভালো সাড়া পেলাম। টাইগার মিডিয়াতে রিলিজের পরে দর্শকদের ভালোবাসা আর প্রতিক্রিয়া পেয়ে আমাদের টিমের সবার কষ্ট দূর হয়ে গিয়েছিলো। এরপর অনেকেই শুরু করলেন বাণিজ্যিকভাবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ। অনেক সেলিব্রেটি অনেক বড় বড় পরিচালকেরা শুরু করলেন বাণিজ্যিক ধারার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এই ধারাটিকে সমৃদ্ধ করতে। প্রডিউসাররা এই জায়গাতে আসতে শুরু করলেন। আস্তে আস্তে আমাদের বাজেটও বাড়তে শুরু করলো। এখন তো আমরা সবাই বেশ ভালো ভালো কন্টেন্ট বানাচ্ছি। এ পর্যন্ত আমার মুক্তি পাওয়া শর্টফিল্মের সংখ্যা প্রায় ২৫ টি, নাটকের সংখ্যা প্রায় ৭ টি এবং বেশ কয়েকটি আলোচিত মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করতে পেরেছি।

 

বাংলা ইনসাইডারঃ আপনার সবগুলো কাজের মধ্যে আপনার প্রিয় কাজ কোনটি এবং কেন?

ভিকি জাহেদঃ প্রিয় কাজ ওভাবে বলতে গেলে দুটি কাজের কথা বলতে হবে, কারণ এখন যেহেতু আমি এখন নিয়মিত টেলিভিশনের জন্যও বানাচ্ছি। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে আমি যদি বলি আমার প্রিয় কাজ হচ্ছে “মায়া”, কারণ ওই কাজটার সময় আমার বাবা মারা যায়। সব মিলিয়ে ওই সময়টাতে বেশ ইমোশনাল অবস্থায় ছিলাম আমি এবং আমি মনে করি এই কাজটি আজীবন আমার কাছে প্রিয় হয়ে থাকবে। যদিও নিজের কাজ খুব একটা দেখা হয়না কিন্তু এখনও মাঝে মাঝে আমি কাজটা দেখি, গল্পটাও বেশ ভালো একটা গল্প ছিলো। আর টেলিভিশনের ক্ষেত্রে আমার প্রিয় কাজের নাম বলতে গেলে “রেহনুমা”। যেহেতু আমি একটু স্পিরিচুয়াল বা ওই ধরণের একটা প্রেমের গল্প বলতে চাচ্ছিলাম, সেই জায়গা থেকে “রেহনুমা” হচ্ছে আমার খুব প্রিয় একটা কাজ।

বাংলা ইনসাইডারঃ এখনও যে কাজটার জন্য আপনার কাছে দর্শক প্রতিক্রিয়া আসে।

ভিকি জাহেদঃ “মায়া” স্বল্পদৈর্ঘ্যটির শুটিং এর সময়ের একটা মজার ঘটনা বলি। ওখানে একটা দৃশ্য ছিলো যে নায়কটি নায়কাকে ফোন দিচ্ছে, আমি বলতে গেলে না বুঝেই আমার নাম্বারটা দিয়ে দিয়েছিলাম ফোন কলের দৃশ্যটাতে। ভেবেছিলাম ওই দৃশ্যে হয়তো ওভাবে কেউ বিষয়টা খেয়াল করবেনা। পরবর্তীতে মায়া রিলিজের পরে প্রচুর ফোন আসতে থাকে, নাম্বারটা প্রায় বন্ধই করে দিতে হয় আমাকে। এটা ছাড়াও মায়া স্বল্পদৈর্ঘ্যটির জন্য বেশ ভালো দর্শক প্রতিক্রিয়া এখনো আসে। পাশাপাশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম “হৈচৈ” তে আমার “অক্ষর” স্বল্পদৈর্ঘ্যটি থাকায় ওই স্বল্পদৈর্ঘ্যটি নিয়েও বেশ ভালো প্রতিক্রিয়া এখনও পাই।

বাংলা ইনসাইডারঃ আপনার প্রিয় জনরা কি?

ভিকি জাহেদঃ যদিও আমার বেশিরভাগ কাজ রোমান্টিক ধাচের এবং অনেকেই আমাকে রোমান্টিক গল্পের পরিচালক হিসাবেই জানে, কিন্তু আমার পছন্দের জনরা হচ্ছে থ্রিলার। আমি থ্রিলার বেশ পছন্দ করি, থ্রিলার সিনেমা প্রচুর দেখা হয় এবং থ্রিলার গল্প বেশ ঘুরপাক খায় মাথায়। আমার প্রায় সব কাজগুলোতেই কিন্তু বেশ টুইস্ট থাকে। থ্রিলার জনরা পছন্দ করার কারণেই হয়তো নিজের একটা সিগনেচার হিসাবে দাঁড়িয়ে গেছে।

বাংলা ইনসাইডারঃ ভিকি জাহেদের কাছ থেকে কি সামনে কখনো দর্শক হরর জনরার গল্প পাবে?

ভিকি জাহেদঃ হরর গল্প বানানোর অনেক ইচ্ছা থাকলেও আমি এখনই হরর বানাতে চাই না। কারণ আমার কাছে মনে হয় হরর গল্প কমেডি গল্পের থেকেও কঠিন। আমার কাছে মনে হয় সিনেমার সবচেয়ে কঠিক কাজটা হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখানো এবং প্রকৃত ভয়টা দেখানো। এখানে সাউন্ড ইফেক্ট দিয়ে বা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দিয়ে ভয় দেখানো না। আর এই ধরণের এনভায়রনমেন্টাল হরর বানানোটা বেশ কঠিন এবং সত্যি কথা বলতে গেলে হররের জন্য বেশ ভালো একটা বাজেটের দরকার হয়। হরর গল্পটা আসলে চাইলেই গোজামিল দিয়ে করা সম্ভব না, কারণ খুব ভালো সাউন্ড ডিজাইনার, ভালো সেট ডিজাইন, দুর্দান্ত অভিনয়, প্রস্থেটিক মেকআপ সহ আরো বেশকিছু জিনিস আছে যেখানে ছাড় দিতে গিয়ে হরর দেখিয়ে আমি মানুষ হাসাতে চাই না। সঠিক বাজেট আর খুব ভালো গল্প যদি কখনো পাই তাহলেই আমি হরর গল্পেও অবশ্যই কাজ করতে চাই। তবে সামনে আমার একটা টেলফিল্মের পরিকল্পনা চলছে যেটা অনেকটা প্রেত জনরার বা কিছুটা কাল্ট ঘরানার গল্প নিয়ে বলা যায়। হয়তো আগামী মাসে ওটার জন্য আমি শুটিং এ যাবো। সেক্ষেত্রে দর্শক কিছুটা হলেও আমার হরর টেস্টের আঁচ পাবে।

বাংলা ইনসাইডারঃ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র কবে বানাচ্ছে ভিকি জাহেদ?

ভিকি জাহেদঃ আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশে এখন সিনেমা বানাবার জন্য বেশ শক্ত একটা সময় যাচ্ছে। কারণ যেহেতু আমার প্রথম সিনেমা তাই আমি চাইবো একটু নিরাপদ পরিবেশ। তাছাড়া গল্প বলাই যেহেতু আমার কাজ তাই সেটা সিনেমাতে হোক, নাটকে হোক বা স্বল্পদৈর্ঘ্য হোক গল্প বলে যেতে চাই। তাছাড়া এখন তো অনেক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আছে, বেশ ভালো ভালো ওয়েব সিরিজ হচ্ছে ওখানেও কাজ করছি আর করতে চাই সামনের দিনগুলোতেও। তবে যখন ভেতর থেকে আমার মনে হবে যে এখন আমার সিনেমাটা বানানো উচিত হয়তো সিনেমার কাজটা তখন শুরু করে দিতে পারি।

বাংলা ইনসাইডারঃ ভিকি জাহেদের বর্তমান ব্যস্ততা ও সামনের দিনগুলোর পরিকল্পনা।

ভিকি জাহেদঃ বর্তমান ব্যস্ততা বলতে গেলো এখন একটু টেলিভিশনে সময় দিচ্ছি। আমি বরাবরই একটু এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। আমি দেখছিলাম যে বেশ কিছুদিন ধরেই একই ধাচের নাটক হচ্ছিলো এবং কমেডি জনরার কাজ একটু বেশি মাত্রায় হচ্ছিলো। এমন একটা ধারনাও চলে এসেছিলো যে শুধু কমেডি নাটক হলেই মানুষ দেখবে। এই অবস্থাটা পরিবর্তন করার জন্যই আসলে আমার কিছু পরিকল্পনা আছে, চেষ্টা করছি একটু ভিন্ন ভিন্ন ধরণের কাজ করতে। কারণ আমাদের দেশের নাটকের ইতিহাসটা কিন্তু খুব সমৃদ্ধ। আমরা যদি দেখি হুমায়ূন আহাম্মেদ এর নাটক বা ২০০০ পরিবর্তী সময়ের যে নাটকগুলো দেখে আমরা বড় হয়েছি ওই নাটকগুলোর খুব ভালো গল্প ছিলো। প্রতিটি পরিচালকের আলাদা একটা দর্শন ছিলো। মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ গোনার দিন আর দর্শক কি ভাববে এসব চিন্তা না থাকায় পরিচালকগন নিজেদের দর্শন থেকে নিজেদের স্বাধীনতা থেকে উপহার দিতেন অসাধারণ সব নাটক। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে এখনকার কাজগুলোতে ওই জিনিসটা দেখা যায় না। হয়তো দর্শকরাই এমনটা চায়, পরিচালকরা প্রায় সবাই ট্যালেন্টেড আমাদের এখানে কিন্তু দর্শক যা চায় ওভাবে দিতে গিয়ে আমরা আমাদের দর্শনের জায়গা থেকে সরে গিয়েছি অনেকটাই। আমি নাটকে আমার কাজগুলোর মাধ্যমে ওই জিনিসটা ধরে রাখার চেষ্টা করবো। ভ্যালেন্টাইনে “রেহনুমা”, ঈদে “নির্বাসন” এই কাজগুলোর মাধ্যমে সেই চেষ্টাটা চালিয়ে যাচ্ছি। চ্যানেল আইয়ের জন্মদিনে “জন্মদাগ” আসছে এবং “ইরিনা” নামে আমার নতুন আরেকটা কাজ সামনে আসছে। চেষ্টা করছি নিজের জায়গা থেকে কাজটা করে যেতে।

 

বাংলা ইনসাইডারঃ আপনার চোখে নতুন প্রজন্মের নির্মাতাদের সমস্যা ও সম্ভাবনা।

ভিকি জাহেদঃ সমস্যা আগে যেটা ছিলো যে প্রডিউসাররা নতুনদের ওপরে ওভাবে ভরসা রাখতে পারতেন না, টেকনোলজিক্যাল জিনিসগুলোর ব্যবহার সেভাবে করতে পারতো না নতুনরা। পাশাপাশি নতুনদের জন্য ক্যামেরা লাইট এসব ম্যানেজ করে শুটিং এ যাওয়াটাও একটু কষ্টসাধ্য ছিলো।। কিন্তু ওই সমস্যা কাটিয়ে এখন আবার নতুন কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন মোবাইলেই চাইলে অনেক ভালো শুটিং করা যায়, পাশাপাশি এখন টেকনোলজিক্যাল জিনিসগুলোর সহজলভ্যতায় যে যেভাবে পারছে সেভাবে কন্টেন্ট বানাচ্ছে। যার ফলে নতুনদের উপরে দর্শকদের চাপ অনেক বেশি থাকে। যেমন একজন নতুন নির্মাতার কন্টেন্ট ১০ জন মানুষ দেখছে এবং হয়তো নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। কিন্তু যে ১০ জন দেখে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে হয়তো তার নির্মিত কন্টেন্টটি হয়তো তাদের জন্য না। কিন্তু যদি তরুণ নির্মাতা মনে করে ওই ১০ জন দর্শকের জন্য তাকে পরিবর্তিত হতে হবে বা তার আদর্শের জায়গা পরিবর্তন করতে হবে তাহলেই কিন্তু নতুন পরিচালকটি তার জায়পা থেকে পিছিয়ে গেলো, ধীরে ধীরে তার স্বকীয়তা নষ্ট হয়ে যাবে। আরেকটা জিনিস হচ্ছে যে ওই ১০ জন দর্শককেও আপনি ফেলে দিতে পারবেন না। ধীরে ধীরে কাজ করতে করতে একটা সময় হয়তো তার একটি দর্শক শ্রেনী তৈরী হবে। এছাড়া নতুন পরিচালকদের উপরে প্রডিউসারদের একটা অদৃশ্য প্রেশার কাজ করে থাকে। দিনশেষে নতুনেরা তাদের স্বকীয়তা ধরে না রাখলে আমাদের নতুন কোনো মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী হয়তো তৈরী হবে না, আমাদের একজন নতুন রেদোয়ান রনি বা আশফাক নিপুন তৈরী হবে না। তবে হতাশ হয়ে গেলে চলবে না, ভিউ একটা মনস্তাতিক চাপ মাত্র। সব দর্শকের কথা চিন্তা না করে শুধু নিজের দর্শনটা ঠিক রাখতে হবে এবং কাজ করে যেতে হবে।

বাংলা ইনসাইডারঃ ধন্যবাদ ভিকি জাহেদ আপনাকে। সামনের দিনগুলোতে আপনার নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট অব্যাহত থাকুক, সমৃদ্ধ হোক আমাদের দেশীয় কন্টেন্ট দুনিয়া।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না: রিয়াজ

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা মেনে নিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।

আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।


চিত্রনায়ক রিয়াজ   বিএফডিসি   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন