নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ১১ জুলাই, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘কোরবানি ঈদে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে হাট বসাতে হবে। এখানে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দরকার। আমরা যতটা সম্ভব খোলা জায়গা, যেমন- স্কুলের মাঠ বা খেলার মাঠ এ রকম জায়গায় হাট বসাতে পারি। তবে অন্যান্যবারের মতো যত্রতত্র রাস্তাঘাটে হাট বসালে আমাদের বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।’ বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের আলাপচারিতায় ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পরামর্শ দেওয়া অনেক সহজ। কিন্তু বাংলাদেশের মতো একটি দেশে এই পরামর্শ প্রতিপালন করা অনেক কঠিন। বাংলাদেশে কতগুলো বাস্তবভিত্তিক বিষয় রয়েছে। কোরবানির ঈদে একদিকে যেমন ধর্মীয় ব্যাপার আছে, তাই মানুষ কোরবানি দিতে চাইবে। অন্যদিকে যারা গরু-ছাগল উৎপাদন করে, তাদের জীবন জীবিকার একটা বড় প্রশ্ন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, গ্রামাঞ্চলে কোরবানি কোনো স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বয়ে আনবে না। কারণ গ্রামীন জনপদে যেভাবে কোরবানি দেওয়া হয়, সেটি অনেক দূরত্ব রেখেই করা হয়। কোরবানির সময় যদি আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি তাহলে খুব একটা বড় সমস্যা হবে না।’
তবে তিনি বলেন যে, ‘ঈদের সময় আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ঢাকার বাইরে যাওয়া বা রাজধানীর বাইরে থেকে ঢাকায় আসা বন্ধ করা। এজন্য প্রশাসনকে অত্যন্ত সজাগ এবং সচেতন থাকতে হবে। ঈদুল ফিতরের সময়ও আমরা দেখেছি মানুষ ঢাকা থেকে গ্রামে ছুটে গেছে। আবার গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছে। এর ফলে সামাজিক সংক্রমণ ছড়িয়ে গেছে।’
ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এখন সাম্প্রতিক সময়ে যে সমস্ত গবেষণা বেরুচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি একটা স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। এটি কমার লক্ষণ। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমাদের আইইডিসিআর-ও বলছে যে, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল। এখান থেকে আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। কিন্ত এই কমাটা তখনই সম্ভব হবে, যখন জনগণ এবং প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ যদি সচেতন হয়, জনগণ যদি মাস্ক ব্যবহার করে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করে, তাহলে যেমন আমরা করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো, করোনা আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। তেমনি প্রশাসনের ভূমিকাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অপকর্ম কুকীর্তি এবং দুর্নীতি যদি আমরা বন্ধ করতে না পারি তাহলে করোনা পরিস্থিতি কমানো দুঃসাধ্য হবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে একটা আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। চারিদিকে দুর্নীতি। এই দুর্নীতি যদি চলতেই থাকে তাহলে করোনা পরিস্থিতি কীভাবে আমরা সামাল দেব।’
ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘যেখানে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে, একজন সুস্থ মানুষকে করোনা রোগী বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। করোনা রোগীকে সুস্থ বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থার যদি অবসান না হয়, তাহলে করোনা সংক্রমণ বন্ধ করা কঠিন হবে।’
তিনি বলেন যে, ‘করোনা পরিস্থিতি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রশাসন যদি এখন নজরদারি বাড়ায়, বিশেষ করে, মানুষের চলাচল সীমিত রাখে, সরকার যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছে, সেগুলো প্রতিপালনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে। তাহলে আমরা করোনা সামাল দিতে পারবো।’
কোরবানি ঈদ প্রসঙ্গে ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সৌদি আরবসহ অনেক দেশেই সরকারের কাছে টাকা দেওয়া হয় এবং সরকারি উদ্যোগে কোরবানিটা দেওয়া হয়। বাংলাদেশেও ধর্ম মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো মন্ত্রনালয় এই বিষয়টি ভাবতে পারে। কিন্তু এখানে কতগুলো বিপদও আছে। আমাদের যেখানে সব জায়গায় দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন, তাতে জনগণের এই টাকা নিয়েও শেষ পর্যন্ত আত্মসাৎ হবে কিনা, তা এক বড় প্রশ্ন। তবে আমাদেরকে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে যে, কোরবানিতে আমাদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।’
জাতীয় পরামর্শক কমিটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরে হাট না বসানোর যে পরামর্শ দিয়েছে, সে প্রসঙ্গে ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘তাদের পরামর্শ নিঃসন্দেহে যৌক্তিক। কিন্তু বাংলাদেশে পরামর্শ দেওয়া যত সহজ, তা বাস্তবায়ন করা ততটাই কঠিন। কারণ আমাদেরকে জীবন জীবিকার কথা চিন্তা করতে হয়, অর্থনীতির কথা চিন্তা করতে হয় এবং ধর্মীয় দিকও বিবেচনা করতে হয়। কাজেই সবদিক থেকে বিবেচনা করে আমি মনে করি যে, সামাজিক দূরত্ব মেনে যদি আমরা কোরবানির হাট বসাই এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি দেই, তাহলে আমাদের করোনার ঝুঁকি তেমন হবে না।’
ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এই সময় কোরবানির পশু কেনা বেচার ক্ষেত্রে অনলাইনকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। অনলাইনে কেনাকাটায় আমাদের করোনার ঝুঁকি অনেক কম হবে।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। গতকাল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই এই দায়িত্বে ছিলেন না। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমরা সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশ তথা এদেশের জনগণের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি। সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্য খাতে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা জানি সে অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। তাছাড়া ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, টিআইবি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ভূমিকা পালন করছে। টিআইবি এবং সিপিডি যারা করে এরা একই ঘরানার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু জনগণের অর্থায়নে করার ঘোষণা করেন সে সময় এরা বলেছিল বাংলাদেশে এটা অসম্ভব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করলে অর্থনীতির একটা ধস নামবে, অর্থের অপচয় হবে। টিআইবি তো কোন সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভালো চোখে দেখে না। টিআইবি’র এখানে (বাংলাদেশ) যারা নেতৃত্ব দেন তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে মনগড়া বিবৃতি দেয়। তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝে না বরং তারা পিছনের দরজা দিয়ে কোনো রকম নিজের গাড়িতে একটি পতাকা লাগানো যায় কিনা সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং এই স্বপ্নে বিভোর থাকে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে টিআইবি মনগড়া তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে হাজির করে জাতিকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।