কালার ইনসাইড

ব্যান্ডের ভাঙা-গড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

বাংলাদেশের রয়েছে এক গৌরব উজ্জ্বল ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস। সময়ের স্রোতে বহু ব্যান্ডের আগমন ঘটেছে। সেসব ব্যান্ডে যেসব সদস্যরা মাত করেছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে তাদের ঠিকানা বদল করেছেন। সেসব ব্যান্ড বিচ্ছেদের খবর টুকিটাকি দেয়া হল:

সোলস:

`সোলস` বাংলা অর্থ দাঁড়ায় `আত্মারা`। বাংলা ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আলোচিত সংগীতজ্ঞরা এই ব্যন্ড থেকে আত্নপ্রকাশ করেছেন। এই ব্যান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছে  তপন চৌধুরী, নকীব খান, পীলু খান, নাসিম আলী খান, আইয়ুব বাচ্চু ,কুমার বিশ্বজিৎ ও পার্থ বড়ুয়ার মতো বাংলাদেশের ব্যান্ডে সঙ্গীতের সব খ্যাতিমানদের নাম। সোলসের গঠন হয় স্বাধীনতার পরের বছর ১৯৭২ সালে। চট্টগ্রামের স্থানীয় কিছু গানপাগলা তরুনের হাত ধরে এর শুরু। শুরুর দিকে যাদের নাম ছিল তারা হলেন সাজিদ উল আলম (গিটার), লুলু (গিটার) নেওয়াজ (পারকিউশন), রনি বড়ুয়া(ড্রামস) ও তাজুল (ভোকাল)।

শুরুর বছরই ব্যান্ড ত্যাগ করেন লুলু। যোগ দেন নকীব খান। যিনি পরবর্তীতে ব্যান্ড ‘রেনেসা’ গড়েন। নকীবের পথ অনুসরণ করে সোলসে যোগ দিয়েছিলেন নকীবের বড় ভাই পীলু খান ও তপন চৌধুরী। ১৯৭৭ এ ব্যান্ড এ যোগ দেয় আরেক তরুণ নাসিম আলী খান। ১৯৭৮ এ যোগ দেন আরেক ব্যান্ড লিজেন্ড আইয়ূব বাচ্চু। আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন ব্যান্ডের একজন গিটারিস্ট , ভোকাল, গীতিকার ও সুরকার। ১৯৭৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে যোগ দেয় বাংলা আধুনিক গানের আরেক দিকপাল কুমার বিশ্বজিৎ।



১৯৮২ সালের দিকে নকীব খান ও পীলু খান ব্যান্ড ছেড়ে চলে যায়। পরবর্তীতে রেনেসাঁ ব্যান্ড গঠন করেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে কুমার বিশ্বজিতও ব্যান্ড ছেড়ে চলে যান। `সোলস` থেমে থাকেনি। তখন ব্যান্ড এর ভোকাল তপন এর পরেই ছিলেন নাসিম আলী ও আইয়ুব বাচ্চু। তিনজনেই সমান্তরলে গাইতেন।

ইতোমধ্যে `সোলস` এর পথ ধরে `চাইম` `অবসকিউর` `মাইলস` `ঝিঙ্গা` সহ আরও কয়েকটি ব্যান্ড এর তাদের পথচলা শুরু করেছিল। ধীরে ধীরে বাংলা গানে `ব্যান্ড সঙ্গীত` নামের একটি ধারার শাখা প্রশাখা বিস্তার লাভ করা শুরু করলো।

১৯৮৯ সালের দিকে আইয়ুব বাচ্চু `সোলস` ত্যাগ করেন। আইয়ুব বাচ্চুর শূন্যস্থান পূরণ করতে তখন চট্টগ্রামের আরেক সদ্য তরুণে পা দেয়া গিটারিস্ট ও ভোকাল হিসেবে দলে যোগ দেয় পার্থ বড়ুয়া। ১৯৯২ সালে `সোলস` এর ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত হয় `এ এমন পরিচয়` অ্যালবামটি। এই অ্যালবামটি ছিল সোলস এর সাথে তপন চৌধুরীর শেষ অ্যালবাম। এই অ্যালবাম পরেই তপন চৌধুরী পুরোপুরি একক অ্যালবাম এর দিকে নিজের পথ চলা শুরু করেন। একে একে সব ভোকাল চলে গেলে দলের সবচেয়ে পুরনো সদস্য ব্যান্ড লিডার রনি বড়ুয়া মূল ভোকাল পার্থকে সরিয়ে নাসিম আলী খানকে করেন। এভাবেই চলছে।

ফিলিংস এবং নগর বাউল :

ফিলিংসের যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই আশির দশকের শুরুতে- চট্টগ্রাম থেকে । শুরুতে এই ব্যান্ড কুমার বিশ্বজিৎ, আইয়ুব বাচ্চুও বাজাতেন । এহসাল এলাহি ফান্টি নামে একজন ব্যান্ডের মিউজিক অ্যারেঞ্জ করতেন। ১৯৮১ সালে ব্যান্ডে যোগ দেন নগরবাউল জেমস। চট্টগ্রামে শুরু হলেও একটা পর্যায়ে তারা ঢাকায় চলে আসেন। জেমসের জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ভেঙ্গে যায় ফিলিংস। জেমসের নিজস্ব ব্যান্ড নগর বাউল গড়া হয়।  ফিলিংস ব্যান্ডে তখন অর্থহীনের সুমনও ছিলেন। ফিলিংস ভেঙ্গে হলো দুটো ব্যান্ড। জেমসের নগর বাউল ও সুমনের অর্থহীন। ফিলিংস ও নগর বাউলে এক সময় পান্থ কানাই ছিলেন ড্রামার হিসেবে। জেমসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ‘তান্ডব’ নামের ব্যন্ড গড়েন। বর্তমানে তিনি আছেন অর্নব অ্যান্ড ফ্রেন্ডসে।

আইয়ুব বাচ্চু ও এলআরবিঃ

আইয়ুব বাচ্চু এলআরবি ব্যান্ড গঠনের অনেক আগ থেকেই সংগীতের সঙ্গে জড়িত। তার নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সোলস ও ফিলিংস ব্যান্ডও। সোলস ব্যান্ড ছেড়ে ১৯৯১ সালে গঠন করেন পিউর রক ব্যান্ড এলআরবি ! দীর্ঘদিন একই সেটআপ ছিল। সেখান থেকে ক্রমাগত বের হয়ে আসে এস আই টুটুল , রিয়াদ, সুমন, মিল্টন আকবররা। এল আর বি চলছে তার নিজের নিয়মে। এস আই টুটুল পরবর্তীতে ‘ধ্রুবতারা’ নামে ব্যন্ড গঠন করেন। ২৬ বছর হয়ে গেল। এলআরবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে মাত্র দুজন এখনো টিকে আছেন আইয়ুব বাচ্চু আর স্বপন।

আর্ক ও হাসানঃ

আশিকুজ্জামান টুল ১৯৯১ সালে চাইম ব্যন্ড থেকে বের হয়ে গঠন করেন আর্ক। এই । এই অ্যালবামের বেশিরভাগ গানের কথা ও সকল গানের সুর ছিল প্রিন্স মাহমুদের করা । ১৯৯৬ সালে ব্যান্ডে যোগ দেন গায়ক হাসান। তারপর ৯০ দশকের শেষের দিকে পঞ্চম, হাসান ও আশিকুজ্জামান টুলুর আর্ক ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ২০০০ সালে হাসান ব্যান্ড ছেড়ে দিয়ে নতুন ব্যান্ড ‘স্বাধীনতা’ গঠন করেন ।২০০৪ সালে তিনি ‘জন্মভূমি’ নামের আরেকটি ব্যান্ড গঠন করেন। হাসান ঘোষনা দিয়েছিলেন আর্কে আবার ফিরে যাবেন। কিন্তু টুলু কানাডায় স্থায়ী হওয়াতে আর্ক কখনো নবচেতনায় আর ফেরেনি। পঞ্চম ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সংগীতায়োজনের কাজে।

ফিডব্যাক-মাকসুদ ও ঢাকা:

শুরুটা সত্তরের দশকে। শুরুটা হয়েছিল ইংলিশ গান প্রাকটিসের মাধ্যমে। এই ব্যন্ডে রয়েছে বেশ কয়েকজন পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ। মাকসুদ-ফুয়াদ নাসের বাবু-লাবু রহমান-পিয়ারু খান। ১৯৯৬ সালে ফিডব্যাক ছাড়েন মাকসুদ। মাকসুদ ও ঢাকা নামে নতুন ব্যান্ড করেন তবে ফিডব্যাকের মত জনপ্রিয়তা পায়নি ব্যান্ডটি। মাকসুদের বদলে এখন লুমিন ফিডব্যাকের ভোকাল হিসেবে আছেন।

ওয়ারফেজের ভাঙ্গা গড়া :

ওয়ারফেজের যাত্রা শুরু সেই ১৯৮৪ সাল থেকে। সেই লাইনআপের একমাত্র কমল ছাড়া বর্ত‌মানে আর কেউ নেই। বর্ত‌মান প্রজন্মের কারো হয়তো তাদের নামও জানা নেই। অধিকাংশই মনে করেন ওয়ারফেজের প্রথম ভোকাল সঞ্জয় কিন্তু এই ধারনাটি ভুল। তবে হ্যাঁ, সঞ্জয় ভোকালেই তাদের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ পায় এবং দর্শ‌কদের চোখে পড়ে। ওয়ারফেজের প্রথম লাইনআপটি ছিল কমল(বেইস গীটার), হেলাল ( ড্রামস), মীর (গীটার), নাইমুল(গীটার), বাপ্পী(ভোকাল)। পরবর্তী‌তে মীর, হেলাল এবং বাপ্পী ব্যক্তিগত কারণে ব্যান্ড ছেড়ে দেন। এমন সময় কমল হাতে তুলে নিলেন লিড গীটার, বেইজ এ চলে এলেন বাবনা করিম, ড্রামে টিপু আর ভোকালে রাশেদ। এই লাইন আপটিও বেশী দিন স্থায়ী হলো না, নাইমুলও চলে গেলেন ইউএসএ। তখন সেইসময়ের আরেক জনপ্রিয় ব্যান্ড `ইন ঢাকা` এর মাসুক এবং ফুয়াড গেস্ট মেমবার হিসেবে সহায়তা করে ওয়ারফেজকে।

১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় তাদের তৃতীয় অ্যালবাম। এ অ্যলবামের পর ওয়ারফেজে আবার আসে পরিবর্তন। তাদের বেশ কিছু সদস্য চলে যান দেশের বাহিরে। বাবনা, কমল, সঞ্জয়, ফুয়াদ, টিপু, রাসেল। অনেকের মতে এটিই ছিল ওয়ারফেজের বেস্ট লাইন আপ।

এরপর বর্তমানে মাইলস ব্যান্ডের সদস্য হিসেবে পরিচিত জুয়েল এবং অর্থহীন ব্যান্ডের সুমন জয়েন করেন ওয়ারফেজে। সঞ্জয় ব্যক্তিগত কারনে মিউজিক ছেড়ে দেবার পর মিজানের কন্ঠে ওয়ারফেজ যেভাবে অসাধারন কিছু গান সৃষ্টি করেছে তার প্রশংসা করেছেন অনেক সংগীত বিশ্লেষকেরা।

মিজান তার সলো ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ভোকালে আসে বালাম। বলে রাখা ভালো বালামের সাথে ওয়ারফেজের সম্পর্কটা বেশ পুরনো। একটা সময় বালাম চলে গেলেন তার সলো ক্যারিয়ার নিয়ে। এসময় ওয়ারফেজ বেশ অস্থিতীশীল অবস্থায় ছিল। আর্টসেল ব্যান্ডের সেজানও বেশকিছু দিন ছিলেন ওয়ারফেজের সাথে। শুধুমাত্র ড্রামার টিপু ছাড়া সবারই বেশ পরিবর্তন হয়েছে ব্যান্ডে। পরবর্তীতে টিপু ব্যান্ডকে আবারও গুছিয়ে নিয়ে আসলেন। ব্যান্ড ভাইব থেকে অনি আর মেটাল মেইজ থেকে রজার জয়েন করলেন। অন্যদিকে কমল আবারও ফিরে আসলেন দেশে, মিজানও আবার জয়েন করলেন। মিজান নানা কর্মে দল থেকে বহিস্কিত হন। মিজানের পরে রেডিও অ্যাক্টিভের সাবেক ভোকাল পলাশ ওয়ারফেইজে ভোকাল হিসেবে যোগ দেন।

মাইলস

শুরুটা আশির দশকের প্রথমে। ২০১০ সালে ব্যান্ড থেকে বের হয়ে যান শাফিন আহমেদ। ব্যান্ডের দুই সদস্য শাফিন হামিনের দ্বন্দ্বের বিষয়টা সামনে আসে। ‘রিদম অব লাইফ’ নামে নতুন একটা ব্যান্ডও করেছিলেন শাফিন। তবে অভিমানটা খুব বেশিদিন থাকেনি। ওই বছরই মাইলসে ফেরত আসেন শাফিন। মাইলসের লাইন আপ এখনও অটুট আছে হামিন-শাফিন-মানাম-তূর্য-জুয়েল লাইনআপে।

‘বাংলা’ ভেঙ্গে ‘প্রেয়ার হল’, ‘অর্নব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’:

অর্নব , আনুশেহ , বুনো মিলে বেশ আলোড়ন তুলছিলো ‘বাংলা ব্যন্ড’। বেশ কিছু জনপ্রিয় গান পাওয়া গেছে। আনুশেহ- বুনো বিয়ে করে। কিন্তু সে বিয়ে টিকলো না। অর্নবও সলো ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। মাঝখানে ‘প্রেয়ার হল’ নামে নতুন একটি ব্যান্ড গঠন করে। সে ব্যান্ড থেকে অ্যালবামও প্রকাশ করে। কিন্তু সে ব্যন্ডও টিকেনি। পরবর্তীতে অর্নব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস চলছে অনেকদিন ধরে। সেখানে অর্নবের পাশে আছে বুনো ও পান্থ কানাই।

ব্ল্যাক-তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ-ইন্দালো:

১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু হওয়ার পর বেশ জনপ্রিয়থা পেয়েছিল ব্যান্ডটি। জন-জাহান-টনি-তাহসান-মিরাজ লাইন আপের সবাই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু ভেঙ্গে গেল। সলো ক্যারিয়ারের টানে তাহসান বেরিয়ে যান, সেটা অনেকদিন আগের গল্প। রোড অ্যাকসিডেন্টে আহত হয়ে ব্যান্ড, গান দুটোই ছাড়েন মিরাজ। জন কিছুদিন আগে বেরিয়ে গিয়ে ‘ইন্দালো’ নামের ব্যান্ডে করেন। তাহসানও ব্যান্ড গড়েছিলেন ‘তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ’। তবে তার কার্যক্রম খুব বেশি চোখে পড়েনি। টনি আর জাহান নিজের কাজে ব্যস্ত। ব্যান্ড থাকলেই সেই আগের স্বাধটা তো নেই।

আর্টসেল

ব্লাক ও আর্টসেল প্রায় একই সময়ে জন্ম নেয়। আর্টসেলের খোঁজ খবর নেই। লিঙ্কন-এরশাদ-সাজু-সেজান কেউই ব্যান্ড ছাড়েনি। তবে তাদের কার্যক্রম অনেকদিন থেকেই বন্ধ। মাঝেমধ্যে লিঙ্কন পুরনো গানগুলো গেয়ে ইউটিউবে ছাড়ে।

চিরকুট:

২০০২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি বেশ নাম করেছিল। বনিবনা না হওয়াতে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পিন্টু গতবছর ব্যান্ড ছেড়ে দেয়। কিন্তু তাতে জনপ্রিয়তার কোন কমতি পড়েনি। ভোকাল ও দলনেতা সুমিসহ লাইন আপে আছেন ইমন-দিদার-পাভেল।

শিরোনামহীন:

বর্তমান সময়ে ব্যন্ড সংগীতের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ‘শিরোনামহীন’ থেকে তুহিনের চলে যাওয়া। এ নিয়ে তুহিন ও ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্যদের কাদা ছোঁড়াছুড়ি চলছে। দেখার বিষয় আসলেই কি ভেঙ্গে যাচ্ছে ব্যান্ড।

দূরবীন:

এ ব্যান্ডেরও প্রায় পনেরো বছর বয়স হয়ে গেল। ব্যান্ডের অন্যতম দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কাজী শুভ ও আরেফিন রুমি ব্যান্ড ছেড়ে দেন। তবে দলনেতা ও ভোকাল শহীদ আছেন আগের মতোই। তার সঙ্গে আরও ছয় তরুন আছেন। শুরুর দিককার সদস্য আইয়ূব শাহরিয়ারও আছেন এখনও।

 

 বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নবনির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদককে বরণ করলেন নিপুন

প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) হয়েছে ভোটগ্রহণ।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফল ঘোষণা করা হয়। এবার নির্বাচনে ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে কলি-নিপুন।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক পদে জয় লাভ করেছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল ভোট পেয়েছেন ২২৫টি। ১৬ ভোট কম পেয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার। তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পরাজয় মেনে নিতেই দেখা গেল নিপুনকে। শুধু তা-ই নয়, মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নিয়েছেন তিনি।

নিপুন বলেন, ‘ডিপজল ভাইয়ের বিপক্ষে মাত্র ১৬ ভোটে হারব, এটা চিন্তাও করিনি। আমি ভেবেছিলাম ডিপজল ভাইয়ের সঙ্গে যখন দাঁড়াবো, খুব বেশি হলে ৫০টা ভোট পাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০৯টি ভোট পেয়েছি। ডিপজল ভাই পেয়েছেন ২২৫টি। শিল্পী সমিতির ভাই-বোনেরা প্রমাণ করে দিয়েছেন—তারা আমাকে ভালোবাসেন। এ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নিপুণ।

শুক্রবার সকাল ৯টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। শেষ হয়েছে বিকেল ৫টায়। এ দিন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন ৪৭৫ জন শিল্পী। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৫৭০ জন। এই নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮ প্রার্থী।

প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলের মধ্যে একটি জোটে ছিলেন মিশা ও ডিপজল। আরেক প্যানেলে ছিলেন মাহমুদ কলি ও নিপুণ আক্তার। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন খোরশেদ আলম খসরু। সদস্য হিসেবে ছিলেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।


চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি   নিপুন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মাত্র ১৬ ভোটে হারব চিন্তাও করিনি : নিপুণ

প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক (২০২৪-২০২৬) মেয়াদের নির্বাচন। এ মেয়াদের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সভাপতি মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

নির্বাচনে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। শনিবার সকালে ফল ঘোষণার পরে ডিপজলকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন পরাজিত এই প্রার্থী। 

এ সময় সাংবাদিকদের নিপুণ বলেন, ‘ডিপজল ভাইয়ের বিপক্ষে মাত্র ১৬ ভোটে হারবো সেটা আমি চিন্তাও করিনি। আমি ভেবেছিলাম ডিপজল সাহেবের সঙ্গে আমি যখন দাঁড়াবো, খুব বেশি হলে ৫০টা ভোট পাবো।’

এই নায়িকা বলেন, ‘আমার ২৬টা ভোট নষ্ট হয়েছে, ২০৯টি ভোট আমি পেয়েছি। যেখানে ডিপজল ভাই পেয়েছেন ২২৫টি ভোট। শিল্পী সমিতির ভাই-বোনেরা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে তারা আমাকে ভালোবাসেন। আমাকে এত সম্মান দেওয়ার জন্যে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’

নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে মন্তব্য করে নিপুণ আরও বলেন, ‘প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই ২০২৪-২৬ নির্বাচন যারা পরিচালনা করেছেন তাদের। আমার মনে হয় আমার টার্মে থেকে আমি খুব সুন্দর একটি নির্বাচন পরিচালনা করেছি।’


নিপুণ আক্তার   অভিনেতা   মনোয়ার হোসেন ডিপজল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

হেরে গেলেন নিপুন, মিশা-ডিপজলের জয়জয়কার

প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাতের অপেক্ষা শেষে ভোর নাগাদ পাওয়া গেলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফলাফল। গেল দুই বছর দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তার অবশেষে হেরে গেছেন। নতুন সাধারন সম্পাদক হিসেবে পাওয়া গেল আলোচিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে। এর আগে গতকাল সারাদিন উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি নির্ধারণ করতে ভোট দিয়েছে শিল্পী সমিতির সদস্যরা।

ভোট গ্রহন শেষে টানা ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পরে পাওয়া গেলো ফলাফল।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর (২৬৫)। তার বিপরীতে অভিনেতা মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫)।

১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার (২০৯)। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল (২৩১) ও ডি এ তায়েব (২৩৪), সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান (২৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২৫৫), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো (২৯৬), দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৪৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন (২৩৫) এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল (২৩১)।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন।

তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)।

কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০) নির্বাচিত।

বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে নয়টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় ভোর গ্রহণ শুরু হয় এবং সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী নির্বাচন   ফলাফল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রথম এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা

প্রকাশ: ০৮:০৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে অনেক কাজই সহজ হয়ে গেছে মানুষের জন্য। রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে নিউজ প্রেজেন্টিং, স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ - সবই এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে করা যায়। এবার আয়োজিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা।

এআই প্রযুক্তি দ্বারা তৈরি মডেলদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটর অ্যাওয়ার্ডস (ডব্লিউএআইসি)। মূলত বিশ্বজুড়ে এআই ক্রিয়েটরদের সম্মান জানাতেই এমনটা করা হচ্ছে।

আয়োজন সংস্থা জানায়, তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিচার করা হবে - সৌন্দর্য, প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে যেমন এআই মডেলের রূপ, তার ডিজাইন, পোশাক ইত্যাদি দেখা হবে।

জানা গেছে, যে মডেল জিতবেন, তাকে মিস এআই শিরোপা দেয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় মোট ২০ হাজার ডলার পুরস্কার রাখা হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মিস এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতার এন্ট্রি। যারা এই ধরনের এআইভিত্তিক মডেল বানিয়ে থাকেন তারাও এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

তবে এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তাদের অংশগ্রহণ করতে হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি থাকতে হবে এবং বয়স হতে হবে ১৮ বছরের বেশি। ইতোমধ্যে ডব্লিউএআইসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে শুরু হয়ে গেছে এই প্রতিযোগিতার আবেদন প্রক্রিয়া।

সুন্দরী প্রতিযোগিতার পাশাপাশি এআইভিত্তিক ফ্যাশন সামগ্রী এবং পুরুষ মডেলের ওপরও জোর দেয়া হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক সংস্থা।

এআই সুন্দরী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নগ্ন পুরুষ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য বিদ্যা বালানের

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। ২০০৩ সালে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় তার। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। সাহসী চরিত্রে অভিনয় করেও নজর কেড়েছেন এই নায়িকা। বিদ্যা বালানের পরবর্তী সিনেমা ‘দো আউর দো পেয়ার’।

সম্প্রতি এই সিনেমার প্রচারণার অংশ হিসেবে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। আর সেখানেই নগ্ন পুরুষদের নিয়ে মন্তব্য করেন বিদ্যা বালান। অভিনেত্রী জানান, এখন নগ্ন পুরুষদেরও বাহবা পাওয়ার সময় এসেছে।

জানা গেছে, ২০২২ সালে নগ্ন ফটোশুট করেছিলেন বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং। সেসময় ব্যাপক তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি। অভিনেতার এই ফটোশুটকে কেন্দ্র করে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে রণবীরের এই সাহসিকতার প্রশংসা করেছিলেন বিদ্যা বালান।

এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, আগে যা বলেছি এখনও একই কথা বলব। আপনি যে কোনো প্রাপ্তবয়স্কদের পাঠ্য পত্রিকা দেখুন, ‘প্লেবয়’ বা ‘ডেবোনেয়র’-এ আমরা সবসময় নারীদের নগ্ন ছবি দেখি। সেটা কোনো পুরুষ বা সমকামীর ভালো লাগতে পারে।

কিন্তু আমাদের মতো যারা আছেন, তারা কী করবেন? আমাদেরও শখ কিংবা ইচ্ছা থাকতে পারে। তাই এখনও ঠিক সেটাই বলছি— আমার ভালো লেগেছিল। নগ্ন নারীদের অনেক বাহবা দিয়েছি, এখনও হরহামেশাই দিয়ে থাকি। এবার মনে হয় সময় এসেছে, নগ্ন পুরুষদেরও বাহবা পাওয়ার।

সাধারণ মানুষের মতো বলিউডের অনেক তারকাকেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক জড়াতে দেখা যায়। এই বিষয়টি নিজের অভিমত জানিয়ে বিদ্যা বালান বলেন, আমি এটা মানি যে, বিয়ের বাইরেও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। আমি যদি এই বিষয়টিকে খাবারের সঙ্গে তুলনা করি, তা হলে বলব, রোজ রোজ ডাল-ভাত খেয়ে আমাদের একটা একঘেঁয়েমি চলে আসে। তাই আমরা নুডলস বা অন্য কিছুর দিকে ঝুঁকি। কিন্তু একটা সময় আসে, যখন আমরা খাঁটি ডাল-ভাতের মর্ম বুঝি।

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের নানান বিষয় উঠে এসেছে বিদ্যা বালানের নতুন সিনেমায়। অভিনেত্রী বলেন, আমাদের সিনেমায় শুধু বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক দেখানও হয়নি। এর বাইরের অনেক বিষয়ও রয়েছে। আমরা তো নিজেদের প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গেও প্রতারণা করি।

সূত্র: আনন্দবাজার

নগ্ন পুরুষ   বিদ্যা বালান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন