নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। প্রথম দুই মাসে ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের থাকা খাওয়া বাবদ খরচ হয়েছিল ২১ কোটি টাকা। এতো বিপুল অংকের টাকা খরচ নিয়ে সংসদে পর্যন্ত আলোচনা হয়েছিল। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কিভাবে এতো টাকা খরচ হলো তা খতিয়ে দেখা হবে।
এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছিল ব্যয় সংকোচ করতে। কিন্তু ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিল, এই খরচ যৌক্তিক। এটা ছিলো মে এবং জুনের খরচ। আর জুলাই-আগস্ট এই দুই মাসে ঐ টাকাকেও অতিক্রম করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই দুই মাসে থাকা এবং খাওয়া বাবদ খরচ হয়েছে ৩১ কোটি টাকা। থাকা-খাওয়া বাবদ এই বিপুল খরচ দেখে চমকে উঠেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা। এরপরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাৎক্ষনিক ভাবে হোটেলে থাকা এবং খাওয়ার সুবিধা বাতিল করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়য়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন ‘এই খরচ অস্বাভাবিক। যেখানে করোনার কারণে সরকার সব ধরনের ব্যয় সংকোচের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানে এই ব্যয় বহন করা সরকারের জন্য কঠিন।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই মাসের যে বিল পাঠিয়েছে, তাতে দেখা লেকশোর সহ আরো কয়েকটি হোটেলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা, তিনবেলা খাওয়া এবং হোটেল থেকে তাদের হাসপাতালে আনা নেয়া বাবদ ৩১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এর বাইরেও চিকিৎসকও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পৃথক প্রণোদনা আছে। যেখানে একজন চিকিৎসক ৭দিন দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা করে পাবেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, পৃথিবীর কোন দেশে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা এ রকম সুযোগ-সুবিধা পাননি।
তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় যে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা পেয়েছেন একটি করে আপেল। আর ইউরোপে দেয়া হয়েছে হাততালি আর ফুল।’ ঐ কর্মকর্তা বলেন ‘এটা তাদের দায়িত্ব।’ জানা গেছে, এই ৩১ কোটি টাকা কিভাবে পরিশোধ করা হবে, তা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলবে।
উল্লেখ্য গত ৮ মার্চ দেশে করোনা শুরু হলেও, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয় ১৫ মে থেকে। বিশেষ সুবিধা প্রাপ্তি সাপেক্ষেই ঢাকা মেডিকেলে করোনা চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।