নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৮ এএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯
রূপালি গিটার ফেলে তিনি হুট করে চলে গিয়েছিলেন আজকের এই দিনে। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে একটা বছর। অথচ এখনো মনে হয় না তিনি চলে গেছেন। কিন্তু শূন্যতা তো রয়েছে। যখন মনে হয় বহুদিন তিনি এলআরবিকে নিয়ে মঞ্চ কাঁপাননি, বহুদিন তার গিটারে সেই মনমাতানো ছন্দ ওঠেনি। সবাইকেই চলে যেতে হয় পরপারে। কিন্তু তার কীর্তি আর স্মৃতি ভক্তরা ধরে রাখবে আজীবন। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর সকালে সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি।
১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নন্দিত ব্যান্ড তারকা ও গিটার লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চুর। ছোটবেলা থেকেই গিটারের প্রেমে পড়েন তিনি। কলেজে জীবনে বন্ধুদের নিয়ে গোল্ডেন বয়েজ নামে একটা ব্যান্ডদল গড়ে তোলেন আইয়ুব বাচ্চু, পরে এর নাম পাল্টে রাখা হয় আগলি বয়েজ। বিয়েবাড়ি, জন্মদিন আর ছোটখাটো নানা অনুষ্ঠানে তাদের এই ব্যান্ডদল গান করতো। আইয়ুব বাচ্চুর বন্ধুরা যে যার মতো একেক দিকে ছড়িয়ে পড়লেও আইয়ুব বাচ্চু ব্যান্ডদল ফিলিংস’র সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান। এরপর ১৯৮০ সালে তিনি যোগ দেন সোলস ব্যান্ডে। এই ব্যান্ডের লিডগিটার বাজানোর দায়িত্বে ছিলেন টানা ১০ বছর। ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল গড়ে তোলেন নতুন ব্যান্ড এলআরবি।
মা-বাবার আদরের ছেলে ছিলেন। কিন্তু সংগীতচর্চার জন্য খুব একটা অনুকূল পরিবেশ তিনি পেয়েছিলেন, তা কিন্তু নয়। সেই ছোটবেলা থেকেই সংসারে থেকেও বোহেমিয়ান আইয়ুব বাচ্চু। বাউন্ডুলে স্বভাবের জন্য সংসারের কিছুই যেন স্পর্শ করতে পারছিল না তাঁকে। বাবার ব্যবসায় মন বসে না, লেখাপড়ায় মন বসে না। অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ ছিল তাঁর।
মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে ১৯৮৩ সালে ঢাকায় এসেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। উঠেছিলেন এলিফ্যান্ট রোডের এক হোটেলে। এরপর বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের অপ্রতিদ্বন্দ্বী তারকা হয়ে উঠলেন প্রতিভা আর কঠোর পরিশ্রমে।
সঙ্গীতের আঙিনায় আইয়ূব বাচ্চু একাধারে গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক এবং গায়ক হিসেবে জনপ্রিয়। মূলত রক ঘরানার কণ্ঠের অধিকারী হলেও আধুনিক গান, ক্লাসিকাল সংগীত এবং লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। আইয়ূব বাচ্চুর কণ্ঠ দেওয়া প্রথম গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’।
আইয়ূব বাচ্চুর প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’। আইয়ূব বাচ্চুর সফলতার শুরু দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ময়না’র মাধ্যমে। তিনি বেশ কিছু বাংলা ছবিতে প্লে-ব্যাকও করেছেন।
এছাড়া অসংখ্য অ্যালবামেও কণ্ঠ দিয়েছেন আইয়ূব বাচ্চু। এর মধ্যে ময়না, কষ্ট, প্রেম তুমি কষ্ট, দুটি মন, সময়, একা, পথের গান, ভাটির টানে মাটির গানে, জীবন, সাউন্ড অব, সাইলেন্স, রিমঝিম বৃষ্টি অ্যালবামগুলো উল্লেখযোগ্য।
আইয়ূব বাচ্চুর গাওয়া জনপ্রিয় কিছু গান সেই তুমি কেন অচেনা হলে, রূপালি গিটার, রাত জাগা পাখি হয়ে, কষ্ট পেতে ভালবাসি, মাধবী, ফেরারি মন, এখন অনেক রাত, ঘুমন্ত শহরে, বার মাস তোমায় ভালোবাসি, হাসতে দেখ গাইতে দেখ, এক আকাশের তারা, উড়াল দেব আকাশে।
তিনি হুট করেই আকাশে উড়াল দিয়েছিলেন অজস্র ভক্তকে কাঁদিয়ে। তার গানগুলো প্রতিটি কথা, সুর আর তার কণ্ঠ এখনো কানে লেগে আছে, মনে দাগ কেটে আছে। হাসি শেষে আজ সত্যিই তিনি একেবারে নীরব।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলে বারবার খবরের শিরোনামে আসেন আলোচিত চিত্রনায়িকা
শবনম বুবলী। তিনি ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে দাম্পত্যজীবন এবং নায়কের প্রথম
স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে নিয়ে হরহামেশাই মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দেন।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি
বুবলীর অতীত নিয়ে কথা বলেন। সেখানেই বুবলীকে নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন জনপ্রিয় এ
কৌতুক অভিনেতা।
সুরুজ বাঙালি বলেন, বুবলী কিন্তু আগে থেকেই বিবাহিত, ‘এটা শাকিব
জানতো না। তার আগের ঘরে একটি মেয়েও আছে। এটা পরে জানতে পেরে শাকিব তাকে এড়িয়ে চলছে।
কিন্তু বীরতো শাকিবের রক্তের তাই শাকিব বীরকে কখনও-ই ফেলে দেবে না’।
তিনি বলেন, ‘বুবলী শাকিব খানকে ধরে এই পর্যন্ত এসেছে। তাকে ধরে
১০টি ছবিও করেছে। তাকে শাকিবই উপরে উঠাইছে’।
সুরুজ আরও বলেন, ‘বর্তমানে শাকিব-অপু দুজনেই ভালো আছে, তাদের মধ্যে
বুবলী ঢুকে সবকিছু নষ্ট করতে চাইছে। বুবলী চায় বীরকে দিয়ে শাকিবের সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে।
যেখানে শাকিব-অপু এখন এক হয়ে গেছে তখন তার এর মধ্যে নাক গলানোর কি দরকার?’
এদিকে ঈদ উপলক্ষে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুবলী
জানান, তিনি এখনও শাকিব খানের স্ত্রী। তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়নি, তবে আলাদা
থাকছেন। বীরের কথা ভেবে তারা সময় নিচ্ছেন।
এই নায়িকা জানান, শাকিবের বাসায় গেলে অপু-জয়ের সঙ্গে দেখা হয় বুবলী
ও বীরের। একবার বীর ও শাকিবের সাথে রুমে সময় কাটাচ্ছিলেন বুবলী, এ সময় জয়কে নিয়ে উপস্থিত
হন অপু।
উল্লেখ্য, শবনম বুবলী ২০১৬ সালে ‘বসগিরি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পে তার অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে তিনি শ্রেষ্ঠ নবীনশিল্পী
বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। বর্তমানে বুবলী জনপ্রিয় সব সিনেমা উপহার
দিয়ে যাচ্ছেন দর্শকদের।
চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী শাকিব খান
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা।
বিএফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় এই
আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। ২৪
ঘণ্টার মধ্যে সমাধান না হলে শিল্পী সমিতির সব ধরনের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবেন
বলে জানানো হয়।
জানা গেছে, সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদল চলচ্চিত্র সমিতির ভেতরে
গিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এসময় বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর জানান, গণমাধ্যমকর্মীরা
যে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে, সেটা তারা মেনে নিয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে আল্টিমেটামটি
কার্যকর হবে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি।
হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসাভার গ্রহণ করেছে চলচ্চিত্র সমিতি। এ ঘটনায় যেসব কর্মীদের
যন্ত্রাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে সমিতি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ
অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার। শপথগ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক মিথুন
আল মামুন সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন অভিনেত্রী ময়ূরীর মেয়ের।
এ সময় অভিনেতা শিবা শানু ওই সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। তিনি
না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে অফিস থেকে বের করে দেন শানু। এর মধ্যে সেটি থামাতে
এগিয়ে আসেন উপস্থিত অন্য সাংবাদিকরা। এ সময় সমিতির আরেক নেতা জয় চৌধুরী ‘মার মার’ বলে
তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। এতেই শুরু সাংবাদিকদের ওপর হামলা। চেয়ার থেকে শুরু করে
গাছের ডাল দিয়েও সাংবাদিকদের পেটানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অভিনেতা শিবা শানু, শিল্পী সমিতির
নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো
এই মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন
ডিপজল নির্বাচিত হন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি আল্টিমেটাম
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
এদিকে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানায়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অধ্যাপক (ড.) রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শিল্পকলায় পদ্মশ্রী পদক প্রদান করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন দক্ষ পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী, রবীন্দ্রসঙ্গীতের একজন নিবেদিতপ্রাণ অনুশীলনকারী।
ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা হচ্ছে ভারতরত্ন। তারপরই রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। নানা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে পুরস্কারগুলো।
এ বছর দেশটির সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ আর ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মাননা পেয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এবারের পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে।
প্রসঙ্গত, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপর শিক্ষা লাভ করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় রেজওয়ানা বন্যা ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতেও পড়াশোনা করেছেন। তিনি ‘সুরের ধারা’ নামের একটি সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে এ পর্যন্ত বহু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’ ও ‘ছিন্নপত্র’ ইত্যাদি।
সঙ্গীতে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১৬ সালে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক লাভ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সঙ্গীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে ভারতে বঙ্গভূষণ সহ বেশ কিছু পদক পেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
এবার ঈদের আগে থেকে ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলে বারবার শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে দাম্পত্যজীবন এবং নায়কের প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে নিয়ে মন্তব্য করেই আলোচনার সূত্রপাত। এবার সেই বুবলীকে নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি।