ইনসাইড হেলথ

করোনায় মৃত্যু রহস্য ও কিছু টোটকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ৩১ মার্চ, ২০২০


Thumbnail

আমেরিকার নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসের আক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী আমেরিকান মারা গেছেন। কারণ সেখানে বাংলাদেশীর সংখ্যা অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। সে কারণে বাংলাদেশের অনেক মানুষের নজির আমেরিকার নিউইয়র্কের দিকে। বাংলাদেশ আর কানাডার দুইজন সিনিয়র সাংবাদিকের কথোপকথনে জানা গেছে যে, নিউইয়র্কে বাঙ্গালী কমিউনিটির প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের একটা বড় অংশ হচ্ছে উবার চালাক। যারা উবারে শুধু এয়ারপোর্টে ড্রপ দিয়েছেন তাঁরা প্রায় সবাই ভালো আছেন। আর যারা এয়ারপোর্ট থেকে আবার যাত্রী নিয়ে এসেছেন তাঁদের একটা বড় অংশ সংক্রমিত হয়েছেন। এখানেও যা পাওয়া যাচ্ছে তা হলো প্রাথমিক আক্রান্তদের অধিকাংশই সামাজিক দূরত্বের বা ঘরে থাকার বিষয়টি মানেন নি। সেখানেও পরীক্ষার কিটের আর পিপিই’র সমস্যা, হাসপাতালে যায়গা নেই, এ্যাম্বুলেন্স ডাকলে আগে যেখানে ১৫ মিনিট সময় লাগত এখন ২/৩ ঘণ্টাতেও পাওয়া যায় না।
   
গত শুক্রবার ব্রিটিশ কলম্বিয়া ঘোষণা করেছে, সামাজিক দূরত্ব এবং নাগরিকরা ঘরে থাকার পর সেখানে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। কুইবেকের প্রিমিয়ার সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, মনে হচ্ছে কুইবেকে করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতির হার কমে আসার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। 
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং নাগরিকরা ঘরে থাকার পর ইতালিতেও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার কমতে শুরু করেছে। ইউরোপের  অন্য দেশের চিত্রও একই। এতে বিশেষজ্ঞগনের বিশ্বাস যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং নাগরিকরা ঘরে থাকা করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার অন্যতম উপায়।
 
এবার আসি করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সুস্থ হবার উপায় নিয়ে। নিউইয়র্কে করোনা থেকে বেঁচে যাওয়া ৩ সদস্যের এক পরিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন যে, আক্রান্ত হবার পরে তাঁরা নিয়মিত চিনি ছাড়া গরম চা পান করেছেন, গরম পানি আর সুপ খেয়েছেন দিনে ৪/৫ বার।
 
উহানে বসবাসকারী এক ভারতীয় ব্যবসায়ী দাবি করেছেন যে, করোনা ভাইরাসের অন্যতম ওষুধ হচ্ছে প্রতিদিন ৪/৫ বার করে চিনি ছাড়া গরম চা পান করা, গরম পানি, গরম দুধ পান করা আর নাকে মুখে গরম পানির ভাপ নেওয়া। এতেই অধিকাংশ রোগী ভালো হয়ে যাচ্ছেন যদি তাঁদের অন্য কোন জটিল অসুখ আগে থেকে না থাকে।
 
অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যমে অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক শ্রেণীর মানুষ বলছেন যে, সরকার ভাইরাস আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য গোপন করছেন। তাঁরা ঠিকমত যোগাযোগ করেও হট লাইনে কথা বলতে পারা যায় না, বা লাইন পায়া যায় না। যখন পাওয়া যায় তখন আর দরকার থাকে না। বিভিন্ন হাসপাতালে সর্দি কাশি, জ্বরের রোগী নিয়ে গেলেও হাসপাতালে কেউ ভর্তি নেন না। আমিও এমন অনেক শুনেছি। অবিশ্বাস করি না সব। কারণ সুরক্ষা যন্ত্রপাতির অভাবে অনেক হাসপাতাল করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে এমন রোগী ভর্তি নিতে অস্বীকার করছেন, হট লাইনও কাজে আসছে না।
  
হট লাইন সমস্যার সমাধান করতে সরকার একটি এপস  তৈরি করেছেন। আগামী রবিবার নাগাদ তা সব মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে সবার মোবাইলে চলে যাবে। তাতে মোবাইলের মাধ্যমে অসুস্থতার সমস্যার বিস্তারিত এপসের  মাধ্যমে অপারেটর হয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানানো যাবে। এবং খুব অল্প সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া যাবে ফিরতি ম্যাসেজে। এতেই বুঝা যাবে যে, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না। সন্দেহ হলেই সেখান থেকে নমুনা নিয়ে ৩/৪ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল দিতে পারবেন সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর। বিভিন্ন অপপ্রচার আর পিপিই সংকটের কারণে ডাক্তারদের একটা বিরাট অংশ ডি মোটিভেটেড হয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই আবার সেবায় ফিরে আসছেন। যারা জ্বর, কাশি আর শ্বাস কষ্টে মারা যাচ্ছেন তাঁদের একটা অংশই আগে থেকেই শ্বাস কষ্টের বা জটিল রোগের রোগী। এখন সব মৃত্যুই করোনাভাইরাসের মৃত্যু হয়ে যাচ্ছে কি! 

সরকার এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। এর বাইরে বরিশাল, কুষ্টিয়া সহ দেশের নানা স্থানে করোনা সন্দেহে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন ৫ বা ৬ জন। এছাড়া ঢাকার একজন বৃদ্ধ যিনি  করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে সময়মত ভর্তি হতে না পারায় মারা যান, তাঁর নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস নেগেটিভ পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাস সন্দেহে মৃত্যুর আর তেমন উল্লেখযোগ্য খবর কোন মিডিয়ায় আসেনি। আসলে মৌসুমি জ্বর, কাশি আর করোনাভাইরাসের উপসর্গ প্রায় কাছাকাছি। তাই অনেকেই ভয় পান। এমন খবর এসেছে যে, বগুড়ায় স্বামীকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। কারণ তাঁর নির্মাণ শ্রমিক স্বামী ঢাকা থেকে ফিরেছিলেন জ্বর গায়ে।
  
বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটা ইংরেজি দৈনিক এমন শিরোনামে খবর দিয়েছে যে চীনা কিটের কার্যকারিতা ঠিক নেই। কিন্তু  ভিতরে লিখেছে যে যে কোম্পানি থেকে তাঁরা কিট নিয়েছে তা চীনা সরকার অনুমোদিত কিট নয়। বিবিসিও স্বীকার করেছে যে, চীন আর আলিবাবার সরবরাহ করা কিটের মান নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। বদমায়েশির রকমফের দেখে হতবাক হই। কারণ করোনাভাইরাস কিন্তু প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী  বা সম্পাদককে ছাড় দেয় না।
 
এখন নাগরিক সাংবাদিকতার যুগ। সোশ্যাল মিডিয়া আর নিউজ পোর্টালে ছেয়ে গেছে গোটা দেশ। বিদেশে বসেও অনেকে বাংলা নিউজ পোর্টাল চালান। আমার আপনার বাড়ির পাশে কেউ মারা করোনাভাইরাস সন্দেহে মারা গেলে তা সাথে সাথেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বা দেশি বিদেশী পোর্টালে চলে আসবে। অনেকে বলতে পারেন দেশই পোর্টালে ছাপা হলে সে সরকারের রোষানলে পড়তে পারে, সেই ভয় আছে। কিন্তু বিভিন্ন এপস  ব্যবহার করে বিদেশী আইডি’র সোশ্যাল মিডিয়া বা নিউজ পোর্টালে ছাপা হতে পারতো তথ্য প্রমাণ দিয়ে। তাঁদের অনেকেই তো মিথ্যা তথ্য দিয়ে খবর প্রচার করেন বিদেশে থাকার সুবিধা নিয়ে। এটা কেন করবেন না! বাংলাদেশে এমন কোন গ্রাম বা মহল্লা কী আছে যেখানে আওয়ামী লীগ বিরোধী মানুষ নেই! তাঁর এই মোক্ষম সুযোগ কী হাতছাড়া করবেন! মনে হয় না।     



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

তীব্র গরমে নিজেকে ঠান্ডা রাখুন!

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গ্রীষ্মের এই প্রচণ্ড গরমে জনজীবনের হাঁসফাঁস অবস্থা চলছে। এই অবস্থায় অনেকেই এখন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই সুস্থ থাকতে এই তীব্র গরমেও নিজেকে একটু ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক এবং পুষ্টিবিদ কেরি টরেন্স বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন কীভাবে এই তাপদাহেও নিজেকে শীতল রাখা যায়। যদিও দেশে তাপপ্রবাহ মে এবং জুন মাসে বাড়ে। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপ বৃদ্ধির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। ফলে, একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পর্যাপ্ত তরল পান করুন: গরমের সময় আপনার দেহে তরলের চাহিদা বেড়ে যায়। এর কারণ মূলত ঘামের জন্য আপনার দেহ থেকে যে তরল বের হয়ে যায়। আর এ কারণের দেশের তরলের ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত তরল পান করতে হবে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এতে করে পানিশূন্যতার ঝুঁকি থাকবে না। পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের জুস খেতে পারেন।

তাজা শাকসবজি এবং ফল : এই গরমে খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে। চেষ্টা করুন হালকা জাতীয় এবং তাজা খাবার বেশি পরিমাণে খেতে। এতে করে সুস্থও থাকবেও পাশাপাশি দেহে পানিশূন্যতার ঝুঁকিও কমবে। স্ট্রবেরি, তরমুজ, শসা, লাউ এই জাতীয় তাজা ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

নির্দিষ্ট সময়ে ছায়ায় থাকুন: সারাদিনের যে সময়টাতে সবচেয়ে বেশি সূর্যের তাপ থাকে সে সময়টা সরাসরি সম্ভব হলে ছায়ায় থাকুন। সকাল ১১টা থেকে বিকেল তিনটা- এ সময়টাতে সরাসরি তাপ এড়িয়ে চলুন এতে করে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন। এছাড়াও শারীরিক ব্যায়াম, ঘরের কোন ভারী কাজ যখন বাইরে আবহাওয়া তুলনামূলক ঠান্ডা থাকবে তখন করার চেষ্টা করবেন।

শোবার ঘর ঠান্ডা রাখুন: সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো হয় শোয়ার ঘরের। সারাদিনের কাজ শেষে একটু স্বস্তি পেটে শোয়ার ঘরটি ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। তাই তীব্র রোদের সময়টুকুতে ঘরে যাতে সরাসরি তাপ প্রবেশ না করে সেদিকে নজর দিন। দিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঘরের পর্দা টেনে রাখুন।

পোশাক নির্বাচনে: গরম থেকে বাঁচতে পোশাক নির্বাচনে সচেতন হতে পারেন। এ সময়ে  হালকা, ঢিলেঢালা এবং উজ্জ্বল রঙের নয়- এমন পোষাক  কাপড় পরার চেষ্টা করুন। সুতি বা লিনেন কাপড় বেছে নিতে পারেন এতে করে গরমে আরাম পাবেন। এসব কাপড় ঘাম শোষণ করে এবং বায়ু চলাচলও স্বাভাবিক রাখে।

সঙ্গে রাখুন ছাতা: বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় সঙ্গে ছাতা রাখুন। এছাড়াও সানগ্লাস বা হ্যাট ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে সরাসরি রোদ থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন। গরমের সময়ে ছাতা এবং প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ অনেক কাজে আসে।  



তীব্র   গরম   নিজেকে   ঠান্ডা   রাখুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

গরমে সুস্থ থাকতে লেবুর শরবত না কি ডাবের পানি, কোনটি উপকারী?

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অসহনীয় গরমের তীব্রতা বেড়েই চলছে। এ হাঁসফাঁস অবস্থায় বিপর্যস্ত জনজীবন। গরমে বাইরে বের হওয়াও মুশকিল। আবার অবিরত ঘাম ঝরা তো রয়েছেই। এতে শরীর থেকে পানি ও খনিজ বের হয়। ফলে অল্পতেই ক্লান্তবোধ হয় শরীরে। পাশাপাশি ডিহাইড্রেশনের মতো কঠিন সমস্যারও আশঙ্কা বাড়ছে দিন দিন।

এ অবস্থায় অনেকেই সুস্থ থাকার জন্য লেবুর শরবত পান করছেন। আবার কেউ কেউ ডাবের পানি পান করেন। দুটি পানীয়ই ভালো। তবে এরমধ্যে কোনটি বেশি ভালো- এ নিয়ে অনেক সময় বিতর্ক দেখা যায়। সম্প্রতি এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী।

লেবুর পানিতেও উপকার

লেবুর পানি বা শরবতেও শরীরের পানির ঘাটতি মেটানো সম্ভব। লেবুর শরবত পানে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও পটাশিয়াম, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি২- এর মতো উপকারী ভিটামিন ও খনিজও রয়েছে এতে। তাই শরীর ভালো রাখার জন্য লেবুর শরবত পান করা যেতে পারে।

ডাবে ওষুধি গুণাগুণ

এক কাপ ডাবের পানি থেকে প্রায় ৬০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। এই পানীয়তে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো একাধিক উপকারী খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। আবার উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে ডাবের পানিতে। ফলে গরমের দিনে ডাবের পানি পানে শরীর ঠান্ডা থাকে। এটি শরীরে পানির ঘাটতিও পূরণ করে। একইসঙ্গে ডাবের পানি পানে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য ফিরে আসে। এ জন্য গরমে ডাবের পানি পান করা যেতে পারে।

কার জন্য কোনটি নিষেধ

লেবু খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয় অনেকের। যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের লেবু থেকে দূরে থাকা উচিত। আবার ডাবের পানি হচ্ছে পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। এই খনিজ কিছু ক্রনিক কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক। এ জন্য কিডনির ক্রনিক অসুখ থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডাবের পানি পান করা উচিত নয়।

ডাব না লেবু, কোনটা খাবেন

দুটি পানীয়ই উপকারী। এ জন্য গরমের দিনে শরীরকে হাইড্রেট রাখার জন্য প্রতিদিন দুটি পানীয়ই পান করতে পারেন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্যও ফিরবে। তবে সহজলভ্যের কথা ভাবলে ডাবের তুলনায় লেবু অনেক কম দামে পাওয়া যায়। এ জন্য সামর্থ্য থাকলে ডাবের পানি পান করতে পারেন। তা না হলে লেবুর শরবতেও ভরসা রাখতে পারেন।



গরম   সুস্থ   ডাব   লেবু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪১ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেনে, ‘আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করতেছি। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে দেশের সব প্রাইভেট হাসপাতালে রোগনির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হবে’।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন তেঁতুইবাড়ি এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালকে আরও সচল করা হবে, যাতে সাধারণ মানুষকে আরও ভালো সেবা দিতে পারি। এ হাসপাতালে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি রয়েছে।’

এই হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ বেশি এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো আমরা সমন্বয় করার চেষ্টা করব। আলোচনা করে এসব ঠিক করা হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী মোহাম্মদ নাজমুল হাসান পাপন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহমেদ, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল পরিচালক জে এম এইচ কাওসার আলম, প্রধান নার্সিং কর্মকর্তা রুযিতা মোহাম্মদ দান, সিভিল সার্জন মাহমুদা আক্তার, কালিয়াকৈর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজব বিশ্বাস, টঙ্গী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না জোতি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোনাবাড়ী জোন) আমির হোসেন, কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার জাহান প্রমুখ।

মন্ত্রী হাসপাতালের বিভিন্ন ফ্লোর, অফিস কক্ষ পরিদর্শন ও হাসপাতালের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   প্রাইভেট হাসপাতাল   মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

এবার বার্ড ফ্লু ভাইরাসের স্ট্রেইন মিলল দুধে

প্রকাশ: ০৭:১৩ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কিছুদিন পূর্বেই সারা বিশ্ব দেখেছে মহামারী করোনাভাইরাসের দাপট। ভাইরাসের ক্ষমতা কতটা দানবীয় হতে পারে তার কিছুটা আঁচ দিয়ে গেছে এই কোভিড যুগ। এবার নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আরেক ভাইরাস বার্ড ফ্লু। ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় এই রোগের H5N1-এর স্ট্রেইনের সন্ধান মিলেছে এবার দুধে।

শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত প্রাণীরা এই বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত তাদের শরীরজাত কাঁচা দুধে মিলেছে এই ভাইরাসের স্ট্রেইন। তবে এই ভাইরাস দুধের মধ্যে কতদিন বেঁচে থাকে, তাই এখন প্রশ্ন।

১৯৯৬ সালে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুেয়েঞ্জা (H5N1) প্রাথমিকভাবে ছড়িয়েছিল। পরে ২০২০ সালে তা ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। সেবার মৃত্যুর হার ছিল ভয়ানক।

২০২০ সালে ওই ভাইরাসের ছড়ানোর ঘটনায় যে শুধু ১০ মিলিয়ন পোলট্রির মুরগি মারা গিয়েছিল তা নয়, সংক্রমিত হয়েছিল বহু বন্য পাখি, স্থলের পশু, জলজ স্তন্যপায়ীরাও। বার্ড ফ্লু মানেই যে শুধু পাখিদের ঘিরে উদ্বেগ তা নয়। গত মাসেই এই বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্তের সংখ্যায় যোগ হয়েছে গরু ও ছাগল। উল্লেখ্য, এর আগে এই ইনফ্লুয়েঞ্জাতে কখনওই সংক্রমণের আশঙ্কার তালিকায় গরু ও ছাগল পাওয়া যায়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রোগ্রামের প্রধান ওয়েনকিং ঝাং বলেন, ‘টেক্সাসে একটি গরু থেকে প্রথমবারের মতো কোনো মানুষ বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হলো। পাখি থেকে গরু, গরু থেকে গরু এবং গরু থেকে পাখির মধ্যে ভাইরাসটি সংক্রমণের বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। এ থেকে বোঝা যায় যে, ভাইরাসটির বিষয়ে আমরা আগে যা বুঝেছিলাম তার থেকে ভিন্নভাবে সংক্রমিত হচ্ছে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা বলেন, বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত প্রাণীর দুধের মধ্যে ভাইরাসটি পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পাস্তুরিত দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যসহ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।


বার্ড ফ্লু   ভাইরাস   বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

দিনে ৭ হাজার কদম হাঁটলে কমতে পারে অকাল মৃত্যুঝুঁকি

প্রকাশ: ১০:৩৭ এএম, ১০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে সহজ নিয়মিত হাঁটা। কতুটুকু হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে– খুব বেশি নয়, দিনে কমপক্ষে ৭ হাজার কদম হাঁটার অভ্যাসই অকাল মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

এছাড়া, দিনে কমপক্ষে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৭০০ ধাপ হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায়। তবে এর চেয়ে বেশি হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

নতুন গবেষণা আরও বলা হয়েছে, যারা দিনে ৯ হাজার ধাপ হাঁটেন, হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে তাদের মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গালফ নিউজ’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি ‘জার্নাল অব আমেরিকান কার্ডিওলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণাটি পূর্বের অন্যান্য ১২টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা হয়েছে। এটিকে ‘মেটা অ্যানালাইসিস’ বা ‘মেটা স্টাডি’ বলা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৭ হাজার ধাপ হাঁটলে হৃদরোগ কমার সম্ভাবনা প্রায় ৫১ শতাংশ। এই গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে, দিনে ২৫০০ থেকে ২৭০০ কদম হাঁটলে স্বাস্থ্যের পক্ষে প্রাথমিক উপকারিতা শুরু হয়। পরিমিত হাঁটার এই অভ্যাস রক্তে শর্করার বৃদ্ধি কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করে।

নতুন গবেষণা বলছে, প্রতিদিন ২৭০০ কদম হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ১১ শতাংশ। প্রতিদিন ৭০০০ ধাপ হাঁটা এটিকে ৫১ শতাংশে উন্নীত করে। আর প্রতিদিন যদি ৯০০০ কদম হাঁটা যায়, তাহলে হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ।

সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন আপনার কত কদম হাঁটা উচিত? এই প্রশ্ন যদি আপনার মনে এসে থাকে, তাহলে তার নিশ্চিত উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছে নতুন এই গবেষণা।


ব্যাম   হাঁটা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন