ইনসাইড হেলথ

মহামারী শুরু: কি করবে বাংলাদেশ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশে কয়েকদিন ধরে জ্যামিতিক হারে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং মৃতের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারীর অন্ধকার গহ্বরে বাংলাদেশের প্রবেশ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিছু বিশেষজ্ঞ আবার বলছেন, বাংলাদেশে ইতিমধ্যে করোনার মহামারী শুরু হয়ে গেছে। বিপুল সংখ্যক রোগী পরীক্ষা করা গেলে এখন বোঝা যাবে বাংলাদেশে এখন মহামারীর অবস্থা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় আমাদের করণীয় কী?

আমরা প্রথম সুযোগটি কাজে লাগাতে পারিনি। মহামারী মোকাবেলার জন্য যে সুযোগ বাংলাদেশ পেয়েছিল, সেই সুযোগ কাজে লাগাতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এখন মহামারীর অন্ধকার টানেল থেকে বেরিয়ে আমাদের আসতেই হবে, এবং সেই বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের কিছু ন্যুনতম ছাড় দেওয়া অবকাশ নেই। এই সুযোগ হাতছাড়া করার অবকাশও আমাদের নেই।

এখন প্রশ্ন হলো মহামারী প্রতিরোধের জন্য আমাদের কি করতে হবে? চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে বাংলা ইনসাইডার ৫টি সুপারিশ তৈরি করেছে-

প্রথমত, চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যতই বলি না কেন আমাদের হাসপাতাল প্রস্তুত, আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভেন্টিলেশন আছে, কিংবা আমাদের আইসিইউয়ের অভাব নেই- কিন্তু আমাদের বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। চিকিৎসার দিকে দিয়ে আমাদের প্রস্তুতি আদতে অনেক কম। আর তাই মহামারী প্রতিরোধে আমাদের প্রথম যেটা করতে হবে সেটা হলো সবার জন্য চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আমাদের যা করতে হবে তা হলো-

ক. আমাদের বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোকে এক মুহূর্ত বিলম্ব না করে করোনা চিকিৎসার জন্য সুসজ্জিত করতে হবে এবং উপযুক্ত যন্ত্রপাতি সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করতে হবে।

খ. আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, নার্সসহ যারা করোনার চিকিৎসার দেবেন তাদের প্রস্তুত রাখতে হবে। তাদেরকে মানসিকভাবে এবং পর্যাপ্ত উপকরণ দিয়ে প্রস্তুত করতে হবে।

গ. বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে কীভাবে করোনা চিকিৎসায় সম্পৃক্ত করা যায়, সে নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

ঘ. করোনা রোগের পরীক্ষার ব্যাপ্তি অনেক বাড়াতে হবে। যে সমস্ত এলাকাগুলোতে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে, সেসব এলাকায় সন্দেহভাজন প্রত্যেককে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।

মোট কথা, চিকিৎসা যদি আমরা নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে বাংলাদেশে মৃত্যুর মিছিল হবে ভয়াবহ। কারণ বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ।

দ্বিতীয়ত, সুপারিশ হলো আমাদের সবাইকে ঘরে থাকতেই হবে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ড. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন যে, এখন ঘরে থাকতেই হবে এবং ঘরে থাকার কোনো বিকল্পই নেই। তিনি বলেছেন, ধর্মীয় উপাসনাগুলো ঘরে করাই শ্রেয়।আসন্ন শবে বরাতের ইবাদাত ঘরে করতে হবে এবং পয়লা বৈশাখের কোনো উদযাপন করা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ ছুটির শিথিলতার সুযোগ নিয়ে জনগণ অযথাই যে ঘর থেকে বের হচ্ছেন, সেখানে আরও কঠোরতা আরোপ করতে হবে। প্রয়োজনে কিছুদিনের জন্য লকডাউন এবং কারফিউয়ের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সরকারকে।

তৃতীয়ত, গুজব বন্ধ করতে হবে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যখন বাড়ছে, তখন স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত, আতঙ্কিত, অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করবে। এর ফলে করোনার মহামারী মোকাবেলায় যে মূল লক্ষ্য এবং করণীয় তা ব্যাহত হতে পারে। সে কারণে গুজব বন্ধ করতেই হবে। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

চতুর্থত, দরিদ্রদের খাদ্যসংস্থান করতে হবে। লকডাউন বা ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে গেলে গরিব মানুষ যেন খাবার জন্য বের না হয়, তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য ঘরে যেন খাদ্য পৌঁছানো যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে তালিকা করে স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে কাজে লাগাতে হবে।

পঞ্চমত, সফল দেশের অভিজ্ঞতাগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। করোনা মোকাবেলা করে যে দেশগুলো সফল হয়েছে যেমন চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ানের অভিজ্ঞতাগুলোকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, বিশ্লেষণ করতে হবে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এই অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগিয়ে আমাদের বাংলাদেশে করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে একটি রূপপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এটি করতে পারলে আমরা হয়ত দ্রুতই মহামারীর অন্ধকার গহ্বর থেকে বেরিয়ে সাধারণ জীবনে ফিরতে পারবো।

একটা কথা মনে রাখতে হবে, আমাদের সমস্যা হলো আমরা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ একটি জনপদের বাসিন্দা। আমাদের জন্য যে ইতিবাচক দিক, তা হলো আমাদের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ হলো তরুণ, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো। কাজেই মহামারী থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের যে ইতিবাচক দিকগুলো রয়েছে, সেগুলোকে পরিচর্যা করে করোনা মহামারী মোকাবেলার জন্য এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

তীব্র গরমে নিজেকে ঠান্ডা রাখুন!

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গ্রীষ্মের এই প্রচণ্ড গরমে জনজীবনের হাঁসফাঁস অবস্থা চলছে। এই অবস্থায় অনেকেই এখন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই সুস্থ থাকতে এই তীব্র গরমেও নিজেকে একটু ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক এবং পুষ্টিবিদ কেরি টরেন্স বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন কীভাবে এই তাপদাহেও নিজেকে শীতল রাখা যায়। যদিও দেশে তাপপ্রবাহ মে এবং জুন মাসে বাড়ে। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপ বৃদ্ধির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। ফলে, একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পর্যাপ্ত তরল পান করুন: গরমের সময় আপনার দেহে তরলের চাহিদা বেড়ে যায়। এর কারণ মূলত ঘামের জন্য আপনার দেহ থেকে যে তরল বের হয়ে যায়। আর এ কারণের দেশের তরলের ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত তরল পান করতে হবে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এতে করে পানিশূন্যতার ঝুঁকি থাকবে না। পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের জুস খেতে পারেন।

তাজা শাকসবজি এবং ফল : এই গরমে খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে। চেষ্টা করুন হালকা জাতীয় এবং তাজা খাবার বেশি পরিমাণে খেতে। এতে করে সুস্থও থাকবেও পাশাপাশি দেহে পানিশূন্যতার ঝুঁকিও কমবে। স্ট্রবেরি, তরমুজ, শসা, লাউ এই জাতীয় তাজা ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

নির্দিষ্ট সময়ে ছায়ায় থাকুন: সারাদিনের যে সময়টাতে সবচেয়ে বেশি সূর্যের তাপ থাকে সে সময়টা সরাসরি সম্ভব হলে ছায়ায় থাকুন। সকাল ১১টা থেকে বিকেল তিনটা- এ সময়টাতে সরাসরি তাপ এড়িয়ে চলুন এতে করে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন। এছাড়াও শারীরিক ব্যায়াম, ঘরের কোন ভারী কাজ যখন বাইরে আবহাওয়া তুলনামূলক ঠান্ডা থাকবে তখন করার চেষ্টা করবেন।

শোবার ঘর ঠান্ডা রাখুন: সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো হয় শোয়ার ঘরের। সারাদিনের কাজ শেষে একটু স্বস্তি পেটে শোয়ার ঘরটি ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। তাই তীব্র রোদের সময়টুকুতে ঘরে যাতে সরাসরি তাপ প্রবেশ না করে সেদিকে নজর দিন। দিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঘরের পর্দা টেনে রাখুন।

পোশাক নির্বাচনে: গরম থেকে বাঁচতে পোশাক নির্বাচনে সচেতন হতে পারেন। এ সময়ে  হালকা, ঢিলেঢালা এবং উজ্জ্বল রঙের নয়- এমন পোষাক  কাপড় পরার চেষ্টা করুন। সুতি বা লিনেন কাপড় বেছে নিতে পারেন এতে করে গরমে আরাম পাবেন। এসব কাপড় ঘাম শোষণ করে এবং বায়ু চলাচলও স্বাভাবিক রাখে।

সঙ্গে রাখুন ছাতা: বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় সঙ্গে ছাতা রাখুন। এছাড়াও সানগ্লাস বা হ্যাট ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে সরাসরি রোদ থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন। গরমের সময়ে ছাতা এবং প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ অনেক কাজে আসে।  



তীব্র   গরম   নিজেকে   ঠান্ডা   রাখুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

গরমে সুস্থ থাকতে লেবুর শরবত না কি ডাবের পানি, কোনটি উপকারী?

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অসহনীয় গরমের তীব্রতা বেড়েই চলছে। এ হাঁসফাঁস অবস্থায় বিপর্যস্ত জনজীবন। গরমে বাইরে বের হওয়াও মুশকিল। আবার অবিরত ঘাম ঝরা তো রয়েছেই। এতে শরীর থেকে পানি ও খনিজ বের হয়। ফলে অল্পতেই ক্লান্তবোধ হয় শরীরে। পাশাপাশি ডিহাইড্রেশনের মতো কঠিন সমস্যারও আশঙ্কা বাড়ছে দিন দিন।

এ অবস্থায় অনেকেই সুস্থ থাকার জন্য লেবুর শরবত পান করছেন। আবার কেউ কেউ ডাবের পানি পান করেন। দুটি পানীয়ই ভালো। তবে এরমধ্যে কোনটি বেশি ভালো- এ নিয়ে অনেক সময় বিতর্ক দেখা যায়। সম্প্রতি এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী।

লেবুর পানিতেও উপকার

লেবুর পানি বা শরবতেও শরীরের পানির ঘাটতি মেটানো সম্ভব। লেবুর শরবত পানে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও পটাশিয়াম, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি২- এর মতো উপকারী ভিটামিন ও খনিজও রয়েছে এতে। তাই শরীর ভালো রাখার জন্য লেবুর শরবত পান করা যেতে পারে।

ডাবে ওষুধি গুণাগুণ

এক কাপ ডাবের পানি থেকে প্রায় ৬০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। এই পানীয়তে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো একাধিক উপকারী খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। আবার উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে ডাবের পানিতে। ফলে গরমের দিনে ডাবের পানি পানে শরীর ঠান্ডা থাকে। এটি শরীরে পানির ঘাটতিও পূরণ করে। একইসঙ্গে ডাবের পানি পানে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য ফিরে আসে। এ জন্য গরমে ডাবের পানি পান করা যেতে পারে।

কার জন্য কোনটি নিষেধ

লেবু খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয় অনেকের। যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের লেবু থেকে দূরে থাকা উচিত। আবার ডাবের পানি হচ্ছে পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। এই খনিজ কিছু ক্রনিক কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক। এ জন্য কিডনির ক্রনিক অসুখ থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডাবের পানি পান করা উচিত নয়।

ডাব না লেবু, কোনটা খাবেন

দুটি পানীয়ই উপকারী। এ জন্য গরমের দিনে শরীরকে হাইড্রেট রাখার জন্য প্রতিদিন দুটি পানীয়ই পান করতে পারেন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্যও ফিরবে। তবে সহজলভ্যের কথা ভাবলে ডাবের তুলনায় লেবু অনেক কম দামে পাওয়া যায়। এ জন্য সামর্থ্য থাকলে ডাবের পানি পান করতে পারেন। তা না হলে লেবুর শরবতেও ভরসা রাখতে পারেন।



গরম   সুস্থ   ডাব   লেবু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪১ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেনে, ‘আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করতেছি। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে দেশের সব প্রাইভেট হাসপাতালে রোগনির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হবে’।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন তেঁতুইবাড়ি এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালকে আরও সচল করা হবে, যাতে সাধারণ মানুষকে আরও ভালো সেবা দিতে পারি। এ হাসপাতালে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি রয়েছে।’

এই হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ বেশি এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো আমরা সমন্বয় করার চেষ্টা করব। আলোচনা করে এসব ঠিক করা হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী মোহাম্মদ নাজমুল হাসান পাপন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহমেদ, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল পরিচালক জে এম এইচ কাওসার আলম, প্রধান নার্সিং কর্মকর্তা রুযিতা মোহাম্মদ দান, সিভিল সার্জন মাহমুদা আক্তার, কালিয়াকৈর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজব বিশ্বাস, টঙ্গী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না জোতি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোনাবাড়ী জোন) আমির হোসেন, কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার জাহান প্রমুখ।

মন্ত্রী হাসপাতালের বিভিন্ন ফ্লোর, অফিস কক্ষ পরিদর্শন ও হাসপাতালের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   প্রাইভেট হাসপাতাল   মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

এবার বার্ড ফ্লু ভাইরাসের স্ট্রেইন মিলল দুধে

প্রকাশ: ০৭:১৩ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কিছুদিন পূর্বেই সারা বিশ্ব দেখেছে মহামারী করোনাভাইরাসের দাপট। ভাইরাসের ক্ষমতা কতটা দানবীয় হতে পারে তার কিছুটা আঁচ দিয়ে গেছে এই কোভিড যুগ। এবার নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আরেক ভাইরাস বার্ড ফ্লু। ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় এই রোগের H5N1-এর স্ট্রেইনের সন্ধান মিলেছে এবার দুধে।

শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত প্রাণীরা এই বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত তাদের শরীরজাত কাঁচা দুধে মিলেছে এই ভাইরাসের স্ট্রেইন। তবে এই ভাইরাস দুধের মধ্যে কতদিন বেঁচে থাকে, তাই এখন প্রশ্ন।

১৯৯৬ সালে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুেয়েঞ্জা (H5N1) প্রাথমিকভাবে ছড়িয়েছিল। পরে ২০২০ সালে তা ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। সেবার মৃত্যুর হার ছিল ভয়ানক।

২০২০ সালে ওই ভাইরাসের ছড়ানোর ঘটনায় যে শুধু ১০ মিলিয়ন পোলট্রির মুরগি মারা গিয়েছিল তা নয়, সংক্রমিত হয়েছিল বহু বন্য পাখি, স্থলের পশু, জলজ স্তন্যপায়ীরাও। বার্ড ফ্লু মানেই যে শুধু পাখিদের ঘিরে উদ্বেগ তা নয়। গত মাসেই এই বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্তের সংখ্যায় যোগ হয়েছে গরু ও ছাগল। উল্লেখ্য, এর আগে এই ইনফ্লুয়েঞ্জাতে কখনওই সংক্রমণের আশঙ্কার তালিকায় গরু ও ছাগল পাওয়া যায়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রোগ্রামের প্রধান ওয়েনকিং ঝাং বলেন, ‘টেক্সাসে একটি গরু থেকে প্রথমবারের মতো কোনো মানুষ বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হলো। পাখি থেকে গরু, গরু থেকে গরু এবং গরু থেকে পাখির মধ্যে ভাইরাসটি সংক্রমণের বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। এ থেকে বোঝা যায় যে, ভাইরাসটির বিষয়ে আমরা আগে যা বুঝেছিলাম তার থেকে ভিন্নভাবে সংক্রমিত হচ্ছে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা বলেন, বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত প্রাণীর দুধের মধ্যে ভাইরাসটি পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পাস্তুরিত দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যসহ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।


বার্ড ফ্লু   ভাইরাস   বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

দিনে ৭ হাজার কদম হাঁটলে কমতে পারে অকাল মৃত্যুঝুঁকি

প্রকাশ: ১০:৩৭ এএম, ১০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে সহজ নিয়মিত হাঁটা। কতুটুকু হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে– খুব বেশি নয়, দিনে কমপক্ষে ৭ হাজার কদম হাঁটার অভ্যাসই অকাল মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

এছাড়া, দিনে কমপক্ষে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৭০০ ধাপ হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায়। তবে এর চেয়ে বেশি হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

নতুন গবেষণা আরও বলা হয়েছে, যারা দিনে ৯ হাজার ধাপ হাঁটেন, হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে তাদের মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গালফ নিউজ’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি ‘জার্নাল অব আমেরিকান কার্ডিওলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণাটি পূর্বের অন্যান্য ১২টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা হয়েছে। এটিকে ‘মেটা অ্যানালাইসিস’ বা ‘মেটা স্টাডি’ বলা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৭ হাজার ধাপ হাঁটলে হৃদরোগ কমার সম্ভাবনা প্রায় ৫১ শতাংশ। এই গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে, দিনে ২৫০০ থেকে ২৭০০ কদম হাঁটলে স্বাস্থ্যের পক্ষে প্রাথমিক উপকারিতা শুরু হয়। পরিমিত হাঁটার এই অভ্যাস রক্তে শর্করার বৃদ্ধি কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করে।

নতুন গবেষণা বলছে, প্রতিদিন ২৭০০ কদম হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ১১ শতাংশ। প্রতিদিন ৭০০০ ধাপ হাঁটা এটিকে ৫১ শতাংশে উন্নীত করে। আর প্রতিদিন যদি ৯০০০ কদম হাঁটা যায়, তাহলে হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ।

সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন আপনার কত কদম হাঁটা উচিত? এই প্রশ্ন যদি আপনার মনে এসে থাকে, তাহলে তার নিশ্চিত উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছে নতুন এই গবেষণা।


ব্যাম   হাঁটা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন