নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০১৭
বাংলাদেশের রয়েছে এক গৌরব উজ্জ্বল ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস। সময়ের স্রোতে বহু ব্যান্ডের আগমন ঘটেছে। সেসব ব্যান্ডে যেসব সদস্যরা মাত করেছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে তাদের ঠিকানা বদল করেছেন। সেসব ব্যান্ড বিচ্ছেদের খবর টুকিটাকি দেয়া হল:
সোলস:
`সোলস` বাংলা অর্থ দাঁড়ায় `আত্মারা`। বাংলা ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আলোচিত সংগীতজ্ঞরা এই ব্যন্ড থেকে আত্নপ্রকাশ করেছেন। এই ব্যান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তপন চৌধুরী, নকীব খান, পীলু খান, নাসিম আলী খান, আইয়ুব বাচ্চু ,কুমার বিশ্বজিৎ ও পার্থ বড়ুয়ার মতো বাংলাদেশের ব্যান্ডে সঙ্গীতের সব খ্যাতিমানদের নাম। সোলসের গঠন হয় স্বাধীনতার পরের বছর ১৯৭২ সালে। চট্টগ্রামের স্থানীয় কিছু গানপাগলা তরুনের হাত ধরে এর শুরু। শুরুর দিকে যাদের নাম ছিল তারা হলেন সাজিদ উল আলম (গিটার), লুলু (গিটার) নেওয়াজ (পারকিউশন), রনি বড়ুয়া(ড্রামস) ও তাজুল (ভোকাল)।
শুরুর বছরই ব্যান্ড ত্যাগ করেন লুলু। যোগ দেন নকীব খান। যিনি পরবর্তীতে ব্যান্ড ‘রেনেসা’ গড়েন। নকীবের পথ অনুসরণ করে সোলসে যোগ দিয়েছিলেন নকীবের বড় ভাই পীলু খান ও তপন চৌধুরী। ১৯৭৭ এ ব্যান্ড এ যোগ দেয় আরেক তরুণ নাসিম আলী খান। ১৯৭৮ এ যোগ দেন আরেক ব্যান্ড লিজেন্ড আইয়ূব বাচ্চু। আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন ব্যান্ডের একজন গিটারিস্ট , ভোকাল, গীতিকার ও সুরকার। ১৯৭৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে যোগ দেয় বাংলা আধুনিক গানের আরেক দিকপাল কুমার বিশ্বজিৎ।
১৯৮২ সালের দিকে নকীব খান ও পীলু খান ব্যান্ড ছেড়ে চলে যায়। পরবর্তীতে রেনেসাঁ ব্যান্ড গঠন করেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে কুমার বিশ্বজিতও ব্যান্ড ছেড়ে চলে যান। `সোলস` থেমে থাকেনি। তখন ব্যান্ড এর ভোকাল তপন এর পরেই ছিলেন নাসিম আলী ও আইয়ুব বাচ্চু। তিনজনেই সমান্তরলে গাইতেন।
ইতোমধ্যে `সোলস` এর পথ ধরে `চাইম` `অবসকিউর` `মাইলস` `ঝিঙ্গা` সহ আরও কয়েকটি ব্যান্ড এর তাদের পথচলা শুরু করেছিল। ধীরে ধীরে বাংলা গানে `ব্যান্ড সঙ্গীত` নামের একটি ধারার শাখা প্রশাখা বিস্তার লাভ করা শুরু করলো।
১৯৮৯ সালের দিকে আইয়ুব বাচ্চু `সোলস` ত্যাগ করেন। আইয়ুব বাচ্চুর শূন্যস্থান পূরণ করতে তখন চট্টগ্রামের আরেক সদ্য তরুণে পা দেয়া গিটারিস্ট ও ভোকাল হিসেবে দলে যোগ দেয় পার্থ বড়ুয়া। ১৯৯২ সালে `সোলস` এর ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত হয় `এ এমন পরিচয়` অ্যালবামটি। এই অ্যালবামটি ছিল সোলস এর সাথে তপন চৌধুরীর শেষ অ্যালবাম। এই অ্যালবাম পরেই তপন চৌধুরী পুরোপুরি একক অ্যালবাম এর দিকে নিজের পথ চলা শুরু করেন। একে একে সব ভোকাল চলে গেলে দলের সবচেয়ে পুরনো সদস্য ব্যান্ড লিডার রনি বড়ুয়া মূল ভোকাল পার্থকে সরিয়ে নাসিম আলী খানকে করেন। এভাবেই চলছে।
ফিলিংস এবং নগর বাউল :
ফিলিংসের যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই আশির দশকের শুরুতে- চট্টগ্রাম থেকে । শুরুতে এই ব্যান্ড কুমার বিশ্বজিৎ, আইয়ুব বাচ্চুও বাজাতেন । এহসাল এলাহি ফান্টি নামে একজন ব্যান্ডের মিউজিক অ্যারেঞ্জ করতেন। ১৯৮১ সালে ব্যান্ডে যোগ দেন নগরবাউল জেমস। চট্টগ্রামে শুরু হলেও একটা পর্যায়ে তারা ঢাকায় চলে আসেন। জেমসের জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ভেঙ্গে যায় ফিলিংস। জেমসের নিজস্ব ব্যান্ড নগর বাউল গড়া হয়। ফিলিংস ব্যান্ডে তখন অর্থহীনের সুমনও ছিলেন। ফিলিংস ভেঙ্গে হলো দুটো ব্যান্ড। জেমসের নগর বাউল ও সুমনের অর্থহীন। ফিলিংস ও নগর বাউলে এক সময় পান্থ কানাই ছিলেন ড্রামার হিসেবে। জেমসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ‘তান্ডব’ নামের ব্যন্ড গড়েন। বর্তমানে তিনি আছেন অর্নব অ্যান্ড ফ্রেন্ডসে।
আইয়ুব বাচ্চু ও এলআরবিঃ
আইয়ুব বাচ্চু এলআরবি ব্যান্ড গঠনের অনেক আগ থেকেই সংগীতের সঙ্গে জড়িত। তার নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সোলস ও ফিলিংস ব্যান্ডও। সোলস ব্যান্ড ছেড়ে ১৯৯১ সালে গঠন করেন পিউর রক ব্যান্ড এলআরবি ! দীর্ঘদিন একই সেটআপ ছিল। সেখান থেকে ক্রমাগত বের হয়ে আসে এস আই টুটুল , রিয়াদ, সুমন, মিল্টন আকবররা। এল আর বি চলছে তার নিজের নিয়মে। এস আই টুটুল পরবর্তীতে ‘ধ্রুবতারা’ নামে ব্যন্ড গঠন করেন। ২৬ বছর হয়ে গেল। এলআরবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে মাত্র দুজন এখনো টিকে আছেন আইয়ুব বাচ্চু আর স্বপন।
আর্ক ও হাসানঃ
আশিকুজ্জামান টুল ১৯৯১ সালে চাইম ব্যন্ড থেকে বের হয়ে গঠন করেন আর্ক। এই । এই অ্যালবামের বেশিরভাগ গানের কথা ও সকল গানের সুর ছিল প্রিন্স মাহমুদের করা । ১৯৯৬ সালে ব্যান্ডে যোগ দেন গায়ক হাসান। তারপর ৯০ দশকের শেষের দিকে পঞ্চম, হাসান ও আশিকুজ্জামান টুলুর আর্ক ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ২০০০ সালে হাসান ব্যান্ড ছেড়ে দিয়ে নতুন ব্যান্ড ‘স্বাধীনতা’ গঠন করেন ।২০০৪ সালে তিনি ‘জন্মভূমি’ নামের আরেকটি ব্যান্ড গঠন করেন। হাসান ঘোষনা দিয়েছিলেন আর্কে আবার ফিরে যাবেন। কিন্তু টুলু কানাডায় স্থায়ী হওয়াতে আর্ক কখনো নবচেতনায় আর ফেরেনি। পঞ্চম ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সংগীতায়োজনের কাজে।
ফিডব্যাক-মাকসুদ ও ঢাকা:
শুরুটা সত্তরের দশকে। শুরুটা হয়েছিল ইংলিশ গান প্রাকটিসের মাধ্যমে। এই ব্যন্ডে রয়েছে বেশ কয়েকজন পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ। মাকসুদ-ফুয়াদ নাসের বাবু-লাবু রহমান-পিয়ারু খান। ১৯৯৬ সালে ফিডব্যাক ছাড়েন মাকসুদ। মাকসুদ ও ঢাকা নামে নতুন ব্যান্ড করেন তবে ফিডব্যাকের মত জনপ্রিয়তা পায়নি ব্যান্ডটি। মাকসুদের বদলে এখন লুমিন ফিডব্যাকের ভোকাল হিসেবে আছেন।
ওয়ারফেজের ভাঙ্গা গড়া :
ওয়ারফেজের যাত্রা শুরু সেই ১৯৮৪ সাল থেকে। সেই লাইনআপের একমাত্র কমল ছাড়া বর্তমানে আর কেউ নেই। বর্তমান প্রজন্মের কারো হয়তো তাদের নামও জানা নেই। অধিকাংশই মনে করেন ওয়ারফেজের প্রথম ভোকাল সঞ্জয় কিন্তু এই ধারনাটি ভুল। তবে হ্যাঁ, সঞ্জয় ভোকালেই তাদের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ পায় এবং দর্শকদের চোখে পড়ে। ওয়ারফেজের প্রথম লাইনআপটি ছিল কমল(বেইস গীটার), হেলাল ( ড্রামস), মীর (গীটার), নাইমুল(গীটার), বাপ্পী(ভোকাল)। পরবর্তীতে মীর, হেলাল এবং বাপ্পী ব্যক্তিগত কারণে ব্যান্ড ছেড়ে দেন। এমন সময় কমল হাতে তুলে নিলেন লিড গীটার, বেইজ এ চলে এলেন বাবনা করিম, ড্রামে টিপু আর ভোকালে রাশেদ। এই লাইন আপটিও বেশী দিন স্থায়ী হলো না, নাইমুলও চলে গেলেন ইউএসএ। তখন সেইসময়ের আরেক জনপ্রিয় ব্যান্ড `ইন ঢাকা` এর মাসুক এবং ফুয়াড গেস্ট মেমবার হিসেবে সহায়তা করে ওয়ারফেজকে।
১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় তাদের তৃতীয় অ্যালবাম। এ অ্যলবামের পর ওয়ারফেজে আবার আসে পরিবর্তন। তাদের বেশ কিছু সদস্য চলে যান দেশের বাহিরে। বাবনা, কমল, সঞ্জয়, ফুয়াদ, টিপু, রাসেল। অনেকের মতে এটিই ছিল ওয়ারফেজের বেস্ট লাইন আপ।
এরপর বর্তমানে মাইলস ব্যান্ডের সদস্য হিসেবে পরিচিত জুয়েল এবং অর্থহীন ব্যান্ডের সুমন জয়েন করেন ওয়ারফেজে। সঞ্জয় ব্যক্তিগত কারনে মিউজিক ছেড়ে দেবার পর মিজানের কন্ঠে ওয়ারফেজ যেভাবে অসাধারন কিছু গান সৃষ্টি করেছে তার প্রশংসা করেছেন অনেক সংগীত বিশ্লেষকেরা।
মিজান তার সলো ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ভোকালে আসে বালাম। বলে রাখা ভালো বালামের সাথে ওয়ারফেজের সম্পর্কটা বেশ পুরনো। একটা সময় বালাম চলে গেলেন তার সলো ক্যারিয়ার নিয়ে। এসময় ওয়ারফেজ বেশ অস্থিতীশীল অবস্থায় ছিল। আর্টসেল ব্যান্ডের সেজানও বেশকিছু দিন ছিলেন ওয়ারফেজের সাথে। শুধুমাত্র ড্রামার টিপু ছাড়া সবারই বেশ পরিবর্তন হয়েছে ব্যান্ডে। পরবর্তীতে টিপু ব্যান্ডকে আবারও গুছিয়ে নিয়ে আসলেন। ব্যান্ড ভাইব থেকে অনি আর মেটাল মেইজ থেকে রজার জয়েন করলেন। অন্যদিকে কমল আবারও ফিরে আসলেন দেশে, মিজানও আবার জয়েন করলেন। মিজান নানা কর্মে দল থেকে বহিস্কিত হন। মিজানের পরে রেডিও অ্যাক্টিভের সাবেক ভোকাল পলাশ ওয়ারফেইজে ভোকাল হিসেবে যোগ দেন।
মাইলস
শুরুটা আশির দশকের প্রথমে। ২০১০ সালে ব্যান্ড থেকে বের হয়ে যান শাফিন আহমেদ। ব্যান্ডের দুই সদস্য শাফিন হামিনের দ্বন্দ্বের বিষয়টা সামনে আসে। ‘রিদম অব লাইফ’ নামে নতুন একটা ব্যান্ডও করেছিলেন শাফিন। তবে অভিমানটা খুব বেশিদিন থাকেনি। ওই বছরই মাইলসে ফেরত আসেন শাফিন। মাইলসের লাইন আপ এখনও অটুট আছে হামিন-শাফিন-মানাম-তূর্য-জুয়েল লাইনআপে।
‘বাংলা’ ভেঙ্গে ‘প্রেয়ার হল’, ‘অর্নব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’:
অর্নব , আনুশেহ , বুনো মিলে বেশ আলোড়ন তুলছিলো ‘বাংলা ব্যন্ড’। বেশ কিছু জনপ্রিয় গান পাওয়া গেছে। আনুশেহ- বুনো বিয়ে করে। কিন্তু সে বিয়ে টিকলো না। অর্নবও সলো ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। মাঝখানে ‘প্রেয়ার হল’ নামে নতুন একটি ব্যান্ড গঠন করে। সে ব্যান্ড থেকে অ্যালবামও প্রকাশ করে। কিন্তু সে ব্যন্ডও টিকেনি। পরবর্তীতে অর্নব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস চলছে অনেকদিন ধরে। সেখানে অর্নবের পাশে আছে বুনো ও পান্থ কানাই।
ব্ল্যাক-তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ-ইন্দালো:
১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু হওয়ার পর বেশ জনপ্রিয়থা পেয়েছিল ব্যান্ডটি। জন-জাহান-টনি-তাহসান-মিরাজ লাইন আপের সবাই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু ভেঙ্গে গেল। সলো ক্যারিয়ারের টানে তাহসান বেরিয়ে যান, সেটা অনেকদিন আগের গল্প। রোড অ্যাকসিডেন্টে আহত হয়ে ব্যান্ড, গান দুটোই ছাড়েন মিরাজ। জন কিছুদিন আগে বেরিয়ে গিয়ে ‘ইন্দালো’ নামের ব্যান্ডে করেন। তাহসানও ব্যান্ড গড়েছিলেন ‘তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ’। তবে তার কার্যক্রম খুব বেশি চোখে পড়েনি। টনি আর জাহান নিজের কাজে ব্যস্ত। ব্যান্ড থাকলেই সেই আগের স্বাধটা তো নেই।
আর্টসেল
ব্লাক ও আর্টসেল প্রায় একই সময়ে জন্ম নেয়। আর্টসেলের খোঁজ খবর নেই। লিঙ্কন-এরশাদ-সাজু-সেজান কেউই ব্যান্ড ছাড়েনি। তবে তাদের কার্যক্রম অনেকদিন থেকেই বন্ধ। মাঝেমধ্যে লিঙ্কন পুরনো গানগুলো গেয়ে ইউটিউবে ছাড়ে।
চিরকুট:
২০০২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি বেশ নাম করেছিল। বনিবনা না হওয়াতে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পিন্টু গতবছর ব্যান্ড ছেড়ে দেয়। কিন্তু তাতে জনপ্রিয়তার কোন কমতি পড়েনি। ভোকাল ও দলনেতা সুমিসহ লাইন আপে আছেন ইমন-দিদার-পাভেল।
শিরোনামহীন:
বর্তমান সময়ে ব্যন্ড সংগীতের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ‘শিরোনামহীন’ থেকে তুহিনের চলে যাওয়া। এ নিয়ে তুহিন ও ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্যদের কাদা ছোঁড়াছুড়ি চলছে। দেখার বিষয় আসলেই কি ভেঙ্গে যাচ্ছে ব্যান্ড।
দূরবীন:
এ ব্যান্ডেরও প্রায় পনেরো বছর বয়স হয়ে গেল। ব্যান্ডের অন্যতম দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কাজী শুভ ও আরেফিন রুমি ব্যান্ড ছেড়ে দেন। তবে দলনেতা ও ভোকাল শহীদ আছেন আগের মতোই। তার সঙ্গে আরও ছয় তরুন আছেন। শুরুর দিককার সদস্য আইয়ূব শাহরিয়ারও আছেন এখনও।
বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি চিত্রনায়িকা বুবলী ও শাকিব
খানের ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনে সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যমে বুবলীর একটি স্ট্যাটাসকে
কেন্দ্র করে পরী
ও বুবলীর মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা যায় সোস্যাল মিডিয়ায়। দুজনের একের পর এক স্ট্যাটাস ও পাল্টা
স্ট্যাটাস তর্কযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ফেসবুক।
এদিকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ছেলে শামসুদ্দিন ফারিশের প্রথম জন্মদিন আজ। তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরী মনি। লিখেছেন, ‘হ্যাপি বার্থডে মানিক চাঁদ আমাদের। তুমি মায়ের চোখের মণি হয়ে থাকো ফারিশ বাবা। আমরা সবাই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’
গত মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন মাহি। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে আলাদাই থাকছেন এই
নায়িকা। ছেলেকে নিয়েও ফেসবুকে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। এখন নিজের লুক
বদলাচ্ছেন অভিনেত্রী। ব্যস্ত হয়েছেন ক্যারিয়ার নিয়ে। এরই মধ্যে পর্দায় ফেরার প্রস্তুতি
নিয়েছেন তিনি।
পর্দায় ফেরা প্রসঙ্গে মাহি বলেন,
ভালো প্রস্তাব পেলে আর ফিরিয়ে দেবেন না। এর কারণও অবশ্য রয়েছে। বিয়ের পর বেশ কিছু সিনেমার
প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে এখন ক্যারিয়ারে মন দিতে
চান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর
গাজীপুরের রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন তিনি। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের ফারিশ নামে
এক বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে স্বামী রাকিব
সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের
ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাহি। পাঁচ বছর সংসারের পর বিচ্ছেদ
হয় তাদের।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি বেশ ঢাকঢোল বাজিয়ে বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা
ফারহান আহমেদ জোভান। সেই বিয়েতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী সাফা কবির।
অথচ এখন শোনা যাচ্ছে তাদের ‘অনন্ত প্রেম’র গুঞ্জন!
সদ্য দুজনেই জুটি বেঁধে শেষ করেছেন ‘অনন্ত প্রেম’-এর শুটিং। আসছে
ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে বিশেষ এই নাটকটি লিখেছেন ও বানিয়েছেন মহিদুল মহিম।
নাটকটির নিয়ে নির্মাতা জানান, ‘এই গল্পের নায়ক জিসান। কক্সবাজারে
নিজের দোকানে বসে কেক তৈরি করে এবং বিক্রি করে। ছোটবেলায় জিসানের মা মারা যায়। তার
মা-ও খুব ভালো কেক তৈরি করতো। তাই মায়ের স্মৃতি ধরে রাখতেই জিসান কেকের বিজনেস করার
সিদ্ধান্ত নেয়।
গল্পের নায়িকা স্নেহা। জিসানের কেক রেস্টুরেন্টে আসে। স্নেহার শখ
ছবি তোলা। খুব সুন্দর পোশাক পরে সাজানো রেস্টুরেন্টে জিসানকে কেক বানাতে দেখে মুগ্ধ
হয়ে ছবি তোলে স্নেহা। আর সুন্দরী স্নেহার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় জিসান।’
নির্মাতা আরও বলেন, ‘বুঝতেই পারছেন, গল্পের এই পর্যায়ে জিসান-স্নেহা
প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করে। গল্পটা মূলত শুরু হয় এখান থেকে। ক্রমশ জড়ায় পারিবারিক
জটিলতায়। শেষটা জানতে দেখতে হবে ঈদ উৎসবে পুরোটা।’
‘অনন্ত প্রেম’ নাটকটি সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে আসছে ঈদ উৎসবে মুক্তি
পাবে।
অনন্ত প্রেম জোভান আহমেদ সাফা কবির
মন্তব্য করুন
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সদ্যই টিকিট পেয়েছেন বলিউডের আলোচিত
অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির হয়ে আসন্ন নির্বাচনে লড়বেন অভিনেত্রী।
এরই মধ্যে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়ে গেছেন তিনি। যদিও বলিউডে অনেকটাই নড়বড়ে অবস্থায়
রয়েছেন কঙ্গনা।
একের পর এক ফ্লপ সিনেমার পর অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার নিয়েই সংশয় দেখা
দিয়েছে। তবে কঙ্গনার মতে, খারাপ সময় যতই যাক, আবারও সাফল্যের ধারায় ফিরবেন
তিনি। সেই সঙ্গে নিজেকে শাহরুখ খানের সঙ্গে তুলনা করে তারকাদের জেনারেশনের
‘শেষ তারকা’ হিসেবেও দাবি করলেন কঙ্গনা।
সম্প্রতি ‘টাইমস নাও সামিট’-এ উপস্থিত ছিলেন কঙ্গনা। সেখানেই বিভিন্ন
কথোপকথনে নিজেকে এবং শাহরুখ খানকে তারকাদের শেষ প্রজন্ম বলে মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম
দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
কঙ্গনা বলেন, ‘আমি এবং শাহরুখ খান তারকাদের শেষ প্রজন্ম। ওটিটি
কখনো তারকা তৈরি করতে পারে না। আমরা পরিচিত মুখ। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমাদের অনেক চাহিদা
রয়েছে। শুধু টিকে থাকার জন্য ওটিটিতে আসতে পারব না।’
গত কয়েক বছরে একের পর এক সিনেমা বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছে কঙ্গনার।
নিজের ব্যর্থ সিনেমা প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, “পৃথিবীতে এমন কোনো অভিনেতা নেই, যার ফ্লপ
সিনেমা নেই। শাহরুখ খানের ১০ বছর কোনো হিট সিনেমা ছিল না।
কিন্তু ‘পাঠান’ বক্স অফিসে হিট হয়। ৭-৮ বছর আমার কোনো হিট সিনেমা
ছিল না। কিন্তু ‘মণিকর্ণিকা’ বক্স অফিসে হিট হয়। এরপর তিন-চার বছর কোনো হিট সিনেমা
উপহার দিতে পারিনি। এবার ‘ইমার্জেন্সি’ আসছে, আশা করছি এটি ভালো সাড়া ফেলবে।”
সর্বশেষ কঙ্গনাকে দেখা গেছে ‘তেজাস’-এ। গত বছরের ২৭ অক্টোবর মুক্তি
পায় সিনেমাটি। ৭০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে। আয় করে মাত্র
সাড়ে ৫ কোটি রুপি। সামনে অভিনেত্রীকে দেখা যাবে ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমায় ইন্দিরা গান্ধীর
চরিত্রে। এটি পরিচালনাও করছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভোটের মাঠেও সরব হচ্ছেন অভিনেত্রী।
শাহরুখ খান কঙ্গনা রানাওয়াত বলিউড
মন্তব্য করুন
সৌদি ইউনিভার্স মঞ্চ পতাকা রুমি আলকাহতানি
মন্তব্য করুন
এবার সৌদি আরবের পতাকা হাতে মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে দেখা যাবে এক
২৭ বছর বয়সী মডেলকে। ইতিহাসে তিনিই প্রথমবার সৌদির পতাকা হাতে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার
এই মঞ্চে উঠতে যাচ্ছেন।
রুমি আলকাহতানি নামের ওই মডেলের ইন্সটাগ্রামে অনুসারীর সংখ্যা ১০
লাখ। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, তিনি বিশ্ব সুন্দরীদের মঞ্চে তার দেশকে উপস্থাপন করতে
যাচ্ছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘আমি মিস ইউনিভার্স ২০২৪ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে
সম্মানিত বোধ করছি। এই প্রতিযোগিতায় এটাই সৌদি আরবের অভিষেক।’
এই ছবির সাথেই তিনি সৌদি আরবের পতাকাসহ নিজের ছবি প্রকাশ করেছেন।
আলকাহতানি রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি এর আগেও বেশ কয়েকটি সুন্দরী
প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন