ইনসাইড হেলথ

মাংসেও কি অ্যান্টিবায়োটিক?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:০৯ পিএম, ১৩ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

কুরবানীর ঈদের মূল আকর্ষণ হলো মাংস খানাপিনা আর বিলি-বাটোয়ারা। কুরবানীর পশুর মধ্যে গরুর আধিক্যই বেশি আমাদের দেশে। কিন্তু এবার দেশে সম্প্রতি গরুর দুধের নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিকের অস্তিত্ব ধরা পড়ায় এখন গরুর মাংসের মান নিয়েও ভোক্তাদের মনে প্রশ্ন উঠেছে।

সবার মনে এখন একটাই ভয় যে, গরুর দুধের মধ্যে যদি অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়, তাহলে ওই গরুর মাংসেও তো অ্যান্টিবায়োটিক থাকবে। গরুর শরীর থেকেই তো দুধটা আসছে।

তাহলে আমরা এই দূষিত মাংস কিভাবে খাব, মাংস খাওয়া কি ছেড়েই দেবো! তারও সমাধান রয়েছে। বিবিসি বাংলায় বিশেষজ্ঞদের দেওয়া কিছু মতামত আর পরামর্শ নিয়ে থাকছে আমাদের আজকের আয়োজন-

আসলে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া গরুর মাংস কি নিরাপদ?

সম্প্রতি সরকারের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরীক্ষাতে গরুর দুধের পাশাপাশি, এর মাংসেও অ্যান্টিবায়োটিকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে পশু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গরু যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং এর শরীরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয় তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় থাকেনা।

কিন্তু পশুর অ্যান্টিবায়োটিক সহজলভ্য হওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার বেশি হচ্ছে বলে মনে করে বিশেষজ্ঞরা। একটা সমস্যা তারা চিহ্নিত করেছেন- গরু বাছুরকে কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বা কোনো  হাতুড়ে ডাক্তারের মাধ্যমে একটা ওষুধ লিখিয়ে পশুগুলোকে খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ালে কোর্স সম্পূর্ণ করছেনা। এক কথায় নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কাই করছে না কেউ।

গরুকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলে, তাহলে সেটার রেসিডিউটা গরুর শরীরে ওষুধভেদে ৭ থেকে ১৫ দিন থেকে যায়। এই সময়কে গরুর রেস্টিং পিরিয়ড বা উইথড্রয়াল পিরিয়ড বলা হয়। এই রেস্টিং পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর গরুর দুধ বা মাংস খেলে কোনো ঝুঁকি থাকে না।

অ্যান্টিবায়োটিকের এমন ব্যবহার ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে  এই বছরের এপ্রিলে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। সেখানে নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবেনা বলে উল্লেখ করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা জেলা উপজেলার প্রতিটি ওষুধের দোকানে তদারকি শুরু করেছে।

সেইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন খামারে অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহারের বিষয়ে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়ে গরুর মাংসের মান পরীক্ষা চলে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, মাঠপর্যায়ের কর্মীরা খামারগুলো নিয়মিত তদারকিতে নিয়োজিত রয়েছে। যেসব অ্যান্টিবায়োটিক পশু এবং মানুষ উভয়ের শরীরে ব্যবহৃত হয়। সেগুলোকে এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়েছে।

এছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স শেষ করা আর ওষুধ খাওয়ানো শেষে এটি বিক্রির আগে ৭ থেকে ১৫ দিন রেস্টে থাকার বিষয়টিও প্রচার করা হয়েছে। ফার্মেসিগুলোতেও মনিটরিং এর চেষ্টা চলছে।

বেশি করে জনবল সৃষ্টির জন্য একটা প্রস্তাবনা সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তাদের সেই প্রস্তাবনা বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে। সেটা পাস হলে সমস্যাগুলো অনেকাংশেই সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া গরুর মাংস খাবো কীভাবে?

গরুর মাংসে যে অ্যান্টেবায়োটিক ব্যবহার করা হয় সেটা যদি মানবদেহে প্রবেশ করে তাহলে বড় ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদেরা। তবে নিয়ম মেনে গরুর মাংস রান্না করলে বা সংরক্ষণ করলে সেই ঝুঁকি থাকেনা। যেহেতু বাইরে থেকে গরুর মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক আছে কিনা সেটা বোঝার উপায় নেই। এমন অবস্থায় ভোক্তাদের সচেতন হওয়াটা সবচেয়ে জরুরি।

আমাদের দেশে যেভাবে গরুর মাংস রান্না করা হয়, ওই তাপে অ্যান্টিবায়োটিকের অস্তিত্ব মাংসে আর থাকেনা। কিন্তু মাংসটাকে যখন কাটা হচ্ছে, ধোয়া হচ্ছে তখন এটা ছড়াতে পারে। এজন্য কাঁচা মাংস নিয়ে কাজ করার সময় হাতে গ্লাভস পরতে হবে।

এছাড়া রান্নার আগে বা ফ্রিজে সংরক্ষণের আগে মাংস খুব ভালভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে, যেন রক্তের কোন চিহ্ন না থাকে।

কিছু সতর্কতা আপনার জন্য

কেউ যদি আধা কাঁচা মাংস বা স্টেক, মাংসের কিমা অথবা মাংস সেদ্ধ খেতে পছন্দ করেন তাহলে মিট পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। চিকিৎসকের মতে, দুষিত মাংস খাওয়ার ফলে ভয়াবহ ফুড পয়জনিং এমনকি রক্তের সংক্রামক রোগ সেপ্টিসেমিয়া হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।

তাই বলে আতঙ্কিত হয়ে গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার কোনো কারণ নেই। শুধুমাত্র সচেতন হলেই এ ধরণের ঝুঁকি শতভাগ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

দিনে ৭ হাজার কদম হাঁটলে কমতে পারে অকাল মৃত্যুঝুঁকি

প্রকাশ: ১০:৩৭ এএম, ১০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে সহজ নিয়মিত হাঁটা। কতুটুকু হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে– খুব বেশি নয়, দিনে কমপক্ষে ৭ হাজার কদম হাঁটার অভ্যাসই অকাল মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

এছাড়া, দিনে কমপক্ষে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৭০০ ধাপ হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায়। তবে এর চেয়ে বেশি হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

নতুন গবেষণা আরও বলা হয়েছে, যারা দিনে ৯ হাজার ধাপ হাঁটেন, হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে তাদের মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গালফ নিউজ’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি ‘জার্নাল অব আমেরিকান কার্ডিওলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণাটি পূর্বের অন্যান্য ১২টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা হয়েছে। এটিকে ‘মেটা অ্যানালাইসিস’ বা ‘মেটা স্টাডি’ বলা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৭ হাজার ধাপ হাঁটলে হৃদরোগ কমার সম্ভাবনা প্রায় ৫১ শতাংশ। এই গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে, দিনে ২৫০০ থেকে ২৭০০ কদম হাঁটলে স্বাস্থ্যের পক্ষে প্রাথমিক উপকারিতা শুরু হয়। পরিমিত হাঁটার এই অভ্যাস রক্তে শর্করার বৃদ্ধি কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করে।

নতুন গবেষণা বলছে, প্রতিদিন ২৭০০ কদম হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ১১ শতাংশ। প্রতিদিন ৭০০০ ধাপ হাঁটা এটিকে ৫১ শতাংশে উন্নীত করে। আর প্রতিদিন যদি ৯০০০ কদম হাঁটা যায়, তাহলে হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ।

সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন আপনার কত কদম হাঁটা উচিত? এই প্রশ্ন যদি আপনার মনে এসে থাকে, তাহলে তার নিশ্চিত উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছে নতুন এই গবেষণা।


ব্যাম   হাঁটা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

‘কোয়ালিটিফুল চিকিৎসক তৈরিতে কোনো আপস নয়’

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেছেন, কোয়ালিটিফুল চিকিৎসক তৈরিতে আমরা কোনো আপস করবো না। ভবিষ্যতের জন্য চিকিৎসক তৈরিতে মানের দিক থেকে কোনো ছাড় না দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি।

গতকাল রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশন এই অধিবেশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।

উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪ হাজার ৮০৭ জন রেসিডেন্ট চিকিৎসক আছেন। এরমধ্যে ১০০ জন বিদেশি রেসিডেন্ট। তাদের ডিগ্রিটা যেন ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেওয়া হয়। আমরা তাদের পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবো না’।

নতুন দায়িত্ব গ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে এনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি এখানকার দায়িত্ব চেয়ে নেইনি। আমার ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভরসার পাশাপাশি আমার প্রতি ওনার কিছু চাওয়াও আছে। আমি চেষ্টা করবো এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণায় বিশ্বে একটি অনুকরণীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়তে’।


বিএসএমএমইউ   উপাচার্য   অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস: এখনও অধরা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অপারেশন থিয়েটারে হেঁটে গিয়েছিল শিশু তাসনিয়া, পরে নিথরদেহ পেল বাবা।  সম্প্রতি কেরানীগঞ্জে তনয়া (১২) নামের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর আদ-দ্বীন হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।  অপরদিকে রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনা করাতে গিয়ে পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যু হয় গত ৭ জানুয়ারি।  শুধু তাই নয়, রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করতে গিয়ে মৃত্যু হয় দশ বছর বয়সী ছেলে আহনাফ তাহমিনের।

শুধু তাসনিয়া কিংবা আহনাফের মতো কোমলমতি শিশুই নয়, দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে, ভুল আর অবহেলা জনিত চিকিৎসায় মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিনই রাজধানীসহ সারাদেশের কোথাও না কোথাও থেকে এমন খবর আসছে। গত এক বছর ধরে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। এর মাঝেই বিশ্বজুড়ে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।

বলা হয়ে থাকে, একজন মানুষের সুখের আসল সূত্র সত্যিকার অর্থেই তার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার উপর নির্ভর করে। মানুষ হিসাবে সুস্থ শরীর ও মন নিয়ে একটি ভালো সামাজিক অবস্থানে স্থিত থাকাই সকলের আরাধ্য। কিন্তু তবুও পৃথিবীর বহু মানুষ যেমন নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদাসীন তেমনি নিজেদের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কেও তারা অসচেতন। আবার পুঁজিবাদের বিকাশের কারণে স্বাস্থ্যসেবা লাভ ক্রমশ অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা থেকে।

আর এ লক্ষ্যেই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে ও সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিসেবার সুযোগ বৃদ্ধিতে ১৯৫০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে পালন করা হচ্ছে 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস'। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল গঠন করা হয় জাতিসংঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মানুষের সুস্থতা নিশ্চিত করা এবং জীবন রক্ষার শপথে পরিচালিত সংস্থাটির প্রথম সম্মেলনেই ৭ এপ্রিল থেকে প্রতি বছর নিয়মিত 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতি বছর এমন একটি প্রতিপাদ্য বিশ্ববাসীর সামনে নিয়ে আসে, যা বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রত্যেক দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাগুলো নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। অসম এই পৃথিবীতে সকলের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ার ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বৃদ্ধি করাই এ দিবসটি উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য। একদিকে যেমন নিত্য নতুন রোগ শোক মানুষের জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছে। অন্যদিকে গরীব মানুষের স্বাস্থ্য সেবা লাভের পথ হচ্ছে রুদ্ধ। স্বাস্থ্য সেবা এখন বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। এখন থেকে বঞ্চিত মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান এখন এই বিশ্বের বড় চ্যালেঞ্জ।


বিশ্ব   স্বাস্থ্য   দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

শিগগিরই পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হচ্ছে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল

প্রকাশ: ১০:০৬ পিএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ণাঙ্গরূপে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল শিগগিরই চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

শনিবার (৬ এপ্রিল) আয়োজিত বিএসএমএমইউয়ের অধীন এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল দ্রুত পূর্ণাঙ্গরূপে চালুর লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।

এসময় উপাচার্য জানান, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে দেশের শ্রেষ্ঠতম চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যোগ্য ও দক্ষ জনবল নিশ্চিত করা, সামগ্রিক যন্ত্রপাতির জোগান নিশ্চিত করা, সঠিকভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আজ শনিবার উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে অবস্থান করেন। এসময় তিনি অ্যাক্সিডেন্ট অ্যান্ড ইমারজেন্সি সেন্টার, কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সেন্টার, ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি, হোপাটোলজি, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, প্যানক্রেটিক ডিজিস অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার, কার্ডিওভাসকুলার অ্যান্ড স্টোক সেন্টার, প্যাথলজি ল্যাব, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে সভায় মিলিত হন।

এসময় উপাচার্যের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন, উপ-পরিচালক (প্রকল্প) সহযোগী অধ্যাপক ডা. নূর-ই-এলাহী মিম প্রমুখ।


বিএসএমএমইউ   উপাচার্য   অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ নির্দেশনা

প্রকাশ: ০১:২৭ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে দীর্ঘ ছুটির কবলে পড়তে যাচ্ছে দেশ। এ অবস্থায় জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে হাসপাতালগুলোতে কর্মরতদের ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রোববার (৩১ মার্চ) ডা. আবু হোসাইন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, ছুটিকালীন কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়া যেতে পারে।

এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিরবিচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অনুকূলিতভাবে ছুটি মঞ্জুর করবেন।

সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে কেবল ঈদের ছুটির সময়ে নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করতে পারবেন।

জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমারজেন্সি ওটি সার্বক্ষণিক চালু রাখতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আন্তঃবিভাগে ইউনিট প্রধানগণ প্রতিদিন তদারকি করবেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমূহে জরুরি ল্যাব, এক্স-রে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

ছুটি শুরু হওয়ার আগেই ছুটিকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, আই ডি ফ্লুয়িড কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুদ ও তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্টোর কিপার অথবা ছুটিকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফকে অবশ্যই নিজ জেলা ও উপজেলায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

ছুটিকালীন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগাম পত্র দিতে হবে।

প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদেরকে ছুটিকালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে; একইসঙ্গে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

এছাড়া, প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি এবং রোগীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন