ইনসাইড হেলথ

পিপিই নিয়ে যত বিভ্রান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ০২ মে, ২০২০


Thumbnail

করোনা ভাইরাসের এই ক্রান্তিকালে আমরা সাধারণ মানুষ যেসব নতুন শব্দের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি, তার মধ্যে অন্যতম হলো পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট)। যার বাংলা করলে দাঁড়ায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম। স্পেসস্যুটের মতো দেখতে এই পোশাকটি নিয়ে আমাদের দেশে চলছে নানা বিভ্রান্তি। প্রথম কথা হলো, চিকিৎসক অর্থাৎ যারা করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেবেন, তাদের জন্যই পিপিই। সেই সঙ্গে নার্স, ওয়ার্ড বয়সহ যারা রোগীর সংস্পর্শে যাবেন তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ‘পিপিই’ ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে পিপিই যদি সুরক্ষাই দেয়, তাহলে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা কেন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন? পিপিই কতক্ষণ সুরক্ষা দিতে পারে? এটা বানানোই বা হয় কী দিয়ে? পিপিই সম্পর্কে এসব প্রশ্ন নিয়েই বাংলা ইনসাইডার কথা বলেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি পিপিই নিয়ে বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় জানিয়েছেন আমাদের। জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত- 

পিপিই কেন?

পিপিই তে মূলত ৫টি জিনিস থাকে। এগুলো হলো-  

১. মুখের আবরণ (ফেস শিল্ড)

২. চোখ ঢাকার জন্য মুখের সাথে লেগে থাকে এমন চশমা বা গগলস

৩. মাস্ক

৪. গ্লাভস

৫. জুতার কভারসহ গাউন

ডা. ওয়াদুদ বলেন, করোনাভাইরাসটা মূলত রেস্পিরেটরি ভাইরাস। এর মানে হলো এটা শ্বাসতন্ত্র দিয়ে ঢুকবে। এই ভাইরাস শরীরে ঢোকার পথটা হলো নাক, মুখ এবং চোখ। সুতরাং আমাদের মূলত সুরক্ষা দরকার গলা থেকে উপর পর্যন্ত। এজন্য দরকার মুখের আবরণ (ফেস শিল্ড), চোখ ঢাকার জন্য মুখের সাথে লেগে থাকে এমন চশমা বা গগলস এবং মাস্ক। এরপর দরকার হাতের সুরক্ষা। এর কারণ হলো, সমীক্ষা বলে মানুষ ঘন্টার মধ্যে ৩০ বার মুখের এলাকায় হাত দেয়। কাজেই একটা গ্লাভস যদি পড়া থাকে তাহলে খেয়াল থাকবে যে, আমার হাতে কিছু পড়া আছে, তাই চট করে নাক, মুখ, চোখে হাত যাবে না। আমি কিছু ধরতে গেলে খেয়াল হবে যে আমি কিছু ধরতে যাচ্ছি, সাবধান থাকতে হবে। এটার জন্যই গ্লাভস। গ্লাভস আসলে ভাইরাস প্রতিরোধী না।

ডা. ওয়াদুদ আরও বলেন, পিপিই হিসেবে গলার নীচের অংশ থেকে বাকি যে পোশাকগুলো আমরা পরি, অর্থাৎ জুতার কভারসহ গাউন। এর কারণ হলো, যখন আমরা রোগীদের দেখি বা ওয়ার্ডে যাই তখন তাদের হাঁচি কাশি থেকে ড্রপলেট আমার জামা কাপড়ে লেগে যেতে পারে। সেই জামা কাপড় পরেই আমি বাড়িতে ফিরবো বা সহকর্মীদের সাথে বসবো। তখন তাদের মাঝেও করোনার সংক্রমণ হতে পারে। এ কারণেই চিকিৎসকদের পিপিই’র বাকি অংশটা অর্থাৎ গাউন পরা উচিৎ। এটা যতটা না নিজের সুরক্ষা, তার চেয়ে বেশি হলো অন্যের সুরক্ষার জন্য। রোগী দেখা শেষ হলে বা হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় গাউনটা খুলে ফেললে অন্তত এতটুকু নিশ্চিত হওয়া যায় যে, আমি কোনো ড্রপলেট সঙ্গে করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি না।

কী দিয়ে তৈরি…

পিপিই তৈরিতে এমন কাপড় ব্যবহার করা হয়, যা কোনোভাবেই তরল শুষে নেবে না। এটি এমন পদার্থে তৈরি যাতে তা কোনো ধরনের তরলকে ধারণ না করে এবং সেটা গড়িয়ে পড়ে যায়। অর্থাৎ পিপিইকে সম্পূর্ণ শুষ্ক রাখে, এমন উপাদান দিয়েই পিপিই তৈরি করা হয়।

চিকিৎসকদের জন্য অবশ্যই যেটা দরকার…

ডা. ওয়াদুদ বলেন, চিকিৎসকদের জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার সেটা হলো ভালো মানের এন-৯৫ মাস্ক, গগলস। সেই সঙ্গে ফেস শিল্ড। ফেস শিল্ড আমাদের দেশেই তৈরি হচ্ছে। এটার দামও খুব বেশি না। কাজেই হাসপাতালগুলো চাইলেই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ফেস শিল্ডের ব্যবস্থা করতে পারে।

চিকিৎসকরা কেন আক্রান্ত হচ্ছেন?

ডা. ওয়াদুদ বলেন, আমাদের দেশে চিকিৎসকদের আক্রান্ত হওয়ার প্রথম কারণ হলো, আমাদের পিপিই রিইউজ করতে হচ্ছে। দ্বিতীয় কারণটা হচ্ছে, সঠিকভাবে পিপিই না খোলা। সঠিকভাবে পিপিই না খোলার ফলে জীবাণুটা হয়তো হাতে লেগে যাচ্ছে। আর হাত থেকে জীবানুটা চোখ, নাক, মুখের মাধ্যমে  হয়তো দেহে প্রবেশ করছে।

আরেকটি বিষয় হলো, ডাক্তার বা নার্সরা যখন রোগীর নেবুলাইজ করতে যাচ্ছেন, কিংবা অ্যারোসল প্রডিউসিং কিছু ব্যবহার করছেন তখন জীবাণুটা তাদের মধ্যেও চলে আসছে। সংকটাপন্ন রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে এমনটা ঘটছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বিদেশে চিকিৎসকদের হ্যাজমাট স্যুট দেওয়া হচ্ছে। 

এন-৯৫ মাস্ক কতদিন, কীভাবে ব্যবহার করা যায়?

এন-৯৫ মাস্ক হলো মূলত চিকিৎসা কর্মীদের ব্যবহার করার মাস্ক, যা বাতাসের ৯৫ শতাংশ ক্ষুদ্র কণা আটকে রাখতে সক্ষম।

এই মাস্কের ব্যাপারে ডা. ওয়াদুদ বলেন, এন-৯৫ খুব দামী মাস্ক। এটা পাওয়াও যায় না। শুধু আমাদের দেশই নয়, বিদেশেও এই মাস্কের সংকট আছে। এক্ষেত্রে আমরা যেটা করতে পারি সেটা হচ্ছে, আমার যদি তিনটা মাস্ক থাকে তাহলে একেকদিন একেকটা বদলে পরতে পারি। অর্থাৎ একজন চিকিৎসক তার দিনের কাজ শেষে মাস্কটি বাতাসে শুকিয়ে নিতে পারেন। তিনদিন পরে সেটা আমি আবার ব্যবহার করতে পারি। বিদেশে এটা হাইডড়োজেন পার অক্সাইড ভেপার দিয়ে এই মাস্ক পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এত সুযোগ নেই। কিন্তু আমরা বাতাসে শুকিয়ে নিয়ে তিনদিন পর এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করতে পারি। এভাবে একেদিন বদল করে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত একটি মাস্ক ব্যবহার করা যায়। শুধু একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, এই অবশ্যই ৭২ ঘন্টা বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে। এই মাস্ক অবশ্যই ভেজানো যাবে না। রোদেও দেওয়া যাবে না। তবে এন-৯৫ ব্যবহার করার সময় এর উপরে আরেকটি সার্জিকাল মাস্ক পরা যেতে পারে। এতে করে এন-৯৫ মাস্কটি পরিষ্কার থাকবে।

গ্লাভস প্রসঙ্গে…

আমাদের মধ্যে একটা ধারণা আছে যে, গ্লাভস পড়লে বোধহয় হাত ধুতে হয় না। এ প্রসঙ্গে ডা. ওয়াদুদ বলেন, গ্লাভস পড়লেও বারবার হাত ধুতে হবে। ডাক্তারদের ক্ষেত্রে এটা আরও বেশি দরকার। একজন রোগী দেখার পরই তাকে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। গ্লাভসের উপর থেকেই হাত ধুতে হবে যেন সেটাতে জীবাণু লেগে না থাকে।

পিপিই কি ধুয়ে ব্যবহার করা যায়?

পিপিই কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। ডিসপজেবল পিপিই আছে, ওয়ান টাইম পিপিই যেমন আছে। তেমনি রিইউজেবল পিপিই আছে। রিইউজেবল পিপিই ধুয়ে ব্যবহার করা যায়। এটা একবার ব্যবহারের পর ডিটারজেন্ট মেশানো পানিতে ৩০ মিনিট ডুবিয়ে রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর বাতাসে ভালোভাবে শুকিয়ে সেটা ব্যবহার করা যাবে।

পিপিই পরে কতক্ষণ সুরক্ষিত থাকা সম্ভব?

চিকিৎসকরা পিপিই কতক্ষণ সুরক্ষা দেবে তার থেকে বড় প্রশ্ন হলো, পিপিই পরে কতক্ষণ থাকা সম্ভব? কারণ আমাদের দেশে যে তাপমাত্রা তাতে করে আধা ঘন্টা পিপিই পরে থাকাটাই কষ্টকর। এসি রুমে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা এটা পরে থাকা যায়। কিন্তু সেখানেও সমস্যা আছে, তা হলো- পিপিই পরে টয়লেটে যাওয়া সম্ভব নয়। আবার একটা পিপিই একবার খোলা মানে সেটা আর পরা যাবে না। রিইউজেবল হলে সেটাকে ধুয়ে পরতে হবে। নাহলে সেটাকে ফেলে দিতে হবে। এজন্য বিদেশে এখন ডাক্তাররা বাধ্য হয়ে ডায়াপার ব্যবহার করছেন, যেন তাদের টয়লেটে যেতে না হয়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পিপিই পরা এবং খোলার নিয়ম জানা…

ডা. ওয়াদুদ বললেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পিপিই সঠিকভাবে পরা এবং খোলার নিয়মটা জানা। সারাদিন পিপিই পরে থেকে সেটা যদি সঠিকভাবে না খোলা হয়, তাহলে জীবাণুটা হাতে বা শরীরের অন্য কোথাও লেগে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে পিপিই পরার কোনো মানেই থাকলো না। এজন্য চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, ওয়ার্ডবয় ক্লিনারসহ যারা রোগীর সংস্পর্শে যাচ্ছেন তাদের অবশ্যই মাস্ক, গ্লাভসসহ পুরো পিপিই সঠিকভাবে খুলতে হবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

দিনে ৭ হাজার কদম হাঁটলে কমতে পারে অকাল মৃত্যুঝুঁকি

প্রকাশ: ১০:৩৭ এএম, ১০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে সহজ নিয়মিত হাঁটা। কতুটুকু হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে– খুব বেশি নয়, দিনে কমপক্ষে ৭ হাজার কদম হাঁটার অভ্যাসই অকাল মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

এছাড়া, দিনে কমপক্ষে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৭০০ ধাপ হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায়। তবে এর চেয়ে বেশি হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

নতুন গবেষণা আরও বলা হয়েছে, যারা দিনে ৯ হাজার ধাপ হাঁটেন, হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে তাদের মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গালফ নিউজ’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি ‘জার্নাল অব আমেরিকান কার্ডিওলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণাটি পূর্বের অন্যান্য ১২টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা হয়েছে। এটিকে ‘মেটা অ্যানালাইসিস’ বা ‘মেটা স্টাডি’ বলা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৭ হাজার ধাপ হাঁটলে হৃদরোগ কমার সম্ভাবনা প্রায় ৫১ শতাংশ। এই গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে, দিনে ২৫০০ থেকে ২৭০০ কদম হাঁটলে স্বাস্থ্যের পক্ষে প্রাথমিক উপকারিতা শুরু হয়। পরিমিত হাঁটার এই অভ্যাস রক্তে শর্করার বৃদ্ধি কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করে।

নতুন গবেষণা বলছে, প্রতিদিন ২৭০০ কদম হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ১১ শতাংশ। প্রতিদিন ৭০০০ ধাপ হাঁটা এটিকে ৫১ শতাংশে উন্নীত করে। আর প্রতিদিন যদি ৯০০০ কদম হাঁটা যায়, তাহলে হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ।

সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন আপনার কত কদম হাঁটা উচিত? এই প্রশ্ন যদি আপনার মনে এসে থাকে, তাহলে তার নিশ্চিত উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছে নতুন এই গবেষণা।


ব্যাম   হাঁটা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

‘কোয়ালিটিফুল চিকিৎসক তৈরিতে কোনো আপস নয়’

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেছেন, কোয়ালিটিফুল চিকিৎসক তৈরিতে আমরা কোনো আপস করবো না। ভবিষ্যতের জন্য চিকিৎসক তৈরিতে মানের দিক থেকে কোনো ছাড় না দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি।

গতকাল রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশন এই অধিবেশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।

উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪ হাজার ৮০৭ জন রেসিডেন্ট চিকিৎসক আছেন। এরমধ্যে ১০০ জন বিদেশি রেসিডেন্ট। তাদের ডিগ্রিটা যেন ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেওয়া হয়। আমরা তাদের পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবো না’।

নতুন দায়িত্ব গ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে এনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি এখানকার দায়িত্ব চেয়ে নেইনি। আমার ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভরসার পাশাপাশি আমার প্রতি ওনার কিছু চাওয়াও আছে। আমি চেষ্টা করবো এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণায় বিশ্বে একটি অনুকরণীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়তে’।


বিএসএমএমইউ   উপাচার্য   অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস: এখনও অধরা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অপারেশন থিয়েটারে হেঁটে গিয়েছিল শিশু তাসনিয়া, পরে নিথরদেহ পেল বাবা।  সম্প্রতি কেরানীগঞ্জে তনয়া (১২) নামের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর আদ-দ্বীন হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।  অপরদিকে রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনা করাতে গিয়ে পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যু হয় গত ৭ জানুয়ারি।  শুধু তাই নয়, রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করতে গিয়ে মৃত্যু হয় দশ বছর বয়সী ছেলে আহনাফ তাহমিনের।

শুধু তাসনিয়া কিংবা আহনাফের মতো কোমলমতি শিশুই নয়, দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে, ভুল আর অবহেলা জনিত চিকিৎসায় মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিনই রাজধানীসহ সারাদেশের কোথাও না কোথাও থেকে এমন খবর আসছে। গত এক বছর ধরে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। এর মাঝেই বিশ্বজুড়ে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।

বলা হয়ে থাকে, একজন মানুষের সুখের আসল সূত্র সত্যিকার অর্থেই তার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার উপর নির্ভর করে। মানুষ হিসাবে সুস্থ শরীর ও মন নিয়ে একটি ভালো সামাজিক অবস্থানে স্থিত থাকাই সকলের আরাধ্য। কিন্তু তবুও পৃথিবীর বহু মানুষ যেমন নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদাসীন তেমনি নিজেদের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কেও তারা অসচেতন। আবার পুঁজিবাদের বিকাশের কারণে স্বাস্থ্যসেবা লাভ ক্রমশ অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা থেকে।

আর এ লক্ষ্যেই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে ও সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিসেবার সুযোগ বৃদ্ধিতে ১৯৫০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে পালন করা হচ্ছে 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস'। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল গঠন করা হয় জাতিসংঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মানুষের সুস্থতা নিশ্চিত করা এবং জীবন রক্ষার শপথে পরিচালিত সংস্থাটির প্রথম সম্মেলনেই ৭ এপ্রিল থেকে প্রতি বছর নিয়মিত 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতি বছর এমন একটি প্রতিপাদ্য বিশ্ববাসীর সামনে নিয়ে আসে, যা বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রত্যেক দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাগুলো নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। অসম এই পৃথিবীতে সকলের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ার ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বৃদ্ধি করাই এ দিবসটি উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য। একদিকে যেমন নিত্য নতুন রোগ শোক মানুষের জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছে। অন্যদিকে গরীব মানুষের স্বাস্থ্য সেবা লাভের পথ হচ্ছে রুদ্ধ। স্বাস্থ্য সেবা এখন বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। এখন থেকে বঞ্চিত মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান এখন এই বিশ্বের বড় চ্যালেঞ্জ।


বিশ্ব   স্বাস্থ্য   দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

শিগগিরই পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হচ্ছে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল

প্রকাশ: ১০:০৬ পিএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ণাঙ্গরূপে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল শিগগিরই চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

শনিবার (৬ এপ্রিল) আয়োজিত বিএসএমএমইউয়ের অধীন এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল দ্রুত পূর্ণাঙ্গরূপে চালুর লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।

এসময় উপাচার্য জানান, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে দেশের শ্রেষ্ঠতম চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যোগ্য ও দক্ষ জনবল নিশ্চিত করা, সামগ্রিক যন্ত্রপাতির জোগান নিশ্চিত করা, সঠিকভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আজ শনিবার উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে অবস্থান করেন। এসময় তিনি অ্যাক্সিডেন্ট অ্যান্ড ইমারজেন্সি সেন্টার, কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সেন্টার, ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি, হোপাটোলজি, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, প্যানক্রেটিক ডিজিস অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার, কার্ডিওভাসকুলার অ্যান্ড স্টোক সেন্টার, প্যাথলজি ল্যাব, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে সভায় মিলিত হন।

এসময় উপাচার্যের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন, উপ-পরিচালক (প্রকল্প) সহযোগী অধ্যাপক ডা. নূর-ই-এলাহী মিম প্রমুখ।


বিএসএমএমইউ   উপাচার্য   অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ নির্দেশনা

প্রকাশ: ০১:২৭ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে দীর্ঘ ছুটির কবলে পড়তে যাচ্ছে দেশ। এ অবস্থায় জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে হাসপাতালগুলোতে কর্মরতদের ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রোববার (৩১ মার্চ) ডা. আবু হোসাইন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, ছুটিকালীন কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়া যেতে পারে।

এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিরবিচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অনুকূলিতভাবে ছুটি মঞ্জুর করবেন।

সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে কেবল ঈদের ছুটির সময়ে নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করতে পারবেন।

জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমারজেন্সি ওটি সার্বক্ষণিক চালু রাখতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আন্তঃবিভাগে ইউনিট প্রধানগণ প্রতিদিন তদারকি করবেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমূহে জরুরি ল্যাব, এক্স-রে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

ছুটি শুরু হওয়ার আগেই ছুটিকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, আই ডি ফ্লুয়িড কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুদ ও তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্টোর কিপার অথবা ছুটিকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফকে অবশ্যই নিজ জেলা ও উপজেলায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

ছুটিকালীন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগাম পত্র দিতে হবে।

প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদেরকে ছুটিকালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে; একইসঙ্গে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

এছাড়া, প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি এবং রোগীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন