ইনসাইড হেলথ

এবার নতুন আতঙ্ক সোয়াইন ফ্লু, সাবধান হন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:২০ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

বিশ্ব যেন ভাইরাসে আক্রান্তের এক রেকর্ড নিয়ে বসেছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে পুরো বিশ্ব চরম এক আতঙ্কাবস্থা পার করছে। এর মাঝে খবর এলো চীনেই বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরপর আবার আতঙ্ক শুরু হয়েছে সোয়াইন ফ্লু নিয়ে। এবার তাইওয়ানে হানা দিয়েছে সোয়াইন ফ্লু। তাই আরেকবার সাবধান হওয়ার পালা আমাদের। জেনে নেবো সোয়াইন ফ্লুয়ের আদ্যপান্ত-

২০০৯ সালের এপ্রিলে মেক্সিকোতে প্রথম সোয়াইন ফ্লুতে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল। সেখান থেকে এই ভাইরাস ৭৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। সে বছর জুন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ৩০ হাজার জনের রক্তে H1N1-এর ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল।

মার্কিন সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিস কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০০৯ সালে বিশ্বজুড়ে সোয়াইন ফ্লুতে অন্তত ২ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান। এই পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

ভারতে প্রথম সোয়াইন ফ্লুর ঘটনা সামনে আসে ২০০৯ সালের ১৬ মে। দক্ষিণের শহর হায়দরাবাদে প্রথম সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। পরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা ছড়িয়ে পড়ে। সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে ২০০৯ সালে ভারতে মারা গিয়েছিলেন মোট ৯৮১ জন। পরের বছর অর্থাৎ ২০১০ সালে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৭৬৩ জন।

২০১৬ সালে ভারতে সোয়াইন ফ্লু মহামারির আকার নেয়। সে বছর এ দেশে ৪২ হাজার ৫৯২টি সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্তের ঘটনা নথিভুক্ত হয়। প্রাণ হারিয়েছিলেন ২ হাজার ৯৯২ জন। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ভারতে H1N1-এ আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১,৩৭,৩২৩ জন। এর মধ্যে ১০ হাজার ৬১৪ জনের মৃত্যু হয়।

২০২০ সালে তাইওয়ানে মাত্র এক সপ্তাহে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত আরও অনেকে।

কীভাবে সোয়াইন ফ্লু ছড়ায়

মানুষ, শূকর ও পাখির সংমিশ্রনে সৃষ্ট ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের এই রূপটি শূকরের মাধ্যমে মানুষকে আক্রান্ত করেছে। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গে সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জার মূল পার্থক্য হচ্ছে এটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে যা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। মনে রাখতে হবে, খাদ্য বা রক্তের মাধ্যমে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ছড়ায় না।

শ্বাসনালীর মাধ্যমে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস মানবশরীরে প্রবেশ করে, তাই সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসও শ্বাসনালীর মাধ্যমেই ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি প্রভৃতির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। শুধু তাই নয়, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত বস্তু যেমন রূমাল, দরজার হাতল ইত্যাদির সাহায্যেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ স্পষ্ট হওয়ার ১ দিন আগে আক্রান্ত হওয়ার ৭ বা তারচেয়ে বেশিদিন পর্যন্ত এ ভাইরাস অন্যকে আক্রান্ত করতে পারে।

সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণের লক্ষণসমূহ

সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গসমূহ অন্যান্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গের মতই। সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গের মধ্যে কাশি, হঠাৎ জ্বর, মাথাব্যাথা, পেশির খিঁচুনি, গলা ও শরীর ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্ষুধামন্দা ও আলস্য, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি অন্যতম। জ্বর ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর চেয়ে কিছুটা বেশি হতে পারে। আবার শ্বাসকষ্ট, র‌্যাশ, কাঁপুনি, বমিভাব অথবা বমি ও পাতলা পায়খানাও হতে পারে। সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত এসব লক্ষণ স্থায়ী হতে পারে। শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিসহ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো দীর্ঘসময় পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। সোয়াইন ফ্লু মারাত্মক আকার ধারণ করলে নিউমোনিয়া, একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অবশ হয়ে যাওয়া এমনকি মৃত্যু হতে পারে। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে এ রোগটিকে আলাদা করা সম্ভব।

কাদের জন্য বিপদজনক

যেসব মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষের, যাদের হাঁপানী আছে, এইডসে আক্রান্ত রোগী এবং যারা হৃদরোগে আক্রান্ত, তাদের জন্য সোয়াইন ফ্লু বিপদজনক। অসুস্থ, দুর্বল এবং যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।

সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে করণীয়

সোয়াইন ফ্লু থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। আবার নিজের ফ্লু হলে তা যেন অন্যকে আক্রান্ত না করে সেই ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে। সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে করনীয় কিছু কাজ যা আপনাকে সোয়াইন ফ্লু মুক্ত রাখতে সাহায্য করতে পারে। যেমন-

হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় পরিষ্কার রুমাল, গামছা, কাপড় অথবা টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন।

কফ ও শ্লেষ পরিষ্কার করার জন্য টিস্যু, রুমাল ব্যবহার করুন এবং ব্যবহৃত টিস্যু পেপার যত্রতত্র না ফেলে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। সবসময় সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে পরিষ্কার রাখা বিশেষ কফ ও শ্লেষ পরিষ্কার করার পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।

ব্যবহৃত রুমাল, গামছা, কাপড় ইত্যাদি ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

দরজার নব, কম্পিউটারের কী বোর্ড, মাউস প্রভৃতি নিয়মিত জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার রাখুন।

মাস্ক ব্যবহার করবেন সবসময়। রোগাক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকুন। আক্রান্ত হলে স্কুল, কলেজ অথবা কর্মস্থলে না গিয়ে বাড়ীতে, অন্যদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকুন।

নিয়মিতভাবে সাবান-পানি দিয়ে দুই হাত ভালভাবে ধুয়ে নিন। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার সময় অবশ্যই অন্তত ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। তারপর ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ

 

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হতে গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিষয়ভিত্তিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে স্বনির্ভর জনসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হতে গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস এর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়ভিত্তিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে সক্ষমতা ও সম্ভাবনার শতভাগ কাজে লাগিয়ে তোমরা স্বনির্ভর জনসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে এবং উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হবে।’

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘তোমরা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন কর্মমুখী প্রোগ্রামে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছ সেই হিসেবে তোমাদের কর্মক্ষেত্র তুলনামূলকভাবে সম্প্রসারিত ও অবারিত। তবে, তোমরা শুধু চাকরির পেছনেই ছুটবেনা, উদ্যোক্তাও হবে। তরুণদের জন্য চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে।’

তিনি বলেন, ‘তোমাদের অপরিসীম ধৈর্য ও মেধাশক্তি কাজে লাগিয়ে, সেই কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। নিজেদের দক্ষতা গুণে ও যোগ্যতা বলে কর্মজীবনে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে আরোহন করতে হবে।’

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক এন্থনি কস্টেলো ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


ডা. সামন্ত লাল সেন   স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে যেসব খাবার খাবেন

প্রকাশ: ০৮:০৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে গরমের তীব্রতা। এতে অসুস্থতাসহ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে এবং শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য খাদ্যতালিকায় বিশেষ দৃষ্টি রাখা জরুরি। গরমের সময় যদি খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন এনে প্রাকৃতিকভাবে শরীর ঠান্ডা রাখা যায়, তাহলে ভালো।

এ সময় অতিরিক্ত মসলাদার খাবার বাদ দিয়ে খেতে হবে বেশি পানি রয়েছে এমন সব খাবার। তবে কৃত্রিম রং ও স্বাদযুক্ত কোনো জুস বা পানীয় খাবেন না। তাতে সাময়িক তৃষ্ণা মিটলেও ডেকে আনবে নানা ক্ষতি।


শসা: শসাকে শীতল বলে থাকেন অনেকে। এতে অনেক তরল থাকে। তাই শসা খাওয়ার পর শরীর ঠান্ডা থাকে। এটি তাৎক্ষণিকভাবে শরীরকে হাইড্রেট করে এবং তাপ কমিয়ে আনে। সালাদ বা বিভিন্ন স্ন্যাকের সঙ্গে খেতে পারেন শসা।

লেবু: লেবুর শরবতের উপকারীতার কথা সবারই হয়তো জানা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুর শরবত পানে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। শরবত বা সালাদে লেবু যোগ করার অভ্যাস করতে পারেন।

পুদিনাপাতা: পুদিনাপাতা শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে কাজ করে। জিরাপানি, বোরহানি, পুদিনার চাটনি, পুদিনার শরবত ইত্যাদি খেতে পারেন। সালাদের সঙ্গেও রাখতে পারেন। পুদিনাপাতা গুঁড়া করে ঠান্ডা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। যাঁরা চা খেতে পছন্দ করেন, তাঁরা পুদিনার চা খেতে পারেন।

তরমুজ: তরমুজ খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। রসালো এই ফলটি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি মিটিয়ে থাকে। গ্রীষ্মের জন্য দুর্দান্ত একটি ফল। এটি শুধু শরীর হাইড্রেটই করে না। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ফাইবারের মতো উপাদান। যা শরীরের জন্য উপকারী।

সবুজ শাক: সবুজ শাক-সবজিতে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। একই সঙ্গে ক্যালসিয়ামও থাকে। যা শরীরকে শীতল রাখতে সহায়তা করে। এ জন্য পালং শাক, লেটুস ও বাঁধাকপিসহ গ্রীষ্মকালীন শাক খেতে পারেন।

লাউ: গ্রীষ্মকালে লাউ সহজলভ্য। এটি ওজন কমায় ও হজমে সহায়তা করে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত লাউ তরকারি খেতে পারেন। লাউ সেদ্ধ করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। রায়তার মতো খেতে পারেন। এ ছাড়া খেতে পারেন লাউয়ের স্যুপ।

ঢ্যাঁড়স: গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স সবারই প্রিয়। ভর্তা, ভাজি কিংবা তরকারি—সবভাবে খাওয়া যায়। ঢ্যাঁড়স ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এ সবজি উপকারী। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ঢ্যাঁড়স রাখুন। ঢাকনা খোলা রেখেই রান্না করুন। ঢ্যাঁড়সের রং ঠিক থাকবে।

তোকমা দানা: এটি প্রাকৃতিকভাবেই গরম দূর করে। দেহের তাপমাত্রা সঠিক পর্যায়ে ধরে রাখে। তীব্র গরমেও তাপমাত্রা অসহনীয় হবে না। দুধের সঙ্গে মিলিয়ে তোকমা দানা খাওয়া যায়। এ ছাড়া লেবুর রসের সঙ্গে পিংক সল্ট মিশিয়ে শরবত করে খাওয়া যায়।

আম: আমকে বলা হয় ফলের রাজা। এটি এমনই ফল, যা শরীরের তাপ কমাতে সহায়ক। এ জন্য গরমের সময় ডায়েটে আম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কাঁচা বা পাকাসহ বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে। আম হজমের জন্যও সহায়ক। আবার হিট স্ট্রোক ঝুঁকি কাটিয়ে উঠা এবং শক্তি বৃদ্ধির জন্যও আম অনেক উপকারী।

দই: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এই খাবারটি ঠান্ডা পানীর বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন। ভিটামিন বি এবং অন্ত্রবান্ধব ব্যাকটেরিয়া সমৃদ্ধ দই শরীরকে ভেতর থেকে প্রশান্তি দেয়।

ডাবের পানি: এটি ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং একই সঙ্গে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য এটি অন্যতম একটি পানীয়ও বটে। যা সারাদিন আপনাকে হাইড্রেটেড এবং শক্তিশালী রাখবে।

বাটার মিল্ক: বিভিন্ন দেশে গ্রীষ্মে বাটার মিল্ক পানীয় পান করা হয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। একই সঙ্গে সহায়তা করে হজমে। তাই সুস্থতার জন্য পানীয় হিসেবে বাটার মিল্ক পানীয় পান করতে পারেন।

টমেটো: টমেটো জলীয় অংশবিশেষ ফল। টমেটো দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, দুশ্চিন্তা কমায়, ক্যানসারের ঝুঁকি ও উচ্চ রক্তচাপ কমায়।


শরীর   খাদ্যতালিকা   তীব্র তাপদাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

তীব্র গরমে নিজেকে ঠান্ডা রাখুন!

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গ্রীষ্মের এই প্রচণ্ড গরমে জনজীবনের হাঁসফাঁস অবস্থা চলছে। এই অবস্থায় অনেকেই এখন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই সুস্থ থাকতে এই তীব্র গরমেও নিজেকে একটু ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক এবং পুষ্টিবিদ কেরি টরেন্স বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন কীভাবে এই তাপদাহেও নিজেকে শীতল রাখা যায়। যদিও দেশে তাপপ্রবাহ মে এবং জুন মাসে বাড়ে। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপ বৃদ্ধির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। ফলে, একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পর্যাপ্ত তরল পান করুন: গরমের সময় আপনার দেহে তরলের চাহিদা বেড়ে যায়। এর কারণ মূলত ঘামের জন্য আপনার দেহ থেকে যে তরল বের হয়ে যায়। আর এ কারণের দেশের তরলের ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত তরল পান করতে হবে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এতে করে পানিশূন্যতার ঝুঁকি থাকবে না। পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের জুস খেতে পারেন।

তাজা শাকসবজি এবং ফল : এই গরমে খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে। চেষ্টা করুন হালকা জাতীয় এবং তাজা খাবার বেশি পরিমাণে খেতে। এতে করে সুস্থও থাকবেও পাশাপাশি দেহে পানিশূন্যতার ঝুঁকিও কমবে। স্ট্রবেরি, তরমুজ, শসা, লাউ এই জাতীয় তাজা ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

নির্দিষ্ট সময়ে ছায়ায় থাকুন: সারাদিনের যে সময়টাতে সবচেয়ে বেশি সূর্যের তাপ থাকে সে সময়টা সরাসরি সম্ভব হলে ছায়ায় থাকুন। সকাল ১১টা থেকে বিকেল তিনটা- এ সময়টাতে সরাসরি তাপ এড়িয়ে চলুন এতে করে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন। এছাড়াও শারীরিক ব্যায়াম, ঘরের কোন ভারী কাজ যখন বাইরে আবহাওয়া তুলনামূলক ঠান্ডা থাকবে তখন করার চেষ্টা করবেন।

শোবার ঘর ঠান্ডা রাখুন: সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো হয় শোয়ার ঘরের। সারাদিনের কাজ শেষে একটু স্বস্তি পেটে শোয়ার ঘরটি ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। তাই তীব্র রোদের সময়টুকুতে ঘরে যাতে সরাসরি তাপ প্রবেশ না করে সেদিকে নজর দিন। দিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঘরের পর্দা টেনে রাখুন।

পোশাক নির্বাচনে: গরম থেকে বাঁচতে পোশাক নির্বাচনে সচেতন হতে পারেন। এ সময়ে  হালকা, ঢিলেঢালা এবং উজ্জ্বল রঙের নয়- এমন পোষাক  কাপড় পরার চেষ্টা করুন। সুতি বা লিনেন কাপড় বেছে নিতে পারেন এতে করে গরমে আরাম পাবেন। এসব কাপড় ঘাম শোষণ করে এবং বায়ু চলাচলও স্বাভাবিক রাখে।

সঙ্গে রাখুন ছাতা: বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় সঙ্গে ছাতা রাখুন। এছাড়াও সানগ্লাস বা হ্যাট ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে সরাসরি রোদ থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন। গরমের সময়ে ছাতা এবং প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ অনেক কাজে আসে।  



তীব্র   গরম   নিজেকে   ঠান্ডা   রাখুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

গরমে সুস্থ থাকতে লেবুর শরবত না কি ডাবের পানি, কোনটি উপকারী?

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অসহনীয় গরমের তীব্রতা বেড়েই চলছে। এ হাঁসফাঁস অবস্থায় বিপর্যস্ত জনজীবন। গরমে বাইরে বের হওয়াও মুশকিল। আবার অবিরত ঘাম ঝরা তো রয়েছেই। এতে শরীর থেকে পানি ও খনিজ বের হয়। ফলে অল্পতেই ক্লান্তবোধ হয় শরীরে। পাশাপাশি ডিহাইড্রেশনের মতো কঠিন সমস্যারও আশঙ্কা বাড়ছে দিন দিন।

এ অবস্থায় অনেকেই সুস্থ থাকার জন্য লেবুর শরবত পান করছেন। আবার কেউ কেউ ডাবের পানি পান করেন। দুটি পানীয়ই ভালো। তবে এরমধ্যে কোনটি বেশি ভালো- এ নিয়ে অনেক সময় বিতর্ক দেখা যায়। সম্প্রতি এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী।

লেবুর পানিতেও উপকার

লেবুর পানি বা শরবতেও শরীরের পানির ঘাটতি মেটানো সম্ভব। লেবুর শরবত পানে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও পটাশিয়াম, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি২- এর মতো উপকারী ভিটামিন ও খনিজও রয়েছে এতে। তাই শরীর ভালো রাখার জন্য লেবুর শরবত পান করা যেতে পারে।

ডাবে ওষুধি গুণাগুণ

এক কাপ ডাবের পানি থেকে প্রায় ৬০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। এই পানীয়তে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো একাধিক উপকারী খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। আবার উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে ডাবের পানিতে। ফলে গরমের দিনে ডাবের পানি পানে শরীর ঠান্ডা থাকে। এটি শরীরে পানির ঘাটতিও পূরণ করে। একইসঙ্গে ডাবের পানি পানে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য ফিরে আসে। এ জন্য গরমে ডাবের পানি পান করা যেতে পারে।

কার জন্য কোনটি নিষেধ

লেবু খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয় অনেকের। যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের লেবু থেকে দূরে থাকা উচিত। আবার ডাবের পানি হচ্ছে পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। এই খনিজ কিছু ক্রনিক কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক। এ জন্য কিডনির ক্রনিক অসুখ থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডাবের পানি পান করা উচিত নয়।

ডাব না লেবু, কোনটা খাবেন

দুটি পানীয়ই উপকারী। এ জন্য গরমের দিনে শরীরকে হাইড্রেট রাখার জন্য প্রতিদিন দুটি পানীয়ই পান করতে পারেন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্যও ফিরবে। তবে সহজলভ্যের কথা ভাবলে ডাবের তুলনায় লেবু অনেক কম দামে পাওয়া যায়। এ জন্য সামর্থ্য থাকলে ডাবের পানি পান করতে পারেন। তা না হলে লেবুর শরবতেও ভরসা রাখতে পারেন।



গরম   সুস্থ   ডাব   লেবু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪১ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেনে, ‘আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করতেছি। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে দেশের সব প্রাইভেট হাসপাতালে রোগনির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হবে’।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন তেঁতুইবাড়ি এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালকে আরও সচল করা হবে, যাতে সাধারণ মানুষকে আরও ভালো সেবা দিতে পারি। এ হাসপাতালে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি রয়েছে।’

এই হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ বেশি এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো আমরা সমন্বয় করার চেষ্টা করব। আলোচনা করে এসব ঠিক করা হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী মোহাম্মদ নাজমুল হাসান পাপন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহমেদ, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল পরিচালক জে এম এইচ কাওসার আলম, প্রধান নার্সিং কর্মকর্তা রুযিতা মোহাম্মদ দান, সিভিল সার্জন মাহমুদা আক্তার, কালিয়াকৈর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজব বিশ্বাস, টঙ্গী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না জোতি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোনাবাড়ী জোন) আমির হোসেন, কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার জাহান প্রমুখ।

মন্ত্রী হাসপাতালের বিভিন্ন ফ্লোর, অফিস কক্ষ পরিদর্শন ও হাসপাতালের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   প্রাইভেট হাসপাতাল   মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন