নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৭
অভিনয় শিল্পীদের জন্য দিনশেষে অভিনয়টাই মুখ্য, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। শিল্পগুণ ছাড়া টিকে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু সেই কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে যখন কেউ অশ্লীলতায় মাতে, তখন তাকে কী বলবেন?
একটা সময়ে বাংলা চলচ্চিত্র ঢেকে গিয়েছিল অশ্লীলতার ছায়ায়। পরিচালক থেকে অভিনয়শিল্পী মেতেছিল অশ্লীলতায়। কিন্তু অমানিষা কেটে যায়। সুস্থ ধারার সিনেমা ফিরে আসে। অশ্লীল সিনেমার নায়ক নায়িকারা চলচ্চিত্রে নিষিদ্ধ হলেন। কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন। মিডিয়ায় তো নেই। মিডিয়ার বাহিরেও তাঁদের নিয়ে নেই কোনো আলোচনা। কোনোভাবে খোঁজ নেওয়াও সম্ভব হয় না। অশ্লীলতার জন্য বেশি সমালোচিত হয়েছেন মুনমুন, ময়ূরী, পলি, ঝুমকা, শাপলা, সাহারা, নাসরিন প্রমুখ। একসময় দেশবাসীর দাবির মুখে সরকার ও এফডিসি অশ্লীলতা রুখতে সক্রিয় হয়। সেই সব অশ্লীল যুগের অভিনয়শিল্পীরা এ প্রজন্মের জন্য নিশ্চয়ই একটা শিক্ষা হয়ে আছেন। অভিনয়ের বাইরে দেহ প্রদর্শন করার যে চল শুরু হয়ছিল। তা নেই বললেই চলে। আর সেসব সিনেমা বন্ধের অনেক গুলো কারণের মধ্যে দর্শকের প্রত্যাখ্যান অন্যতম।
তবে অশ্লীলতা ফিরছে নতুন মোড়কে। এবার এর নাম সাহসিকতা। ঢাকাই চলচ্চিত্রেও ইদানিং সেই অশ্লিলতা নতুন রূপ নিয়েছে। সাহসী হওয়ার একটা প্রবণতা চলে আসছে এ প্রজন্মের নায়িকাদের মধ্যে। খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করলেই নাকি নায়িকা সাহসী! অনেক নায়িকাকেই বলতে শোনা যায় ‘চরিত্রের প্রয়োজনে অভিনয়ে খোলামেলা হতে আপত্তি নেই।’
বলিউডের আদলে ঢাকাই চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আইটেম গান। কেউ কেউ আইটেম গানে অভিনয় করেই সিনেমায় নায়িকার মর্যাদা পেয়ে যাচ্ছেন। মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে কাভারেজও হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে টানা যায় ‘রান আউট’ সিনেমাকে। সিনেমাটিতে আইটেম গানে নেচেছেন বিতর্কিত মডেল নায়লা নাঈম। অদ্ভূত হওয়ার মতো বিষয়, পরিচালক সিনেমাটির পোস্টার করা হয় সেই আইটেমকে প্রাধান্য দিয়ে।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ সিনেমার আইটেম গানে নির্মাতাদের প্রথম পছন্দ বিপাশা কবির। তিনি খোলামেলা অভিনয়ে খুবই সাবলীল। পরমনী বেশ কিছু সিনেমায় অশ্লীলতা দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।
সিনেমার পাশপাশি নায়িকারা স্যোসাল মিডিয়াতেও বেশ সাহসী। খোলামেলা ছবি পোষ্ট করছেন তারা। অনেকে মজা বলছেন আমাদের নায়িকারা বেশ সাহসী হয়ে উঠছেন। আবার কারো মন্তব্য এভাবে চলতে থাকলে আমাদের সিনেমা সেই অশ্লীলতার যুগেই ফিরে যাবে।
অনেকেই মনে করেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে লাগে অভিনয় গুণ। খোলামেলা হলেই টিকে থাকা যায় না। বরং অভিনয়ের প্রতি আস্থা কম থাকলে এ ধরনের কথা বলে অনেকেই আলোচনায় আসতে চান।’
অশ্লিলতা কাটিয়ে যারা আজ চরিত্রের প্রয়োজনে খোলামেলা হচ্ছেন। তাদের চাহিদাও ক্রমশ বাড়ছে। আর এভাবে কী দর্শক ধরে রাখা সম্ভব?
পরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমার মনে হয় পর্দায় অশ্লীলতা দেখতে বরং দর্শক অনাগ্রহী। পরিচালকরা যে উদ্যেশ্যে কাটপিস কিংবা অশ্লীলতা নিয়ে আসতে চাচ্ছে। সেটা কখনোই সফল হবে না। এইতো সেদিন একজনকে বলতে শুনছিলাম পোস্টারে যেমন অশ্লিলতা শুরু হয়েছে। সেখানে ছবি দেখার আর আগ্রহ নেই। বরং অশ্লিল সিনেমা দেখার আগে ভাবতে হয় এইটা দেখবে কিনা। যদি কেউ দেখে ফেলে সে অশ্লীল সিনেমা দেখছে। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হবে। বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতাকে মেনে এ দেশের সিনেমা নির্মাণ হওয়া উচিত।’
সিনেমার প্রচারণায়ও দেখা গেছে বিতর্ক উস্কে দেওয়ার চালাকি। অনেকে আজকাল সিনেমার পোস্টারে লিখে দেয় ‘১৮+’। অথচ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে গ্রেডিং সিস্টেম এখনো চালু হয়নি। ফলে এটাকেও প্রচারণার বাণিজ্যিক কৌশল বলে মনে করছেন অনেকে।
তরুণ সংস্কৃতিকর্মী সামিউল বলেন, ‘হলিউড-বলিউডের সিনেমায় গোসল কিংবা বিছানার দৃশ্য থাকে। কিন্তু সেগুলো উপস্থাপনটা ভাল লাগে। কিন্তু বাংলাদেশের এগুলো না চরিত্রের প্রয়োজনে, না দর্শক ধরে রাখার জন্য। শুধুমাত্র প্রযোজক টাকা কামানোর জন্য। তাতে বরং দর্শক কমছে হলে।
‘আজব প্রেম’ সিনেমায় বাপ্পী-আঁচলকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে সেটাকে অশ্লীলতা ছাড়া কিছুই বলা যাবে না। দর্শক ধরে রাখার বিপরীতে দর্শক আরও হল বিমুখ হচ্ছে’
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ
সম্পাদক পদে লড়াই করছেন অভিনেত্রী নিপুন আক্তার। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই
নিজ প্যানেল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আছেন তিনি।
এবার তার বিপরীতে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন শক্তিশালী
প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তবে নিজের জয়ে শতভাগ আশাবাদী এই অভিনেত্রী। যদিও গতবার
নির্বাচনে জায়েদ খানের বিপক্ষে ১৩ ভোটে হেরেছিলেন নিপুন।
নিপুন বলেন, ‘ডিপজলকে নিয়ে ভয় কাজ করছে না। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করতে আমার কোনো ভয় নেই। তিনি একজন ভালো মনের মানুষ। তাই তাকে নিয়ে আমার আলাদা কোনো
ভয় নেই।’
নির্বাচনের নিরাপত্তা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিপুন বলেন, ‘এবার
ভোটার উপস্থিতি আগেরবারের তুলনায় অনেক কম। শিল্পীরা সবাই আসছে আস্তে আস্তে আসছেন। তবে
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। আর নিরাপত্তার কথা যদি বলি, তাহলে
বলবো ঠিক আছে। কারণ এখানে সবাই শিল্পী, জাতীয় তারকা। তাদের নিরাপত্তায় এমনটা থাকবে
এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি
কম। ভোট শুরুর আগে থেকে প্রার্থীরা উপস্থিত হলেও, ভোটারদের উপস্থিতি তেমন একটি দেখা
যায়নি।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন প্রযোজক নেতা
খোরশেদ আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান। শুক্রবার সকাল
৯ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।
এবারের নির্বাচনে দুই প্যানেলের একটিতে আছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আর অন্যটিতে একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তার।
এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা
নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।
এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ডিপজল নিপুন নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রাশ্মিকা
মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ
ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান।
সম্প্রতি
আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই
ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে,
আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক
দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে
অংশ নিয়েছেন।
২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আমির
খানকে ‘জুমলা’র থেকে সতর্ক
থাকতে বলতে দেখা গেছে।
আমিরের অফিসের দাবি, অভিনেতার মুখ মর্ফ করে
ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি
এমন কোনও প্রচার ভিডিও
শুট করেননি।
আমির
খানের অফিসের পক্ষ থেকে বিবৃতি
দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩৫ বছরের বলিউড
ক্যারিয়ারে আমির খান কখনও
কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার
করেননি। আমিরের অফিস থেকে অভিযোগ
পেতেই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ (অন্যকে নকল
করা), ৪২০ (প্রতারণা) সহ
একাধিক ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি
আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিপফেক ভিডিও রাজনৈতিক প্রচার মামলা আমির খান
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ
শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ
শুরু হয়।
ভোটগ্রহণ চলাকালীন দুপুরে বিরতি দিয়ে ফের ভোট শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটা
পর্যন্ত চলবে। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এবারের নির্বাচনে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি
প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১। মিশা সওদাগর ও মনোয়ার
হোসেন ডিপজল প্যানেল ও মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার প্যানেল
এরই মধ্যে নির্বাচনের সব আয়োজন শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীও প্রস্তুত। সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা ও ফলাফল ঘোষণার স্বার্থে সকাল
থেকে ভোটের ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত মূল ফটক থেকে এফডিসির বিভিন্ন জায়গায় প্রায় আড়াইশ
পুলিশ সদস্যসহ সাদা পোশাকে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিতি রয়েছেন।
এ ছাড়াও ভোটকে আরও নিরবচ্ছিন্ন করতে এফডিসির বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি
আরও ৩১টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন প্রচারণা
নিষিদ্ধ থাকলেও সারা দিনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রার্থী ও ভোটারদের আনাগোনা দেখা গেছে এফডিসিতে।
এদিকে নির্বাচন কমিশননের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে
৫৭১ জন ভোট দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রাশ্মিকা মন্দানা থেকে ক্যাটরিনা কাইফসহ ডিপফেকের শিকার হয়েছেন বলিউডের একাধিক অভিনেত্রী। তাদের সাথে এবার যোগ হলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। সম্প্রতি আমির খানের একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, আমির একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়েছেন।