ইনসাইড হেলথ

‘বাংলাদেশ সরকার সঠিক সিদ্ধান্তটাই নিয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০২০


Thumbnail

লন্ডনের নিউহ্যাম হসপিটালে কর্মরত আছেন বাংলাদেশি চিকিৎসক ডা. গোলাম রাহাত খান বাবু। প্রতিদিনই মুখোমুখি হতে হচ্ছে মরণঘাতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে। সেখানে আইসিইউর দায়িত্বে থেকেও ভুলতে পারেন না নিজের দেশকে। করোনাকালে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ গেল কয়েকদিনে নানা বিষয় পর্যবেক্ষণ করে তিনি কথা বলেছেন বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে।  

বাংলা ইনসাইডার: যুক্তরাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি কি?

ডা. গোলাম রাহাত খান বাবু:
মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে গত কয়েকদিনে। আশার কথা ভর্তির রেটও কমতে শুরু করেছে এখানকার হসপিটালগুলোতে। কার্ভটা নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। এখানের সাধারণ মানুষ নিয়মনীতিটা খুব স্ট্রিকলি ফলো করছে।ফলে অবস্থার দ্রুত উন্নতি দেখতে পাচ্ছি আমরা। তবে কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা তাদের প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য অস্থির হয়ে গেছে। যেটা আসলে আরো কিছুদিন পরে হলে ভালো হতো।

যুক্তরাজ্যে চিকিৎসকরা কিভাবে সাহায্য পাচ্ছেন?

এখানে শুরু থেকেই গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। আমরা যারা আইসিউতে কাজ করি তাদের সর্বোচ্চ পিপিই দেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য ফুল ফেসের পিপিইগুলো সরবারহ করা হয়েছে। তাছাড়া যারা করোনা রোগীকে টেস্ট করে রিসিভ করবে বা উপসর্গ চিহ্নিত করবে তাদের জন্যও এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আবার অর্থোপেডিক্স বা এই টাইপের ডিপার্টমেন্টগুলো যেখানে আসলে করোনা রোগির সংস্পর্শে আসার দরকার হয় না। তাদের জন্য কিন্তু ফেস মাস্কটাই যথেষ্ঠ। এখানে সেভাবেই সরবারহ করা হয়েছে। আমি সকলের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, বাংলাদেশে যেমন পিপিইর জন্য সকলে মাথা খারাপ করে রেখেছে সরকারের, সেটা কিন্তু ঠিক না। শুধুমাত্র যারা আইসিইউতে কাজ করেন বা করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য নিয়োজিত, তাদের জন্যই পিপিই মাস্ট দরকার। কারণ বিশ্বজুড়েই তো বলা হচ্ছে, করোনা রোগী থেকে বাঁচতে অন্তত দুই মিটার দূরে থাকলেই হবে। সেখানে শুধুমাত্র এই পিপিই’র জন্য মাথা খারাপের দরকার নেই।

বাংলাদেশে শপিংমল- শিল্পকারখানা খুলে দেওয়া হচ্ছে; বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

রিস্ক অ্যান্ড বেনিফিট হিসেব করেই কাজ করে সরকারের নীতি নির্ধারকরা। সরকারকে তো সব সন্তানকেই দেখতে হবে। আমি জানি এই খুলে দেওয়া নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। সরকার কিন্তু বাস্তবিকটা চিন্তা করছে। যারা সমালোচনা করছেন তারা এলিট শ্রেনী। তারা হয়তো দু’মাস কোন কাজ না করে ঘরে বসে খেতে পারবে। কিন্তু বাংলাদেশের সকল জনগনের কথা চিন্তা করলে, এই মুহুর্তে এটা খুলে দেওয়া একদম অযৌক্তিক বলবো না।কারণ না হয় দেশে যে চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দেবে সেটা আরো ভয়াবহ হতে পারে। যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক ভালো। বিশ্বের অন্যতম ধনী রাষ্ট্র। অর্থনীতিতে ষষ্ঠ অবস্থানে আছে। সেখানে যুক্তরাজ্যও কিন্তু আস্তে আস্তে খুলে দিচ্ছে। করকারখানা খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। কিছু রেস্টুরেন্ট খুলে দিয়েছে। তবে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশগুলোই এভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বড় উন্নত দেশগুলোও তাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এই ব্যবস্থা নিচ্ছে। আর আশার কথা, করোনাকাল অতিবাহিত হওয়ার পর আমাদের সকল শ্রেনীর মানুষের মধ্যেই মনে হয় একটা সচেতনেতা আসবে। হাঁচি, কাশির শিষ্টাচার মেনে চলাটা সকলের অভ্যাসে পরিণত হবে। কিভাবে এই রোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষা রাখতে পারি সেটা কোন না কোনভাবে সবাই জেনেছে, আর সেটা মেনে কাজ করলে আমরা রোগ থেকে যেমন রক্ষা পাবো তেমনি অর্থনৈতিক চাকাও সচল রাখতে পারবো।

করোনা রোগীর চিকিৎসা কিভাবে হচ্ছে?

কোভিড ১৯ রোগীর হিসেব করলে ৩০ শতাংশেরই কিন্তু কোন উপসর্গ নেই। সে নিজেও জানে না যে আক্রান্ত। এটা একদম পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের (পিএইচই) থেকে পাওয়া তথ্য। ৫০ শতাংশের মৃদু উপসর্গ থাকে। যারা প্রাথমিক কিছু চিকিৎসাতেই ভালো হয়ে যাচ্ছে। আর বাকি যে ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগী তাদের আইসিইউ দরকার হয়। তাদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যায়। কিছু টেস্টের দরকার হয়। ফলে আইসিইউ দিতে হয়। কারোনা আক্রান্ত হলেই যে কেউ মারা যাবে এমনটা নয় কিন্তু। আর সকলের হসপিটালে থেকেই চিকিৎসা্ করাতে হবে এমনটাও নয়। এই দেশেও সকল আক্রান্তকে হসপিটালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয় না। কেবল অর্গান সাপোর্ট দেওয়া হয়। করো যদি নর্মাল উপসর্গ থাকে তাহলে সরাসরি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় না। তাকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। বলা হয় আপনি বাসায় থাকেন খারাপ লাগলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে দেওয়া হবে। হাসপাতালে নিয়ে এসে কিছু টেস্ট হয়, যেমন; অক্তিজেন স্যাচুরেশন, চেস্ট-ব্লাড টেস্ট। এসব রেজাল্ট দেখে যদি মনে হয় খারাপ তখন তাকে ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশেও অনেক পজিটিভ আসবে। যেমন বলা যায় পৃথিবীর ৬০০ কোটি মানুষের যদি টেস্ট করা হয় তাহলে হয়তো ৩০/৩৫ শতাংশ মানুষের মধ্যে করোনা পজিটিভ পাওয়া যেত। তার মানে তো এই নয় যে এই মানুষ সব মারা যাবে। তার মধ্যে তো অনেকে ফিলই করছেন না যে তিনি আক্রান্ত। আমরা যারা এই দেশে আইসিইউতে কাজ করি, আমাদের কিন্তু প্রত্যেকদিন ৩০/৪০ কোভিড আক্রান্ত হ্যান্ডেল করতে হয়। আল্লাহর রহমতে আমাদের কিন্তু কোন সিনট্রম এখন পর্যন্ত নাই। তার মানে এই নয় যে আমাদের কোভিড নেই। এটা নিয়ে যে বেশি বেশি প্যানিক হওয়া এটা ঠিক না। নিজের দায়িত্বটা নিজের পালন করতে হবে। আমি জানি এটা উল্টো স্রোতে কথা বলা। কিন্তু বেশি প্যানিক হওয়ার কিছু নেই এটাই আমার অভিজ্ঞতা বলে।  

বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে; কোন আশার খবর?

সারা পৃথিবীর প্রায় ১০০ রিসার্চ প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। আমাদের এখানে অক্সফোর্ড খ্যাতি সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান। প্রায় ছয়শো বছরের একাডেমিক হিস্টোরি, তারাও কাজ করছে। আমি আশাবাদী যে খুব শীঘ্রই হয়তো সফলতার মুখ দেখা যাবে। এরা খুব কোয়ালিটি মেইনটেইন করে এবং এরা সাকসেস হবেই। আমেরিকা ও ইউরোপের অরো অনেক দেশই কাজ করছে এটা নিয়ে। আসলে এটা বললেই হয় না, রেজাল্ট আসলো আর পরের দিনই ছাড়া সম্ভব নয়। এত মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন দিলে কোন সাইড ইফেক্ট থাকলে সেটা তো আরো ভয়ানক কিছু হতে পারে। তাই একটু একটু করে কনফার্ম করা হয়। মূল কথা আমি আশাবাদি যে ভ্যাকসিন খুব দ্রুত চলে আসবে।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন সাজেশন?

আপনি যে একদমই বাসা থেকে বের হতে পারবেন না মূল বিষয়টি কিন্তু এমন না। আপনি যদি মনে করেন কারো সঙ্গে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেইনটেইন করে নিজের ভালো বোঝা যায় তাহলে কিন্তু আপনি যেতে পারেন কোন কাজে। আসলে দূরত্ব বজায় রাখাটা মূল কথা। যুক্তরাজ্যে সবাই মাস্ক পরে না। কিন্তু বাংলাদেশে মাস্ক পরাটা খুবই দরকারী। আমাদের বাংলাদেশ ঘনবসতির দেশ। অনেক মানুষ বাস করে। সেখানে নিজের সেফটির জন্য ব্যবস্থা নিতেই হবে। আর এটা যে খুব ব্যায়বহুল তাও না কিন্তু। একটু সচেতন হলেই আমরা এটা করতে পারি। আর অযথা বাইরে আরো অনেকদিন না যাওয়াই ভালো। যে না খেয়ে মারা যাবে সে যেতে পারে। কিন্তু যার সামর্থ্য আছে তার না যাওয়াই উচিত বলবো। খুব জরুরি না হলে বের হবেন না।  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

দিনে ৭ হাজার কদম হাঁটলে কমতে পারে অকাল মৃত্যুঝুঁকি

প্রকাশ: ১০:৩৭ এএম, ১০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে সহজ নিয়মিত হাঁটা। কতুটুকু হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে– খুব বেশি নয়, দিনে কমপক্ষে ৭ হাজার কদম হাঁটার অভ্যাসই অকাল মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

এছাড়া, দিনে কমপক্ষে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৭০০ ধাপ হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায়। তবে এর চেয়ে বেশি হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

নতুন গবেষণা আরও বলা হয়েছে, যারা দিনে ৯ হাজার ধাপ হাঁটেন, হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে তাদের মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গালফ নিউজ’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি ‘জার্নাল অব আমেরিকান কার্ডিওলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণাটি পূর্বের অন্যান্য ১২টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা হয়েছে। এটিকে ‘মেটা অ্যানালাইসিস’ বা ‘মেটা স্টাডি’ বলা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৭ হাজার ধাপ হাঁটলে হৃদরোগ কমার সম্ভাবনা প্রায় ৫১ শতাংশ। এই গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে, দিনে ২৫০০ থেকে ২৭০০ কদম হাঁটলে স্বাস্থ্যের পক্ষে প্রাথমিক উপকারিতা শুরু হয়। পরিমিত হাঁটার এই অভ্যাস রক্তে শর্করার বৃদ্ধি কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করে।

নতুন গবেষণা বলছে, প্রতিদিন ২৭০০ কদম হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ১১ শতাংশ। প্রতিদিন ৭০০০ ধাপ হাঁটা এটিকে ৫১ শতাংশে উন্নীত করে। আর প্রতিদিন যদি ৯০০০ কদম হাঁটা যায়, তাহলে হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ।

সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন আপনার কত কদম হাঁটা উচিত? এই প্রশ্ন যদি আপনার মনে এসে থাকে, তাহলে তার নিশ্চিত উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছে নতুন এই গবেষণা।


ব্যাম   হাঁটা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

‘কোয়ালিটিফুল চিকিৎসক তৈরিতে কোনো আপস নয়’

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেছেন, কোয়ালিটিফুল চিকিৎসক তৈরিতে আমরা কোনো আপস করবো না। ভবিষ্যতের জন্য চিকিৎসক তৈরিতে মানের দিক থেকে কোনো ছাড় না দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি।

গতকাল রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশন এই অধিবেশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।

উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪ হাজার ৮০৭ জন রেসিডেন্ট চিকিৎসক আছেন। এরমধ্যে ১০০ জন বিদেশি রেসিডেন্ট। তাদের ডিগ্রিটা যেন ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেওয়া হয়। আমরা তাদের পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবো না’।

নতুন দায়িত্ব গ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে এনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি এখানকার দায়িত্ব চেয়ে নেইনি। আমার ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভরসার পাশাপাশি আমার প্রতি ওনার কিছু চাওয়াও আছে। আমি চেষ্টা করবো এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণায় বিশ্বে একটি অনুকরণীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়তে’।


বিএসএমএমইউ   উপাচার্য   অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস: এখনও অধরা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অপারেশন থিয়েটারে হেঁটে গিয়েছিল শিশু তাসনিয়া, পরে নিথরদেহ পেল বাবা।  সম্প্রতি কেরানীগঞ্জে তনয়া (১২) নামের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর আদ-দ্বীন হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।  অপরদিকে রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনা করাতে গিয়ে পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যু হয় গত ৭ জানুয়ারি।  শুধু তাই নয়, রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করতে গিয়ে মৃত্যু হয় দশ বছর বয়সী ছেলে আহনাফ তাহমিনের।

শুধু তাসনিয়া কিংবা আহনাফের মতো কোমলমতি শিশুই নয়, দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে, ভুল আর অবহেলা জনিত চিকিৎসায় মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিনই রাজধানীসহ সারাদেশের কোথাও না কোথাও থেকে এমন খবর আসছে। গত এক বছর ধরে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। এর মাঝেই বিশ্বজুড়ে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।

বলা হয়ে থাকে, একজন মানুষের সুখের আসল সূত্র সত্যিকার অর্থেই তার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার উপর নির্ভর করে। মানুষ হিসাবে সুস্থ শরীর ও মন নিয়ে একটি ভালো সামাজিক অবস্থানে স্থিত থাকাই সকলের আরাধ্য। কিন্তু তবুও পৃথিবীর বহু মানুষ যেমন নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদাসীন তেমনি নিজেদের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কেও তারা অসচেতন। আবার পুঁজিবাদের বিকাশের কারণে স্বাস্থ্যসেবা লাভ ক্রমশ অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা থেকে।

আর এ লক্ষ্যেই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে ও সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিসেবার সুযোগ বৃদ্ধিতে ১৯৫০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে পালন করা হচ্ছে 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস'। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল গঠন করা হয় জাতিসংঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মানুষের সুস্থতা নিশ্চিত করা এবং জীবন রক্ষার শপথে পরিচালিত সংস্থাটির প্রথম সম্মেলনেই ৭ এপ্রিল থেকে প্রতি বছর নিয়মিত 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতি বছর এমন একটি প্রতিপাদ্য বিশ্ববাসীর সামনে নিয়ে আসে, যা বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রত্যেক দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাগুলো নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। অসম এই পৃথিবীতে সকলের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ার ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বৃদ্ধি করাই এ দিবসটি উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য। একদিকে যেমন নিত্য নতুন রোগ শোক মানুষের জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছে। অন্যদিকে গরীব মানুষের স্বাস্থ্য সেবা লাভের পথ হচ্ছে রুদ্ধ। স্বাস্থ্য সেবা এখন বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। এখন থেকে বঞ্চিত মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান এখন এই বিশ্বের বড় চ্যালেঞ্জ।


বিশ্ব   স্বাস্থ্য   দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

শিগগিরই পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হচ্ছে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল

প্রকাশ: ১০:০৬ পিএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ণাঙ্গরূপে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল শিগগিরই চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

শনিবার (৬ এপ্রিল) আয়োজিত বিএসএমএমইউয়ের অধীন এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল দ্রুত পূর্ণাঙ্গরূপে চালুর লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।

এসময় উপাচার্য জানান, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে দেশের শ্রেষ্ঠতম চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যোগ্য ও দক্ষ জনবল নিশ্চিত করা, সামগ্রিক যন্ত্রপাতির জোগান নিশ্চিত করা, সঠিকভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আজ শনিবার উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে অবস্থান করেন। এসময় তিনি অ্যাক্সিডেন্ট অ্যান্ড ইমারজেন্সি সেন্টার, কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সেন্টার, ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি, হোপাটোলজি, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, প্যানক্রেটিক ডিজিস অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার, কার্ডিওভাসকুলার অ্যান্ড স্টোক সেন্টার, প্যাথলজি ল্যাব, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে সভায় মিলিত হন।

এসময় উপাচার্যের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন, উপ-পরিচালক (প্রকল্প) সহযোগী অধ্যাপক ডা. নূর-ই-এলাহী মিম প্রমুখ।


বিএসএমএমইউ   উপাচার্য   অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ নির্দেশনা

প্রকাশ: ০১:২৭ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে দীর্ঘ ছুটির কবলে পড়তে যাচ্ছে দেশ। এ অবস্থায় জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে হাসপাতালগুলোতে কর্মরতদের ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রোববার (৩১ মার্চ) ডা. আবু হোসাইন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, ছুটিকালীন কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়া যেতে পারে।

এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিরবিচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অনুকূলিতভাবে ছুটি মঞ্জুর করবেন।

সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে কেবল ঈদের ছুটির সময়ে নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করতে পারবেন।

জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমারজেন্সি ওটি সার্বক্ষণিক চালু রাখতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আন্তঃবিভাগে ইউনিট প্রধানগণ প্রতিদিন তদারকি করবেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমূহে জরুরি ল্যাব, এক্স-রে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

ছুটি শুরু হওয়ার আগেই ছুটিকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, আই ডি ফ্লুয়িড কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুদ ও তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্টোর কিপার অথবা ছুটিকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফকে অবশ্যই নিজ জেলা ও উপজেলায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

ছুটিকালীন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগাম পত্র দিতে হবে।

প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদেরকে ছুটিকালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে; একইসঙ্গে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

এছাড়া, প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি এবং রোগীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন