ইনসাইড হেলথ

করোনার ভ্যাকসিন আসতে লাগবে ১০ বছর!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ১৯ মে, ২০২০


Thumbnail

গোটা দুনিয়ার মানুষের জীবন আর জীবিকা এলোমেলো করে দিয়েছে সার্স -২ বা করোনাভাইরাসে। উন্নত দেশগুলো একেবারেই নাজেহাল। জ্ঞান, বিজ্ঞান, অর্থ-বিত্তে পৃথিবীর অন্যতম সেরা দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা সব চেয়ে খারাপ বলে দৃশ্যমান হচ্ছে। শিকারির বন্দুকের ছররা গুলি খেয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি মরার মত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এর প্রতিকারের জন্য দুনিয়া জুড়ে বিজ্ঞানীরা রাতদিন কাজ করে চলেছেন, কিন্তু বাস্তবে কোন আশার আলো এখনো দেখা যায় না। যা শোনা যাচ্ছে তা  অনেকটাই অনুমান নির্ভর প্রত্যাশিত সত্যে।    

বিবিসি শুক্রবার এক অনলাইন প্রতিবেদনে বলে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিন ‘ম্যাকক’ প্রজাতির ছয়টি বানরের দেহে প্রয়োগের পর দেখা গেছে, তা করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের সুরক্ষা দিতে সক্ষম। এছাড়া এর কার্যকারিতা যাচাইয়ে এক হাজার মানুষের দেহে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ চলছে। তাই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন গবেষকরা এর কার্যকারিতা নিয়ে বেশ আশাবাদী।

বিবিসি শুক্রবার এক অনলাইন ঐ একই প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাসের এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন বানরের ক্ষেত্রে কার্যকর হলেও তা মানুষের ক্ষেত্রেও যে শতভাগ কার্যকর হবে তার নিশ্চয়তা এখনই দেওয়া যাচ্ছে না।

কিন্তু ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে বানরের উপর প্রয়োগ করে ব্যর্থ হয়েছে অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। ছয়টি বানরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিন বানরগুলোর দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে পারেনি। ছয়টি বানরই করোনায় সংক্রমিত। ফলে এই ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্ববাসীর আশায় গুড়ে বালি পড়লো।

দ্য টেলিগ্রাফ আরও জানিয়েছে, ছয়টি বানরের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়েছে। বানরের উপরে সফল না হওয়ার কারণে এই ভ্যাকসিন মানুষের উপর কতটুকু ফলদায়ক হবে তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

তবে এই ভ্যাকসিনের কিছুটা সাফল্য আছে। তা হলো- ৩টি বানরকে এক ডোজ করে ভ্যাকসিন দিয়ে দেখা যায় যে, ১৪ দিনের মধ্যে তারা কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি করতে পেরেছিল। আর বাকি বানরগুলোর দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছিল ২৮ দিন পর। ভ্যাকসিনটি উচ্চমাত্রার ডোজ প্রয়োগ করেও দেখা গেছে যে, বানরগুলোর শ্বাসতন্ত্রকে ভাইরাসমুক্ত করা সম্ভব হয়নি।  

এ বিষয়ে মলিকিউলার ভাইরোলজির অধ্যাপক জনাথন বল বলেন, ভ্যাকসিনটি পরীক্ষার পরে যে ডাটা পাওয়া যাচ্ছে, তা থেকে মনে হচ্ছে না যে, এটা করোনার সংক্রমণ প্রতিহত করতে পারবে।
আমেরিকান কোম্পানি মোদার্না আটজন ব্যক্তির উপর করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে দেখা গেছে যে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ছিল এবং সমস্ত গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছিলেন।  

ভ্যাকসিন মানব দেহে পরীক্ষার দ্বিতীয় পর্যায়ে সবুজ সংকেত অর্জন করেছে। গত সপ্তাহে, মার্কিন নিয়ন্ত্রকরা নিয়ন্ত্রক পর্যালোচনার গতি বাড়ানোর জন্য এই ভ্যাকসিনটিকে "ফাস্ট ট্র্যাক" স্ট্যাটাস দিয়েছিল।

দ্বিতীয় ধাপে, বা মাঝখানে, পরীক্ষার কার্যকারিতা আরও উন্নত করতে এবং সর্বোত্তম ডোজ সন্ধানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, মোদার্না বলেছে যে, তাঁরা এটি ২৫০এমসিজি ডোজ পরীক্ষা করার পরিবর্তে ৫০ এমসিজি ডোজ পরীক্ষা করার পরিকল্পনা বাদ দেবে।

মোদার্না বলেছিলেন যে এটি জুলাইয়ের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের বিচার শুরু হবে বলে তারা আশাবাদী।
COVID-19 এর জন্য বর্তমানে কোনও অনুমোদিত চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন নেই এবং বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে নিরাপদ এবং কার্যকর ভ্যাকসিনটি পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় নিতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক শীর্ষ চিকিৎসক ক্যারোল সিকোরা মনে করেন যে, করোনার ভ্যাকসিন পেতে আরও এক বছর সময় লাগতে পারে। ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত সবাইকে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। আগামী ১ বছরের মধ্যে প্রাকৃতিক-ভাবেই করোনার প্রকোপ আসতে পারে মন্তব্য করেছেন এই বিশেষজ্ঞ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই সাবেক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এবং বাকিংহাম মেডিকেল স্কুলের ডিন তাঁর টুইটারে লিখেন, বিশ্বে যে কোনো একটি ভ্যাকসিন আসার আগেই প্রাকৃতিক-ভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে করোনাভাইরাস। তিনি বলেছেন, ‘যেকোনো ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার আগেই এই ভাইরাসটি স্বাভাবিকভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সত্যিকারের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা প্রায় সর্বত্রই ভাইরাসের এমন ধরনের বৈশিষ্ট্য দেখছি, আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা ধারণার চেয়েও  বেশি বলে আমার সন্দেহ হয়। তবে আমাদের ভাইরাসটির বিস্তার ধীরগতি রাখা দরকার। যদিও এটি আপনা-আপনি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।’  

করোনার ভ্যাকসিন সহসাই মানুষের হাতে আসছে না বলেই মত দিয়েছেন গবেষকরা। কারণ কয়েক বছরের গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা চললেও ২০০২ সালের সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কার হয়নি।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ আরও জানিয়েছে, অক্সফোর্ড ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এবং চীনসহ এই মুহূর্তে বিশ্বে ১০০টির বেশি করোনার ভ্যাকসিনের কাজ চলছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, একটি কার্যক্ষম টিকা তৈরি করতে প্রায় ১০ বছর সময় লেগে যেতে পারে। আবার এমনও হতে পারে যে, ভ্যাকসিন ছাড়াই আমাদের করোনা মোকাবেলা করতে হবে।  

এমতাবস্থায় সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, সুসম খাবার আর কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়া আমাদের মত দেশে কোন বিকল্প নেই। কিন্তু আমাদের ফেরিঘাট, কাঁচা বাজার, আর সুপার মার্কেটের দিকে তাকালে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। চলায়, কাঁচা বাজারে, ফেরিঘাটে কিংবা সুপার মার্কেটের কোথাও শারীরিক দূরত্ব মানার কোন বালাই নেই। এমন আবেগী তাঁরা যে, সাহায্য পাওয়া সামান্য টাকায় সন্তানদের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঈদের কেনাকাটায় বিজি তাঁরা। এভাবে কি করোনা ভাইরাস তাড়ান যাবে আমাদের দেশ থেকে?



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

দিনে ৭ হাজার কদম হাঁটলে কমতে পারে অকাল মৃত্যুঝুঁকি

প্রকাশ: ১০:৩৭ এএম, ১০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে সহজ নিয়মিত হাঁটা। কতুটুকু হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে– খুব বেশি নয়, দিনে কমপক্ষে ৭ হাজার কদম হাঁটার অভ্যাসই অকাল মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

এছাড়া, দিনে কমপক্ষে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৭০০ ধাপ হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায়। তবে এর চেয়ে বেশি হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

নতুন গবেষণা আরও বলা হয়েছে, যারা দিনে ৯ হাজার ধাপ হাঁটেন, হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে তাদের মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গালফ নিউজ’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি ‘জার্নাল অব আমেরিকান কার্ডিওলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণাটি পূর্বের অন্যান্য ১২টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা হয়েছে। এটিকে ‘মেটা অ্যানালাইসিস’ বা ‘মেটা স্টাডি’ বলা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৭ হাজার ধাপ হাঁটলে হৃদরোগ কমার সম্ভাবনা প্রায় ৫১ শতাংশ। এই গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে, দিনে ২৫০০ থেকে ২৭০০ কদম হাঁটলে স্বাস্থ্যের পক্ষে প্রাথমিক উপকারিতা শুরু হয়। পরিমিত হাঁটার এই অভ্যাস রক্তে শর্করার বৃদ্ধি কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করে।

নতুন গবেষণা বলছে, প্রতিদিন ২৭০০ কদম হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ১১ শতাংশ। প্রতিদিন ৭০০০ ধাপ হাঁটা এটিকে ৫১ শতাংশে উন্নীত করে। আর প্রতিদিন যদি ৯০০০ কদম হাঁটা যায়, তাহলে হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ।

সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন আপনার কত কদম হাঁটা উচিত? এই প্রশ্ন যদি আপনার মনে এসে থাকে, তাহলে তার নিশ্চিত উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছে নতুন এই গবেষণা।


ব্যাম   হাঁটা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

‘কোয়ালিটিফুল চিকিৎসক তৈরিতে কোনো আপস নয়’

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেছেন, কোয়ালিটিফুল চিকিৎসক তৈরিতে আমরা কোনো আপস করবো না। ভবিষ্যতের জন্য চিকিৎসক তৈরিতে মানের দিক থেকে কোনো ছাড় না দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি।

গতকাল রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশন এই অধিবেশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।

উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪ হাজার ৮০৭ জন রেসিডেন্ট চিকিৎসক আছেন। এরমধ্যে ১০০ জন বিদেশি রেসিডেন্ট। তাদের ডিগ্রিটা যেন ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেওয়া হয়। আমরা তাদের পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবো না’।

নতুন দায়িত্ব গ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে এনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি এখানকার দায়িত্ব চেয়ে নেইনি। আমার ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভরসার পাশাপাশি আমার প্রতি ওনার কিছু চাওয়াও আছে। আমি চেষ্টা করবো এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণায় বিশ্বে একটি অনুকরণীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়তে’।


বিএসএমএমইউ   উপাচার্য   অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস: এখনও অধরা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অপারেশন থিয়েটারে হেঁটে গিয়েছিল শিশু তাসনিয়া, পরে নিথরদেহ পেল বাবা।  সম্প্রতি কেরানীগঞ্জে তনয়া (১২) নামের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর আদ-দ্বীন হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।  অপরদিকে রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনা করাতে গিয়ে পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যু হয় গত ৭ জানুয়ারি।  শুধু তাই নয়, রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করতে গিয়ে মৃত্যু হয় দশ বছর বয়সী ছেলে আহনাফ তাহমিনের।

শুধু তাসনিয়া কিংবা আহনাফের মতো কোমলমতি শিশুই নয়, দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে, ভুল আর অবহেলা জনিত চিকিৎসায় মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিনই রাজধানীসহ সারাদেশের কোথাও না কোথাও থেকে এমন খবর আসছে। গত এক বছর ধরে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। এর মাঝেই বিশ্বজুড়ে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।

বলা হয়ে থাকে, একজন মানুষের সুখের আসল সূত্র সত্যিকার অর্থেই তার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার উপর নির্ভর করে। মানুষ হিসাবে সুস্থ শরীর ও মন নিয়ে একটি ভালো সামাজিক অবস্থানে স্থিত থাকাই সকলের আরাধ্য। কিন্তু তবুও পৃথিবীর বহু মানুষ যেমন নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদাসীন তেমনি নিজেদের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কেও তারা অসচেতন। আবার পুঁজিবাদের বিকাশের কারণে স্বাস্থ্যসেবা লাভ ক্রমশ অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা থেকে।

আর এ লক্ষ্যেই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে ও সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিসেবার সুযোগ বৃদ্ধিতে ১৯৫০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে পালন করা হচ্ছে 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস'। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল গঠন করা হয় জাতিসংঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মানুষের সুস্থতা নিশ্চিত করা এবং জীবন রক্ষার শপথে পরিচালিত সংস্থাটির প্রথম সম্মেলনেই ৭ এপ্রিল থেকে প্রতি বছর নিয়মিত 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতি বছর এমন একটি প্রতিপাদ্য বিশ্ববাসীর সামনে নিয়ে আসে, যা বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রত্যেক দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাগুলো নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। অসম এই পৃথিবীতে সকলের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ার ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বৃদ্ধি করাই এ দিবসটি উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য। একদিকে যেমন নিত্য নতুন রোগ শোক মানুষের জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছে। অন্যদিকে গরীব মানুষের স্বাস্থ্য সেবা লাভের পথ হচ্ছে রুদ্ধ। স্বাস্থ্য সেবা এখন বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। এখন থেকে বঞ্চিত মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান এখন এই বিশ্বের বড় চ্যালেঞ্জ।


বিশ্ব   স্বাস্থ্য   দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

শিগগিরই পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হচ্ছে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল

প্রকাশ: ১০:০৬ পিএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ণাঙ্গরূপে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল শিগগিরই চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

শনিবার (৬ এপ্রিল) আয়োজিত বিএসএমএমইউয়ের অধীন এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল দ্রুত পূর্ণাঙ্গরূপে চালুর লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।

এসময় উপাচার্য জানান, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে দেশের শ্রেষ্ঠতম চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যোগ্য ও দক্ষ জনবল নিশ্চিত করা, সামগ্রিক যন্ত্রপাতির জোগান নিশ্চিত করা, সঠিকভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আজ শনিবার উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে অবস্থান করেন। এসময় তিনি অ্যাক্সিডেন্ট অ্যান্ড ইমারজেন্সি সেন্টার, কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সেন্টার, ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি, হোপাটোলজি, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, প্যানক্রেটিক ডিজিস অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার, কার্ডিওভাসকুলার অ্যান্ড স্টোক সেন্টার, প্যাথলজি ল্যাব, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে সভায় মিলিত হন।

এসময় উপাচার্যের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন, উপ-পরিচালক (প্রকল্প) সহযোগী অধ্যাপক ডা. নূর-ই-এলাহী মিম প্রমুখ।


বিএসএমএমইউ   উপাচার্য   অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ নির্দেশনা

প্রকাশ: ০১:২৭ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে দীর্ঘ ছুটির কবলে পড়তে যাচ্ছে দেশ। এ অবস্থায় জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে হাসপাতালগুলোতে কর্মরতদের ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রোববার (৩১ মার্চ) ডা. আবু হোসাইন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, ছুটিকালীন কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়া যেতে পারে।

এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিরবিচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অনুকূলিতভাবে ছুটি মঞ্জুর করবেন।

সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে কেবল ঈদের ছুটির সময়ে নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করতে পারবেন।

জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমারজেন্সি ওটি সার্বক্ষণিক চালু রাখতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আন্তঃবিভাগে ইউনিট প্রধানগণ প্রতিদিন তদারকি করবেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমূহে জরুরি ল্যাব, এক্স-রে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

ছুটি শুরু হওয়ার আগেই ছুটিকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, আই ডি ফ্লুয়িড কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুদ ও তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্টোর কিপার অথবা ছুটিকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফকে অবশ্যই নিজ জেলা ও উপজেলায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

ছুটিকালীন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগাম পত্র দিতে হবে।

প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদেরকে ছুটিকালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে; একইসঙ্গে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

এছাড়া, প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি এবং রোগীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন