নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ১৭ জুন, ২০২১
চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলার এজহারের বর্ণনার সঙ্গে পরীমনি বক্তব্যের মিল পাচ্ছন না তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঘটনার দিন রাতের সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজর চুল চেরা বিশ্লেষণ চলছে। ঘটনার দিন রাতে ঢাকা বোট ক্লাবের দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে প্রাথমিক তদন্তে বোট ক্লাবের ঘটনার সঙ্গে পরীমণির অভিযোগের অনেক অমিল খুঁজে পাচ্ছেন তারা।
পরীমণি সাভার থানায় দায়ের করা মামলায় বলেছেন, সেই রাতে পূর্ব পরিচিত অমিসহ কয়েকজন পরিকল্পিতভাবে দুই মিনিটের কাজ আছে বলে পরীমণিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে নিয়ে যান। সেখানে তারা গাড়িতে অপেক্ষা করেন। ছোট বোন বনির প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ায় তারা বারের পাশের একটি টয়লেট ব্যবহার করতে ভেতরে প্রবেশ করেন। কিন্তু ঢাকা বোট ক্লাবের প্রবেশ পথ ও অভ্যর্থনা কক্ষে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বোট ক্লাবের সামনে গাড়ি এসে থামার সঙ্গে সঙ্গেই স্বাভাবিকভাবেই পরীমণি ও তার সঙ্গীরা ক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করেন। পরীমণি ক্লাবে প্রবেশ করেন ১২টা ২২ মিনিটে, আর ক্লাব থেকে তাকে ধরাধরি করে বের করা হয় ১টা ৫৯ মিনিটে।
রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে অমি বলেছেন, তারা ক্লাবের ভেতরে গিয়ে নাসির ইউ মাহমুদসহ একসঙ্গে মদ পান করেন। শেষে একটি বোতল নেওয়া নিয়ে প্রথমে একজন কর্মচারীর সঙ্গে পরীমণি বিতণ্ডা করেন। সেই বিতণ্ডায় যোগ দেন নাসির ইউ মাহমুদসহ আরও কয়েকজন। এছারাও, ঢাকা বোট ক্লাবে যাওয়ার আগে পরীমণির বনানীর বাসায় বসেই এক বোতল মদ পান করেন তারা সবাই। এসময় বাসাতে নাট্যপরিচালক চয়নিকা চৌধুরীও ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অমি।
গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অমি স্বীকার করেছেন, মদ্যপ অবস্থায় নাসির ইউ মাহমুদ পরীমণিকে কয়েকটি চড় দিয়েছিলেন। এসময় মেঝেতে পড়ে যান পরীমণি। মদ্যপ থাকায় পরীমণিকে তারা ধরাধরি করে গাড়িতে এনে তোলেন। তিনি দুই পক্ষকেই ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করেছেন। ঘটনার পর পরীমণিকে একাধিক ক্ষুদেবার্তাও পাঠানো হয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদে চড় দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন নাসির ইউ মাহমুদ।
ঢাকা বোট ক্লাবের ওই ঘটনায় পরীমণির সঙ্গে থাকা কস্টিউম ডিজাইনার জিমি বিতণ্ডার সময়ের ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও করেছিলেন। সেই ভিডিওতে চিৎকার-চেঁচামেচির সময়ে নাসির ইউ মাহমুদকে বলতে শোনা যায়, `অমি তুমি এগুলাকে আর ক্লাবে আনবা না।`
অপরদিকে মামলার এজাহারে পরীমণি অভিযোগ করেন, বোট ক্লাবে বারের টয়লেট ব্যবহার শেষে নাসির তাকে কফি খাওয়ার অফার করেন। বিষয়টি এড়িয়ে গেলে নাসির মদের বোতল তার মুখে ঠেসে ধরেন। এতে তিনি দাঁত ও ঠোটে ব্যথা পান। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পরীমণির সঙ্গে কথা বলবেন। এমনকি আলাদা আলাদা করে তার সঙ্গীদের সঙ্গেও কথা বলা হবে।
এদিকে এজাহার দায়েরের আগে বাসায় সংবাদ সম্মেলন ও গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরীমণি বলেছেন, তাকে পানীয়র সঙ্গে জোর করে কিছু খাওয়ানো হয়েছিল। যাতে তার গলা ও বুক জ্বলছিল। সেটির কারণেই ঘটনার দিন রাতে বনানী থানায় গিয়ে তিনি অসংলগ্ন আচরণ করেছিলেন।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী দুই দিন আগে গণমাধ্যমে বলেন, `৮ জুন রাত সাড়ে তিনটার পর পরীমণি বনানী থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে চান। কিন্তু তিনি অপ্রকৃতিস্থ থাকায় ও অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় পুলিশের একটি দল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। পরদিন তাকে সুস্থ হয়ে থানায় আসতে বলা হয়। কিন্তু তিনি পরদিন আর থানায় আসেননি।`
এদিকে নতুন করে প্রশ্ন তৈরী করছে গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুরের ঘটনা। তাছাড়া এদিন তার সঙ্গে সেই ব্যক্তি সাবেক প্রেমিক তামিম হাসানও ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। তাছাড়া পরীমনির বাসায় বিদেশি মদ থাকার খবরও শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন গনমাধ্যমে। এই জলঘোলা পরিস্থিতিতে এবার প্রশ্নবিদ্ধ হতে শুরু করেছে পরীমনির অভিযোগ। এখন তদন্তের চুড়ান্ত ফলাফলে জল কোনদিকে গড়াবে সেটাই দেখার পালা।
মন্তব্য করুন
দেশের
সিনেমাপ্রিয় দর্শক মানসম্মত নতুন ছবি মুক্তির জন্য মুখিয়ে থাকেন। ঈদে মুক্তি পাওয়া
ছবি মানেই এ ঈদ আনন্দ বহুগুণে বেড়ে যাওয়া। প্রদর্শকরাও
আগ্রহ নিয়ে ঈদের ছবির জন্য অপেক্ষার প্রহর গোনে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
দেশে বর্তমানে উদ্বেগজনক হারে সিনেমা
হলের সংখ্যা কমলেও প্রযোজকদের ছবি মুক্তি দিতে বেশ দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। এবার দেশের
শতাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ১১ টি ছবি। দেশীয় চলচ্চিত্রের দুর্দিনে এটি অবশ্যই বড় ধরনের প্রাপ্তি।
এবারের
ঈদে মুক্তি পাওয়া ১১ টি ছবি হলো, রাজকুমার, কাজলরেখা, ওমর, দেয়ালের দেশ, জ্বীন-২, আহারে জীবন, লিপস্টিক, সোনার চর, গ্রিণ
কার্ড, মায়া
দ্য লাভ ও মেঘনা কন্যা।
রাজকুমার
ঈদের ছবি হিসেবে বাণিজ্য ও দর্শকপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছে হিমেল আশরাফ পরিচালিত শাকিব খান অভিনীত ‘রাজকুমার’। এ ছবির গল্পের বিভিন্ন অংশ দর্শককে আবেগাপ্লুত করছে, শাকিবের অভিনয়ও পাচ্ছে ভূয়সী প্রশংসা। ফলে স্টার সিনেপ্লেক্সসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে উল্লেখযোগ্য দর্শক সমাগম হচ্ছে। ঈদে সর্বাধিক ১২৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘রাজকুমার’। সিনেমাটি দর্শকের সাড়াও পাচ্ছে বেশ।দর্শক চাপে আগের শোর সঙ্গে সনি স্কয়ারে একটি, বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে দুটি এবং রাজশাহীতে বাড়ানো হয় একটি শো। সব মিলিয়ে সিনেপ্লেক্সে ‘রাজকুমার’ সিনেমার মোট শো দাঁড়ায় ১৭টি। অন্যদিকে ঐতিহ্যবাহী হল মধুমিতার কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বললেন, তার মধুমিতাতে শাকিব খানের ছবি মানেই উৎসবের আমেজ। সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোতে শাকিব খানের ছবি দিয়েই দুই পয়সা আয়ের মুখ দেখছে।
সোমবার সকালে সামাজিকমাধ্যমে শাকিব খান লিখেছেন-
‘অবিরামভাবে মিলিয়ন মিলিয়ন ভালোবাসা পাচ্ছে ‘রাজকুমার’। প্রিয় দর্শকদের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। সবাইকে ভালোবাসা।’
ওমর
সিনেমা হল সংখ্যায় দ্বিতীয় জায়গাটি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ নির্মিত ‘ওমর’
এর দখলে। ২১টি হল পেয়েছে ছবিটি। জানা গেছে, প্রেক্ষাগৃহের
মতো দর্শক সাড়ায়ও ‘রাজকুমার’ এর
পরেই অবস্থান করছে এটি। বিশেষ করে ছবিটির গল্প দর্শক-সমালোচকদের মুগ্ধ করছে। সিঙ্গেল স্ক্রিনে খুব একটা সুবিধা না করতে পারলেও মাল্টিপ্লেক্সে অগ্রিম
টিকিট বিক্রিতে রাজকুমারের পরেই ওমরের অবস্থান বলে জানিয়েছেন সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। ওমর সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন- শরিফুল
রাজ, শহিদুজ্জামান
সেলিম, নাসির
উদ্দিন খান ও দর্শনা বণিক।
মোনা: জ্বীন টু
সিনেমা হল মালিকদের কথায় বেশ সরব অবস্থানে রয়েছে ‘মোনা
: জ্বীন টু’ ছবিটি। তবে সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল মিলিয়ে ৮ পর্দায় চলছে ছবিটি। এ ছবির প্রযোজক জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, ‘ছবিটির
সাফল্য আমার প্রত্যাশার শতভাগেরও বেশি ছাড়িয়ে গেছে। টিকিট সেলের দিক থেকে এ ছবিটি এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। প্রতিটি হলে টিকিট অগ্রিম সোল্ড আউট হয়ে যাচ্ছে, যা ঈদের অন্য কোনো ছবির বেলায় নেই। মোনা: জ্বীন
টুর অ্যাডভান্স টিকিটি সেলিং আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। সবচেয়ে বড় কথা দর্শক পরিবার নিয়ে বারবার ছবিটি দেখছে।’
সোনার চর
জায়েদ খান অভিনীত সোনার চর ঈদে সাতটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। জাহিদ হোসেন পরিচালিত এ ছবিটি সন্তোষজনক ব্যবসা করছে বলে দাবি ছবির নায়ক জায়েদ খানের। তিনি বলেন, ‘ঈদে ছবিটি আমার প্রত্যাশার শতভাগ পূরণ করেছে। কারণ দর্শক বলছে এতে প্রকৃত একজন অভিনেতা হিসেবে জায়েদ খানকে খুঁজে পেয়েছেন তারা। আমি আমার প্রিয় ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আহারে জীবন
ছটকু আহমেদ পরিচালিত ফেরদৌস ও পূর্ণিমা অভিনীত ‘আহারে
জীবন’ ছবিটি ঈদে দর্শকদের মুগ্ধ করলেও সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে দর্শক প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে আক্ষেপ নির্মাতার। তিনি বলেন, এমন
শোয়ের টাইম বেঁধে দেওয়ায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দর্শকরা আমার ছবিটি তেমনভাবে দেখতে পারেনি।
এটি কমার্শিয়াল ছবি নয়
বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কাজলরেখা
বাংলা
লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ অবলম্বনে
নির্মিত হয়েছে ‘কাজলরেখা’। কেবল
দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছে সবচেয়ে বেশি মূল্যের ভিআইপি হলে চলছে ‘কাজলরেখা’। তারপরও দর্শকদের ভিড় খারাপ নয়। কাজলরেখার অনেক শো হাউসফুল গিয়েছে।
এ ছবির পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম জানিয়েছেন,
‘এই ছবি যারা দেখছেন তারা রূপকথার যে গল্প শুনে আসছিলেন তার সঙ্গে কানেক্ট করতে পারছেন। যারা দেখছেন তারা সবাই তৃপ্ত হয়ে হল থেকে বের হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত সিনেমাটির কোনো নেতিবাচক রিভিউ পাইনি।’ সিনেমাটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- মন্দিরা
চক্রবর্তী, রাফিয়াত
রশিদ মিথিলা, সাদিয়া
আয়মান, শরীফুল
রাজ, খায়রুল
বাসার, গাউসুল
আলম শাওনসহ আরও অনেকে।
দেয়ালের দেশ
মিশুক মনি নির্মিত ‘দেয়ালের দেশ’ নিয়েও
প্রত্যাশা ছিল অনেকের। কিন্তু
মুক্তির পর সেই প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমীকরণ মেলেনি সেভাবে।
এছাড়াও ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত ‘মেঘনা কন্যা’, জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালিত ‘মায়া : দ্য লাভ’, কাজী হায়াতের ‘গ্রিন কার্ড’, ছবিগুলো এভারেজ দর্শক টানছে বলে জানান সিনেমা হল মালিকরা।
ঈদে সিনেমা সিনেপ্লেক্স হাউজ ফুল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শবনম বুবলী শাকিব খান অপু বিশ্বাস
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি ছোড়ার ঘটনা
ঘটেছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) এই ঘটনার পরই মঙ্গলবারই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার
করেছে মুম্বাইয়ের অপরাধ দমন শাখা। মুম্বাই পুলিশের বিশেষ টিম গুজরাটে গিয়ে দুই অভিযুক্তকে
গ্রেপ্তার করে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত দুজনের নাম ভিকি গুপ্তা (২৪) ও সাগর পাল (২১)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই যুবকই বিহারের চম্পারণের। দুজনই শ্যুটার
হিসেবে কুখ্যাত। তাদের বিরুদ্ধে হার ছিনতাই, চুরির মতো একাধিক অপরাধের অভিযোগ
রয়েছে।
এদিকে গুলি চালানোর ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তারের পরেই মঙ্গলবার
বিকেলে সালমানের ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টেমন্টে’ যান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ
শিণ্ডে।
বলিউ ভাইজানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি
হয়ে জানান, গোটা ঘটনায় মুম্বাই পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি সালমানসহ তাঁর গোটা
পরিবারকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। এই মর্মে মুম্বাই পুলিশ কমিশনারকে
ইতিমধ্যেই দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিণ্ডে।
এর আগে একাধিকবার হত্যার হুমকি পেয়েছেন সালমান খান। গত বছর ন্যাশনাল
ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে সালমান খান ১০টি গ্যাংয়ের
টার্গেট তালিকায় শীর্ষে আছেন। যার মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর
নামও। ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসায়র হরিণ শিকারের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল সালমানের। তার পর থেকেই
তিনি চলে আসেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের নজরে।
এর আগেও তারা সালমান খানকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন। বিষ্ণোই এর আগেও বলেছিল যে তার বন্ধু সম্পাত নেহরা সালমান খানের বান্দ্রার বাড়ির দিকে নজরদারি চালিয়েছে। সালমানকে প্রাণে মারার জন্য সঠিক উপায় তৈরির জন্য খোঁজ চালাচ্ছিল সে। হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের হাতে ধরা পড়ে নেহরা। আপাতত সে-ও রয়েছে কারাগারে।
২০২২ সালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে হুমকিমূলক চিঠি পেয়েছিলেন সালমান
খান। যেখানে তাকে ও তাঁর বাবা সেলিম খানকে মেরে ফেলার কথা লেখা হয়েছিল। এমনকি কানাডাভিত্তিক
পলাতক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল, সালমান খান রয়েছেন তাদের
হত্যা তালিকায়। গোল্ডি সেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল লরেন্সের কথা।
বলেছিল, ‘আমরা ওকে মারব, আমরা ওকে মারবই মারব। ভাই সাব (লরেন্স
বিষ্ণোই) বলেছিলেন, ওর ক্ষমা চাওয়া উচিত। বাবা তখনই করুণা দেখাবেন যখন তিনি করুণাময়
বোধ করবেন। সালমান খান যে বর্তমানে আমাদের টার্গেট, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা
সফল হলে তো আপনারা জানতেই পারবেন।’
এই গোল্ডি ব্রারই ২০২২ সালের মে মাসে পাঞ্জাবি গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পেছনে ছিল। গোল্ডি ব্রারের নাম ছিল কানাডার টপ ২৫ মোস্ট ওয়ান্টেড পলাতকের তালিকায়।
সালমান খান বলিউড ভারত মুখ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী চঞ্চল চৌধুরী জেফার রহমান
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ওয়েবফিল্ম ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’ স্ট্রিমিং শুরু হয় চাঁদরাতে। এতে মুখ্য দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী ও জেফার রহমান। ওয়েব ফিল্মটি চরকিতে মুক্তির পর থেকেই নির্মাতা এবং কলাকুশলীরা প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। বিশেষ করে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পাচ্ছেন গুণী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও জেফার।