ইনসাইড হেলথ

৫ কারণে করোনা মহামারী হচ্ছেনা বাংলাদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২০


Thumbnail

আজ বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা শনাক্তের পরীক্ষা করা হয়েছে। ৫১৩ জনের উপর চালানো এই পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে মাত্র ৫ জনের। বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ এবং আজ ২৬ তম দিনে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৬১ জনে পৌঁছেছে। 

বিশ্বে যে সমস্ত দেশগুলোতে করোনা মহামারি আকার ধারণ করেছে, সেই সমস্ত দেশগুলোতে পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ১৪ থেকে ২১ দিন সময়ের মধ্যে করোনা মহামারির প্রকোপ স্পষ্ট হয়েছিল। চীনে ৩১শে ডিসেম্বর প্রথম করোনা শনাক্তের পর জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে করোনা ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করে এবং তখন এটার জন্য সর্বোচ্চ অবস্থা জারি করেছিল। ইতালিতে ১৯ তম দিনে করোনার মহামারি স্পষ্ট হয়, স্পেনে ২৩ তম দিনে এই করোনার তাণ্ডব শুরু হয়। ইরানে আরো আগে, ১২ তম দিনে করোনার মহামারি রূপের মুখোমুখি হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে অবশ্য একটু বিলম্বে হয়েছিল, তাঁরা ২৪ তম দিনের মাথায় পরিস্থিতি মহামারি আকার ধারণ করেছিল বলে স্বীকার করে। সেই হিসেব করলে বাংলাদেশ তাঁর বিপদকালীন সময় পার করে ফেলেছে বলেই ধারণা করছেন চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা। 

তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হলো, এই ২৬ দিনে যে পরিমাণ পরীক্ষা হবার কথা ছিল, সেই পরিমাণ পরীক্ষা হয়নি। কাজেই আমরা প্রকৃত চিত্রটা হয়তো জানিনা। কিন্তু তারপরেও যেটুকু পরীক্ষা হচ্ছে, সেই পরীক্ষার মাধ্যমে একটি প্রাথমিক ধারণা করা যেতে পারে যে, করোনা মহামারির শঙ্কা থেকে বাংলাদেশ সম্ভবত বেরিয়ে এসেছে।

তাঁর প্রথম কারণ হলো- দুই হাজার পরীক্ষায় মাত্র ৬১ জন শনাক্ত হয়েছে এবং যে দেশগুলোতে করোনা মহামারি হয়েছে সেই দেশগুলোর হিসেব পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে, দুই হাজার পরীক্ষায় কোথাও ৭০০ জন, কোথাও ৬০০ জন, এমনকি কোথাও ৯০০ জনের করোনা ধরা পড়েছিল। অর্থাৎ পরীক্ষা থেকে করোনা শনাক্তের হার ছিল পঞ্চাশ থেকে সত্তর ভাগের কাছাকাছি। সেই তুলনায় বাংলাদেশে দুই হাজার পরীক্ষায় ৬১ জন শনাক্ত হওয়াটা বাংলাদেশ যে মহামারির দিকে যাচ্ছে এমন ইঙ্গিত বহন করেনা।

দ্বিতীয়ত, যেটা আশার কারণ। যে কারণে মনে করা হচ্ছে বাংলাদেশে করোনা মহামারি আকার ধারণ করছে না বা মহামারির শঙ্কা থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে তা হলো সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরত যাবার হার। ৬১ জনের মধ্যে ৬ জন মারা গেছে এবং ২৬ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক এবং অন্যান্য দেশে এই হার পর্যালোচনা করি তাহলে সেখানেও আশা জাগানিয়া তথ্য পেতে পারি। পৃথিবীর কোন দেশে এত দ্রুত এবং এত ব্যাপক হারে বাড়ি ফেরার হার দেখা যায়নি। এখানেও বলে রাখা ভালো, আমদের সীমিত আকারে যেহেতু পরীক্ষা হয়েছে, সেহেতু এই তথ্য-উপাত্তগুলো থেকে উপসংহার করার মতো বা সিদ্ধান্ত নেবার মতো যথেষ্ট তথ্য আমাদের হাতে নেই। কিন্তু একটা ধারণা এবং পর্যবেক্ষণ এখান থেকে আমরা করতেই পারি।

তৃতীয়ত, এখন পর্যন্ত যেটা দেখা যাচ্ছে যে, মৃদু সংক্রমণের হার বেশি এবং যেহেতু সীমিত আকারে পরীক্ষা হচ্ছে, সেহেতু অনেক স্থানেই হয়তো অনেকে সংক্রমিত হয়েছেন। হয়তো ঠান্ডা-জ্বর, সর্দি কিংবা শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দিয়েছে এবং হয়তো বাড়িতেই বিশ্রাম নিয়ে বা নির্দেশনা অনুযায়ী দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিৎসা করে মোটামুটি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যার কারণে আমাদের দেশে মৃদু সংক্রমণের হার বেশি হওয়ার কারণে এটা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা এখন অনেক কমে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চতুর্থত, ২৬শে মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। তারপরেও চলাফেরা কমেনি। অনেক স্থানে মানুষ বেরিয়ে পড়ছে, কথা বলছে। কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতনতাগুলো মানুষ মানছে- এটা প্রমাণিত হয়েছে। কারণ বারবার হাত ধোঁয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, লেবু বা ভিটামিন সি খাওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো- ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধিগুলো মানার কারণে আমাদের দেশে করোনার যে ব্যাপক বিস্তৃতি হওয়ার কথা ছিল, সেই ব্যাপক বিস্তৃতি হয়নি বলে অনেকে মনে করেন।

আর সর্বশেষ হলো, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপ। শুরু থেকেই রোগটা যেন সংক্রমিত হতে না পারে সেজন্য সমন্বিতভাবে সরকার একের পর এক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। গণজমায়েত, সমাবেশ স্কুল-কলেজগুলো বন্ধ করা হয়েছে, এই পদক্ষেপগুলো সামাজিক সংক্রমণ হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 

২৬ শে মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার সময় চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে আগামী দুই সপ্তাহ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণের সময় এবং এই দুই সপ্তাহটা চ্যালেঞ্জিং। এখন আমরা দুই সপ্তাহ পেরিয়ে যাচ্ছি এবং কোন বড় ধরণের দুর্ঘটনা না ঘটলে হয়তো আমরা করোনার মহামারি থেকে পরিত্রাণ পেতে যাচ্ছি।  

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে যেসব খাবার খাবেন

প্রকাশ: ০৮:০৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে গরমের তীব্রতা। এতে অসুস্থতাসহ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে এবং শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য খাদ্যতালিকায় বিশেষ দৃষ্টি রাখা জরুরি। গরমের সময় যদি খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন এনে প্রাকৃতিকভাবে শরীর ঠান্ডা রাখা যায়, তাহলে ভালো।

এ সময় অতিরিক্ত মসলাদার খাবার বাদ দিয়ে খেতে হবে বেশি পানি রয়েছে এমন সব খাবার। তবে কৃত্রিম রং ও স্বাদযুক্ত কোনো জুস বা পানীয় খাবেন না। তাতে সাময়িক তৃষ্ণা মিটলেও ডেকে আনবে নানা ক্ষতি।


শসা: শসাকে শীতল বলে থাকেন অনেকে। এতে অনেক তরল থাকে। তাই শসা খাওয়ার পর শরীর ঠান্ডা থাকে। এটি তাৎক্ষণিকভাবে শরীরকে হাইড্রেট করে এবং তাপ কমিয়ে আনে। সালাদ বা বিভিন্ন স্ন্যাকের সঙ্গে খেতে পারেন শসা।

লেবু: লেবুর শরবতের উপকারীতার কথা সবারই হয়তো জানা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুর শরবত পানে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। শরবত বা সালাদে লেবু যোগ করার অভ্যাস করতে পারেন।

পুদিনাপাতা: পুদিনাপাতা শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে কাজ করে। জিরাপানি, বোরহানি, পুদিনার চাটনি, পুদিনার শরবত ইত্যাদি খেতে পারেন। সালাদের সঙ্গেও রাখতে পারেন। পুদিনাপাতা গুঁড়া করে ঠান্ডা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। যাঁরা চা খেতে পছন্দ করেন, তাঁরা পুদিনার চা খেতে পারেন।

তরমুজ: তরমুজ খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। রসালো এই ফলটি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি মিটিয়ে থাকে। গ্রীষ্মের জন্য দুর্দান্ত একটি ফল। এটি শুধু শরীর হাইড্রেটই করে না। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ফাইবারের মতো উপাদান। যা শরীরের জন্য উপকারী।

সবুজ শাক: সবুজ শাক-সবজিতে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। একই সঙ্গে ক্যালসিয়ামও থাকে। যা শরীরকে শীতল রাখতে সহায়তা করে। এ জন্য পালং শাক, লেটুস ও বাঁধাকপিসহ গ্রীষ্মকালীন শাক খেতে পারেন।

লাউ: গ্রীষ্মকালে লাউ সহজলভ্য। এটি ওজন কমায় ও হজমে সহায়তা করে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত লাউ তরকারি খেতে পারেন। লাউ সেদ্ধ করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। রায়তার মতো খেতে পারেন। এ ছাড়া খেতে পারেন লাউয়ের স্যুপ।

ঢ্যাঁড়স: গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স সবারই প্রিয়। ভর্তা, ভাজি কিংবা তরকারি—সবভাবে খাওয়া যায়। ঢ্যাঁড়স ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এ সবজি উপকারী। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ঢ্যাঁড়স রাখুন। ঢাকনা খোলা রেখেই রান্না করুন। ঢ্যাঁড়সের রং ঠিক থাকবে।

তোকমা দানা: এটি প্রাকৃতিকভাবেই গরম দূর করে। দেহের তাপমাত্রা সঠিক পর্যায়ে ধরে রাখে। তীব্র গরমেও তাপমাত্রা অসহনীয় হবে না। দুধের সঙ্গে মিলিয়ে তোকমা দানা খাওয়া যায়। এ ছাড়া লেবুর রসের সঙ্গে পিংক সল্ট মিশিয়ে শরবত করে খাওয়া যায়।

আম: আমকে বলা হয় ফলের রাজা। এটি এমনই ফল, যা শরীরের তাপ কমাতে সহায়ক। এ জন্য গরমের সময় ডায়েটে আম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কাঁচা বা পাকাসহ বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে। আম হজমের জন্যও সহায়ক। আবার হিট স্ট্রোক ঝুঁকি কাটিয়ে উঠা এবং শক্তি বৃদ্ধির জন্যও আম অনেক উপকারী।

দই: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এই খাবারটি ঠান্ডা পানীর বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন। ভিটামিন বি এবং অন্ত্রবান্ধব ব্যাকটেরিয়া সমৃদ্ধ দই শরীরকে ভেতর থেকে প্রশান্তি দেয়।

ডাবের পানি: এটি ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং একই সঙ্গে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য এটি অন্যতম একটি পানীয়ও বটে। যা সারাদিন আপনাকে হাইড্রেটেড এবং শক্তিশালী রাখবে।

বাটার মিল্ক: বিভিন্ন দেশে গ্রীষ্মে বাটার মিল্ক পানীয় পান করা হয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। একই সঙ্গে সহায়তা করে হজমে। তাই সুস্থতার জন্য পানীয় হিসেবে বাটার মিল্ক পানীয় পান করতে পারেন।

টমেটো: টমেটো জলীয় অংশবিশেষ ফল। টমেটো দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, দুশ্চিন্তা কমায়, ক্যানসারের ঝুঁকি ও উচ্চ রক্তচাপ কমায়।


শরীর   খাদ্যতালিকা   তীব্র তাপদাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

তীব্র গরমে নিজেকে ঠান্ডা রাখুন!

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গ্রীষ্মের এই প্রচণ্ড গরমে জনজীবনের হাঁসফাঁস অবস্থা চলছে। এই অবস্থায় অনেকেই এখন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই সুস্থ থাকতে এই তীব্র গরমেও নিজেকে একটু ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক এবং পুষ্টিবিদ কেরি টরেন্স বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন কীভাবে এই তাপদাহেও নিজেকে শীতল রাখা যায়। যদিও দেশে তাপপ্রবাহ মে এবং জুন মাসে বাড়ে। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপ বৃদ্ধির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। ফলে, একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পর্যাপ্ত তরল পান করুন: গরমের সময় আপনার দেহে তরলের চাহিদা বেড়ে যায়। এর কারণ মূলত ঘামের জন্য আপনার দেহ থেকে যে তরল বের হয়ে যায়। আর এ কারণের দেশের তরলের ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত তরল পান করতে হবে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এতে করে পানিশূন্যতার ঝুঁকি থাকবে না। পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের জুস খেতে পারেন।

তাজা শাকসবজি এবং ফল : এই গরমে খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে। চেষ্টা করুন হালকা জাতীয় এবং তাজা খাবার বেশি পরিমাণে খেতে। এতে করে সুস্থও থাকবেও পাশাপাশি দেহে পানিশূন্যতার ঝুঁকিও কমবে। স্ট্রবেরি, তরমুজ, শসা, লাউ এই জাতীয় তাজা ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

নির্দিষ্ট সময়ে ছায়ায় থাকুন: সারাদিনের যে সময়টাতে সবচেয়ে বেশি সূর্যের তাপ থাকে সে সময়টা সরাসরি সম্ভব হলে ছায়ায় থাকুন। সকাল ১১টা থেকে বিকেল তিনটা- এ সময়টাতে সরাসরি তাপ এড়িয়ে চলুন এতে করে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন। এছাড়াও শারীরিক ব্যায়াম, ঘরের কোন ভারী কাজ যখন বাইরে আবহাওয়া তুলনামূলক ঠান্ডা থাকবে তখন করার চেষ্টা করবেন।

শোবার ঘর ঠান্ডা রাখুন: সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো হয় শোয়ার ঘরের। সারাদিনের কাজ শেষে একটু স্বস্তি পেটে শোয়ার ঘরটি ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। তাই তীব্র রোদের সময়টুকুতে ঘরে যাতে সরাসরি তাপ প্রবেশ না করে সেদিকে নজর দিন। দিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঘরের পর্দা টেনে রাখুন।

পোশাক নির্বাচনে: গরম থেকে বাঁচতে পোশাক নির্বাচনে সচেতন হতে পারেন। এ সময়ে  হালকা, ঢিলেঢালা এবং উজ্জ্বল রঙের নয়- এমন পোষাক  কাপড় পরার চেষ্টা করুন। সুতি বা লিনেন কাপড় বেছে নিতে পারেন এতে করে গরমে আরাম পাবেন। এসব কাপড় ঘাম শোষণ করে এবং বায়ু চলাচলও স্বাভাবিক রাখে।

সঙ্গে রাখুন ছাতা: বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় সঙ্গে ছাতা রাখুন। এছাড়াও সানগ্লাস বা হ্যাট ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে সরাসরি রোদ থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন। গরমের সময়ে ছাতা এবং প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ অনেক কাজে আসে।  



তীব্র   গরম   নিজেকে   ঠান্ডা   রাখুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

গরমে সুস্থ থাকতে লেবুর শরবত না কি ডাবের পানি, কোনটি উপকারী?

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অসহনীয় গরমের তীব্রতা বেড়েই চলছে। এ হাঁসফাঁস অবস্থায় বিপর্যস্ত জনজীবন। গরমে বাইরে বের হওয়াও মুশকিল। আবার অবিরত ঘাম ঝরা তো রয়েছেই। এতে শরীর থেকে পানি ও খনিজ বের হয়। ফলে অল্পতেই ক্লান্তবোধ হয় শরীরে। পাশাপাশি ডিহাইড্রেশনের মতো কঠিন সমস্যারও আশঙ্কা বাড়ছে দিন দিন।

এ অবস্থায় অনেকেই সুস্থ থাকার জন্য লেবুর শরবত পান করছেন। আবার কেউ কেউ ডাবের পানি পান করেন। দুটি পানীয়ই ভালো। তবে এরমধ্যে কোনটি বেশি ভালো- এ নিয়ে অনেক সময় বিতর্ক দেখা যায়। সম্প্রতি এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী।

লেবুর পানিতেও উপকার

লেবুর পানি বা শরবতেও শরীরের পানির ঘাটতি মেটানো সম্ভব। লেবুর শরবত পানে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও পটাশিয়াম, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি২- এর মতো উপকারী ভিটামিন ও খনিজও রয়েছে এতে। তাই শরীর ভালো রাখার জন্য লেবুর শরবত পান করা যেতে পারে।

ডাবে ওষুধি গুণাগুণ

এক কাপ ডাবের পানি থেকে প্রায় ৬০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। এই পানীয়তে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো একাধিক উপকারী খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। আবার উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে ডাবের পানিতে। ফলে গরমের দিনে ডাবের পানি পানে শরীর ঠান্ডা থাকে। এটি শরীরে পানির ঘাটতিও পূরণ করে। একইসঙ্গে ডাবের পানি পানে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য ফিরে আসে। এ জন্য গরমে ডাবের পানি পান করা যেতে পারে।

কার জন্য কোনটি নিষেধ

লেবু খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয় অনেকের। যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের লেবু থেকে দূরে থাকা উচিত। আবার ডাবের পানি হচ্ছে পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। এই খনিজ কিছু ক্রনিক কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক। এ জন্য কিডনির ক্রনিক অসুখ থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডাবের পানি পান করা উচিত নয়।

ডাব না লেবু, কোনটা খাবেন

দুটি পানীয়ই উপকারী। এ জন্য গরমের দিনে শরীরকে হাইড্রেট রাখার জন্য প্রতিদিন দুটি পানীয়ই পান করতে পারেন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্যও ফিরবে। তবে সহজলভ্যের কথা ভাবলে ডাবের তুলনায় লেবু অনেক কম দামে পাওয়া যায়। এ জন্য সামর্থ্য থাকলে ডাবের পানি পান করতে পারেন। তা না হলে লেবুর শরবতেও ভরসা রাখতে পারেন।



গরম   সুস্থ   ডাব   লেবু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪১ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেনে, ‘আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করতেছি। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে দেশের সব প্রাইভেট হাসপাতালে রোগনির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হবে’।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন তেঁতুইবাড়ি এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালকে আরও সচল করা হবে, যাতে সাধারণ মানুষকে আরও ভালো সেবা দিতে পারি। এ হাসপাতালে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি রয়েছে।’

এই হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ বেশি এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো আমরা সমন্বয় করার চেষ্টা করব। আলোচনা করে এসব ঠিক করা হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী মোহাম্মদ নাজমুল হাসান পাপন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহমেদ, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল পরিচালক জে এম এইচ কাওসার আলম, প্রধান নার্সিং কর্মকর্তা রুযিতা মোহাম্মদ দান, সিভিল সার্জন মাহমুদা আক্তার, কালিয়াকৈর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজব বিশ্বাস, টঙ্গী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না জোতি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোনাবাড়ী জোন) আমির হোসেন, কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার জাহান প্রমুখ।

মন্ত্রী হাসপাতালের বিভিন্ন ফ্লোর, অফিস কক্ষ পরিদর্শন ও হাসপাতালের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   প্রাইভেট হাসপাতাল   মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

এবার বার্ড ফ্লু ভাইরাসের স্ট্রেইন মিলল দুধে

প্রকাশ: ০৭:১৩ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কিছুদিন পূর্বেই সারা বিশ্ব দেখেছে মহামারী করোনাভাইরাসের দাপট। ভাইরাসের ক্ষমতা কতটা দানবীয় হতে পারে তার কিছুটা আঁচ দিয়ে গেছে এই কোভিড যুগ। এবার নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আরেক ভাইরাস বার্ড ফ্লু। ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় এই রোগের H5N1-এর স্ট্রেইনের সন্ধান মিলেছে এবার দুধে।

শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত প্রাণীরা এই বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত তাদের শরীরজাত কাঁচা দুধে মিলেছে এই ভাইরাসের স্ট্রেইন। তবে এই ভাইরাস দুধের মধ্যে কতদিন বেঁচে থাকে, তাই এখন প্রশ্ন।

১৯৯৬ সালে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুেয়েঞ্জা (H5N1) প্রাথমিকভাবে ছড়িয়েছিল। পরে ২০২০ সালে তা ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। সেবার মৃত্যুর হার ছিল ভয়ানক।

২০২০ সালে ওই ভাইরাসের ছড়ানোর ঘটনায় যে শুধু ১০ মিলিয়ন পোলট্রির মুরগি মারা গিয়েছিল তা নয়, সংক্রমিত হয়েছিল বহু বন্য পাখি, স্থলের পশু, জলজ স্তন্যপায়ীরাও। বার্ড ফ্লু মানেই যে শুধু পাখিদের ঘিরে উদ্বেগ তা নয়। গত মাসেই এই বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্তের সংখ্যায় যোগ হয়েছে গরু ও ছাগল। উল্লেখ্য, এর আগে এই ইনফ্লুয়েঞ্জাতে কখনওই সংক্রমণের আশঙ্কার তালিকায় গরু ও ছাগল পাওয়া যায়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রোগ্রামের প্রধান ওয়েনকিং ঝাং বলেন, ‘টেক্সাসে একটি গরু থেকে প্রথমবারের মতো কোনো মানুষ বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হলো। পাখি থেকে গরু, গরু থেকে গরু এবং গরু থেকে পাখির মধ্যে ভাইরাসটি সংক্রমণের বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। এ থেকে বোঝা যায় যে, ভাইরাসটির বিষয়ে আমরা আগে যা বুঝেছিলাম তার থেকে ভিন্নভাবে সংক্রমিত হচ্ছে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা বলেন, বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত প্রাণীর দুধের মধ্যে ভাইরাসটি পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পাস্তুরিত দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যসহ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।


বার্ড ফ্লু   ভাইরাস   বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন