কালার ইনসাইড

তারকাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা...

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ১০ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

প্রয়াত হুমায়ুন ফরীদি কোথায় পড়াশোনা করেছেন? যারা টুকটাক মিডিয়ার খোঁজ রাখেন। তারা প্রায় সবাই অবগত, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক করেছেন এই অভিনেতা। জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিম বুয়েট থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। এটাও কারও অজানা নয়। একটা সময় পর্যন্ত তারকাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার নিয়মিত খোঁজ মিলত। প্রায় সব তারকার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে সাধারনরা ছিল অবগত। কিন্তু বর্তমানে লুকোছাপাটা যেন একটু বেশিই হচ্ছে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা কমবেশি সেটা মুখ্য নয়। পৃথিবীর অনেক গুণী শিল্পী আছেন যারা বেশি দূর পড়েননি। পড়াশোনা এক জিনিস আর প্রয়োগ আলাদা। শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে এত লুকোচুরি কেন? অনেকেই নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মুখ খোলেন না। তাই নানারকম মিথও প্রচলিত মিডিয়ায়।

চলচ্চিত্র: যাদের সম্পর্কে জানা গিয়েছে-

চিত্রনায়ক আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়েছেন। পরবর্তীতে পাকিস্তান থেকে উচ্চতর শিক্ষা নিয়েছেন। ইলিয়াস কাঞ্চন স্নাতক সম্পন্ন। অভিনেতা ও পরিচালক সোহেল রানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। নায়ক ফারুক ইন্টার পাস করেছেন। খল অভিনেতা মিশা সওদাগর ব্যবস্থাপনায় পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। চিত্রনায়ক ফেরদৌস একই প্রতিষ্ঠানের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় পড়েছেন। চিত্রনায়ক রিয়াজের কলেজ জীবন শুরু হয় যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে এইচএসসিতে ভর্তির মাধ্যমে। সেখান থেকে এইচএসসি পাস করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ এয়ার ফোর্স একাডেমিতে ১৯৯১ সালের জুন পর্যন্ত অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি সম্পূর্ণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছেন বলে দাবি করেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। চিত্রনায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিল দাবি করেন তিনি ম্যানচেষ্টারের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেছেন।

জয়া আহসান ব্যবস্থাপনা বিষয় নিয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন ইডেন মহিলা কলেজ থেকে। নায়িকা ববি হক আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করেছেন। নায়িকা আঁচল স্ট্যামফোর্ড থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেছেন। নায়িকা রত্না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছেন। চিত্রনায়িকা আলিশা প্রধান ইংলিশ মিডিয়াম প্রতিষ্ঠান থেকে এ লেভেল সম্পন্ন করে অর্থনীতি পড়ছেন ইডিক্সেল-এ।

নাটক: বড় পর্দা থেকে বহুগুন এগিয়ে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একঝাক তারকা  পড়াশোনা করেছেন অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা (ইংরেজি বিভাগ), রোকেয়া প্রাচী, বিজরী বরকতুল্লাহ, বন্যা মির্জা এবং গোলাম ফরিদা ছন্দা। বিশ্ববিদ্যালয়টির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম, অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ, মডেল ফয়সাল ব্যাবস্থাপনা বিভাগ থেকে, ব্যবসায় প্রশাসনে ব্যাচেলর (মার্কেটিং) ও মাস্টার্স (ফাইন্যান্স) শেষ করেন তাহসান খান। এছাড়াও তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।  চারুকলা থেকে পাশ করেছেন আফজাল হোসেন, বিপাশা হায়াত, চঞ্চল চৌধুরী, সাজু খাদেম, প্রাণ রায়সহ এমন বেশ ক’জন তারকা শিল্পী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও মিলেছে বেশ কয়েকজন গুনী অভিনয় শিল্পী। অভিনেতা সজল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগ থেকে সাফল্যের সঙ্গে পড়াশোনা শেষ করেছেন। অভিনেত্রী বিন্দুও একই বিভাগ থেকে পড়াশোনা করেছেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম, ফারুক আহমেদ, মাজনুন মিজান। জাকিয়া বারী মম নাট্যকলায় স্নাতক শেষ করে উচ্চতর পড়াশোনা করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুমাইয়া শিমু পিএইচডি করছেন।

সোহানা সাবা শান্ত-মারিয়ম থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। ইডেন মহিলা কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স করেছেন অভিনেত্রী রুনা খান। মিথিলা ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার্স করেছেন। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিল্ম স্টাডিজের ওপর স্নাতক শেষ করেছেন স্বাগতা। অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স করেছেন। অভিনেত্রী ঈশিতা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। অন্যদিকে লাক্স সুন্দরী বাঁধন বাংলাদেশ ডেন্টাল কলেজ থেকে সাফল্যের সঙ্গে বিডিএস (গ্র্যাজুয়েশন) সম্পন্ন করেছেন।

এদিকে অভিনেত্রী ভাবনা ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস থেকে ইংরেজি এবং নাজনীন হাসান চুমকী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন। আর এই সময়ের ব্যস্ত অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাডেমিক শিক্ষা শেষ করেছেন। তিনি সেখানকার ছাত্র রাজনীতির সঙ্গেও বেশ সক্রিয় ছিলেন।

তৌকীর আহমেদ পড়াশোনা করেছেন বুয়েট থেকে। স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন অভিনেতা মোশাররফ করিমও। নাঈম নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স শেষ করেছেন।

তরুন প্রজন্মের কী খবর?

অনেকেই মিডিয়ায় নিয়মিত অভিনয় করছেন। কিন্তু পড়াশোনাটা কোন এক স্তরে এসে থমকে আছে। ব্যস্ততা যেমন বেড়েছে তেমনি শিক্ষার দৌড়ে পিছিয়েছে। অনেকের নামের সঙ্গে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও নিয়মিত নন তারা। মাহিয়া মাহি নাকি শান্ত মরিয়মে পড়াশোনা করছেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে মেহজাবিনের এই তৃতীয় বর্ষ। নুসরাত ফারিয়া এআইইউবিতে বিবিএ শেষ বর্ষে। পিয়া বিপাশা বহুদিন ধরে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে পড়ছেন।

সাবিলা নূর নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। অর্চিতা স্পর্শিয়া ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করেছেন। মডেল-অভিনেত্রী পিয়া লন্ডনকেন্দ্রিক একটি কলেজে আইন বিষয়ে স্নাতক শেষ করেছেন। জোভান ইউনাইটেড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক করছেন। সিয়াম যুক্তরাজ্যে থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক করেছেন। মৌসুমী হামিদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে খুলনার একটি কলেজে অনার্স পড়ছেন।

বিদ্যা সিনহা মিমকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও ছাড়তে হয়। নতুন করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। পড়াশোনা শেষ করার কোন নমুনা নেই। তবে দাবি আছে তার পক্ষ থেকে তিনি মাষ্টার্স করছেন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে। চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা করছেন ইউল্যাবে। তমা মির্জা আইনে পড়ছেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

অগোচরে যাদের শিক্ষাজীবন :

চিত্রনায়িকা মৌসুমীর শিক্ষাজীবন কখনো প্রকাশ্যে আসেনি।  জানা যায়নি শাবনুরের শিক্ষা জীবনেরও কোনও খবর। চিত্রনায়ক শাকিব খানের শিক্ষাগত যোগ্যতাও সঠিকভাবে কেউ জানে না। রটে আছে তিনি উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তবে তিনি প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। বিভিন্ন সময়ে সে গল্প শোনা যায়। অপু বিশ্বাস মাধ্যমিক পাসের পরই পড়াশোনাকে সম্ভবত বিদায় জানান। সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। সিমলার পড়াশোনাও নাকি আটকে গেছে ইন্টার দ্বিতীয় বর্ষ থেকে। পরীমনির শিক্ষাজীবনের স্পষ্ট কোন তথ্য কোথাও নেই। তবে জানা যায় তিনি এসএসসি পাস করেছেন। এছাড়া পূর্ণিমা, পপি, বর্ষা, সিমলা, সায়মনসহ অনেক নায়ক-নায়িকাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে পরিষ্কার কোনও তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। আরেফিন শুভ ময়মনসিংহে জীবনের অনেকটা সময় ছিলেন। সেখানে কতদূর পড়াশোনা করেছেন তা ঠিক জানা যায়নি। এছাড়া নায়ক ইমন ও নীরবের সঠিক তথ্যও জানা সম্ভব হয়নি।



বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ 

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না: রিয়াজ

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানুর সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আশপাশে থাকা উপস্থিত সাংবাদিকরা সেখানে এগিয়ে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে বিএফডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা ঘটনাটিকে চরম ন্যক্কারজনক বলে অভিহত করেন। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়ক রিয়াজও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাস লিখেন এই তারকা। স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এ নায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ বিএফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের কাজের সঙ্গে দর্শকদের মেলবন্ধন তৈরি করেন। তাদের বিএফডিসির ভেতরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে, যা চরম ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খারাপ লাগছে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিল্পীরা কখনো সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’।

এছাড়া এ ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরণের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন সাংবাদিকরা।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সেটি তারা মেনে নিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার নিয়েছে সংগঠনটি।

আর এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।


চিত্রনায়ক রিয়াজ   বিএফডিসি   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের মারধর: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। বিএফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরনের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন বলে জানানো হয়।

জানা গেছে, সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদল চলচ্চিত্র সমিতির ভেতরে গিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এসময় বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানান, গণমাধ্যমকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে, সেটা তারা মেনে নিয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে আল্টিমেটামটি কার্যকর হবে।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার গ্রহণ করেছে চলচ্চিত্র সমিতি। এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি। 

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার। শপথগ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক মিথুন আল মামুন সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন অভিনেত্রী ময়ূরীর মেয়ের।

এ সময় অভিনেতা শিবা শানু ওই সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। তিনি না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে অফিস থেকে বের করে দেন শানু। এর মধ্যে সেটি থামাতে এগিয়ে আসেন উপস্থিত অন্য সাংবাদিকরা। এ সময় সমিতির আরেক নেতা জয় চৌধুরী ‘মার মার’ বলে তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। এতেই শুরু সাংবাদিকদের ওপর হামলা। চেয়ার থেকে শুরু করে গাছের ডাল দিয়েও সাংবাদিকদের পেটানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অভিনেতা শিবা শানু, শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো এই মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল নির্বাচিত হন।


চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি   আল্টিমেটাম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন