নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১০ জুলাই, ২০২০
‘আমরা বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেটা আসলে প্রত্যাশিত নয়, এখানে আমাদের আসার কথা ছিলো না। আমরা যদি মার্চ-এপ্রিলে সঠিকভাবে সাধারণ ছুটি পালন করতাম তাহলে আজকে আমরা বিশ্বের অনেক দেশের মতো করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতাম। যেকোন বাস্তবতায় আমরা সেটা করতে পারিনি। বর্তমানে আমাদের আক্রান্তের হার বাড়ছে এবং আমরা লকডাউন শিথিল করে সাধারণ জীবনযাত্রায় ফিরে আসছি। তাই এটা আমাদের জন্যে এই মুহুর্তে কিছুটা ঝুকিপূর্ণ। সামনে ঈদ আসছে এবং এই ঈদে আবার লোকজন গ্রামের বাড়িতে যাবে, ঈদকে কেন্দ্র করে কোরবানির হাঁটেও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। তাই এই মুহুর্তে আমরা খুব ভালো অবস্থানে নেই।’
বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় কথাগুলো বলছিলেন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেইফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজ (এফডিএসআর)-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন। যিনি নর্দার্ন ইউনিভার্সিটিতে পাবলিক হেলথ- এ অধ্যাপকের দায়িত্বও পালন করছেন।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির পেছনের কারণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্যর্থতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মহামারি ঠেকানোর জন্য জনসচেতনতা তৈরি করতে হয়। এর আগেও আমরা যতগুলো জনস্বাস্থ্যের সমস্যা নিয়ে কাজ করেছি, আমরা জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচী নিয়ে কাজ করেছি। এবারে কিন্তু আমরা সেই কাজগুলো দেখেনি। তৃণমূল পর্যন্ত কমিউনিটি সচেতনতা তৈরির জন্য অতীতে যে কর্মসূচীগুলো নেওয়া হয়েছে, করোনার ক্ষেত্রে আমরা কিন্তু সেগুলো দেখিনি। আমরা অনেক বেশি নির্ভরশীল ছিলাম ফেসবুক বা মোবাইল ফোনে একটা ক্ষুদে বার্তার উপরে, কিন্তু মানুষের আচরণ পরিবর্তন এবং জনসচেতনতা তৈরির জন্য যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচীগুলো নেওয়া উচিত সেগুলো যথাযথভাবে নেওয়া হয়নি। কাজেই স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে যদি ব্যর্থতার কথা বলেন তাহলে সেটা অবশ্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।’
ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন মনে করেন, ‘করোনা একটি বহুমাত্রিক সমস্যা। এটা শুধু স্বাস্থ্যগত সমস্যা নয়। এর সঙ্গে অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সমাজনীতি জড়িত। যদি অর্থনৈতিক বিষয়গুলো দেখেন তাহলে আমি বলবো যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষতা এবং বিচক্ষনতার সঙ্গে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে সামাল দিয়েছে। এর সঙ্গে স্বাস্থ্যখাতকে ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারলে এখন আমরা অনেক ভালো অবস্থানে থাকতাম।’
স্বাস্থ্যখাতকে আমরা স্বাস্থ্যখাত হিসেবে দেখিনি বলে তিনি বলেন যে, আমরা মনে করতাম চিকিৎসক মানেই স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্য মানেই চিকিৎসক। এই চিকিৎসাকেন্দ্রিক যত সমস্যা ছিল সবাই অভিযোগের আঙ্গুল চিকিৎসকদের দিকেই তুলতো। কিন্তু আরো দুই যুগ আগে থেকে পৃথিবীতে ‘হেলথ সিস্টেম এপ্রোচ’ চালু হয়েছে। যেখানে প্রথমেই খুব জরুরী হলো যে একজন লিডার থাকবেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এবং গভর্নেন্সটা খুব জরুরী। নেতৃত্ব এবং সুশাসন হলো স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের প্রধান শর্ত। নেতৃত্ব যদি দক্ষ এবং স্বপ্নচারী না হয় তাহলে স্বাস্থ্যখাতকে বের করা কষ্টকর। এখানে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি যোগ করেন,‘স্বাস্থ্যখাতের ৬ টি কম্পোনেন্ট আছে। তাঁর মধ্যে একটি হলো ওয়ার্কফোর্স। এই ওয়ার্কফোর্সে হচ্ছে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা। বাকি পাঁচটি কম্পোনেন্ট নিয়ে আমরা খুব কম কথা বলি। আমরা শুধু চিকিৎসকদের নিয়ে কথা বলি। সুতরাং স্বাস্থ্যখাতের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। আমাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক যে দর্শন সেই দর্শনে একটি ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতিটা দলগতভাবে সরকারের ভেতরেও রয়েছে। কারণ আপনি যদি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার দেখেন, তাহলে সেখানে দেখবেন যে, শিক্ষা, ডিজিটালাইজেশন ইত্যাদি নিয়ে খুব বিস্তারিত লেখা আছে। কিন্তু স্বাস্থ্য নিয়ে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাত্র ১ পৃষ্ঠার মতো দায়সারা গোছের দিয়ে রেখেছে। অর্থাৎ আমরা স্বাস্থ্যখাতকে সিস্টেম হিসেবে কখনো অনুধাবন করতে পারেনি এবং এই সীমাবদ্ধতা আমাদের সবার। সেখান থেকেই স্বাস্থ্যখাতকে আমরা চিকিৎসক কেন্দ্রিক দেখি। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা যদি সঠিক না হয় তাহলে কিনতি দুর্নীতিসহ অন্যান্য বিষয় চলে আসে। যার সঙ্গে জড়িত সুশাসনও। এমনিভাবে আমরা স্বাস্থ্যখাতকে কখনো সামগ্রিকভাবে দেখিনি। এই সমস্যা কিন্তু নতুন নয়। শুধু করোনার কারণে এটা উন্মোচিত হয়েছে। এই সমস্যাটা শুধু আওয়ামী লীগ সরকারের নয়, এটা দশকের পর দশক থেকে বাড়তে বাড়তে আজ এই অবস্থায় এসেছে।’
সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্যখাতে অবাধ দুর্নীতির কারণ হিসেবে সুশাসনের ঘাটতিকে দায়ি করছেন ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন। তিনি বলেন যে, অসংখ্য অধিদপ্তর থাকার পরেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতো অগোছালো অধিদপ্তর আরেকটা পাওয়া যাবেনা। এখানে ব্যবস্থাপক হিসেবে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন অধ্যাপক বা চিকিৎসকদের। যারা হয়তো শিক্ষক ছিলেন। তাই তাঁদের তো ব্যবস্থাপনার দীর্ঘ যে প্রশিক্ষণ তা নেই। এজন্য আমরা বলি যে, স্বাস্থ্যখাতের ক্যাডারটাকে দুইভাগে ভাগ করা উচিত। একটি ক্লিনিক্যাল ক্যাডার, যারা রোগী দেখবেন, শিক্ষকতা করবেন। আরেকটি ব্যবস্থাপনা ক্যাডার। যারা এডমিনেস্ট্রশন দেখবেন, অধিদপ্তর চালাবেন, সিভিল সার্জন হবেন, উপজেলা হেলথ অফিসার হবে এবং জনস্বাস্থ্যের বিষয়টিও দেখবেন। আমরা যদি এভাবে স্বাস্থ্যখাতকে দুইটি বা তিনটি ক্যাডারে ভাগ করতে পারি যেমন ক্লিনিক্যাল ক্যাডার, ব্যবস্থাপনা ক্যাডার এবং আরো বিস্তারিত করলে হেলথ এডুকেশন। অর্থাৎ আমাদের একটি ব্যবস্থাপক গ্রুপ চিকিৎসকদের ভেতর থেকে করতে হবে। আপনি যদি বাইরে থেকে কাউকে এনে এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে বসান তাহলেও সমস্যা। এটা তো খুব টেকনিক্যাল বিষয়, তাই বাইরে থেকে যত দক্ষ আমলাই আপনি নিয়ে আসুন না কেন, সে এটাকে ভালো বুঝতে পারবে না। কারণ এমন একজন ব্যবস্থাপক লাগবে যিনি টেকনিক্যাল বিষয়টিও বোঝেন।’
পাশের দেশ ভারতের তামিনাড়ুর উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন যে, সেখানে এই পদ্ধতি খুব আগে থেকে চলে আসছে। চিকিৎসকরা যখন শুরুতে সরকারি চাকরিতে ঢোকে তখন তাঁরা দুটো ভাগে ঢোকে। এডমিন এবং অন্যটি ক্লিনিক্যাল সাইডে। সেক্ষেত্রে এই ম্যানেজমেন্টগুলো ভালো হয়। আর দুর্নীতি তো অনেক দিন যাবৎ আছে। এটা একটি শিল্পের পর্যায়ে চলে গেছে। আবার দুর্নীতি নিয়ে কিছু কিছু অতিকথনও রয়েছে। এখন এমন একটি অবস্থা হয়েছে যে, যা কিছু হয় আমরা দুর্নীতির কথাই ভাবি। দুর্নীতি আছে এবং কিছু কিছু সিন্ডিকেটের কথা যে আমরা শুনি তা আছে এবং তা অস্বীকার করার উপায় নেই। এটা ব্যবস্থাপনা, সুশাসনের ঘাটতি এর অন্যতম কারণ।’
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে তিনি বলেন, এখন আমাদের লকডাউন দেওয়ার মতো বাস্তবতা নেই। এখন আমাদের দরকার জনসচেতনতা বাড়ানো। একদম তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত জনসচেতনতা বাড়ানোর ক্যাম্পেইন করতে হবে। সেই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য হবে যে, আমরা প্রতিটি মানুষ যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি। আমরা যদি নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারি তাহলে লকডাউন না করেও এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব। সেখানে কিছু ঝুঁকিও অবশ্য থাকবে। কিছু মানুষ অসুস্থ হবে এবং কিছু মানুষের হয়তো জটিল অবস্থা সৃষ্টি হবে, কিন্তু সবার আগে আমাদের নিজেদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এই মুহুর্তে স্লোগান হবে, ‘নিজে বাঁচুন এবং অন্যকে বাঁচান’। অন্যান্য জনস্বাস্থ্যের সমস্যায় আমরা দেখেছি যে, একটি মসজিদের ইমাম, একজন শিক্ষক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ইত্যাদি সোশ্যাল এলিটদের মাধ্যমে যদি তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি বাড়ি বাড়ি এই বার্তাটা পৌঁছে দিতে পারি, হাতে হাতে লিফলেট দেওয়া, বিলবোর্ডে ছেয়া ফেলা এবং নিশ্চিত করি যে সবাই যেন মাস্ক পরে, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। আরেকটি কর্মসূচী যেটা রাজনৈতিক দলগুলোর নেওয়া উচিত তা হলো বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ। কারণ মাস্ক নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিন চলতে হবে যতদিন না আমরা ভ্যাকসিন পাই বা একটি সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পাই। তবে বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং অন্যান্য অসুখের মতো কোভিড-১৯ কে সাথে নিয়েই আমাদের চলতে হবে।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।