নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৮ এএম, ০৭ অগাস্ট, ২০২০
‘চিকিৎসকদের ফোর স্টার, ফাইভস্টার হোটেলে রাখা হবে বা দুই/তিন হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে, এগুলো সব কিছু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। কোনো চিকিৎসক বা চিকিৎসকদের সংগঠন এসব কথা বলেনি। আমাদের শুধু একটাই দাবি ছিল তা হলো, চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে তাদের নিরাপদ রেখে, তাদের পরিবারকে নিরাপদ রেখে ডব্লিউএইচও এর গাইডলাইন অনুযায়ী, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বা চীনে যেরকম হচ্ছে, সেরকম স্বাস্থ্যসম্মত গাউডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসকদের কাজে লাগাতে হবে।’
কথাগুলো বলছিলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তারদের থাকা-খাওয়াসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাতিল করা কতটা যুক্তিসঙ্গত এমন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তন ও আধুনিকায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো চিকিৎসক দু’চারজন অফিসারকে পাল্টে দিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা যাবে না। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করতে হবে এবং এটার জন্য অনেক কাজ করতে হবে।’
বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে…
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেনে, ‘আমরা
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করতেছি। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমি গ্রামে গ্রামে
ঘুরে বেড়াচ্ছি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে দেশের সব প্রাইভেট হাসপাতালে রোগনির্ণয় পরীক্ষার
ফি নির্ধারণ করা হবে’।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন
তেঁতুইবাড়ি এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল পরিদর্শনে
এসে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে
বিশেষায়িত হাসপাতালকে আরও সচল করা হবে, যাতে সাধারণ মানুষকে আরও ভালো সেবা দিতে পারি।
এ হাসপাতালে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি রয়েছে।’
এই হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ বেশি এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,
‘এগুলো আমরা সমন্বয় করার চেষ্টা করব। আলোচনা করে এসব ঠিক করা হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী মোহাম্মদ নাজমুল হাসান
পাপন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহমেদ, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল পরিচালক জে এম এইচ
কাওসার আলম, প্রধান নার্সিং কর্মকর্তা রুযিতা মোহাম্মদ দান, সিভিল সার্জন মাহমুদা আক্তার,
কালিয়াকৈর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজব বিশ্বাস, টঙ্গী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি)
তামান্না জোতি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোনাবাড়ী জোন) আমির হোসেন,
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার জাহান প্রমুখ।
মন্ত্রী হাসপাতালের বিভিন্ন ফ্লোর, অফিস কক্ষ পরিদর্শন ও হাসপাতালের
অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রাইভেট হাসপাতাল মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন
মন্তব্য করুন
কিছুদিন পূর্বেই সারা বিশ্ব দেখেছে মহামারী করোনাভাইরাসের দাপট। ভাইরাসের ক্ষমতা কতটা দানবীয় হতে পারে তার কিছুটা আঁচ দিয়ে গেছে এই কোভিড যুগ। এবার নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আরেক ভাইরাস বার্ড ফ্লু। ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় এই রোগের H5N1-এর স্ট্রেইনের সন্ধান মিলেছে এবার দুধে।
শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত প্রাণীরা এই বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত তাদের শরীরজাত কাঁচা দুধে মিলেছে এই ভাইরাসের স্ট্রেইন। তবে এই ভাইরাস দুধের মধ্যে কতদিন বেঁচে থাকে, তাই এখন প্রশ্ন।
১৯৯৬ সালে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুেয়েঞ্জা (H5N1) প্রাথমিকভাবে ছড়িয়েছিল। পরে ২০২০ সালে তা ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। সেবার মৃত্যুর হার ছিল ভয়ানক।
২০২০ সালে ওই ভাইরাসের ছড়ানোর ঘটনায় যে শুধু ১০ মিলিয়ন পোলট্রির মুরগি মারা গিয়েছিল তা নয়, সংক্রমিত হয়েছিল বহু বন্য পাখি, স্থলের পশু, জলজ স্তন্যপায়ীরাও। বার্ড ফ্লু মানেই যে শুধু পাখিদের ঘিরে উদ্বেগ তা নয়। গত মাসেই এই বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্তের সংখ্যায় যোগ হয়েছে গরু ও ছাগল। উল্লেখ্য, এর আগে এই ইনফ্লুয়েঞ্জাতে কখনওই সংক্রমণের আশঙ্কার তালিকায় গরু ও ছাগল পাওয়া যায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রোগ্রামের প্রধান ওয়েনকিং ঝাং বলেন, ‘টেক্সাসে একটি গরু থেকে প্রথমবারের মতো কোনো মানুষ বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হলো। পাখি থেকে গরু, গরু থেকে গরু এবং গরু থেকে পাখির মধ্যে ভাইরাসটি সংক্রমণের বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। এ থেকে বোঝা যায় যে, ভাইরাসটির বিষয়ে আমরা আগে যা বুঝেছিলাম তার থেকে ভিন্নভাবে সংক্রমিত হচ্ছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা বলেন, বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত প্রাণীর দুধের মধ্যে ভাইরাসটি পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পাস্তুরিত দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যসহ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বার্ড ফ্লু ভাইরাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
মন্তব্য করুন
ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে সহজ নিয়মিত হাঁটা। কতুটুকু হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে– খুব বেশি নয়, দিনে কমপক্ষে ৭ হাজার কদম হাঁটার অভ্যাসই অকাল মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
এছাড়া, দিনে কমপক্ষে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৭০০ ধাপ হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায়। তবে এর চেয়ে বেশি হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
নতুন গবেষণা আরও বলা হয়েছে, যারা দিনে ৯ হাজার ধাপ হাঁটেন, হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে তাদের মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গালফ নিউজ’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি ‘জার্নাল অব আমেরিকান কার্ডিওলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণাটি পূর্বের অন্যান্য ১২টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা হয়েছে। এটিকে ‘মেটা অ্যানালাইসিস’ বা ‘মেটা স্টাডি’ বলা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৭ হাজার ধাপ হাঁটলে হৃদরোগ কমার সম্ভাবনা প্রায় ৫১ শতাংশ। এই গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে, দিনে ২৫০০ থেকে ২৭০০ কদম হাঁটলে স্বাস্থ্যের পক্ষে প্রাথমিক উপকারিতা শুরু হয়। পরিমিত হাঁটার এই অভ্যাস রক্তে শর্করার বৃদ্ধি কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করে।
নতুন গবেষণা বলছে, প্রতিদিন ২৭০০ কদম হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ১১ শতাংশ। প্রতিদিন ৭০০০ ধাপ হাঁটা এটিকে ৫১ শতাংশে উন্নীত করে। আর প্রতিদিন যদি ৯০০০ কদম হাঁটা যায়, তাহলে হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ।
সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন আপনার কত কদম হাঁটা উচিত? এই প্রশ্ন যদি আপনার মনে এসে থাকে, তাহলে তার নিশ্চিত উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছে নতুন এই গবেষণা।
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেছেন, কোয়ালিটিফুল চিকিৎসক তৈরিতে আমরা কোনো
আপস করবো না। ভবিষ্যতের জন্য চিকিৎসক তৈরিতে মানের দিক থেকে কোনো ছাড় না দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি।
গতকাল রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক বৈজ্ঞানিক
অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশন এই অধিবেশনের
আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক
ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।
উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে
৪ হাজার ৮০৭ জন রেসিডেন্ট চিকিৎসক আছেন। এরমধ্যে ১০০ জন বিদেশি রেসিডেন্ট। তাদের ডিগ্রিটা
যেন ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেওয়া হয়। আমরা তাদের পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবো
না’।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে এনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি এখানকার দায়িত্ব চেয়ে নেইনি। আমার ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভরসার পাশাপাশি আমার প্রতি ওনার কিছু চাওয়াও আছে। আমি চেষ্টা করবো এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণায় বিশ্বে একটি অনুকরণীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়তে’।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক
মন্তব্য করুন
অপারেশন থিয়েটারে হেঁটে গিয়েছিল শিশু তাসনিয়া, পরে নিথরদেহ পেল বাবা। সম্প্রতি কেরানীগঞ্জে তনয়া (১২) নামের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর আদ-দ্বীন হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনা করাতে গিয়ে পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যু হয় গত ৭ জানুয়ারি। শুধু তাই নয়, রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করতে গিয়ে মৃত্যু হয় দশ বছর বয়সী ছেলে আহনাফ তাহমিনের।
শুধু তাসনিয়া কিংবা আহনাফের মতো কোমলমতি শিশুই নয়, দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে, ভুল আর অবহেলা জনিত চিকিৎসায় মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিনই রাজধানীসহ সারাদেশের কোথাও না কোথাও থেকে এমন খবর আসছে। গত এক বছর ধরে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। এর মাঝেই বিশ্বজুড়ে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।
বলা হয়ে থাকে, একজন মানুষের সুখের আসল সূত্র সত্যিকার অর্থেই তার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার উপর নির্ভর করে। মানুষ হিসাবে সুস্থ শরীর ও মন নিয়ে একটি ভালো সামাজিক অবস্থানে স্থিত থাকাই সকলের আরাধ্য। কিন্তু তবুও পৃথিবীর বহু মানুষ যেমন নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদাসীন তেমনি নিজেদের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কেও তারা অসচেতন। আবার পুঁজিবাদের বিকাশের কারণে স্বাস্থ্যসেবা লাভ ক্রমশ অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা থেকে।
আর এ লক্ষ্যেই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে ও সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিসেবার সুযোগ বৃদ্ধিতে ১৯৫০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে পালন করা হচ্ছে 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস'। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল গঠন করা হয় জাতিসংঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মানুষের সুস্থতা নিশ্চিত করা এবং জীবন রক্ষার শপথে পরিচালিত সংস্থাটির প্রথম সম্মেলনেই ৭ এপ্রিল থেকে প্রতি বছর নিয়মিত 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতি বছর এমন একটি প্রতিপাদ্য বিশ্ববাসীর সামনে নিয়ে আসে, যা বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রত্যেক দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাগুলো নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। অসম এই পৃথিবীতে সকলের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ার ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বৃদ্ধি করাই এ দিবসটি উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য। একদিকে যেমন নিত্য নতুন রোগ শোক মানুষের জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছে। অন্যদিকে গরীব মানুষের স্বাস্থ্য সেবা লাভের পথ হচ্ছে রুদ্ধ। স্বাস্থ্য সেবা এখন বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। এখন থেকে বঞ্চিত মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান এখন এই বিশ্বের বড় চ্যালেঞ্জ।
মন্তব্য করুন
অপারেশন থিয়েটারে হেঁটে গিয়েছিল শিশু তাসনিয়া, পরে নিথরদেহ পেল বাবা। সম্প্রতি কেরানীগঞ্জে তনয়া (১২) নামের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর আদ-দ্বীন হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনা করাতে গিয়ে পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যু হয় গত ৭ জানুয়ারি। শুধু তাই নয়, রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করতে গিয়ে মৃত্যু হয় দশ বছর বয়সী ছেলে আহনাফ তাহমিনের।